OrdinaryITPostAd

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা জানার সহজ ঘরোয়া পরীক্ষাগুলো জেনে নিন

গর্ভের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা নিয়ে গর্ভবতী মা সহ পরিবারের সকল সদস্য আত্মীয়স্বজন সবারই মনে নানা ধরনের কৌতূহল থাকে। আপনার গর্ভের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা জানার বিভিন্ন রকম উপায় রয়েছে যার মধ্যে কিছু বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত এবং কিছু ঘরোয়া পরীক্ষায় জানা যায়। তবে ঘরোয়া পরীক্ষা গুলো যে সবার ক্ষেত্রে সঠিক হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই তবে প্রচলিত কথা অনুসারে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের চিন্তাধারা ও জ্ঞান অনুসারে গর্ভবতী নারীর বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ ঘরোয়া ভাবে পরীক্ষায় তারা বিভিন্ন উপায় বের করে রেখেছেন।

ছবি

এছাড়াও বৈজ্ঞানিকভাবে আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষার মাধ্যমে ও গর্ভাবস্থায় ছেলে না মেয়ে পালিত হচ্ছে সেটি জানা বা বোঝার উপায় রয়েছে। আপনিও যদি গর্ব অবস্থায় থেকে থাকেন এবং জানতে চান আপনার গর্ভে ছেলে সন্তান পালিত হচ্ছে না মেয়ে সন্তান পালিত হচ্ছে তাহলে আজকের এই পোস্টটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

পোস্ট সূচীপত্রঃ গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা জানার সহজ ঘরোয়া পরীক্ষাগুলো জেনে নিন

ভূমিকা

গর্ভধারণের নিশ্চয়তা পাওয়ার পর থেকে গর্ভবতী মায়ের এবং পরিবারের সকল সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের চিন্তাধারা মাথায় ঘুরপাক খায়। সকলের চিন্তাধারা গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে হবে তা বোঝার উপায় কি। আবার অনেকে অধীর আগ্রহে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট করার সময়ের জন্য অপেক্ষা করে।

আজকের এই পোস্টটিতে আমরা কিছু ঘরোয়া পরীক্ষায় এবং গর্ভবতী নারীর কিছু লক্ষণ দেখে খুব সহজে কিভাবে গর্বের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা বোঝা যায় তার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। যদিও এগুলো বিজ্ঞানসম্মত নয় তবে বয়জেষ্ঠরা বা প্রচলিত কথায় যে সকল লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেলে গর্বে সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে জানা যায় সেগুলো সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

এছাড়াও যদি আপনি এ সকল ঘরোয়া পরীক্ষায় নিশ্চিত না হতে পারে সেক্ষেত্রে কিভাবে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে বুঝতে পারবেন আপনার গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সে সকল উপায় সম্পর্কেও আজকের এই পোস্টটিতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা জানার সহজ ঘরোয়া পরীক্ষাগুলো জেনে নিন

বিগত 20 বছরেও আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট খুব একটা সহজলভ্য ছিলনা। তখন মানুষজন নারীর কিছু লক্ষণ ঘর অভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে বলে দিত গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিকভাবে এবং সুক্ষভাবে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সেটা জানা যায়। কিন্তু আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট এর মাধ্যমে শিশু লিঙ্গ নির্ধারণের পর অনেক দেশে গর্ভস্থ সন্তান কন্যা হওয়ার কারণে মেরে ফেলার মত অনেক তথ্য আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমিক শুনে থাকবো ।


যার কারণে অনেক দেশে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট এর মাধ্যমে শিশু লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য চিকিৎসকদের নিষেধ করা হয়েছে। তাই আর্টিকেলের এই অংশে আমরা কিছু ঘরোয়া পরীক্ষায় কিভাবে আপনার গর্বের সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করবে তার কিছু উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানাবো। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

উঁচু পেট

প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী অনেকেই মনে করেন গর্ভাবস্থায় যদি গর্ভবতী নারীর পেট উঁচু থাকে তাহলে মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এ সকল বিষয়ের বৈজ্ঞানিকভাবে কোন প্রমাণ নেই। অনেকের ক্ষেত্রে এটা ঠিক হয় আবার অনেকের ক্ষেত্রে এটা ভুল হয়। উঁচু হওয়ার বিভিন্ন কারণ হতে পারে।

যে সকল নারী প্রথমবার মা হতে যাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে পেট বেঁচে উঠতে পারে এছাড়াও নারী চোরের আকৃতি পেটের পিসি ও গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি থাকার কারণে ও অনেকের ক্ষেত্রে পেট উঁচু দেখতে পাওয়া যায়। কয়েকবার গর্ভবতী হলেও পেটের পেজের নমনীয়তার কারণে খুব অল্পতেই পেট উঁচু হয়ে থাকতে পারে। এতে বাচ্চার লিঙ্গর নির্ধারণের কোন নিশ্চয়তা থাকে না। এটা প্রচলিত ধারণায় ঘরোয়া পরীক্ষায় শুধুমাত্র আন্দাজের উপর বাচ্চার লিঙ্গ নির্ধারণের একটি কৌশল।

পেটের মাঝখানে ওজন বহন

 ঘরোয়া পরীক্ষাগুলোর মধ্যে আরো একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে যে গর্ভস্থ বাচ্চা পেটের কোথায় স্থান দখল করে আছে। অনেকেই ধারণা করেন যদি গর্ভস্থ বাচ্চা পেটের মাঝ বরাবর অবস্থান করে তাহলে কন্যা সন্তান হতে পারে। এটা অনেকের ক্ষেত্রে ঠিক হয় আবার অনেকের ক্ষেত্রে ভুল হয়। কেননা গর্ভাবস্থায় ওজন বাড়ার বা পেটের মাঝখানে ওজন বহন করার বিভিন্ন কারণ হতে পারে যেমন নারীর শারীরিক আকৃতি ওজন বৃদ্ধি অথবা বিভিন্ন হরমোনাল কারণেও।

গর্ভস্থ বাচ্চার দ্রুত হৃতিস্পন্দন হার

অনেকেই অধীর আগ্রহে চিকিৎসকের কাছে গর্ভস্থ শিশুর হৃতিস্পন্দন এর হার জানতে চান। তাদের হয়তো ধারণা কিংবা প্রচলিত ঘরোয়া পরীক্ষায় তারা হয়তো শুনেছে গর্ভস্থ শিশুর হৃতিস্পন্দন এর  হার দিয়েও শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়। অনেকে মনে করেন গর্ভস্থ শিশুর হৃতিস্পন্দন এর হার যদি ১৪০ বেশি হয়ে থাকে তাহলে মেয়ে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এটা ভুল ধারণা।


মেয়ে শিশুর হৃতিস্পন্দন এর  হার ছেলে সন্তান তুলনায় তুলনামূলকভাবে কিন্তু আপনি গর্ভের সন্তানের হৃদস্পন্দনের হার দিয়ে যে তার লিঙ্গ নির্ধারণ করবেন এমন টা সব ক্ষেত্রে সঠিক হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভাবস্থার ৫ম সপ্তাহ পর্যন্ত ভ্রূণের হৃতিস্পন্দন মায়ের মতই থাকে সাধারণত প্রতি মিনিটে ৮০ থেকে ৮৫ বার এবং ৯ তম সপ্তাহে তা বেড়ে প্রতি মিনিটে ১৭০ থেকে ২০০ হয়। এবং শিশুর জন্মের পর থেকে তা গড়ে কমে ১২০ থেকে ১৬০ হয়।

খাবারের প্রতি আগ্রহ দেখে

প্রচলিত ধারণা ও ঘরোয়া পরীক্ষায় আরো একটি ধারণা রয়েছে গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী নারীর যদি মিষ্টি খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ে সেক্ষেত্রে গর্ভের সন্তান কন্যা অন্যদিকে যদি গর্ভাবস্থায় নোনতা কিংবা লবণাক্ত খাবার খাবার খাওয়ার ইচ্ছা বেশি হয় সে ক্ষেত্রে গর্বের সন্তান ছেলে।

ব্রণ ও তৈলাক্ততা

অনেকের ধারণা গর্ভাবস্থায় যদি গর্ভবতী নারীর মুখে ও ত্বকে ব্রণ এবং তৈলাক্ত ভাব বেড়ে যায় তাহলে গর্বের সন্তান মেয়ে অন্যদিকে যদি গর্ভের সন্তান যদি ছেলে হয় তাহলে গর্ব অবস্থায় মায়ের আরো সুন্দর উজ্জ্বল হয় এটা শুধু একটা প্রচলিত ধারণা ও কিছু ঘরোয়া পরীক্ষায় দরখাস্ত সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ এর প্রক্রিয়া এগুলোর কোন বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ নেই। সাধারণত গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে এ সকল লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।

সকালবেলা বেশি অসুস্থ থাকা

গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণের আরো একটি ঘরোয়া পরীক্ষা হল যদি গর্ভবতী নারী সকালবেলা অত্যাধিক পরিমাণ অসুস্থ বা বমি বমি ভাব হয় সেক্ষেত্রে গর্ভস্থ সন্তান কন্যা হতে পারে। এটি একটি প্রচলিত ধারণা মাত্র। গর্ভাবস্থার প্রথম চার মাস এই লক্ষণগুলো সাধারণ একটি ব্যাপার। বিভিন্ন হরমোনাল পরিবর্তন ও রক্তে শতকরা পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে সাধারণত এ সকল সমস্যা গুলো সকাল বেলা দেখা যায়।

সকালবেলা অতিরিক্ত অসুস্থ বমি বমি ভাব হওয়া যে আপনার কন্যা সন্তান জন্মের কারণ এটার কোন বাস্তবসম্মত প্রমাণ নেই। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এটা সঠিক হতে পারে আবার অনেকের ক্ষেত্রে এটা ভুল হতে পারে তা শুধু আন্দাজের উপর একটা ঘরোয়া পরীক্ষা মাত্র।

দ্রুত মানসিক পরিবর্তন

গর্ভাবস্থায় যদি গর্ভবতী নারীর হঠাৎ মানসিকভাবে পরিবর্তন আসে কিংবা অল্পতেই রেগে যাওয়া কান্না করা এর মত লক্ষণ গুলো দেখা যায় সেক্ষেত্রে অনেকে ধারণা করেন যে মেয়ে সন্তান হতে পারে। কিন্তু তার বাস্তবসম্মত কোন প্রমাণ নেই। গর্ভাবস্থায় সাধারণত ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের উৎপন্নের কারণে গর্ভবতী নারী দ্রুত মানসিক পরিবর্তন হতে পারে কেননা এ দুটি হরমোন আমাদের মানসিকতাকে প্রভাবিত করে এবং দ্রুত মেজাজ বা মন পরিবর্তন করতে পারে।


পেটের অবস্থান দেখে

ঘরোয়া পরীক্ষায় গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণের আর একটি উপায় হচ্ছে পেটের অবস্থান দেখে। অনেকেই মনে করেন যদি গর্ভাবস্থায় পেট কম ভারী ভারী অনভূত হয় সেক্ষেত্রে ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং শিশুটি যদি পেটের ডান দিকে থাকে তাহলে মেয়ে হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে সাধারণত ছেলে সন্তানরা পেটে বামদিকে বা সমস্ত পেট জুড়ে থেকে থাকে।

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায়

সাধারণত আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট করা হয় সন্তানের অবস্থা, শারীরিক গঠন ও লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য। গর্ভস্থ সন্তানের শারীরিক ও মানসিক সকল ধরনের খেয়াল রাখার ক্ষেত্রে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণত আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট করার পর ডাক্তার গর্বের সন্তানের সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আমাদের বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু আমাদের মনে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট নিজে বোঝার কৌতুহল জাগে।

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে বুঝতে পারেনা শিশুর শারীরিক অবস্থান বা লিঙ্গ কি হতে পারে। আপনারা যদি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে নিজে নিজে ই সন্তানের লিঙ্গ ও শারীরিক গঠন কেমন আছে বা আপনার গর্ভস্থ সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে তা বুঝার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিজের নিয়মগুলো অনুসরণ করুন।

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার জন্য অবশ্যই আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্টে আশা থেকে বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে যেগুলো নিচে ক্রমানুসারে দেওয়া হল।

Fetal Number: সাধারণত গর্ভের ভুনের সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই নাম্বারটি প্রদান করা হয়। আপনার গর্ভে একটি সন্তান আছে নাকি দুটি অথবা জমজ সন্তান আছে কিনা তা এই Fetal Number  দিয়ে আপনি জানতে পারবেন।

Fetal position: আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট এর মধ্যে থাকা এই অংশটি নির্ধারণ করে আপনার গর্ভস্থ সন্তান এর অবস্থান কোথায়। 

Fetal Heart rate: আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে যদি এই FHR অংশটি থাকে তাহলে বুঝে নেবেন তা আপনার সন্তানের প্রতি মিনিটে হার্টবিট নির্দেশ করছে।

Amniotic Fluid Index: Amniotic Fluid Index দ্বারা গর্ভস্থ সন্তান যে তরলে ভাসমান থাকে তার মাত্রা কতটুকু সেটি নির্দেশ করে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে এ তরলের স্বাভাবিক মাত্রা ৫ সেন্টিমিটার থেকে ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। 

Placenta: সাধারণত গর্ভস্থ শিশু মায়ের সাথে নাভির মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে। নাভির মাধ্যমে গর্ভস্থ শিশুর শরীরে প্রয়োজনে পরিমাণ অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ হয়ে থাকে এছাড়াও শিশু শরীর থেকে সকল বর্জ্য পদার্থ বের করতেও নাভির সাহায্য প্রয়োজন। সাধারণত এই অংশটি জরায়ুতে বৃদ্ধি পেতে থাকে। যা পরবর্তীতে শিশুর নাভিতে পরিবর্তিত হয়।

Fetal Anatomic Survey: আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের এই অংশটি দ্বারা আপনার ব্রুনের কিংবা গর্ভস্থ সন্তানের হার্ট, কিডনি, পাকস্থলী, স্পাইন ইত্যাদি সঠিকভাবে বেড়ে উঠছে কিনা কিংবা সঠিকভাবে তৈরি হচ্ছে কিনা তা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ধারণা দেই।

Gestational age (GA): আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের এই অংশটি দ্বারা সাধারণত গর্ভধারণের সময় বা ভ্রুনের বয়স কত দিন সেটা নির্দেশ করে থাকে। এটি সাধারণত শেষ মাসিকের প্রথম থেকে গণনা শুরু করে। 

Bipariental Diameter(BPD): আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের এই অংশটি দ্বারা সাধারণত করব সন্তান বা ব্রণের মোট ব্যাস নির্ধারণ করা হয় বা নির্দেশ করা হয়।

Head Circumference(HC): Head Circumference নির্দেশ করে গর্ভস্থ সন্তানের মাথার পরিধি কতটুকু হয়েছে।

Abdominal Circumference(AC): আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের এই অংশটুকু গর্ভস্থ সন্তানের পেটের পরিধি কতটুকু হয়েছে তার নির্দেশনা প্রদান করে।

Formur Length(FL): সবশেষে এই অংশটি দ্বারা গর্ভস্থ সন্তানের বর্তমান অবস্থায় মোট দৈর্ঘ্য জানতে পারা যায়।

গর্ভস্থ সন্তানের সকল আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে এই অংশগুলো উল্লেখ থাকে তবে ক্ষেত্রবিশেষে এবং চিকিৎসার ধরন ও হাসপাতাল অনুযায়ী এই অংশগুলোতে অতিরিক্ত কিছু যুক্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই অভিজ্ঞ কোন ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারকে দেখিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায়

গর্ভধারণের একটি নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পর সকল গর্ভবতী মা ও পরিবারের সদস্যদের আগ্রহ বৃদ্ধি পায় গর্ভে সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে তা জানার উপর। সাধারণত আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট এর মাধ্যমে সঠিক ও নিশ্চিতভাবে জানতে পারা যায় গর্ভস্থ সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে। গর্ভস্থ সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে বোঝার উপায় গুলো জানতে নিচের পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করতে পারেন।

রক্তচাপ

২০০৯ সালে চীনের লুইলাং শহরে গত সাত বছর ধরে প্রায় ৩ হাজার ৭৫ জন গর্ভবতী নারীর উপর আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট এর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, টাইগ্লিসারাইড ও গ্লুকোজের মূল্যায়ন করার পর ১৬৯২ জন নারীর মধ্যে ৭৪৯ জন মহিলার ছেলে সন্তান এবং ৬২৭ জন মহিলার মেয়ে সন্তান হয়। তারা গবেষণা করে দেখতে পান যে যদি গর্ভাবস্থায় মায়ের রক্তচাপ ১৪০ প্রতি মিনিট এর কম হয় সেক্ষেত্রে কন্যা সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বা মেয়ের সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং যদি এর চেয়ে বেশি রক্তচাপ হয় তাহলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভ্রুনের হার্টবিট

মায়ের রক্তচাপ নির্ণয়ের পাশাপাশি তারা গর্ভস্থ সন্তান অর্থাৎ ভ্রুনের হার্টবিট পরীক্ষা করার মাধ্যমে গর্ভস্থ সন্তান ছেলে না মেয়ে তা নিশ্চিত করার উপায় জানিয়েছেন। সাধারণত ভ্রুনের হার্টবিট যদি 140 BMP এর চেয়ে কম হয় তাহলে কন্যাসন্তান হতে পারে এবং এর চেয়ে বেশি হলে ছেলে সন্তান হতে পারে।

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট এর চিহ্ন

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে তা নির্ধারণ করার জন্য ছেলে ও মেয়েদের সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। নিচে আল্ট্রাসনোগ্রাম এর রিপোর্টের ছেলে ও মেয়েদের সাংকেতিক চিহ্ন দেওয়া হলো।

ছবি

জিনগত বৈশিষ্ট্য

অনেক সময় আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে ক্রোমোজোম বা জিনের চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট XX ও Xy আকারেও বাচ্চার লিঙ্গ নির্ধারণের সংকেত প্রদান করা হয়। যদি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট XX সংকেত থাকে তাহলে সেটি মেয়ে হওয়ার সংকেত এবং যদি Xy থাকে তাহলে গর্ভস্থ ভ্রূণ ছেলে সন্তান এর ক্রোমোজোম বহন করছে।

প্রেগনেন্সি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট

আল্ট্রাসনোগ্রাম হচ্ছে বিশেষ এক ধরনের ইমেজিং বা ছবি দেখার পরিক্ষা যার মাধ্যমে শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে শরীরের ভেতরের অংশের ছবি দেখার চেষ্টা করা হয়। বিশেষ করে প্রেগনেন্সি অবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম বেশি করা হয় গর্বের সন্তানের আস্ত পরীক্ষা করার জন্য এবং লিঙ্গ নির্ধারণের ক্ষেত্রে।

প্রথম আল্ট্রাসনোগ্রাম

সাধারণত গর্ভাবস্থায় ডাক্তাররা ১০ থেকে ১৪ সপ্তাহে প্রথম আল্ট্রাস্নো গ্রাম পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভাবস্থার ১৪ থেকে ১০ সপ্তাহে আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করা হলে সঠিক ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তবে গর্ভধারণের পর আগেভাগে আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করার ফলে সঠিক ফলাফল নাও আসতে পারে।

গর্ভাবস্থায় প্রথম আল্ট্রাসনোগ্রামে যে সকল তথ্য উঠে আসে তার মধ্যে ভ্রুন জরায়ুতে সঠিকভাবে অবস্থান করছে কিনা। ভ্রুন যদি জরায়ুর বাইরে গেঁথে যাই তাহলে তাকে এক্টোপিক প্রেগনেন্সি বলা হয়। এক্ষেত্রে শিশুর বাচার সম্ভাবনা থাকে না। জ্যোতি সঠিক সময় চিকিৎসা না হয় তাহলে গর্ভবতী মায়ের জীবনের হুমকি থাকতে পারে।

প্রথম আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে আরো যে সকল উঠে আসে তাহলে
  1. ভ্রুনের বা গর্ভস্থ সন্তানের বয়স কত
  2. প্রস্রাবের জন্য সম্ভাব্য তারিখ
  3. গর্ভে কয়টি ভ্রুন অবস্থান করছে
  4. গর্ভাবস্থায় শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি সঠিক হচ্ছে কিনা
  5. এছাড়াও ভ্রুনের অবস্থান নির্ণয় করা যায়
দ্বিতীয় আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট

গর্ভধারণের পর সাধারণত ১৮ থেকে ২২ তম সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয়। একে  অ্যানোমালি স্ক্যান বলা হয়। সাধারণত আল্ট্রাসনোগ্রামের দ্বিতীয় পরীক্ষার পর শিশুর মুখমণ্ডল,হাত-পা, পেট, নারি ভুঁড়ি,হার্ট, কিডনি,হাড়, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্র গুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হয় এগুলো সঠিকভাবে বৃদ্ধি বা শারীরিক গঠনে কোন বাধা সৃষ্টি হচ্ছে কিনা।

দ্বিতীয় আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট আরো যে সকল তথ্য উঠে আসে
  1. গর্ভস্থ সন্তানের কোন জন্মগত ত্রুটি বা অ্য্যানোমালি আছে কিনা
  2. শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা
  3. শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি পর্যায়ক্রমিকভাবে চলছে কিনা
  4. গর্ভস্থ শিশুর আকার ওজন সঠিক হয়েছে কিনা
  5. শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করা
তৃতীয় আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট

বিশেষজ্ঞরা গর্ভাবস্থার ৩৬ থেকে আটত্রিশ তম সপ্তাহে তৃতীয় আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। তৃতীয় আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের মাধ্যমে গর্ভের শিশু ও গর্ভ হলের অবস্থান সঠিক জায়গায় রয়েছে কিনা সেটি নির্ধারণ করা হয় এছাড়াও ডেলিভারির জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়াও আরো যে সকল বিষয়গুলো দেখা হয় তা হচ্ছে
  1. গর্ভফুল বা প্লাসেন্টার অবস্থান সঠিক জায়গায় রয়েছে কিনা
  2. গর্ভস্থ শিশু কোন অবস্থায় রয়েছে
  3. গর্ভস্থ শিশুর চারিদিকে অ্যামনিওটিক তরলের পরিমাণ সঠিক মাত্রায় রয়েছে কিনা।
  4. এছাড়াও গর্ভস্থ শিশুর সঠিকভাবে নড়াচড়া করছে কিনা
গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পদ্ধতি

পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাম

গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বের করার জন্য প্রথমে তলপেটের উপরে প্রোব বসিয়ে ভ্রুনের পেটের ও জরায়ুর সহ ভেতরের অন্যান্য অঙ্গ প্রতঙ্গের ছবি দেখা হয়। পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাম করার এক ঘন্টা আগে অবশ্যই আপনাকে আধা লিটার পানি কিংবা তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। এই পরীক্ষাটি করার জন্য অবশ্যই আপনার যথেষ্ট পরিমাণ প্রস্রাবে চাপ থাকতে হবে যেটি ডাক্তারকে গর্ভের শিশুর তথ্যগুলো সঠিকভাবে নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।

আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য প্রথমে বুক থেকে ডেট পর্যন্ত আল্ট্রা সাউন্ড জেল ব্যবহার করা হয় এরপর প্রোবের সাহায্যে শব্দ তরঙ্গ পাঠিয়ে পেটের বিভিন্ন অংশের ছবি পর্যবেক্ষণ করা হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় তেমন একটা ব্যথা লাগে না কিন্তু ডাক্তার ভালো মতো ছবি স্ক্যান করার জন্য পেটে চাপ দিতে পারে এতে ব্যথা না হলেও কিছুটা অস্বস্তিকর বোধ হয়। সাধারণত আল্ট্রাসনোগ্রাম প্রক্রিয়াটি ১০ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত সময় নিয়ে থাকে সম্পূর্ণ হতে। 

আল্ট্রাসনোগ্রাম এর রিপোর্ট করার সময় প্রবেশে সাহায্যে আপনার পেটের ভেতরে হাই ফ্রিকুয়েন্সি বা আল্ট্রাসনিক শব্দ তরঙ্গ পাঠানো হয় যা উচ্চমাত্রার শব্দ তরঙ্গ যেটা শ্রবণ শক্তির বাইরে। এ সকল শব্দ তরঙ্গগুলো মাংসপেশিতে কিংবা তরলের ভেতর দিয়ে যেতে পারে কিন্তু শক্ত কোন বস্তুতে বাধাগ্রস্ত হলে যেমন হাড় এর ক্ষেত্রে প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসে।

এই ফ্রিকোয়েন্সি বা আল্ট্রাসনিক শব্দ শিশুর শরীরে বাধা পেয়ে প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসবে যা আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন বিভিন্ন প্রসেস এর মাধ্যমে ভিডিও ইমেজিং বা ছবিতে রূপান্তরিত করে। এই ইমেজ বা ভিডিও ডাক্তাররা দেখে শিশুর আকার আকৃতি অবস্থান ও নড়াচড়া সহ শিশু শারীরিক গঠন কেমন রয়েছে এবং লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারে।

যোনিপথের আল্ট্রাসনোগ্রাম

সাধারণত এই পরীক্ষাটি করার জন্য শুরু ও আঙ্গুলের মত একটা প্রয়োগ যোনিপথ দিয়ে কিংবা মাসিকের রাস্তা দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া হয় এবং জরায়ু ও আশপাশের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ছবি তৈরি করা হয়। এতে তেমন ব্যথা না লাগলেও কিছুটা অস্বস্তিকর হতে পারে। এই পদ্ধতিতে আল্ট্রাসনোগ্রাম করাকে ট্রান্স ভ্যাজাইনাল আল্ট্রাসনোগ্রাফি বলা হয়।

এটি সাধারণত গর্ব অবস্থায় শুরুর দিকে কিংবা জরায়ুর মুখের সমস্যা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে পরীক্ষা করা হয়। ভুল জরায়ুর কোথায় অবস্থান করছে শিশুর অবস্থান সঠিক জায়গায় রয়েছে কিনা এ সকল বিষয় ট্রান্স ভ্যাজাইনাল আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে করা পরীক্ষা করা হয়।

বিশেষ দ্রষ্টব্য

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট করার ফলে মা ও শিশুর কোন ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না। এ পদ্ধতিতে কোন রকমের ক্ষতিকর রেডিয়েশন ব্যবহার করা হয় না ‌ সাধারণত উচ্চ মাত্রার শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে গর্ভের শিশু ও পেটের ছবি তৈরি করা হয় যা মা ও শিশু উভয়ের জন্যই সুরক্ষিত তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করা উচিত না।

অনেক সময় শিশুর অবস্থান সঠিক জায়গায় না থাকার কারণে আল্ট্রাস সাউন্ড ব্যবহার করে গর্ভস্থ শিশুর সঠিক বা পরিষ্কার ছবি পাওয়া সম্ভব হয় না যার কারণে আল্ট্রাস্নো গ্রাম রিপোর্ট অনেক সময় ভুল আসতে পারে। যেমন যদি গর্ভধারণের 10 থেকে 14 সপ্তাহ পর আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট করা হয় তাহলে প্রস্রাবের সঠিক সময় পুরোপুরি ভাবে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হয়ে ওঠে না।

আবার গর্ভধারণের 18 থেকে 22 সপ্তাহ পর যদি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট করা হয় তাহলে গর্ভস্থ শিশুর কোন জন্মগত ত্রুটি রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না।

যে সকল কারণে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ভুল আসতে পারে
  1. গর্ভস্থ শিশু যদি সঠিক অবস্থানে না থাকে।
  2. গর্ভস্থ শিশুর চার পাশে অ্যামনিওটিক তরলের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত থাকলে অর্থাৎ বেশি থাকলে।
  3. গর্ভবতী মা যদি অতিরিক্ত ওজন কিংবা পেটে যদি অতিরিক্ত চর্বি থেকে থাকে সেক্ষেত্র।
  4. পেটে যদি কোন অপারেশন এর কাটা দাগ বা সেলাই থাকে।

গর্ভের সন্তান ছেলে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায়

বন্ধুরা ইতোমধ্যে আমরা গর্বের সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার মাধ্যমে তা বর্ণনা করেছি। আপনারা যদি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট থেকে আপনার গর্ভের সন্তান ছেলে কিনা তা জানতে চান তাহলে এই পোষ্টের সূচিপত্রে গিয়ে ৪ নাম্বার লিঙ্কে ক্লিক করলে বুঝতে পারবেন আপনার গর্বের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট পরীক্ষার মাধ্যমে।

Xy ছেলে না মেয়ে

Xy ক্রোমোজোম বা জিন দ্বারা সাধারণত ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা কে বোঝায়। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই জিন YY ও XX দুটোই থাকে কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র XX জিন পাওয়া যায়। গর্ভস্থ সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে সেটা সাধারণত পুরুষের উপর নির্ভর করে। পুরুষের শরীর থেকে যদি YY ক্রোমোজোম গিয়ে নারীর শরীরে ডিম্বকের সাথে নিষিক্ত হয় সে ক্ষেত্রে Xy অর্থাৎ ছেলে সন্তান হয়। আবার যদি পুরুষের শরীর থেকে XX ক্রোমোজোম নারীর ডিম্বকে নিষিদ্ধ হয় সেক্ষেত্রে XX অর্থাৎ মেয়ে সন্তান হয়।

কত সপ্তাহ ছেলে না মেয়ে বোঝা যায়

গর্ভধারণের পর থেকে সকল মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যদের সন্তানের লিঙ্গ জানার জন্য আগ্রহ ও কৌতূহল বৃদ্ধি পায়। এর জন্য অনেকে বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া পরীক্ষা করে থাকে আবার অনেকে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার মাধ্যমে জানার চেষ্টা করে। কিন্তু কত সপ্তাহ ছেলে না মেয়ে বোঝা যাবে তার জন্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

সাধারণ ক্ষেত্রে ডাক্তাররা গর্ভধারণের ২০ থেকে ২২ সপ্তাহ পর আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করার মাধ্যমে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করে থাকেন। এসময়ের আগে কেউ আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট এর মাধ্যমে যদি সন্তানের লিঙ্গ জানতে চাই সেক্ষেত্রে সঠিক ফলাফল নাও আসতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

এই পোস্টটি যদি আপনার কোন উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার বন্ধুদের জানার সুযোগ করে দেবেন। এই পোস্টটি সম্পর্কে যদি আপনার কোন মতামত বা মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই মন্তব্য করুন বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারেন। সকলে ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪