গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
কি গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের এই পোষ্টটি আপনার জন্য। এই পোস্টটি সে সকল গর্ভবতী মা ও বোনেদের জন্য যারা চান তাদের আগত বাচ্চা সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী হোক। এক কথায় যাকে আমরা ফর্সা বলে থাকি।
পোস্টটিতে আপনি সেই সকল বিষয় সম্পর্কে জানবেন এবং সেসব খাবার সম্পর্কে জানবেন যেগুলো গর্ব অবস্থায় একজন গর্ভবতী মা ও বোনের অবশ্যই খাওয়া উচিত। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কোন কোন খাবার গুলো মা ও শিশুর জন্য আবশ্যক এবং যে খাবারগুলো খেলে বাচ্চার গায়ের রং উজ্জ্বল বা ফর্সা হবে।
পোস্ট সূচীপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
ভূমিকা
সাধারণত গর্ভাবস্থায় মহিলাদের খাবার চাহিদা অনেকটা বেড়ে যায় এবং এ সময় সঠিক খাবার নির্বাচন করতে পারলে মা ও শিশু উভয়ের জন্যই খুবই উপকারী হয়। কেননা গর্ভাবস্থায় আপনি কি খাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে আপনার বাচ্চা কেমন হবে সেটা নির্ভর করে। তাই এ সময় সঠিক খাবার নির্বাচন করা খুবই দরকারি। বিশেষজ্ঞদের মতে খাদ্য নির্বাচনের উপর বাচ্চার রং কি রকম হবে সেটা নির্ভর করে না।
সেটা নির্ভর করে আগত বাচ্চা বাবা-মা এর থেকে কেমন জিন পেয়েছে তার উপর। তবে গ্রাম বাংলার প্রচলিত ভাষায় অভিজ্ঞ লোকজন যেসব খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে সেসব সম্পর্কে এই পোস্টটিতে আমরা বিস্তারিত ভাবে জানানোর চেষ্টা করব। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কি কি খাবার খেলে আপনার বাচ্চা ফর্সা ও উজ্জ্বল রঙের অধিকারী হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
প্রচলিত ধারণা অনুসারে গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার গর্ভবতী মায়ের ও শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বাচ্চার রং ফর্সা হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
দুধ
গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে দুধ খাওয়া অত্যাবশ্যক। দুধ শিশুর শারীরিক গঠন ও মানসিক বিকাশের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এবং প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী দুধ খেলেও বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয়।
ডিম
প্রচলিত ধারণার ভিত্তিতে অনেকেই মনে করেন গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় তিন মাস গর্ভবতী মহিলাদের ডিমের সাদা অংশ খাওয়া উচিত এতে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয় কিন্তু সত্য বিষয় এটাই যে গর্ভাবস্থায় প্রথম থেকেই নিয়মিত গর্ভবতী মহিলাদের ডিম খাওয়া খুবই জরুরী এবং ডিমের অধিকাংশ পুষ্টিগুণ এর কুসুমে থাকে তাই কুসুম বাদ দেওয়া যাবে না।
জাফরান দুধ
অনেকে গর্ভাবস্থায় জাফরান দেওয়া দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী জাপান দেয়া দুধ খেলে নাকি যার গায়ের রং ফর্সা হয় । সেক্ষেত্রে আপনিও জাফরান দেওয়া দুধ খেতে পারেন এতে আপনার বাচ্চার শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী হবে।
চেরি ও বেরি জাতীয় ফল
চেরি ও বেরি ফলে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টঅক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং ত্বকের ক্ষতিসাধন রোধ করতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ স্ট্রবেরি,ব্ল্যাকবেরি ও ব্লুবেরি ইত্যাদি খাওয়া হয় ত্বক সুন্দর ও ফর্সা করার জন্য।
টমেটো
টমেটোর মধ্যে থাকা লাইকোপেন সূর্যের অতিরিক্ত ক্ষতিকর বা আল্ট্রাভায়োলেট রে বিরুদ্ধে কাজ করে তোকে রক্ষা ও সুরক্ষা প্রদান করে তাই অনেক বিশ্বাস করেন গর্ভাবস্থায় টমেটো খেলে আগত বাচ্চার ত্বক ফর্সা হয়।
কমলা
কমলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি যা শিশুর শারীরিক ও মানসিক গঠনের জন্য অপরিহার্য। কমলা খেলে শিশুর ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ থাকে।
নারিকেল
পরিচালিত ধারণা অনুযায়ী অনেকের মনে হয় নারিকেলের সাদা হাঁস বাচ্চার গায়ের বর্ণ ফর্সা করে গর্ভাবস্থায় নারিকেল খাওয়া উচিত তবে পরিমিত অবস্থায় কেননা অতিরিক্ত নারিকেল খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বাদাম
অনেকের ধারণা বাদাম মিশ্রিত দুধ কিংবা কাঁচা বাদাম খেলে বাচ্চার গায়ের রং পরিষ্কার হয়। ও সাদা হয়। তাই অনেকেই গর্ভাবস্থায় শুকনো বা ভেজা আলমন্ড বাদাম খেয়ে থাকেন। তা আপনার এবং আপনার বাচ্চার মানসিক ও শারীরিক গঠন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ঘি
ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক যাদের খাদ্য তালিকায় ঘি এর পরিমাণ বেশি তাদের প্রসব যন্ত্রণা কম হয় এবং প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী যা গর্ভাবস্থায় ঘি খেলে তা ব্রণের বর্ণ উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে সাহায্য করে। তাই আপনি ঘি খেতে পারেন তেলের পরিবর্তে।
মৌরি ভেজানো পানি
গর্ভাবস্থায় আপনি যদি মৌরি ভেজানো পানি খেতে পারেন তাহলে তা বাচ্চার গায়ের রং উজ্জ্বল করতে এবং গর্ভবতী মায়ের বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করবে।
কেশর
প্রাচীনকালে অনেক মানুষ হয়ে ধারণা করতো গর্ভাবস্থায় কেশর খেলে জন্ম নেওয়া শিশুর গায়ের রং উজ্জ্বল ও ফর্সা হয়। তাই গর্ভাবস্থায় আপনি কেশর কিংবা কেশর দেওয়া দুধ খেতে পারে তাতে আপনার বাচ্চা ফর্সা হোক বা না হোক মানসিক বৃদ্ধি ও বিকাশ খুব ভালো হবে।
পেয়ারা
গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি যা চারটি আপেল বা চারটি কমলা খাওয়ার সমান এটি গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ থেকে রক্ষা করে।
কলা
অবস্থায় অবশ্যই কলা খাওয়া উচিত কেননা কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ইলেকট্রোলাইটিসের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং শিশুর মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এছাড়াও হাড় শক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাই গর্ভাবস্থায় অবশ্যই আপনার প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়া উচিত।
আপেল
আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন যা গর্ভাবস্থায় আপনার অ্যানিমিয়া রোগ থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে এবং বাচ্চার ক্ষেত্রে অ্যালার্জি ও অ্যাজমা হওয়ার আশঙ্কা থেকে দূরে রাখবে।
সন্তান ফর্সা হওয়ার জন্য আমল
গর্ভাবস্থায় সন্তান ফর্সা হওয়ার জন্য আমাদের যে আমলগুলো প্রতিদিন করা উচিত সে আমলগুলো সম্পর্কে এই অংশে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আপনি এ আমল গুলো করলে ইনশাল্লাহ আপনার বাচ্চা ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল বর্ণের অধিকারী হবে তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন আমলগুলো আপনার অবশ্যই করা উচিত।
১/পবিত্র কুরআন ও হাদিস অনুসারে আপনি যদি গর্ভাবস্থায় প্রথম একমাস সূরা ইমরান পড়েন তাহলে আপনার সন্তান দামী হবে।
২/গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় মাসে আপনি যদি সূরা ইউসুফ পাঠ করতে পারেন প্রতিদিন তাহলে আপনার সন্তান এর গায়ের রং লাবণ্যময় ও উজ্জ্বল ফর্সা হবে।
৩/গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আপনি যদি তৃতীয় মাসে সূরা মারিয়াম পাঠ করেন তাহলে আপনার সন্তান সহিংসু হবে।
৪/গর্ভাবস্থার চতুর্থ মাস যদি আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর সূরা লোকমান পাঠ করতে পারেন তাহলে ইনশাল্লাহ আপনার সন্তান বুদ্ধিমান হবে।
৫/আপনি যদি গর্ভাবস্থার জুন মাসে সূরা মুহাম্মদ পাঠ করেন তাহলে আপনার সন্তান সৎ চরিত্রের অধিকারী হবে।
৬/ষষ্ঠ মাসে আপনি যদি সূরা ইয়াসিন পাঠ করেন তাহলে আপনার সন্তান জ্ঞানী হবে।
৭/এবং গর্ব অবস্থায় শেষ তিন মাস অর্থাৎ সপ্তম মাস অষ্টম মাস নবম ও দশম মাসে আপনি সূরা ইউসুফ মোহাম্মদ ও ইব্রাহিম পাঠ করতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয়
আমাদের মধ্যে এমন অনেক লোক রয়েছে বা এমন অনেক গর্ভবতী মা রয়েছে যাদের মনে প্রশ্ন জাগছে গর্ব অবস্থায় কি খেলে? বাচ্চার রং কালো হয়। আপনি যে খাবারে খান না কেন সেটা আপনার গর্ভের সন্তানের গায়ে রং নির্ধারণ করতে পারবে না। আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি তা কালই হোক কিংবা ফর্সা হোক সেটা জানার ক্ষমতা কারো থাকে না।
আপনার আগত সন্তানের গায়ের রং কালো হবে কি সাদা হবে সেটা সম্পূর্ণটাই নির্ভর করছে সে সন্তান বাবা-মায়ের কাছ থেকে কি ধরনের জিন পেয়েছে তার ওপর এবং মহান আল্লাহ তাআলা তার জন্য কি রং নির্ধারণ করেছেন সেটার উপর। তবে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী অনেকেই মনে করে থাকেন কিছু কিছু খাবার খাওয়ার ফলে বাচ্চার গায়ের রং কালো হয় আবার কিছু কিছু খাবার খাওয়ার ফলে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয়।
এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। তবে গর্ভাবস্থায় খাবার নির্বাচন মা ও শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এগুলো আপনার শিশু শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ তবে তা তার গায়ের রং নির্ধারণ করতে পারেনা। একটি বাচ্চার গায়ের রং কালো হবে কি ফর্সা হবে সেটা নির্ভর করে যে সকল বিষয়ের উপর তা হচ্ছে।
- বাবা মা থেকে আগত জ্বীনের উপর
- শরীরের মেলানিন হরমোনের উপর
- কোন কোন ক্ষেত্রে আবহাওয়া ও পরিবেশগত কারণে
- বাবা-মায়ের নির্বাচিত খাদ্যাভাসের উপর
আপনার বাচ্চার গায়ের রং কালো হবে কি ফর্সা হবে সেই চিন্তা-ভাবনা না করে আপনার বাচ্চা যাতে সুস্থ ও সফলভাবে জন্মগ্রহণ করতে পারে সেই দিকে চিন্তা ভাবনা করুন। আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি তা সেটা কালই হোক কিংবা ফর্সা তার সৃষ্টির সবকিছুই সুন্দর। সুতরাং আপনার বাচ্চা যদি কালো হয় কিংবা ফর্সা হয় সে ক্ষেত্রে দুটোই গ্রহণ করার মানসিকতা রাখতে হবে।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
প্রিয় বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা জানলাম গর্ভাবস্থায় কি খেলে বা কি সব খাবার খেলে বাচ্চা কালো হয় সেই সম্পর্কে এখন আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় তার সম্পর্কে।
ফলমূল
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য যে সকল খাবার রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফলমূল। টাটকা হিমাইত অসুখ না সব ধরনের ফলই বাচ্চার বুদ্ধি বিকাশে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় আপনার প্লেটের অর্ধেকটা পরিমাণ ফলমূল থাকা উচিত।
শাকসবজি
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য আপনাকে প্রতিদিন টাটকা শাকসবজি খেতে হবে। সালাদের জন্য আপনি কচিপাতা ওয়ালা গাড়ো সবুজ শাকসবজি খেতে পারেন।
গ্ৰেইনস বা শস্য
আপনাকে সেই সকল শস্য খেতে হবে যে সকল শস্য গুলো প্রক্রিয়াজাত করা নয় কিংবা যেগুলো অনেকদিন পুরনো বা বাসি। আপনি চাইলে অত্যাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর ওটস,বার্লি, কুইনোয়া, ব্রাউন রাইস কিংবা লাল আটা খেতে পারেন যা আপনার বাচ্চার বুদ্ধি বিকাশে সহায়ক হবে।
আমিষ জাতীয় খাবার
টিফিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই আপনাকে মাংস, সিম, বরবটি,ডিম ও বাদাম জাতীয় খাবার রাখতে হবে যেগুলো আপনার বাচ্চার মানসিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে এবং তাকে বুদ্ধিমান হতে সাহায্য করবে।
দুদ্ধ্য জাত খাবার
আপনার বাচ্চার মানসিক বিকাশ ও স্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আপনাকে দুধ ও দুদ্ধ্য জাতপন্ন যেমন পনির দই রাখতে পারেন।
তেল বা ফ্যাট জাতীয় খাবার
আপনার খাদ্য তালিকায় আপনি এমন কিছু খাবার রাখবেন যেগুলো থেকে প্রাকৃতিকভাবে তেল পাওয়া যায় যেমন এমন কিছু মাছ রয়েছে যেগুলো থেকে প্রাকৃতিক তেল পাওয়া যায় এছাড়াও আপনি অ্যাভোকোডো ও বাদামও খেতে পারেন।
ব্লুবেরি
আপনার শিশুর মানসিক বিকাশ ও বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। ব্লুবেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ হ্যান্ডঅক্সিডেন্ট যা শিশুর জ্ঞানী ও বিকাশে খুবই সহায়ক। ব্লুবেরি হিসেবে আপনি স্ট্রবেরি, রাস্মবেরী, ব্লাকবেরি,কালোজাম ইত্যাদি রাখতে পারেন।
আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড
শিশুর বিকাশ ও বৃদ্ধি এবং বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে আইরন সমৃদ্ধ ও ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি কলা, শুকনো ফল, পুদিনা পাতা ও সবুজ শাকসবজি রাখতে পারেন। যা আপনার শিশুর মানসিক বিকাশ করতে খুবই কার্যকরী হবে।
আমন্ড বাদাম
আমন বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন ই যা শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ দ্রুততার সাথে পূর্ণ করে এছাড়াও গর্ভাবস্থায় আপনি মটরশুটি গ্রহণ করতে পারেন যা আপনার শিশুকে বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী করতে সাহায্য করবে।
ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার
সাধারণত ডাক্তারেরা গর্ভাবস্থার চতুর্থ মাঝ থেকে ওমেগা 3 যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন মিনারেলস থাকায় তা শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশে কার্যকরী। ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার হচ্ছে কুমড়ার বিচি বা সূর্যমুখের বিচি। এছাড়াও অনেক সামুদ্রিক মাছ রয়েছে যেমন স্যালমন, টুনা, ম্যাকেরাল ও কর্ড লিভার যেগুলো প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ। অতিক মাঝে রয়েছে DHA ও EPA যা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ করে আগত বাচ্চাকে বুদ্ধিমান হতে সাহায্য করে।
কোলিন যুক্ত খাবার
ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণ কোলিন পাওয়া যায়। তাই প্রত্যেক গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থায় শিশুর মানসিক ও স্মৃতিশক্তি বিকাশের জন্য ডিমের কুসুম খাওয়া।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার
গর্ভাবস্থায় অবশ্যই গর্ভবতী মায়ের সবুজ শাকসবজি বিশেষ করে পালং শাক, বাধাকপি, ব্রকলি, গাজর, টমেটো, বিনস ইত্যাদি খাবার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় যুক্ত করা। এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণ লুটেইন নামক এন্ডঅক্সিডেন্ট থাকে যা শিশুর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
ভিটামিন যুক্ত খাবার
শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বুদ্ধিমান হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিটামিনযুক্ত খাবারের কোন বিকল্প নেই। জন্য গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পনির, গরুর মাংস কিংবা কলিজা রাখা উচিত। এছাড়াও গর্ভবতী মায়ের নিয়মিত উচিত সকাল বেলা সূর্যের আলোয় কিছুক্ষণ সময় ধরে বসে থাকা এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
কপার ও জিংক সমৃদ্ধ খাবার
খাদ্য তালিকায় কপার সমৃদ্ধ খাবার যেমন কাজুবাদাম অ্যাভোকেডো, মটরশুঁটি,বিনস, বিট ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার এর মধ্যে ছোলা, গরুর মাংস রাখা উচিত যা শিশুর মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সঠিকভাবে বিকাশে সাহায্য করে।
আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার
সন্তানের মানসিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য আয়োডিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। তাই গর্ভাবস্থায় অবশ্যই আয়োডিনযুক্ত কিছু খাবার যেমন সামুদ্রিক মাছ, ডিম কলিজা, গলদা চিংড়ি, ভুট্টা ইত্যাদি যুক্ত করতে হবে এছাড়া আপনি আয়োডিনযুক্ত লবণ ও খেতে পারেন।
চীজ
গর্ভাবস্থায় মায়েদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় ভিটামিন ডি এর অভাব থেকে থাকে। যা শিশুর বিকাশ ও বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য খুবই জরুরী। তাই গর্ভাবস্থায় চীজ খাদ্য তালিকায় যুক্ত করা উচিত যা চেয়ে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি রয়েছে।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয়-গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার লম্বা কিংবা ওজন বাড়ানোর জন্য যে সকল খাবারের তালিকা প্রয়োজন সেগুলো আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা করে ফেলেছি এ সকল খাবারগুলো খেলে বাচ্চা লম্বা ও ওজন বাড়তে দ্রুত সাহায্য করবে। সেক্ষেত্রে আপনি দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এবং আপনার বাচ্চার দৈর্ঘ্য লম্বা ওজন বাড়ানোর জন্য খাবার গুলো খেতে পারেন। তবে অবশ্যই পরিমাণ মতো এবং সতর্কতার সাথে খাবার গ্রহণ করবে তাহলে আপনার বাচ্চা দ্রুত লম্বা হবে এবং ওজন বাড়বে।
গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খাওয়া যাবেনা
এর পরবর্তী ধাপে আমরা জানলাম গর্ব অবস্থায় কোন কোন খাবার খেলে বাচ্চারা দ্রুত লম্বা হয় এবং দ্রুত ওজন বাড়ে। আর্টিকেলের এই অংশে আমরা এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জানব যেগুলো আপনার গর্ব অবস্থায় কোনো মতে খাওয়া উচিত নয় না হলে আপনার বাচ্চার লম্বা ওজন বৃদ্ধি পেতে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
১/গর্ভাবস্থায় আপনি কাঁচা বা পাস্তুরায়ন ছাড়া দুধ কিংবা ও সকল দুধের তৈরি কোন রকম পণ্য খাবেন না এগুলোর মধ্যে লিস্ট এরিয়া নামের এক ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকে যা আপনার শরীরে লিস্টেরিওসিস নামের রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
২/মেয়াদোত্তীর্ণ কোনরকম খাবার খাওয়া যাবে না এতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হতে পারে।
৩/কাঁচা কিংবা হাফ সিদ্ধ এরকম কোন খাবার বা মাংস খাওয়া যাবে না এগুলোতে টক্সোপ্লাজমা গন্ডির মতো পরজীবী কিংবা সালমনিলা ও লিস্টেরিয়ার মতো ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে যার ফলে আপনার শিশুর লম্বা হওয়া ও ওজন বাড়াতে বাধার কারণ হতে পারে।
৪/কোন প্রকার কাঁচা মাছ বা সামুদ্রিক মাছ খাওয়া থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে।
৫/যে সকল সামুদ্রিক মাঝে উচ্চমাত্রায় পারদ (মার্কারি) সে সকল মাছগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন হাঙর,সোরড ফিশ, মারলিন ও কিং ম্যাকোকেরেল ইত্যাদি ।
৬/রান্না না করা বাঘ হাফ সিদ্ধ কোন শাক-সবজি খাওয়া যাবে না।
৭/কাঁচা বা হাফ বয়েল ডিম খাওয়া যাবে না এতে সালমোনিলা ব্যাকটেরিয়ার উৎপত্তি হতে পারে।
৮/যকৃত কিংবা লিভার এর অংশ এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে যা বিষক্রিয়াতার সৃষ্টি করতে পারে তাই গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে যকৃত কিংবা লিভারের মাংস খেতে বলা হয় না।
লেখক এর মন্তব্য
এই পোস্টটি যদি আপনার কোন উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিবেন শেয়ারের মাধ্যমে। সম্পর্ক যদি আপনার কোন মতবাদ থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই মন্তব্য করুন বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারেন। এরকম আরো শিক্ষণীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url