গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে কিভাবে বুঝবেন লক্ষণ সমূহ
গর্ভের সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে এই চিন্তা সকল মা বাবার মধ্যে কাজ করে। তারা গর্বের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে তার লক্ষণসমূহ বোঝার জন্য বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল কিংবা ভিডিও দেখে থাকে কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পাই না। আজকের এ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি কিছু লক্ষণ সমূহ খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন আপনার ছেলে সন্তান হবে নাকি মেয়ে সন্তান হবে।
এছাড়াও আপনি আরো বুঝতে পারবেন ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে এবং ছেলে সন্তান কত সপ্তাহে বা কত মাসে হয়। এছাড়াও জানতে পারবেন নাভি দেখে গর্বের সন্তান বুঝার উপায় এবং গর্ভাবস্থায় কত মাসে পেট বড় হতে থাকে। আপনিও যদি গর্ভাবস্থায় আপনার ছেলে সন্তান হবে নাকি মেয়ে সন্তান হবে সে বিষয়গুলো এবং গর্ভাবস্থায় আরও কিছু বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই এ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।
পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে কিভাবে বুঝবেন লক্ষণ সমূহ
ভূমিকা
যখন কোন মেয়ে গর্ভবতী হয় তখন গর্ভবতী মা ও বাবার মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে। গর্ভের সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে তারা এ বিষয়ে গুলো চিন্তা করে থাকেন।এছাড়াও বিভিন্ন লক্ষণসমূহ দেখে সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে এগুলো বোঝার চেষ্টা করেন। অনেকে আবার নাভি দেখে সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে সেটাও বুঝার চেষ্টা করেন।
গর্ভাবস্থা প্রত্যেক নারীর জন্য একটি নতুন অনুভূতি ও আনন্দ নিয়ে আসে। এছাড়াও কৌতূহল কাজ করে ছেলে সন্তান হবে নাকি মেয়ে সন্তান হবে। তাহলে আপনি সঠিক আর্টিকেলটিতে রয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে এ সকল প্রশ্নের এবং আপনার সকল চিন্তার সঠিক উত্তর পাবেন আশা করি।
ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ
১/আপনার গর্বের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে তা জানার জন্য যে সকল লক্ষণসমূহ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মর্নিং সিকনেস। আপনার গর্ভের সন্তান যদি ছেলে হয় সে ক্ষেত্রে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আপনার অলসতা কম লাগবে এবং যদি কন্যা সন্তান হয় সে ক্ষেত্রে বেশি অলসতা অনুভব করবেন।
২/গর্ভাবস্থায় আপনি আপনার চুল এর লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন আপনি গর্ভে ছেলে সন্তান রয়েছে নাকি মেয়ে সন্তান রয়েছে। গর্ভাবস্থায় আপনার চুল যদি খুব পাতলা রুক্ষ শুষ্ক ও উজ্জ্বলতাহীন হয় তাহলে আপনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন। এবং গর্ভাবস্থায় আপনার চুলের উজ্জ্বলতা যদি আরও বৃদ্ধি পায় তাহলে এই লক্ষণ দেখলে বুঝতে পারবেন আপনি পুত্র সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় যদি পেটে চাপ লাগে তাহলে কি হয়
৩/গর্ভাবস্থায় আপনি যখন ঘুমান তখন যদি আপনি নিজের অজান্তেই বেশিরভাগ সময় বাঁদিকে কাত হয়ে শুয়ে থাকেন তাহলে বুঝতে হবে আপনি ছেলে সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন। এবং আপনি যদি ডানদিকে কাত হয়ে শুয়ে থাকেন তাহলে আপনার কন্যা সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৪/গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী নারীর খাবার লক্ষণ সমূহ দেখলেও বোঝা যায় তিনি ছেলে সন্তান জন্ম দিবেন নাকি মেয়ে সন্তান। যেমন ধরেন গর্ভাবস্থায় সকল নারীর ক্ষেত্রে কিছু খাবারের আগ্রহ বেশি বাড়ে। সে ক্ষেত্রে আপনার যদি মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়ে তাহলে আপনার একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান আস্তে চলেছে আর যদি নোনতা খাবারের প্রতি আপনার আগ্রহ বাড়ে তাহলে আপনি একটি পুত্র সন্তান জন্ম দিতে চলেছেন।
৫/গর্ভাবস্থায় ইউরিন এর রং এর পরিবর্তন দেখেও বোঝা যায় কন্যা সন্তান হবে নাকি ছেলে সন্তান হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার ইউরোনের রং পালটে সাদা ঘোলাটে হওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনি একটি কন্যা সন্তানের মা হতে চলেছেন।
৬/গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের স্তনের আকার দেখেও বোঝা যায় তিনি কন্যা সন্তানে জন্ম দিবেন নাকি ছেলে সন্তানের। গর্ভাবস্থায় আপনার বাম দিকের স্তনে তুলনায় যদি ডান দিকের স্তন ছোট ভাই অর্থাৎ বামদিকের স্তনটি যদি তুলনামূলকভাবে বড় হয় তাহলে আপনার ঘরে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান আসতে চলেছে।
৭/গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী নারীর পেটের আকার দেখেও এবং তলপেটের ব্যথা দেখেও বোঝা যায় তিনি ছেলে সন্তানের জন্ম দেবেন নাকি মেয়ে সন্তানের। গর্ভবতী নারী যদি তলপেটের সামনের দিক বেশি ভারী হয়ে থাকে তাহলে তার পুত্র সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি এবং যদি তলপেটের মাঝামাঝি বরাবর বেশি ভারী অনুভূত হয় সেক্ষেত্রে কন্যা সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
৮/গর্ভাবস্থায় সন্তান কন্যা নাকি ছেলে তা বোঝার আরও একটি লক্ষণ হচ্ছে একটি গ্লাসে কিছুটা পরিমাণ বেকিং সোডা এবং পানি মিশে সেটা ভালোভাবে নাড়ুন এরপর তাতে আপনার কিছুটা পরিমাণ ইউরিন মেশান যদি ইউরিন বেকিং সোডার পানির সাথে বিক্রিয়া করে ফেনা উঠে বা ফিজি শব্দ হয় তাহলে আপনার পুত্র সন্তান হতে চলেছে আর যদি কোনরকম বিক্রিয়া না করে তাহলে কন্যা সন্তান হতে পারে।
৯/সাইকোলজিস্ট এর মত অনুসারে গর্ভাবস্থায় আপনি যদি খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং শৃঙ্খলভাবে চলাফেরা করার অনুভূতি হয় তাহলে আপনার গর্বের সন্তান কন্যা আর যদি ক্লামজি মোড থাকে তাহলে আপনি পুত্র সন্তানের মা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১০/গর্ভাবস্থায় ছেলে সন্তান হওয়ার আরো একটি লক্ষণ হচ্ছে যদি গর্ব অবস্থায় আপনার মুখ ও ত্বকে কোনরকম ব্রণ বা রেশ না থাকে তাহলে আপনি ছেলে সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন। এবং আপনার মুখে যদি বিভিন্ন ধরনের রেশ ও ব্রণ বের হয় তাহলে আপনার কন্যা সন্তান আসতে চলেছে। এগুলো গর্ভাবস্থায় সরিয়ে বিভিন্ন ধরনের হরমোনাল পরিবর্তন এর কারণে হয়ে থাকে যার লক্ষণসমূহ দেখে অনুমান করা যায় ছেলে সন্তান হবে নাকি মেয়ে সন্তান হবে।
১১/গর্ভাবস্থায় যদি আপনার পেট ওপর দিকে কিছুটা উঁচু হয়ে থাকে তাহলে আপনার কন্যা সন্তান হওয়া সম্ভব না রয়েছে এবং যদি নিচের দিকে অর্থাৎ তল পেটের দিকে বেশি উঁচু হয়ে থাকে তাহলে পুত্র সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১২/অনেকেই মনে করেন গর্ভের সন্তানের হৃতি স্পন্দন যদি ১৪০ বিট প্রতি মিনিটে বেশি হয় তাহলে তা ছেলে সন্তান এবং যদি ১৪০ বিট প্রতি মিনিটের কম হয় তাহলে মেয়ে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৩/গর্ভাবস্থায় মেয়ে সন্তান হওয়ার আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে এ সময় আপনার কথায় কথায় রাগ আসবে কান্না পাবে এবং ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ হচ্ছে আপনি হাসিখুশি ও এর বিপরীত অবস্থা প্রকাশ করবেন।
১৪/বয়স্করা মনে করেন গর্ভাবস্থায় যদি কন্যা সন্তান গর্ভধারিত হয় তাহলে প্রচুর পরিমাণ হরমোনের ক্ষরণ হয়। যার কারণে গর্ভবতী নারী সকালের দিকে বমির প্রবণতা সবচেয়ে বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনার যদি গর্ভাবস্থায় সকালের দিকের বমি করার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায় তাহলে আপনার গর্বের সন্তান কন্যা।
১৫/সাধারণত ছেলে সন্তানেরা বেশি নড়াচড়া করে এবং মেয়ে সন্তানেরা কম নড়াচড়া করে।গর্ভাবস্থায় সাধারণত শিশু যদি ১৬ থেকে ২০ সপ্তাহের মধ্যে নড়াচড়া শুরু করে। আপনার গর্বের সন্তান যদি এই সময়ের আগে থেকে নড়াচড়া শুরু করে এবং প্রচুর পরিমাণ নড়াচড়া করে সেক্ষেত্রে আপনার গর্ভে ছেলে সন্তান পালিত হচ্ছে এবং আপনার গর্ভের সন্তান যদি ১৬ কে ২০ সপ্তাহের পর নড়াচড়া শুরু করে তাহলে সেটি একটি কন্যা সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গর্ভাবস্থায় ছেলে সন্তান হবে না মেয়ে সন্তান হবে তার বিজ্ঞানসম্মত লক্ষণসমূহ
আল্ট্রা সাউন্ড
বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে গর্ব অবস্থায় ২০ থেকে ২২ সপ্তাহের পর আল্ট্রাসাউন্ড পদ্ধতির মাধ্যমে খুব সহজেই বৈজ্ঞানিক ও নির্ভরযোগ্য উপায়ে জানা যায় গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে।
রক্ত পরীক্ষা
কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যেসব গর্ভবতী মায়ের রক্তে Y ক্রোমোজোমের মাত্রা বেশি থাকে সে সকল মায়ের ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেই তবে এই পরীক্ষা এখনো ব্যাপকভাবে ব্যবহার শুরু হয়নি।
সতর্কতা
১/মনে রাখবেন বিজ্ঞানসম্মত ও নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা আল্ট্রা সাউন্ড পরীক্ষা ছাড়া সন্তান এর লিঙ্গ নির্ধারণের নিশ্চিত কোন উপায় নেই।
২/উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো সব সময় যে সঠিক হবে তার কোন নিশ্চয়তা নাই।
ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে
সাধারণত গর্ভাবস্থায় সকল মায়েরা জানতে চান তার গর্ভে সন্তান ছেলে নাকি মেয়ের জন্য তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের তথ্য খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। তাদের খোঁজাখুঁজির মধ্যে আরো একটি বিষয় হচ্ছে ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে কিংবা ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গত 20 বছরেও আল্ট্রাসনোগ্রাফি পদ্ধতি এটা উন্নত ও সহজলভ্য ছিল না যার ফলে আগের মানুষ প্রচলিত ধারণার উপর ভিত্তি করে গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করে থাকতো।
তখন মানুষ প্রচলিত কিছু ধারণার উপর ভিত্তি করে গর্ভে সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে সেটা নির্ধারণ করেছে এবং সেখানে গর্বের সন্তান বা ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে এ বিষয় নিয়েও বিভিন্ন ধরনের আলোচনা রয়েছে। প্রচলিত ধারণায় অনেকেই মনে করেন গর্ভাবস্থায় ছেলে সন্তান হলে পেট কিছুটা নিচু হয়ে থাকে যার বিজ্ঞানসম্মত কোন প্রমাণ নেই কিন্তু কিছু বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া গেছে যেখানে বলা হয়েছে দ্বিতীয়বার গর্ব ধারণের সময় পেট স্বাভাবিকভাবে কিছুটা নিচু হয়ে থাকে এবং প্রথমবার সন্তান গর্ভধারণ করলে সেক্ষেত্রে বেশি উঁচু হয়ে থাকে।
সাধারণত ছেলে সন্তান বা ছেলে বাচ্চারা একটু বেশি চঞ্চল হয়ে থাকে এবং তারা বেশি নড়াচড়া করতে করে থাকে সাধারণত প্রচলিত ধারণা অনুসারে গর্ভের সন্তান যদি বাম পাশে চাপ সৃষ্টি করে কিংবা বাম পাশে যদি বেশি নড়াচড়া করে তাহলে গর্বের সন্তান গর্বের সন্তান ছেলে বলে ধারণা করা হতো। সেক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় যদি আপনার বাচ্চা বেশি নড়াচড়া করে কিংবা বাম দিকে বেশি নড়ে সেক্ষেত্রে আপনার গর্বের সন্তান ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।
ছেলে সন্তান কত মাসে হয়-ছেলে সন্তান কত সপ্তাহে হয়
গর্ভাবস্থার সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে সকল গর্ভবতী মায়ের কৌতূহল জাগে। এর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে তার গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে কিংবা ছেলে সন্তান হলে সেটা কোন দিকে নড়াচড়া করবে অথবা অনেকের মনে কেউ কৌতুহল জাগে যে ছেলে সন্তান কত মাসে বা কত সপ্তাহে হয়। আর্টিকেলের এই অংশে আমরা জানবো ছেলে সন্তান হতে কত মাস বা কত সপ্তাহ সময় লাগে।
ছেলে সন্তান কত সপ্তাহে বা কত মাসে হয় তা জানার জন্য ১৯৮১ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় 5 লক্ষ 74 হাজার এরও বেশি অস্ট্রেলিয়ান বাচ্চার জন্মগ্রহণ পরীক্ষা করার পরে ডক্টর বলেন মেয়ে সন্তানের তুলনায় ছেলে সন্তানের অপরিণত অবস্থায় জন্ম হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। সাধারণত ছেলে সন্তানের ক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৪ সপ্তাহ বা ৪.৫-৫.৫ মাসের মধ্যে জন্মগ্রহণ করা সম্ভাবনা ২৭ ভাগ এর বেশি থাকে এছাড়াও ৩০ থেকে ৩৩ সপ্তাহ বা ৭.০-৭.৫ মাসের জন্মগ্রহণ করার ঝুঁকি ২৪ শতাংশ বেশি থাকে এবং ৩৪ থেকে ৩৬ সপ্তাহ বা ৮.০-৮.৫ মাসের সম্ভাবনা শতভাগ বেশি হয়ে থাকে।
একটি শিশুর সাধারণ জন্ম বা যেটা নরমাল ডেলিভারি বলা হয় তা সাধারণত ৩৭ সপ্তাহ বা ৮.৭ মাস পূর্ণ হওয়ার পরে হয় এর আগে যদি কোন শিশু জন্ম গ্রহণ করে তাহলে তাকে অকাল প্রস্রাব বা প্রিম্যাচিউর ডেলিভারি বলা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে ৩৭ থেকে ৪২ সপ্তাহ বা ৮.৭-৯.৮ মাসের মধ্যে নরমাল ডেলিভারি হলে সব ক্ষেত্রে মা ও শিশুর জন্য নিরাপদ হয় না।
৩৯ তম থেকে ৪১ তম সপ্তাহ বা ৯.০-৯.৫ মাসের আগে বা পরে ডেলিভারি হওয়া শিশুদের গর্ভকালীন বা প্রস্রাব জনিত বিভিন্ন ধরনের জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডেলিভারি পরিকল্পনা করার পূর্বে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে করতে হবে।
নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায়
গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সেটা নাভি দেখে বিবেচনা করা একটি কাকতালীয় বিষয়। কারো কারো ক্ষেত্রে বিষয়টি সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে আবার কারো কারো ক্ষেত্রে এ বিষয়টি সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে। কিন্তু প্রচলিত ধারণা অনুসারে কিংবা বয়জেষ্ঠরা নাভির যে সকল লক্ষণগুলো লক্ষ্য করে সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে সেটা বিবেচনা করত সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। নাভির আকার গর্ভাবস্থার কোন সময় থেকে পরিবর্তন হতে শুরু করে।
সাধারণত গর্ভাবস্থার সাত মাস পর থেকে নাভির পরিবর্তন হতে শুরু করে। কিন্তু সব গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে একই সময়ে নাভির পরিবর্তন শুরু হয় না। গর্ভাবস্থায় নাভির পরিবর্তন কারো কারো ক্ষেত্রে আসে আবার কারো কারো ক্ষেত্রে আসে না। গর্ভাবস্থায় নাভির পরিবর্তন এক একজনের ক্ষেত্রে একেক রকম হয়ে থাকে। কারো কারো ক্ষেত্রে গর্ভ অবস্থায় শেষের দিকে বা ৯ মাস পর নাভির পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় গর্ভবতী নারীর নাভি ফুলের মত বাইরে বেরিয়ে এসেছে কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় নাভির তেমন কোন পরিবর্তন হয় না। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে নাভি একদম ভেতরের দিকে ঢুকে যায়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে নাভি দেখে আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার গর্ভের সন্তানটি ছেলে হতে চলেছে নাকি মেয়ে হতে চলেছে। প্রচলিত ধারণা অনুসারে গর্ভাবস্থায় যদি নাভি ফুলের মত বাইরে বেরিয়ে আসে তাহলে তার ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ করে।
আবার যদি গর্ব অবস্থায় আপনার নাভি আগের মতই স্বাভাবিক থাকে কিংবা কিছুটা ভেতর দিকে ঢুকে যায় তাহলে আপনার গর্বের সন্তান মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নাভি থেকে সন্তান বুঝার উপায়গুলো কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই তবে একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে একজন মহিলার প্রথম গর্ভধারণের সময় নাভি ফুলের মতো বাইরে বেরিয়ে আসে এবং তার ছেলে সন্তান হয় কিন্তু দ্বিতীয় বার একই নারীর ক্ষেত্রে গর্ভধারণের সময় নাভি ফুলের মতো বাইরে বেরিয়ে আসলো তার কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
আসলে এসব বিষয়গুলো কোন বাস্তবিক বা বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই তবে কারো কারো ক্ষেত্রে সঠিক হতে পারে কারো কারো ক্ষেত্রে ভুল হতেও পারে এটি একটি প্রচলিত ধারণা মাত্র।
গর্ভাবস্থায় কত মাসে পেট বড় হয়
গর্ভাবস্থায় পেট কত মাস বা কত সপ্তাহ থেকে বড় হয় তার নির্দিষ্ট কোন সময় নাই। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারেও পেটের আকার খুব বেশি বড় হয় না। আবার অনেকের ক্ষেত্রে সেটা প্রথম ট্রাইমেস্টারে দেখা যেতে পারে। তবে কিছু কিছু মায়েদের ক্ষেত্রে পজিটিভ প্রেগনেন্সি টেস্ট পাওয়ার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পেট ফোলা ভাব থাকতে পারে তবে এর কারণ অন্য হতে পারে।
- পেটে গ্যাস থাকার কারণে
- কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে
- যমজ সন্তান হওয়ার ক্ষেত্রে পেট বড় থাকতে পারে
১/প্রথম বার হতে যাওয়া মহিলাদের ক্ষেত্রে সাধারণত ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ বা ৩ থেকে ৩.৫ তিন মাস এর মধ্যে পেট বড় হতে থাকে।
২/তবে দ্বিতীয়বার গর্ভধারণ করা মহিলাদের ক্ষেত্রে পেট বড় হওয়া আরো আগে থেকে শুরু হতে পারে।
৩/বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে ১২ সপ্তাহ কিংবা ৩ মাস পর্যন্ত জরায়ু পিউবিক হাড়ের ভেতরে থাকে যার কারণে তা তেমন একটা বোঝা যায় না। এ সময়ের পর থেকে তা মায়ের পেনিসের বাইরের দিকে বাড়তে শুরু করে।
৪/অনেক ক্ষেত্রে সেটা মায়ের জিনের উপর নির্ভর করে। পরিবারের অন্য সদস্যদের ক্ষেত্রে যদি পেট দেরিতে বড় হয় তাহলে আপনার ক্ষেত্রেও সে রকম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৫/বয়স বেশি মায়েদের ক্ষেত্রে পেট তাড়াতাড়ি বাড়তে শুরু করে আর কম বয়সী মায়েদের দেরিতে বাড়ে কারণ কম বয়সী মায়েদের পেটের বেশি শক্ত ও মজবুত থাকে।
৬/অনেকের ক্ষেত্রে পেট বড় হতে সময় লাগে কেননা অনেকের রেট্রো ভার্টেড জরায়ু থাকে যার যার মানে জরায়ু কিছুটা পিছন দিকে হেলানো থাকতে পারে। জরায় যন্ত্র থেকে বের হয়ে পেটের দিকে বাড়তে থাকে তখন এটা ঠিক হয়ে যায়।
৭/এছাড়াও এ বিষয়ে যদি আপনার কোন সন্দেহ কিংবা সংশয় থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করিয়ে নিয়ে সকল দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পারেন ডাক্তার আপনার আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করে সকল বিষয়ে সম্পর্কে আপনাদের বুঝিয়ে দিবে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি এই পোষ্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আপনার সকল প্রশ্ন এর উত্তর পেয়েছেন। এই পোস্টটি যদি আপনার কোন উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করার মাধ্যমে তাদের এ বিষয়ে জানার সুযোগ করে দেবেন। এই পোস্টটি সম্পর্কে যদি আপনার কোন মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url