OrdinaryITPostAd

গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হয় কেন বিস্তারিত জানুন

গর্ভাবস্থায় তলপেট ব্যথা হয় কেন এ সম্পর্কে জানতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল কিংবা ভিডিও দেখে থাকে। কিন্তু সঠিক তথ্য না পেয়ে হতাশ হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার এই হতাশাকে দূর করতে এবং আপনাকে সঠিক তথ্য দিতে আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি লেখা।

ছবি

আপনি যদি গর্ভাবস্থায় থেকে থাকেন এবং আপনার যদি তলপেটে ব্যথা হয় কিংবা তলপেট চিনচিন করে অথবা পেট শক্ত হয়ে যায় বা তলপেট ভারী অনুভুতি হয় এবং গর্ভাবস্থায় পেট কখন বড় হয় এ সকল প্রশ্নের উত্তর ও এ সময় কি কি করণীয় তার বিস্তারিত বর্ণনা নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা। সুতরাং আপনিও যদি এ সকল সমস্যায় সমাধান খুঁজে থাকেন বা এ সকল সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আপনার কাছে অনুরোধ সম্পন্ন আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হয় কেন বিস্তারিত জানুন 

ভূমিকা

গর্ভাবস্থায় প্রত্যেক নারীর জন্য একটি নতুন অনুভূতি ও খুশির সময় নিয়ে আসে। এ সময় গর্ভবতী নারী যেমন প্রচন্ড হাসিখুশি থাকে তেমনি তার মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসা বাসা বাধে। যেমন গর্ভাবস্থায় তলপেট ভারী লাগছে কেন, চিনচিন করছে কেন, পেট শক্ত হয়ে যাচ্ছে কেন কিংবা গর্ভাবস্থায় পেট বড় হয় কখন এসব প্রশ্ন মাথায় ঘুরতে থাকে। এর জন্য আপনারা বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল কিংবা বিভিন্ন ডাক্তারের পরামর্শ আবার অনেকেই অনেক ভিডিও দেখে থাকে কিন্তু সঠিক কোন সিদ্ধান্ত বা উত্তর পায় না।

আজকের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আপনার এ সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর পাবেন আশা করি এবং এ সময় কি কি করনীয় রয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনার কাছে অনুরোধ রইলো।

গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে তলপেট ব্যাথা হয় কেন

গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে বা প্রথম মাসে তলপেট ব্যথা হওয়ার বিভিন্ন কারণ বিশেষজ্ঞরা খুঁজে বের করেছেন। এর মধ্য থেকে প্রথম মাসে তলপেট ব্যথা হওয়ার দুটি কারণ তারা বিশেষভাবে লক্ষ্য করেন। এ দুটি কারণের মধ্যে একটি কারণ তলপেটে ব্যথা হওয়ার জন্য সাধারণ কিন্তু অন্য কারণটি তলপেটে ব্যথা হওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ বা গর্ভপাতের লক্ষণ বলেও তারা প্রকাশ করেন।

বিশেষজ্ঞরা গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যাথা হওয়ার যে কারণ দুটি বিশেষভাবে লক্ষ্য করেন তার প্রথমটি হচ্ছে গর্ভাবস্থার প্রথম মাসের দিকে বাচ্চা বিভিন্ন ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও শারীরিক গঠন বৃদ্ধি পেতে থাকে যার ফলে আপনার জরায়ু বড় হতে বা প্রসারিত হতে শুরু করে। যার ফলে আপনার পেটের বিভিন্ন স্থানগুলোতে জায়গা সংকীর্ণ হতে দেখা যায়।


জরায়ু বড় হওয়ার কারণে তলপেটে অন্য সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য জায়গা কমতে থাকে যার কারণে বিভিন্ন ধরনের ব্যথার অনুভূতি হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় এটি একটি সাধারণ কারণ এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হওয়ার আরো একটি কারণ বিশেষজ্ঞরা লক্ষ্য করেছেন সেটি হচ্ছে গর্ভপাতের ঝুঁকি। গর্ভাবস্থার প্রথম মাসের দিকে যদি আপনার তলপেটে ঘন ঘন ব্যথা হয় তাহলে আপনার গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে তলপেটে ব্যথা যদি ঘন ঘন হয় এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীর এর মধ্যে এমন কিছু ঘাটতি রয়েছে যার কারণে আপনার শরীর সেই গর্ভধারণ এর পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্ষমতা পাচ্ছে না বা সেটি আপনার শরীর নিতে চাইছে না। সেক্ষেত্রে আপনার গর্ভপাতের সম্ভাবনা রয়েছে সে সময় আপনি যদি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েন এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আপনার শরীরে কমতি গুলো খুঁজে বের করতে পারেন তাহলে আপনার গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা কমতে পারে।

গর্ভাবস্থায় তলপেট ভারী লাগে কেন

গর্ভাবস্থায় তলপেট ভারী হতে পারে কিংবা চিনচিন ব্যথা অনুভব হতে পারে এছাড়াও পেট শক্ত হয়ে যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় এ সকল সমস্যাগুলো কেন হয় বা এর কারণ কি কি সেগুলো সম্পর্কে আর্টিকেলের এই অংশে বিস্তারিত ভাবে জানানো হবে।

গর্ভাবস্থায় তলপেট ভারী হওয়া চিনচিন ব্যাথা অনুভব হওয়া কিংবা পেট শক্ত হয়ে যাওয়া এ সকল সমস্যাগুলি কেন হয় সে সম্পর্কে বিশেষজ্ঞগণ যে সকল লক্ষণ খুঁজে বের করেছেন সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা নিচে দেওয়া হল।

১/গর্ভাবস্থায় দিন দিন গর্ভকালীন বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং সাথে সাথে আপনার জরায়ু কিছুটা প্রসারিত হয় যার কারণে তলপেটে হালকা ভারী অনুভব হওয়া কিংবা চিনচিন ভাব হওয়া ও ব্যথা হওয়ার মতন অনুভূতি হতে পারে।

২/স্বাভাবিক অবস্থায় আমাদের শরীরের বিভিন্ন লিগামেন্ট গুলো শিথিল অবস্থায় থাকে কিন্তু গর্ভাবস্থায় জরায়ুর বৃদ্ধির ফলে এ সকল লিগামেন্টে টানটান অনুভব হয় কিংবা ভারী অনুভূত হয়ে থাকে।

৩/বাচ্চার বয়স গর্ভাবস্থায় বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের নড়াচড়া অনুভূতি হয়ে থাকে এছাড়াও বাচ্চার অবস্থান পরিবর্তনের কারণেও তলপেটে ভারি ভারি অনুভব কিংবা চিনচিন ও হালকা ব্যথা থাকতে পারে।


৪/গর্ভাবস্থায় যতদিন যাবে বাচ্চার ওজন তত বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বিভিন্ন পেশি, জয়েন্ট ও শিরার ওপর চাপ অনুভূত হয় যার কারণে তলপেট ভারী কিংবা হালকা ব্যথা ও চিনচিন হতে পারে।

৫/গর্ভকালীন সময়ে progesterone হরমোন এর বৃদ্ধির কারণে এসিডিটি কিংবা গ্যাস জনিত সমস্যা হয়ে থাকে যার কারণে দীর্ঘক্ষণ ধরে পাকস্থলীতে খাবার থাকার ফলে সেখানে গ্যাস জনিত কারণে ভারী অনুভূত হয় কিংবা হালকা ব্যথা অনুভূত হয়।

৬/সাধারণত বাচ্চা জরায়ুতে বৃদ্ধি পায় কিন্তু যদি সেটা জরায়ুতে না হয়ে জরায়ুর বাইরে কিংবা অন্য কোথাও বৃদ্ধি পেতে থাকে সে সময়ও হালকা ব্যাথা অনুভূত হয় এবং এই ব্যথা সাধারণত গর্ব অবস্থায় প্রথম দিকে হয়ে থাকে যার ফলে তলপেটে ব্যথা ভারি অনুভব ও চিনচিন এর মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৭/আপনি যদি Abortion করান এবং সে ক্ষেত্রে বাচ্চা যদি miscarriage হয় সেক্ষেত্রেও তার আগে কিংবা মধ্যকালীন সময়েও তলপেটে ভারী অনুভূত কিংবা হালকা চিনচিন ব্যাথা অনুভূত হতে পারে।

৮/গর্ভাবস্থায় আপনার  গর্ভফুল যদি কিছুটা নিচে বা স্থানচ্যুত হয়ে যায় সে ক্ষেত্রেও ভেতরে ব্লিডিং হওয়ার কারণে তলপেটে ভারী অনুভূত কিংবা চিনচিন ব্যথা অনুভূত হয়।

৯/গর্ভাবস্থায় তলপেটে ভারী অনুভূত হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে একটি হল কোষ্ঠকাঠিন্য। গর্ভাবস্থায় মলত্যাগে কষ্ট ব্যথা অনুভব কিংবা তলপেটে চাপ এ সকল কারণেও পেট ভারী অনুভূত হয়ে থাকতে পারে এবং দীর্ঘক্ষণ থাকার ফলে মল ত্যাগের সময় রক্ত পড়তে পারে।

১০/গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের কারনেও তলপেট ভারী অনুভূত হওয়া বা ব্যথা অনুভূত হতে পারে। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া আটকে থাকা কিংবা ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণেও তলপেটে ভারে অনুভূত বা চিনচিন ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

১১/এছাড়াও তলপেট ভারে অনুপুত হওয়া চিনচিন বা শক্ত হয়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে পিত্তথলিতে পাথর।


১২/এছাড়াও আপনার যদি কিডনিতে পাথর কিংবা অ্যাপেনডিক্স এর সমস্যা থেকে থাকে সেক্ষেত্রেও এ কারণগুলো আপনার তলপেট ভারি হওয়ার ক্ষেত্রে দায়ী হতে পারে।

১৩ এছাড়াও সন্তান প্রসবের ১-১.৫ মাস আগ থেকে ব্র্যাক্সটন সিক্স সংকোচন এর কারণেও পেটে ব্যথা কিংবা পেটে চাপ অনুভূতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রস্রাব যন্ত্রণার ব্যথা এবং ব্র্যাক্সটন সিক্স সংকোচন এর পার্থক্য বের করার উপায় জানতে হবে।

গর্ভাবস্থায় তলপেট চিনচিন ব্যথা

গর্ভাবস্থায় তলপেটে চিনচিন ব্যথা অনুবাদ বা পেট শক্ত হয়ে যাওয়ার সাধারণ কারণগুলি আর্টিকেলের এই অংশে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। আর্টিকেলটির এই অংশ আপনি জানতে পারবেন তলপেটে চিনচিন ব্যাথা অনুভব বা পেট শক্ত হয়ে যাওয়ার কি কি কারণ রয়েছে সেগুলো।

ইমপ্ল্যান্টেশন

গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে বা প্রথম মাসের দিকে যখন মায়ের পেটে ভ্রুণ বড় হতে থাকে এবং ভ্রুন বড় হয়ে যখন তা শিশুর রূপ নিতে থাকে সে অবস্থায়কে ইমপ্ল্যান্টেশন বলে। এ অবস্থায় তলপেটে চিন চিন কিংবা ভারী  অনুভব হতে পারে। এ সময় মাসিকের ব্যথা এর মত দু একদিন ধরে হালকা ব্যথা হতে পারে অথবা চিনচিন করতে পারে বা শক্ত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে যদি আপনার মাসিক না হয়ে থাকে অবশ্যই প্রেগনেন্সি টেস্ট করার মাধ্যমে আপনি গর্ভবতী কিনা সেটা সঠিকভাবে জেনে নেবেন।

ব্র্যাক্সটন সিক্স সংকোচন

গর্ভাবস্থায় ব্র্যাক্সটন সিক্স সংকোচন এর কারণেও তলপেটে হালকা চিনচিন ভাব কিংবা ব্যথা ও শক্ত হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়। এটি সাধারণত জরায়ুর অনিয়মিত সংকোচন বা প্রসারণের কারণে গর্ব অবস্থায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিক সময়ে অনুভূত হয়। এতে চিন্তার কোন বিষয় নাই এটা গর্ববতী নারী ও শিশুর জন্য নিরাপদ।

ক্র্যাম্পিং বা পেট কামড়ানো

গর্ভের শিশু যখন নিজের জায়গা দখল করে এবং জরায়ু প্রসারিত হতে থাকে তখন জরায়ু পেটের অন্যান্য সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে চাপ প্রদান করে যার ফলে পেটে চিন চিন ভাব বা পেট ব্যথার মত অনুভূত হয়। এ সকল ব্যথায় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না অল্প কিছুক্ষণের বিশ্রাম নেওয়ার ফলে ব্যথা সেরে যায়। এছাড়াও জরায়ুর বৃদ্ধির কারণে পরিপাকনালির ওপর চাপ পড়ে পেট ফোলা বা ফাঁপা ভাব হতে পারে যার কারণে পেট শক্ত বা চিনচিন ব্যথা অনুভব হয়।

অর্গাজম বা যৌন উত্তেজনার সময়ে ব্যথা

সহবাসের সময় অর্গাজমের সময় কিংবা তার পরে তলপেটে চিনচিন ব্যথা বা ভারি হয়ে থাকা বা শক্ত হওয়ার মতো অনবুত হওয়াটা অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। এছাড়াও এ সময় কোমর ব্যথা হতে পারে এবং রক্ত প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার ফলে এবং জরায়ু সংকোচন হওয়ার ফলে টানটান অনুভূত হয় বা পেট শক্ত হয়ে যেতে পারে।

গর্ভপাত

গর্ভের শিশু ২৮ সপ্তাহের আগে গর্ভে মৃত্যুবরণ করলে তাকে গর্ভপাত বলা হয়ে থাকে। সময় পেট ব্যথা বা চিন জিন করা সহ যোনিপথে রক্তপাত হতে পারে এবং আরো বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।
যেমন
  1. বমি বমি ভাব হতে পারে
  2. যোনি পথ দিয়ে সাদা স্রাব জাতীয় তরল পদার্থ বের হতে পারে
  3. যোনি পথে কোষগুচ্ছ ও টিস্যু বের হতে পারে
  4. গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো সাধারণত আরো অনুভূত হয় না
  5. হালকা জ্বর জ্বর ভাব থাকতে পারে
  6. দুর্বলতা ও অবসাদগ্রস্ত অনুভূত হয়
প্রি-এক্লাম্পসিয়া

গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে জরায়ু ওপর দিকে উঠে যেতে পারে যার কারণে পাজরের চাপ লেগে ব্যাথা অনুভূত হয় কিন্তু এই ব্যথা যদি একটানা বা অসহ্যকর হয়ে থাকে বিশেষ করে বুকের ডান পাশের পাজরে যদি ব্যথা অনুভব হয় এবং নিচের চারটি লক্ষণ যদি প্রকাশ পায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
  1. অতিরিক্ত মাথাব্যথা
  2. চোখে সবকিছু ঘোলাটে বা ঝাপসা দেখা
  3. হঠাৎ করেই শরীর ফুলে যাওয়া
  4. উপরের সকল লক্ষণ গুলোর পাশাপাশি বমি বমি ভাব হওয়া
অকাল প্রস্রাব

গর্ভের সন্তান যদি নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্মগ্রহণ করে সেক্ষেত্রে তাকে অকাল প্রস্রাব বলা হয়। তাদেরও তো একটি সন্তান জন্মগ্রহণ করতে ৩৭ সপ্তাহ বা তার কিছুটা সময় বেশি লাগে কিন্তু এ সময়ের আগে যদি কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করে তাহলে সেটা অকাল প্রস্রাব বলা হয়। চেয়ে অকাল প্রস্রাবের লক্ষণগুলো দেওয়া হল
  1. পানির মতো অথবা আঠালো কিংবা রক্ত মিশ্রিত স্রাব বের হওয়া
  2. সাবের পরিমাণ দিন দিন অতিরিক্ত হওয়া
  3. যোনি পথ দিয়ে যেকোনো পরিমাণে পানি ভাঙ্গা
  4. তলপেটে চাপ লাগা বা চিনচিন বা ব্যথা অনুভব হওয়া
  5. একটা মৃদু বা চাপা ধরণের পিঠে ব্যাথা অনুভব করা
  6. তলপেটে হালকা ব্যথা এবং ডায়রিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া
  7. গর্ভের শিশুর নড়াচড়া কম হওয়া
প্ল্যাসেন্টা বা গর্ভফুল ছিড়ে যাওয়া

গর্ভধারণের ২০ তম সপ্তাহের পর সাধারণত প্ল্যাসেন্টা বা গর্ভফুল ছিড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ সময় যোনিপথে অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়ার পাশাপাশি পেটে তীব্র ব্যথা বা চিনচিন অনুভব হয়। পেটে চাপ দিলে জরায়ু পাথরের মত মনে হয়। সাধারণত এ সময় গর্বের শিশু সঠিক পরিমাণ অক্সিজেন ও পুষ্টি উপাদান পায় না যার কারণে মা ও শিশু উপায় জীবন হুমকির সম্মুখীন হতে পারে।

ইউরিন বা প্রস্রাবের ইনফেকশন

গর্ভাবস্থায় নারীদের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের ইনফেকশন বা ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ সময় প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ও ব্যথা হওয়ার কারণে তলপেটে চিনচিন ভাব অনুভূত হয় কিংবা পেট ভক্ত হয়ে থাকতে পারে।

প্যানক্রিয়াটাইসিস

এটি সাধারণত পেটের মাঝখানে অথবা দুই পাঁজরের মাঝের অংশে ব্যথা অনুভব হওয়ার পাশাপাশি বমি বমি ভাব, তীব্রজ্বর, বদ হজম,চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া এবং নাড়ির গতি কমে যাওয়া সহ ধীরে ধীরে ব্যাথা তীব্রতর হওয়ার লক্ষণগুলো প্রকাশ করে যার কারণে তলপেটে চিনচিন ব্যথা কিংবা শক্ত হয়ে যাওয়ার মতো অনুভূত হয়।

গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হয় কেন

গর্ভাবস্থার বিভিন্ন ধাপে ধাপে একজন গর্ভবতী নারী বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ অনুভূত হয় এর মধ্যে তলপেট ব্যথা করা, চিনচিন করা, ভারি অনুভব করা এবং শক্ত হয়ে যাওয়ার মতো অনুভূতিগুলো স্বাভাবিক ব্যাপার। গর্ভাবস্থায় শিশুর বা ভ্রুনের বৃদ্ধির সাথে সাথে এ সকল লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেতে থাকে।

গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হওয়া কি

গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হওয়া একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। জরায়ুর বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে পেট শক্ত এবং পেটে টানটান ভাব অনুভূত হয়। জরায়ুর বয়স যত বৃদ্ধি পাবে পেট তত শক্ত হয়ে পাথরের মত হতে থাকবে এবং তা অস্বস্তি বা টানটান ভাব অনুভূত করাবে।

গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে পেট শক্ত হওয়া
  1. জরায়ুর প্রসারণ
  2. গর্ভপাত
  3. গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্য
বন্ধুরা ইতোমধ্যে আমরা এ সকল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি এখন আমরা গর্ব অবস্থায় দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে পেট শক্ত হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে জানব।

গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে পেট শক্ত হওয়া

অবস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সময়ে জরায়ুর প্রসারিত হওয়ার কারণে জরায়ুর চারপাশে বৃত্তাকার লিগামেন্ট গুলো প্রচারিত হবে যার ফলে ব্যথা বা শক্ত হওয়া অনুভূত হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি যদি নিচে ঝোকার চেষ্টা করেন কিংবা নিচ থেকে বসে উপরে ওঠেন তাহলে এর অভিজ্ঞতা আপনি লাভ করবেন। এছাড়াও গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সময়ে জরায়ুর অতিরিক্ত প্রসারণ এর কারণে পেট শক্ত হওয়া সহ বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।

গর্ভাবস্থার শেষ ত্রৈমাসিক সময়ে পেট শক্ত হওয়া

গর্ভাবস্থার এ সময়ে ভ্রুনের বয়স বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে পেটের স্থানগুলি ভ্রুন এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলোর মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায়। এবং পেটের নিচে জমে থাকা ফ্যাট গুলো এটিকে আরো প্রসারিত হতে সাহায্য করে যার ফলে তলপেট শক্ত ও চিনচিন অনুভব হতে পারে। এই ব্যথা বা শক্ত হওয়া যদি দীর্ঘস্থায়িত হয় সে ক্ষেত্রে বা সন্তান প্রসবের সময় ক্ষণস্থায়ী হওয়ার কারণ হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় তলপেট ব্যথার কারণ কি

গর্ভাবস্থায় তলপিট ব্যথার কারণ কিংবা জিনচিন হওয়ার কারণ তলপেট শক্ত হওয়া ও ভারী অনুভব করা কারণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা যে সকল কারণগুলো আছে সেগুলো সম্পর্কে আর্টিকেলের এই অংশে বর্ণনা করা হবে।

পেটের উপর চাপ

গর্ভাবস্থায় সাথে সাথে জরায়ু প্রসারিত হতে থাকে এবং তা পেটে চাপ সৃষ্টি করে যার ফলে পেয়ে প্রসারিত বা শক্ত হয়। গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সময়ের পর বাচ্চারা তার বাড়ার সাথে সাথে অ্যামনিয়োটিক তরল সংক্রিভাবে বৃদ্ধি পায় যার ফলে পেট প্রসারিত হয় এবং পেটে ব্যথা বা শক্ত অনুভব হতে পারে।

শিশুর আন্দোলন

গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে সাথে সাথে শুরু হয় তার লাথি মারা যার ফলে পেট শক্ত হওয়া বা ব্যাথা অনুভব হতে পারে। এটি একটি ভালো লক্ষণ এতে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনার গর্ভের সন্তান সুস্থ রয়েছে।

প্রস্রাবের সময়ের কাছাকাছি

আপনার সন্তান প্রসবের সময় যদি খুব কাছাকাছি চলে আসে সে ক্ষেত্রে আপনার পেটে সংকোচন এর কারণে পেট ব্যাথা কিংবা শক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তবে খেয়াল রাখতে হবে এটি মিথ্যা এলার্ট ও হতে পারে। তাই আপনাকে ব্রাক্সটন হিক্স সংকোচন এবং প্রকৃত প্রস্রাব শ্রমের মধ্যে পার্থক্য করার উপায় জানতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্রাক্সটন হিক্স সংকোচন এর সময় ৩০ সেকেন্ড বা ১ মিনিটের কাছাকাছি হয়ে থাকে। অপরদিকে প্রকৃত প্রসবসময়ের সময় দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং এটি একটানা হতেই থাকে।

অধিক পরিমাণ খাওয়া

গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলাদের খাওয়ার ইচ্ছা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায় যার ফলে তারা অতিরিক্ত পরিমাণ খেয়ে থাকে যেটি পেট শক্ত হওয়া বা টানটান অনুভব হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ করে।

রাউন্ড লিগামেন্ট পেন

পেটের মধ্যে জরায়ু থেকে কুচকি পর্যন্ত দুটো বড় বড় লিগামেন্ট থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে বা গর্ভাবস্থায় দীর্ঘ সাথে সাথে যখন জরায় প্রসারিত হয় তখন তা রাউন্ড লিগামেন্টের কাছাকাছি আসার ফলে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। যার কারণে পেটে শক্ত হওয়া বা ব্যথার অনুভব হয়। গর্ভাবস্থায় উঠা-বসা, হাঁচি কাশি কিংবা হাঁটলে এই ব্যথা অনুভব হতে পারে। গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সময়ে ব্যথা বেশি কষ্টদায়ক হয় তবে তা ক্ষতিকারক নয়।

গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যথা হলে করণীয়

এতক্ষণ আমরা গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যথা কিংবা চিনচিন অনুভব হওয়া, পেট শক্ত হওয়া এবং পেট ভারী লাগার কারণগুলো ব্যাখ্যা করলাম আর্টিকেলের এই অংশে আমরা এসকল সমস্যাগুলোর লক্ষণ দেখা দিলে কি কি করণীয় সে বিষয়ে বিস্তারিত জানব।

১/আপনাকে আপনার সকল খারাপ অভ্যাস বা বদ অভ্যাসগুলো ত্যাগ করতে হবে। পেটে ও পিঠে যাতে চাপ না লাগে বা কম লাগে সেরকম আরামদায়ক জাগায় বসতে কিংবা শুতে ও দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।

২/প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে এবং ফাইবার জাতীয় খাবার সহ সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে এমন সকল খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

৩/অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া হাটাহাটি কিংবা নড়াচড়া করা যাবে না প্রচুর পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে এবং হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করতে হবে।

৪/ডাক্তারের পরামর্শে সন্তান প্রসবের পূর্বে কিছু ব্যায়াম করতে হবে সেক্ষেত্রে আপনি যোগ ব্যায়াম কিংবা হাঁটতেও পারেন যা আপনার পেশাকে টোনড ও নমনীয় রাখতে সাহায্য করবে এবং গর্ব অবস্থায় প্রস্রাবের সময় আপনার প্রসবকালীন ব্যাথা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

৫/আপনার পেটের ব্যাথা কমানোর জন্য আপনি উষ্ণ পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন এটা আপনার পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন গোসলের পানি খুব বেশি গরম না হয়।

৬/ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক আপনি প্রেগনেন্সি সাপোর্ট বিল ব্যবহার করতে পারেন যেটা আপনাকে গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হওয়া থেকে মুক্তি দিতে পারে।

৭/গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যথা কমাতে আপনি বিভিন্ন ব্যাথা নাশক ঔষধ সেবন করতে পারেন তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

৮/গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পেট ব্যথা বা পেট টানটান অনুভব হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং আপনার গর্ভে শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে ম্যাসেজ থেরাপিস্টের দ্বারা বিভিন্ন বডি মেসেজ নিতে পারে।

৯/গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা কিংবা পেটে ব্যথা হলে সে ক্ষেত্রে আপনি গরম পানির বোতল ব্যথার জায়গায় লাগালে সেটা পেট ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

১০/গর্ভাবস্থায় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। এক বাড়ি পেট ভরে না খেয়ে ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে খাবার গ্রহণ করলে সেটা পেটব্যথা নিরাময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

১১/গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ আসতে পারে কিন্তু আপনি যদি সেটা আটকে রাখার চেষ্টা করেন তাহলে আপনার পেটে ব্যথা বা পেট শক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই মুত্রাশয় খালি রাখা প্রয়োজন।

১২/আপনার যদি ব্র্যাক্সটন হিক্স সংকোচন হওয়ার কারণে পেটে ব্যাথা অনুভব হয় সে ক্ষেত্রে আপনি নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারেন। যেমন দাঁড়িয়ে থাকলে শুয়ে পড়তে পারেন কিংবা যদি শুয়ে থাকার কারণে ব্যথা হয় সেক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে যেতে পারেন।

কখন ডাক্তারের কাছে যাওয়া জরুরী

তলপেটে ব্যথা কিংবা পেটে ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি নিচের এই লক্ষণগুলো যদি আপনি দেখতে পান তাহলে আপনার দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
লক্ষণ গুলি হচ্ছে:
  1. হঠাৎ করেই প্রচন্ড পরিমাণ পেট ব্যাথা কিংবা পেট কামড়ানো
  2. যোনিপথে অতিরিক্ত পরিমাণ রক্তপাত হলে
  3. নিয়মিত পেট কামড়ানো বা পেটে টান পড়ার মতো অনুভূতি হলে
  4. অতিরিক্ত পরিমাণ স্রাব খরিত হলে
  5. প্রচন্ড পরিমাণ মাথা ঘুরালে কিংবা অজ্ঞান হলে
  6. প্রি-এক্লাম্পসিয়া এর লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে
  7. অতিরিক্ত ডায়রিয়া কিংবা ডায়রিয়ার সাথে রক্ত বের হলে
  8. কোমর ও পিঠে ব্যথা অনুভূত হলে
  9. প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কিংবা প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হলে
  10. শরীর কাঁপুনি দিয়ে ওঠা বা অতিরিক্ত জ্বর আসলে
  11. অতিরিক্ত পরিমাণে বমি বমি ভাব হলে
  12. অতিরিক্ত পিপাসা পাওয়ার পাশাপাশি প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে কিংবা প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে
এ সকল লক্ষণ গুলো যদি আধা ঘন্টা বা একঘন্টা বিশ্রাম করার পরও পেটে ব্যথা না কমে সেক্ষেত্রে জরুরী ভিত্তিতে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তা না হলে এতে মা ও শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

লেখক এর মন্তব্য

এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনার যদি কোন উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুবান্ধবদের এ সকল বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করবেন। এই পোস্টটি সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে মন্তব্য করুন বক্সে গিয়ে মন্তব্য করতে পারেন। এরকম আরো শিক্ষণীয় ও মজার মজার পোস্টগুলো জানতে এবং পড়তে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। সবাই ভাল থাকবেন।ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪