OrdinaryITPostAd

ডালিম এর সকল উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক ও পাঠিকা ডালিম এর উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। এমন লোক খুব কমই আছে যারা ডালিমের নাম কখনোই শুনেনি। আমরা প্রায় প্রতিনিয়তই ডালিম খেয়ে থাকি। কিন্তু হয়তো আমরা ডালিম খাওয়ার উপকারিতা কিংবা ডালিমের বিচির উপকারিতা সম্পর্কে অবগত নই । আবার অনেকেই জানেন না খালি পেটে ডালিম খেলে কি হয় কিংবা ডালিমের খোসার কি কি উপকারিতা রয়েছে অথবা এর কোন উপকারীতা বা ক্ষতিকর দিক রয়েছে কিনা।

ছবি

এছাড়াও গর্ভাবস্থায় ডালিম খেলে কোন ক্ষতি হবে কিনা বা উপকারিতা কি কি সেগুলো সম্পর্কে। আপনি যদি এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। এই পোস্টটিতে আমরা ডালিমের সকল উপকারিতা অপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি পোস্টে আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ ডালিম এর সকল উপকারিতা ও অপকারিতা 

ভূমিকা

ডালিম সকল প্রকার রোগীর জন্য খুবই উপকারী এবং জনপ্রিয় একটি ফল। ডালিমকে স্বর্গীয় ফল ও বলা হয় কারণ এর মধ্যে বিভিন্ন জাদুকরি গুণাগুণ রয়েছে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই ফলটি প্রায় সারা বছরের পাওয়া যায় । আমরা প্রায় সারা বছরে এ ফলটি খেয়ে থাকি কিন্তু এর উপকারিতা , এর বিচির উপকারিতা , এর পাতার উপকারিতা, এর খোসার উপকারিতা কিংবা গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা কিংবা এর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে আমাদের হয়তো সঠিকভাবে কোন ধারণা নেই ।

এই পোস্টটিতে আমরা এ সকল বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল ।

ডালিমের সকল পুষ্টিগুণ

ডালিম অনেকগুলো গুণাগুনে ভরপুর এবং এর মধ্যে রয়েছে হাজার রকমের ঔষধি গুণ যা বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম ডালিমের মধ্যে রয়েছে ৮০ভাগ জল , ১.৫ শতাংশ আমিষ ,.২% স্নেহ , ৫ ভাগ আঁশ ,১৪.৬ ভাগ শর্করা ,.৮ ভাগ্য খনিজ , ১১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম , 13 মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম , ১৫ মিলিগ্রাম অক্সালিক অ্যাসিড, ৭১ মিলিগ্রাম ফসফরাস , .৪ মিলিগ্রাম নায়াসিন , ১৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ইত্যাদি রয়েছে । ডাক্তাররা প্রায় বেশিরভাগ রুগীর ক্ষেত্রেই ডালিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে এছাড়াও আয়ুর্বেদ চিকিৎসা বিজ্ঞানে ও ডালিম এর উপকারিতা অনেক ।

ডালিম এর উপকারিতা

এখন আমরা ডালিমের সকল উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানব । এর পরের ধাপে আমরা ডালিমের বিচির , পাতার , খোসার এবং গর্ভাবস্থায় কিংবা খালি পেটে ডালিম খেলে কি কি উপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ যা আমাদের শরীরে ইমিউন সিস্টেম কে শক্তিশালী করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে । নিয়মিত ডালিম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে তা আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করবে ।


হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে

শরীরের সকল মাংসপেশিগুলোতে দ্রুত অক্সিজেন পৌঁছাতে ডালিম খুবই কার্যকরী ফল । ডালিমের রসে হয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এছাড়াও প্রতিদিন ডালিমের রস খেলে তা আমাদের ধমনীর গোত্রে জমে থাকা চর্বি স্তরকে গলিয়ে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে ।

আর্থ্রাইটিস ও ব্যথা থেকে মুক্তি

নিয়মিত ডালিম খেলে তা আমাদের আর্থ্রাইটিস জনিত রোগ থেকে মুক্তি দেয় এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যথার উপশম ঘটাতে সাহায্য করে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে

ডালিম খাওয়ার ফলে যে সকল উপকারিতা পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করা।

হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে

ডালিমের হয়েছে প্রচুর পরিমাণ আইরন ক্যালসিয়াম শর্করা ও আস বা ফাইবার যা আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে রক্ত চলাচলকে আরো দ্রুত করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

বেদানা এমন অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যেগুলো আমাদের ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত বেদানা বা ডালিম খাই তাদের স্কিন ক্যান্সার বা প্রস্টেট ক্যান্সার এর সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।

ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে

ডালিম খাওয়ার যে সকল উপকারিতা হয়েছে তার মধ্যে আরেকটি উপকারিতা হচ্ছে আমাদের দেহ যদি কোন ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রামিত হয় সেক্ষেত্রে ডালিমের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে সেই ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে। এছাড়া এটি ফাঙ্গাস ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শক্তি যোগায়।

সর্দি-কাশি দূর করে

ডালিমের রয়েছে পটাশিয়াম ও ফাইবার যা আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে আরো শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং সকল ধরনের সর্দি কাশি থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে ডালিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আমাশয় নিরাময়ে

আমাশয় নিরাময় ডালিমের খোসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। যে সকল রোগী আমার সহায় রোগে আক্রান্ত তাদেরকে যদি ডালিমের খোঁচা সিদ্ধ করে খাওয়ানো যায় সেক্ষেত্রে আমাশয় নিরাময়ে ভালো ফল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাশয় নিরাময়ের ক্ষেত্রে রোগীকে ডালিমের কাঁচা খোসা কিংবা শুকনো খোঁচা দুটোই সিদ্ধ করে খাওয়ানো যেতে পারে সেক্ষেত্রে ডালিম খাওয়ার পর ডালিমের খোসা ফেলে না দিয়ে শুকিয়ে ঘরে যত্ন করে রেখে দেওয়া ভালো।

গর্ভপাত নিরাময়ে

ডালিম গাছের পাতা মধু কিংবা দুইয়ের সাথে পিছে একসাথে মিশে গর্ভাবস্থায় খাওয়ানো হলে তা গর্ভপাতের আশঙ্কা থেকে দূরে রাখে।

কৃমি দূর করতে

ডালিম গাছের মূল বাসিকর থেকে ছাল নিয়ে সেগুলো গুঁড়ো করে পানির সাথে মিশিয়ে সেবন করলে কৃমি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে ভয়েস ভেদে এক থেকে তিন গ্রাম পর্যন্ত সেবন করা যেতে পারে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

সুস্থ ও সবল থাকার জন্য আমাদের অবশ্যই ডালিম খাওয়া উচিত। ডালিমের এমন অনেক উপকারী গুণ রয়েছে যা আমাদের রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে রক্তচাপ যদি কম বেশি হয় তাহলে তা আমাদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। সুতরাং আমাদের উচিত নিয়মিত ডালিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।


ডায়াবেটিস এর জন্য উপকারী

বিশেষজ্ঞদের মতে ডালিম ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ইনসুলিন হিসেবে কাজ করে। মিষ্টি ফল হলেও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডালিম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে অবশ্যই ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে ডালিম খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

রক্তশূন্যতা দূর করে

ডালিমে প্রচুর পরিমাণ আয়রন রয়েছে যা আমাদের শরীরের রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং যাদের রক্তশূন্যতা রয়েছে তাদের জন্য প্রতিদিন ডালিম খাওয়া অনেক উপকারী।

ক্লান্তি দূর করে

ডালিমে এমন অনেক উপকারী গুণ রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর করে এবং কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করে

ডালিম অনেক ফাইবার সমৃদ্ধ একটি ফল যা আমাদের পাকস্থলী পরিষ্কার রাখতে এবং হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই যাদের বদহজমের সমস্যা দেখা যায় তাদের ক্ষেত্রে ডালিম খাওয়ার অনেক উপকারীতা রয়েছে।

অতিরিক্ত চুল পড়া কমাতে

ডালিমে এমন অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের সকল ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেলের অভাব পূরণ করে এবং চুলকে গোড়া থেকে শক্ত ও মজবুত করতে এবং চুল পড়া প্রতিরোধে দারুন ভূমিকা পালন করে।

বার্ধক্য কমাতে

ডালিমে মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ আমাদের ত্বকের বলিরেখা এবং মুখের সকল ধরনের কালো ছাদ দূর করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং চির তরুণ থাকতে অনেক কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও প্রতিদিন ডালিম খাওয়ার ফলে জন্ডিস বুক ধরফরানি, বুকে ব্যথা, কাশি ,কণ্ঠস্বর পরিষ্কার করতে খুবই উপকারী। ডালিম আমাদের মুখের অরুচি ভাব দূর করতে এবং খিদে বাড়াতে সাহায্য করে এছাড়াও দাঁত ও মুখের সকল ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে ডালিম খুবই উপকারী।

ডালিমের বিচির উপকারিতা

বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা ডালিম খাওয়ার উপকারিতা বা ডালিমের বিচির উপকারিতা গুলোই বিস্তারিতভাবে জানলাম। সাধারণত আমরা ডালিমের বিচি রস করে কিংবা চিবিয়ে খেয়ে থাকে। ডালিমের উপকারিতার ধাপে যে সকল উপকারিতা আমরা জানলাম তা মূলত ডালিমের বিচি খাওয়ার ফলে হয়ে থাকে।

এছাড়াও ডালিমের বিচি খাওয়ার আরো যে সকল উপকারিতা রয়েছে তা আমরা এই ধাপে জানতে পারবো সুতরাং ডালিমের বিচি খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইল।

১/ডালিমের বিচিতে থাকে প্রচুর পরিমাণ হ্যান্ডঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

২/ডালিমের বিচি প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকার কারণে তা আমাদের দাঁতের এবং মুখের সকল ধরনের সমস্যার জন্য উপকারী।

৩/নিয়মিত ডালিমের বিচি খাওয়ার ফলে তা আমাদের রক্ত পরিশুদ্ধ করে এবং সকল ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ গুলো আমাদের শরীর থেকে বাইরে বের করতে সাহায্য করে।

ডালিমের পাতার উপকারিতা

১/চুলের যাবতীয় সমস্যার সমাধান ডালিমের পাতায় পাওয়া যায়। ডালিম পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের চোখকে লম্বা করতে চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং চুল পড়া রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডালিমের বিচির তেল মাথার স্কিনে লাগাতে পারলে কিংবা ডালিমের পাতা চিবিয়ে খেতে পারলে সেটা চুল লম্বা করতে এবং চুল পড়া রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


২/ডালিমের পাতায় রয়েছে পিউনিক অ্যাসিড যেটা আমাদের চুলের ফলিকল কে শক্তিশালী করতে এবং মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন নিশ্চিত করতে করতে পালন করে। এই পিউরিক অ্যাসিড মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল বের করে চমকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং চুল ভাঙ্গা রোধ করে।

৩/ডালিমের পাতায় এমন কিছু কার্যকরী উপাদান ও গুনাগুন রয়েছে যা আমাদের মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে উৎসাহিত করে। আমাদের মাথার ত্বকে রক্ত প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার ফলে চুলের ফলিকল গুলোর স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এবং এটি চুলের স্ট্র্যান্ড গুলিকে শক্তিশালী এবং চুলকে স্বাস্থ্যকর ও মজুদ করে তোলে।

৪/ডালিম পাতার রসে থাকা প্রাকৃতিক প্রোটিন উপাদান গুলো আমাদের আচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং তার ক্রিয়াকর্ম বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা

ডালিম খাওয়া কিংবা ডালিমের বিচি খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। আর্টিকেল এই পর্ব আমরা গর্ব অবস্থায় ডালিম এর বিচি খাওয়ার কি কি উপকারিতা রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করব।

১/ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফলেট,পটাশিয়াম এবং ফাইবার যা গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর জন্য অত্যন্ত জরুরি এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

২/ডালিম এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান গুলো গর্ভাবস্থায় আমাদের শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতির হাতে রক্ষা করে এবং গর্ভবতী মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৩/ডালিমের রয়েছে প্রচুর পরিমান আয়রন যা গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণজনিত সমস্যাগুলো সমাধান করে এবং হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।

৪/ডালিম এর মধ্যে থাকা ফাইবার আমাদের পাকস্থলী তে হজম ক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে এবং গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের মত অসুবিধা গুলো দূর করতে সাহায্য করে।

৫/ডালিমের মধ্যে থাকা ফুলের গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর মেরুদন্ডের বিকাশ এবং হাড় ক্ষয় হওয়ার থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।

৬/গর্ভাবস্থায়ী নিয়মিত ডালিম খাওয়ার ফলে মায়ের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে যা গর্ভাবস্থায় প্রি-ক্লাম্পসিয়া প্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৭/ডালিম এর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন কে মা ও শিশুর হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।

৮/ডালিমের মধ্যে থাকা এন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য গুলো গর্ব অবস্থায় সকল ধরনের প্রদাহ জনিত সমস্যা থেকে দূরে রাখে।

৯/ডালিমের বিচির রস হয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম যা গর্ব অবস্থায় গর্ভবতী মা ও বোনের পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে। যার ফলে গর্ব অবস্থায় ক্রাম বা টান লাগার মত সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি পাওয়া যায়।

১০/যেহেতু ডালিমের রস তরল জাতীয় তাই গর্ভাবস্থায় যাদের পানি শূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থাকে তাদের ক্ষেত্রে ডালিমের রস কার্যকারী ভূমিকা রাখে ।

খালি পেটে ডালিম খাওয়ার সকল উপকারিতা।

ডালিম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে তবে সেগুলো যদি আপনি খালি পেটে খেতে পারেন কিংবা ডালিমের বিচির রস খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে এখন আমরা খালি পেটে ডালিম খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানতে পারবো।

১/আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ডালিম খেতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার শরীর যত বিষাক্ত পদার্থ বা দূষিত পদার্থ রয়েছে সেগুলো দূর করতে সহায়তা করে এবং লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

২/প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ডালিম খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে পারে না এবং ওজন কমতেও সাহায্য করে।

৩/আপনি যদি প্রতিদিন খালি পেটে ডালিম খারাপ ব্যাস গড়ে তুলতে পারেন তাহলে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং হৃদরোগজনিত সকল সমস্যার ঝুঁকি অনেক অংশে কমে যাবে।

৪/সকালবেলা খালি পেটে ডালিম খাওয়ার ফলে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায় এবং কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৫/খালি পেটে ডালিম খাওয়ার ফলে আমাদের রক্ত পরিষ্কার ও বিভিন্ন কোর্সগুলোতে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত প্রবেশ প্রক্রিয়া আরো সক্রিয় করে তোলে।

ডালিমের খোসার উপকারিতা

এতক্ষণ আমরা ডালিমের বিচি এবং ডালিমের পাতার বিভিন্ন উপকারিতা ও গর্ব অবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানলাম এখন আমরা ডালিমের খোসার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানবো।

ত্বকের যত্নে ডালিমের খোসা

ডালিমের খোঁচা কে ভালোভাবে শুকিয়ে সেগুলো গুঁড়ো করে নিন এরপর এতে দই কিংবা গোলাপজল মিশিয়ে ভালোভাবে পিছে সেগুলো আপনার ত্বকে লাগান যা আপনি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং ব্রণ দূর করতে সাহায্য করবে।

এছাড়াও আপনি ডালিমের খোসা গুঁড়ো করে তার সাথে চিনি মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন যা আপনার ত্বকের মৃত কোষগুলোকে দূর করতে এবং পক্ষে মসৃণ ও সুন্দর করতে সাহায্য করবে।

চুলের যত্নে ডালিমের খোসা

আপনার যদি মাথার ত্বকে কিংবা চুলের ত্বকে ইনফেকশন হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ডালিমের খোসা পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে তা দিয়ে আপনার মাথা দিয়ে ফেলুন এটা আপনার স্কাল্প ইনফেকশন এবং খুশকি জাতীয় সকল সমস্যার প্রতিরোধ হবে।

এছাড়া আপনি ডালিমের কথাগুলো করে মেহেদী কিংবা এর সাথে মিশিয়ে মাথার হেয়ার প্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার চুলের বৃদ্ধি এবং চুল পড়া কমাতে দারুন কার্যকরী।

পাকস্থলীর উন্নতিতে ডালিমের খোসা

আপনি যদি প্রতিদিন ডালিমের খোসা গুঁড়ো করে পানি কিংবা দইয়ের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে তা আপনার দায়রা প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

এছাড়াও আপনি যদি ডালিমের খোসা ছাড়িয়ে সেগুলো করে চায়ের সাথে পান করতে পারেন তাহলে তা আপনার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত কর এবং গ্যাস্টিক জাতীয় সকল সমস্যা থেকে দূরে রাখবে।

ওজন কমাতে ডালিমের খোসা

ডালিমের খোসা শুকিয়ে সেগুলো পুরো করে চায়ের সাথে যদি নিয়মিত পান করতে পারেন তা আপনার হজের প্রক্রিয়া উন্নত করার পাশাপাশি আপনার অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করবে।

দাঁতের যত্নে ডালিমের খোসা

আপনার যদি মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয় কিংবা মাড়ি ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি ডালিমের খোসা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে কুলকুচি করলে এ সকল সমস্যার সমাধান হবে।

রক্ত শুদ্ধিকরণে ডালিমের খোসা

ডালিম এর খোসার রয়েছে এমন কিছু কার্যকারী উপাদান যেগুলো আপনি যদি গুঁড়ো করে মধুর সাথে মিশে খেতে পারেন তাহলে তা আপনার রক্ত পরিষ্কার এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

গলা ব্যথা ও কাশি দূর করতে

ডালিমের খোসার মধ্যে থাকে অ্যান্টিব্যাক রিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দীর্ঘস্থায়ী গলা ব্যথা বা কাশি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে আপনাকে ডালিমের খোসার গুরু কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেতে হবে।

বডি ডিটক্স করতে

ডালিমের খোসায় থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ক্ষতিকর পদার্থ জমে থাকলে তা বের করতে এবং কিডনি ও লিভার সুরক্ষিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ডালিমের অপকারিতা

এতক্ষণ আমরা ডালিমের বিচির বা পাতার ও খোসার গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। কিন্তু ডালিমের খাওয়ার ফলে যে সকল ক্ষতি হতে পারে বা যে সকল অপকারিতা রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আমরা এই অংশে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবো। সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

এলার্জিজনিত সমস্যা

কিছু কিছু লোক রয়েছে যাদের ডালিম খাওয়ার পর বিভিন্ন এলার্জিজনিত সমস্যার লক্ষণ দেখা দিতে পারে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডালিম বা ডালিমের বিচির রস খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। লক্ষণ হিসেবে যে গুলো দেখা যায় তা হচ্ছে ত্বকের ফুসকুড়ি,চুলকানি কিংবা শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

রক্তচাপ কমে যেতে পারে

যদি কেউ আগে থেকেই রক্তচাপ কমানোর বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে  তাদের অতিরিক্ত ভাবে ডালিম খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে তা না হলে রক্তচাপ অতিরিক্ত হারে কমে যেতে পারে।

ডায়রিয়া

ডালিমের হয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা আমাদের ডায়রিয়া কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু আপনি যদি তা অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে ফেলেন সেক্ষেত্রের এই ফাইবার আপনার ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে।

ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

এমন কিছু ওষুধ রয়েছে যা ডালিমের বিচির সাথে কিংবা ডালিমের রসের সাথে খাওয়ার ফলে রক্ত অতিরিক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে।

গর্ভাবস্থায় সতর্ক কর থাকা

গর্ভবতী বা স্তন্যদাত্রী মা ও বোনেদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ডালিমের বা ডালিম এর রস খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। 

ওজন বৃদ্ধি করে

ডালিম প্রাকৃতিক চিনির একটি অন্যতম উৎস। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ ডালিম খাওয়ার ফলে তা আমাদের শরীরে সরকারের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি জমা করে ওজন বাড়িয়ে দেয় ।

লেখক এর মন্তব্য

এই পোস্টটি যদি আপনার কোন উপকারে লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করার মাধ্যমে তাদের ডালিম খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করবেন। এই পোস্টটি সম্পর্কে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকেন তাহলে অবশ্যই মন্তব্য করুন বক্সে গিয়ে মন্তব্য করতে পারেন। আপনাদের প্রতিটি মন্তব্য খুব গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪