OrdinaryITPostAd

গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে বা চিত হয়ে শুলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় সে সম্পর্কে খোঁজাখুঁজি করছেন। তাহলে আপনি সঠিক পোস্টটিতে ক্লিক করেছেন। এই পোস্টটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে বা বা চিত হয়ে শুলে কি হয়, গর্ভাবস্থায় না খেয়ে থাকলে কি হয়, গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয় ও গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি কি হয় সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

ছবি

সুতরাং আপনার মধ্যে যদি এই লক্ষণ গুলোর কিছু প্রকাশ পায় তাহলে অবশ্যই আপনি পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে কিংবা এই লক্ষণগুলো আপনার মধ্যে থাকলে আপনার এখন কি কি করণীয় বা এগুলো আপনার জন্য ভালো কি খারাপ সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতেও বুঝতে পারবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

পোস্ট সূচীপত্রঃ গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে বা চিত হয়ে শুলে কি হয়

ভূমিকা

গর্ভাবস্থায় সকল নারীর ক্ষেত্রে একটি নতুন অভিজ্ঞতা হাতে পরিচয় করিয়ে দেয়। এ সময় নারীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ বা বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে। এ সময় একজন মহিলা তার জীবনের নয় মাসে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করে। ব্যবস্থার প্রথম এক মাস মহিলা নিজেও জানেনা সে গর্ভবতী হয়েছে কিনা। পরিস্থিতিতে ডাক্তার তাদের শেষ ঋতুচক্রের তারিখ নিশ্চিত করে এবং পরীক্ষা করে দেখে তিনি গর্ভ ধারণ করেছেন কিনা।

সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হন।যে সকল মা ও বোনেরা গর্ভধারণ করেছেন কিংবা গর্ভাবস্থায় আছেন সে সকল মায়েদের কিছু কিছু চিন্তা মাথায় ঘুরতে থাকে। তারা সব সময় ভাবতেই থাকে গর্ভাবস্থায় কোন দিকে শুলে বেশি ভালো হয় কিংবা না খেয়ে থাকলে কি কোন ক্ষতি হয় অথবা পানি কম খেলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে এইসব বিষয়গুলো তারা সবসময় ভাবতেই থাকে।

তাহলে চলুন আপনার এ সকল প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনাকে দেওয়ার চেষ্টা করা যাক এবং আপনার গর্ভাবস্থাকে আরোও সহজ করে তোলা যাক।

গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় মহিলারা রাতে অনেক সময় ভালো ঘুম না হওয়ার কারণে সারাদিন অনিদ্রাজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকে। তবে গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর ও পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের প্রয়োজন। অবশ্যই একজন গর্ভবতী মহিলার ৬ থেকে ৮ ঘন্টা পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম প্রয়োজন হয়। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের সময় বিভিন্ন ধরনের জটিলতা আসতে পারে।

অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন গর্ভাবস্থায় ৯ ঘন্টার উপরে ঘুম না হয় তা না হলে গর্ভবতী মা ও হবু সন্তানের জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় পেট বড় থাকার কারণে নানা ধরনের শারীরিক অসুস্থি ও হরমোনাল পরিবর্তন হয়ে থাকে যার কারণে রাতে ভালো ঘুম হয় না। তার ফলে গর্ভাবস্থায় মহিলারা দিনের বেলা অনেকটা সময় শুয়ে থাকে যেটা মোটেও ভালো বিষয় ন‌ই।

গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে অনেক সময় মহিলাদের ইনসমনিয়া দেখা দিতে পারে এছাড়াও প্রোজেস্টেরোন হরমোনের লেভেল বেড়ে যাওয়ার কারণে ক্লান্তি ভাব থাকতে পারে। গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকার কারণে পাকস্থলীতে চাপ পড়ে তার ফলস্বরূপ বদহজম অ্যাসিডি রিফ্লাক্স এর মত সমস্যা দেখা দিতে পারে যার কারণে খাবার খাওয়ার পর শুতে গেলে খাবার গলায় উঠে আসছে বলে মনে হয়।

এর জন্য আপনাকে প্রতিদিন রাতে ছয় থেকে আট ঘন্টা একটা সাউন্ড স্লিপ ঘুম নিতে হবে যা আপনার সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করবে। এর জন্য আপনি শারীরিক পরিশ্রম করতে পারেন এখন কি ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করবেন সেটা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক করতে হবে তবে আপনি যদি ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটিস করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়ম মেনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 
এছাড়াও আপনার যদি ডায়াবেটিস বা হাইপার টেনশন জনিত রোগ থেকে থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনি ফিজিক্যাল একটিভিটিস করতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে গর্ব অবস্থায় বেশি ঘুম পাড়া থেকে দূরে থাকতে ঘুমের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় নির্ধারণ করতে পারেন এবং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী একটি সাউন্ড স্লিপ নিতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় চিত হয়ে শুলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমানোর যেমন ক্ষতিকর তেমনি ঘুমানোর কিছু পদ্ধতি ও রয়েছে যেগুলো আপনি যদি মেনে না চলেন সে ক্ষেত্রে আপনার সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। এই অংশে আমরা গর্ব অবস্থায় চিত হয়ে শুলে কি হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানবো। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভবতী মা যদি গর্ভাবস্থায় চিত হয়ে শুয়ে থাকেন তাহলে তার মৃত সন্তান জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

কারণ হলো গর্ভবতী মা যখন চিত হয়ে শুয়ে থাকেন তখন স্পন্দন কমে যাই ও নড়াচড়া করতে পারে না। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজের স্ত্রী রোগ ও প্রস্তুতি বিভাগের অধ্যাপক ডঃ রেজাউল করিম বলেন হৃৎপিণ্ড থেকে একটি বড় সোনালী শিরদাঁড়ার একটু ডান পাশ দিয়ে মায়ের শরীরের সাথে যুক্ত হয়েছে। গর্ভাবস্থায় মা ও শিশু ও নালীর মাধ্যমে যুক্ত থাকে।

গর্ভধারণের তৃতীয় স্তরে শিশুর ওজন অনেকটা পরিমাণ বেশি থাকে যার ফলে গর্ভবতী মা যখন চিৎ হয়ে শুয়ে থাকে তখন ওই রক্তনালীতে চাপ পড়ে যা শিশুর শরীরে রক্ত চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে এবং অক্সিজেন মাত্রা কমে যায়। এজন্য তার মতে গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মাকে বা দিকে কাত হয়ে শোবার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গর্ভাবস্থায় না খেয়ে থাকলে কি হয়

এর আগের ধাপে আমরা গর্ব অবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় কিংবা গর্ভাবস্থায় চিত হয়ে শুয়ে থাকলে কি কি ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানলাম। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা গর্ব অবস্থায় না খেয়ে থাকলে বা রোজা রাখলে কি কি ধরনের সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানবো
গর্ভাবস্থায় শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ এবং মায়ের সুস্থতার জন্য প্রয়োজন অধিক পরিমাণ পুষ্টি ও ভিটামিন।

কিন্তু এ সময় যদি আপনি একবেলা বা তার চেয়ে বেশি সময় খাবার না খেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে বা রোজা রেখে থাকেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার শরীরে পুষ্টি ঘাটতি জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে করে আপনার শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে। মায়ের ক্ষেত্রে আয়রন বা হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি সহ রক্তস্বল্পতার লক্ষণও দেখা দিতে পারে এমনকি রক্তস্বল্পতার কারণে পায়ে পানি আসা সহ নানা ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।

গর্ভাবস্থায় একটানা ১৪ ঘণ্টা না খেয়ে থাকলে বা রোজা রাখলে যে সমস্যা গুলো সবচেয়ে বেশি হয় তা হচ্ছে শরীরে পানি শূন্যতা এবং গ্যাস্ট্রিক হওয়া এতে আপনার শরীরের আগত সন্তানের অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহে বাধা সৃষ্টি হতে পারে এবং কম ওজনের সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই যতদিন বাচ্চা বুকের দুধ পান করবে ততদিন পর্যন্ত রোজা রাখা বা না খেয়ে থাকা মা ও শিশু উভয়ের জন্যই ক্ষতির কারণ হতে পারে।

কিন্তু আপনি যদি রোজা রাখতে চান তাহলে অবশ্যই কোন পুষ্টিবিদের পরামর্শ মোতাবেক খাদ্য তালিকা তৈরি করে নিতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় ডানপাশে ঘুমালে কি হয়

গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে যেমন ক্ষতি কিংবা চিত শুলে যেমন ক্ষতি তেমনি আপনাকে গর্ভাবস্থায় ঘুমানোর সঠিক উপায় সম্পর্কে জানতে হবে তা না হলে সেটা আপনার জন্য এবং আপনার আগত জন্য অনেক ক্ষতির কারণ হতে পারে। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা গর্ভাবস্থায় ঘুমানোর সঠিক উপায় সম্পর্কে জানতে পারব এবং ডান পাশে ঘুমালে কি হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানবো।

গর্ভাবস্থায় ঘুমানোর সঠিক পজিশন

১/গর্ভাবস্থায় চিত হয়ে সোয়া একদম উচিত নয় কেননা গর্ভাবস্থায় চিৎ হয়ে শোয়ার ফলে শরীরের সবচেয়ে বড় শিরা ইউফেরিওর ভেনেকোভাতে চাপ পড়ে আর ফলে আমাদের হৃদপিন্ডে রক্তচলা জল কমে যায় এবং যেহেতু গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর হৃদপিন্ডের চলাচলের জন্য একটি নালী থেকে থাকে তাই শরীরেও অক্সিজেন এর ঘাটতি হওয়া সম্ভাবনা থাকে।

২/যাদের অ্যাজমা বা sleep অ্যাপেনিয়ার মত রোগ আছে তাদের ক্ষেত্রে নিজের শরীর ও শিশুর শরীরের অক্সিজেন চলাচলের মাত্রা কমে যায় এবং এ অবস্থায় আপনি যদি চিৎ হয়ে শুতেন সেক্ষেত্রে অক্সিজেন চলাচল আরও কম হয়ে যায় যা মা ও শিশু উভয়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

৩/আপনি ডানবাম যে কোন পাশেই ঘুমাতে পারেন এতে কোনরকম সমস্যা নেই। যে অবস্থায় বেশি আরাম মনে হবে সে অবস্থায় আপনি ডান বা বাম পাশ হয়ে ঘুমাতে পারেন।

৪/বিশেষজ্ঞরা বাম পাশ হয়ে ঘুমানোর পরামর্শ বেশি দিয়ে থাকেন। কারণ এতে লিভারে খুব একটা বেশি পরিমাণ চাপ পড়ে না এবং বাম পাশ হয়ে শুয়ে থাকলে মা ও শিশু শরীরে সঠিকভাবে রক্ত চলাচল ও অক্সিজেন সরবরাহ হতে থাকে।

৫/ গর্ভাবস্থায় মোটেও উপুর হয়ে ঠিক হবে না। কারণ এতে করে পাকস্থলী ও প্রসারিত জরায়ুর ওপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে এমনকি বদহজমে সমস্যা হতে পারে।

৬/ডান বা বাম যেকোনো দিকে শুতে পারেন তবে বাম পিকে শুলে শরীরের রক্ত চলাচল সঠিক পরিমাণ হতে পারে এবং গর্ভে শিশুর রক্ত সরবরাহ সহজ ও সাবলীল থাকে।

৭/উপুর হয়ে শোয়ার কারণে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া করতে সমস্যা হতে পারে এবং মায়ের শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যার কারণ দেখা গেছে।

আপনি যদি ঘুমানোর ক্ষেত্রে বাম পাশে শুয়ে থাকেন কিংবা ডান পাশে শুয়ে থাকেন খেয়াল রাখবেন যেন চিৎ হয়ে কিংবা উপুর হয়ে না শুয়ে থাকেন। ঘুমের ঘোরে যদি আপনি উপর হয়ে শুয়ে যান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ঘুম থেকে উঠে কিছু পরিমাণ পানি খেয়ে নিজেকে শান্ত করে তারপর আবার বাম কাঁধে ভর করে শুয়ে পড়বেন। নিজেকে সকল প্রকার দুশ্চিন্তা ও হতাশা থেকে দূরে রাখুন তাহলে আপনার প্রেগনেন্সি সহজ ও সুন্দর হবে।

গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয়

আমাদের শরীরের ১০০ শতাংশের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই হচ্ছে পানি। পানি আমাদের শরীরের জমে থাকা অতিরিক্ত ক্ষতিকর টক্সিক পদার্থ গুলোকে মুত্রের মাধ্যমে শরীরে বের করে দেয় এবং শরীরের তাপমাত্রা ও মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে। শরীরের জন্য পানি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রাণের অপর নাম জীবন বলা হয়। সুস্থ থাকার জন্য আমাদের প্রত্যেকের‌ই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা উচিত।

কিন্তু কথা হচ্ছে গর্ভাবস্থায় কি পরিমাণ পানি পান করলে ডিহাইড্রেশনের মত সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। গর্ভাবস্থায় সকল মহিলাদের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। মহিলাদের বিশেষ যত্ন ও সাবধানে থাকতে হয় কেননা যেকোনো ধরনের ভুল চুক আপনার সন্তানের এবং আপনার জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে এমনকি আপনার প্রেগনেন্সি কেউ জটিল করে তুলতে পারে। সাধারণত একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জন্য প্রতিদিন ২ লিটার পানি পান করা জরুরী।

এর সাথে ফলের রস,সুপ,চা,কফি এর মাধ্যমে আমাদের শরীরে পানি প্রবেশ করেই। গর্ভাবস্থায় আপনার কতটুকু পানি পান করা উচিত সেটা নির্ভর করে গর্ভাবস্থায় আপনি কি পরিমাণ খাবার খাচ্ছেন এবং আপনার ওজন কি পরিমান রয়েছে সেটার ওপর। গর্ভাবস্থায় আপনি যদি অতিরিক্ত খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার অতিরিক্ত পানি পান করা উচিত তা না হলে ডিহাইড্রেশন এর সমস্যায় ভুগবেন যা গর্ভাবস্থার জন্য খুবই ক্ষতিকর।

গর্ভাবস্থা আপনি যদি সঠিক পরিমাণ জল না খান তাহলে আপনি খুব সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন এবং কনস্টিপেশন এর স্বীকারও হতে পারে। আপনার যদি মনে হয় আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাচ্ছেন কিন্তু আপনার শরীরে ডিহাইড্রেশন কাটছে না সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি আপনার ইউরিন চেক করতে পারেন আপনার ইউরিনের রং যদি হলুদ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার অধিক পরিমাণে পানি পান করা উচিত এবং যদি কনস্টিটিউশন হয়ে থাকে তাহলে আরো বেশি পরিমাণ পানি খান।

সন্তান প্রসবের পর মায়েদের পানির পিপাসা লাগাটা স্বাভাবিক সেটা পূরণ করতে পরিমাণমতো পানি কিংবা ফলের রস খাওয়া যেতে পারে। মনে করে বেস্ট ফিডিং এর জন্য অতিরিক্ত পানি খাওয়া প্রয়োজন কিন্তু গর্ভাবস্থায় ডিহাইড্রেশন যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়া উচিত এতে আপনার সন্তান এর বেস্ট ফিড যেমন ভালো থাকবে তেমনি আপনি ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন।

লেখক এর মন্তব্য

আপনি যদি গর্ভাবস্থায় থেকে থাকেন তাহলে অবশ্যই ওপরের নিয়মগুলো মেনে চলার চেষ্টা করবেন। আপনার প্রেগনেন্সি যেমন সহজ হবে তেমনি আপনার এবং আপনার আগত বাচ্চার জন্য উপকারী হবে। আশা করছি আপনি আপনার সকল প্রশ্নের এবং চিন্তার উত্তর সঠিকভাবে পেয়েছেন। এই পোস্টটি সম্পর্কে যদি আপনার কোন মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই মন্তব্য করুন বক্সে গিয়ে মন্তব্য করতে পারেন আপনাদের প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।

এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে আপনার মতই অন্য কোন গর্ভবতী মা ও বোনের উপকার করার চেষ্টা করবেন। কম আরো শিক্ষণীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে এবং শিখতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আশা করছি আপনার প্রেগনেন্সি সহজ হবে এবং আপনি একটি সুন্দর ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী সন্তানের জন্ম দেবেন। সকলেই ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪