হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়
দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজের পেশার ও পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা ছাড়াও আরো বিভিন্ন
রকম সমস্যার কারণে আমরা অতিরিক্ত চিন্তা বা টেনশন করে থাকি। যেগুলো আমাদের শরীরে
তাৎক্ষণিক কোন প্রভাব না দেখা গেলেও পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা রোগের
মুখোমুখি হতে হয়। অতিরিক্ত হতাশা ও দুশ্চিন্তা আমাদের শারীরিক ও মানসিক সকল
ধরনের ক্ষতি করে।
গবেষণায় দেখা গেছে যারা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করে বা অল্প কথাতে হাইপার হয়ে যায়
তাদের হৃদরোগের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। আপনিও যদি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় বা
হতাশায় থেকে থাকেন তাহলে সেগুলো থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন তার কিছু উপায়
সম্পর্কে এই পোস্টটিতে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা রয়েছে। সুতরাং হতাশা ও
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার
অনুরোধ রইল।
পোস্ট সূচিপত্রঃ হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়
ভূমিকা
প্রতিদিনের কাজ করবে আমাদের সাথে যেসকল কাজগুলো ঘটে তার মধ্যে এমন কিছু কাজ
রয়েছে বা ঘটনা রয়েছে যেগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। কিন্তু সে ঘটনার জন্য
আমরা কি ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারি সেটা সম্পূর্ণ আমাদের উপর নির্ভর করছে।
আমরা যদি সকল ছোট ছোট বিষয় বা ঘটনার উপর হাইপার টেনশন বা হতাশা ও দুশ্চিন্তা
দেখায় সেক্ষেত্রে তা আমাদের মানসিক চিন্তাভাবনার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তারপর এই নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে শুরু হবে অতিরিক্ত বিষন্নতা ,দুশ্চিন্তা ,
মানসিক চাপ, উদ্বিগ্নতা যা আমাদের ইতিবাচক ভাবনাগুলোর বিনাশ ঘটবে এবং মানসিকভাবে
আপনাকে দুর্বল করে তুলবে। যা আমাদের তাৎক্ষণিক কোন ক্ষতি না করলেও পরবর্তীতে
দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন করিয়ে দেয় । সুতরাং আমাদের প্রত্যেকের উচিত যে
কোন সময় যেকোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত টেনশন বা হাইপার না হওয়া।
এবং সব সময় মনের মধ্যে একটা ইতিবাচক ভাবনা ধারণ করা। তারপরেও আমরা মানুষ। চিন্তা
তো আমাদের হবেই। সুতরাং সেই সকল অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা বা হাইপারটেনশন থেকে নিজেকে
দূরে রাখার জন্য আপনি নিচে প্রদত্ত বিভিন্ন উপায় গুলো অবলম্বন করতে পারেন।
তাই আপনার কাছে সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল ।
অতিরিক্ত চিন্তা করলে কি কি ক্ষতি হয়
অতিরিক্ত টেনশনের ফলে আমাদের যে সকল শারীরিক মানসিক সমস্যা হয় সে সমস্যাগুলো এই
অংশে তুলে ধরা হয়েছে। এর পরবর্তী অংশে আমরা এ সকল ইতিবাচক চিন্তাভাবনা বা হাইপার
টেনশন হতাশা থেকে মুক্তির বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানব যেগুলো আপনাকে অতিরিক্ত
টেনশন থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে।
আত্মবিশ্বাস কমিয়ে ফেলা
আপনি যদি অতিরিক্ত টেনশন করে থাকেন তাহলে সেটা আপনার আত্মবিশ্বাসকে কমিয়ে ফেলবে।
ধরেন আপনি কোন একটি কাজ করতে চাচ্ছেন। কিন্তু শুরুতে আপনি ভাবছেন আপনার দ্বারা
সেই কাজটি হবে কি হবে না । সে কাজটি আপনি করতে পারবেন কি পারবেন না। এ সকল কথা
আপনার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে যা আপনার আত্মবিশ্বাসকে কমিয়ে আপনাকে হতাশ করে তুলছে
। আপনি কাজের যে পরিকল্পনা করছেন তা এক মুহূর্তেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে সুতরাং
অতিরিক্ত টেনশন না করে কাজটি মনোযোগ দিয়ে করার চেষ্টা করুন।
শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার ফলে মানসিক ক্ষতি ছাড়াও শারীরিক বিভিন্ন ক্ষতি ও হয়ে থাকে
। অতিরিক্ত টেনশন করার ফলে আপনার নিদ্রাহীনতা , উচ্চ রক্তচাপ , মাথাব্যথা ,
বহুমূত্র সহ আরো বিভিন্ন ধরনের হৃদ রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত
টেনশন করার ফলে আপনার টেনশন হেডেক বা অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা ও হতে পারে। যার ফলে
আপনার ঘাড় ও চোখ ব্যথা করতেও পারে ।
মানসিক বিভিন্ন সমস্যা
অতিরিক্ত টেনশনের কারণে আপনার মেজাজ সবসময় খিটখিতে থাকবে , আপনি হতাশা হয়ে
থাকবেন ,বিভিন্ন কাজ করার ক্ষেত্রে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন এবং অল্পতেই রেগে
যাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা যেমন ভুলে যাওয়া ও বিভিন্ন অসামাজিক আচরণ ও দেখা দিতে
পারে। অতিরিক্ত টেনশন করার ফলে আপনি যে সকল কাজগুলো আগে খুব সহজেই করতে পারতেন তা
আর সহজে হতে চাইবে না। যেটা আপনার পরিবার ও কর্মক্ষেত্র দুটো ক্ষেত্রে প্রভাব
ফেলে ।
যেকোনো কাজে বাধা
অতিরিক্ত টেনশনের একটি আরো কুফল হলো আপনি যে কাজ করতে যাবেন সেক্ষেত্রে প্রথমে
আপনার মাথায় একটাই কথা ঘুরবে কাজটি আমার দ্বারা হবে কি হবে না। এই অতিরিক্ত
টেনশন হওয়ার কারণে আপনার খুব সহজ কাজও অনেক কঠিন মনে হবে যা আপনার স্বাভাবিক
জীবন যাপনকে নষ্ট করে দেবে এবং আপনার কাজ করার উৎসাহ কমিয়ে দেবে ।
অল্পতেই ভেঙে পড়া
পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের প্রতিদিন জীবনের সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকতে
হয়। কিন্তু আপনি যদি কোন কারণে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন সে ক্ষেত্রে আপনার
লড়াই করা তো দূরের কথা বেঁচে থাকার প্রবণতাও নষ্ট হয়ে যাবে । যা আপনার
পারিবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন ক্ষতির কারণ হবে।
ভেবে ভেবে দিন পার হয়ে যাওয়া
আপনি যখন কোন কিছু অতিরিক্ত টেনশন করবেন বা চিন্তা করবেন তখন সে কাজটি করার জন্য
আপনার মাথায় বিভিন্ন রকম পদ্ধতি ও পরিকল্পনা আসবে । কিন্তু সে সকল পরিকল্পনার
মধ্যে আপনি স্থির করতে পারবেন না কোন পথে আপনার জন্য সঠিক । এবং অতিরিক্ত এই
চিন্তা করার কারণে আপনি ভুল পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হতে পারেন যা আপনার কাজটি খারাপ
করে দিবে। যারা অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা করে তাদের বাহ্যিক ইন্দ্রিয় নষ্ট হতে শুরু
করে যার ফলে আপনার কাছে যে কাজটি সঠিক মনে হবে তা সামাজিকভাবে ধ্বংসাত্মক হতে
পারে ।
সৃজনশীলতার অবক্ষয়
মানুষ যদি অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা করে সেক্ষেত্রে তার সৃজনশীলতা দিন দিন নষ্ট হতে
থাকে। অতিরিক্ত চিন্তা করার ফলে সে যে কোন ছোট ছোট বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত বা
চিন্তা ভাবনা করে যা তাদের মানসিকতাকে দুর্বল করে ফেলে। তু কিছু বিষয়ে চিন্তা
ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয় এটা ঠিক কিন্তু অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা মানসিক
পেশার আপনার সৃজনশীল চিন্তাভাবনাকে বদ্ধ করে দিতে পারে।
কর্মশক্তি কমে যাওয়া
যাদের কোন শারীরিক পরিশ্রম থাকে না তারা যদি অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করে সময়
কাটায় তাহলে তাদের সেই চিন্তাভাবনা দুশ্চিন্তা বা হতাশায় পরিবর্তিত হবে যেটা
আপনার কর্মসংস্থান এও প্রভাব ফেলবে।
স্পিগেইলের মতে, "অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করে আমরা শুধু নিজেদের মানসিক
চাপ বাড়ায় যার ফলে আমাদের 'করটিসল' হরমোন নিঃসৃত হয় । যার ফলে আমরা
ক্লান্ত তো হই ঠিক হই কিন্তু সেই পরিশ্রমের কোন ফলাফল আসে না । এ যেন ভুল গিয়ারে
গাড়ি চালানো , ইঞ্জিন পুরোদমে কাজ করছে ঠিক হয় কিন্তু গাড়ি খুব একটা গতি
পাচ্ছে না"
ঘুমের সমস্যা
আপনি যদি অতিরিক্ত চিন্তা বা হতাশাগ্রস্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার ঘুমের
ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে। ভালো ঘুমের জন্য প্রয়োজন
শান্ত শরীর, হিট স্পন্দন রক্তচাপ ব্লাড প্রেসার শ্বাস-প্রশ্বাস সবকিছুর
গতি কম হওয়া। কিন্তু আপনার মাথায় যদি সারা রাজ্যের চিন্তা ভাবনা ঘুরতে থাকে
তাহলে রাতে আপনার ভালো ঘুম হবে না । ফলে পরবর্তী দিন আপনি আপনার কাজ করার ক্ষমতা
হারাবেন এবং জীবনযাত্রায় বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হবেন ।
খাওয়াতে অরুচি
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা টেনশনের কারণে খাওয়াতে অরুচি ও আসতে পারে তবে এটা মানুষ
ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয় । কেউ কেউ অতিরিক্ত টেনশনের কারণে অতিরিক্ত খাবার খায় আবার
কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় তার খাওয়ায় অরুচি বা খাওয়ার পরিমাণ কমে যায় । কিন্তু
যারা অতিরিক্ত টেনশনের ফলে অতিরিক্ত খাবার খায় তারা সব সময় ভুল খাবার খেয়ে
থাকে যেগুলো তার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও উপকারী নয় বরং ক্ষতি করে যেমন ফাস্টফুড,
চিনি বা চর্বি জাতীয় খাবার ইত্যাদি ।
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়
উপরের অংশে আমরা জানলাম অতিরিক্ত চিন্তা করলে আমাদের শারীরিক মানসিক যে সকল ক্ষতি
হয় তা সম্পর্কে । এ অংশে আমরা জানবো হতাশাও দোষ চিন্তা থেকে মুক্তির বিভিন্ন
উপায় সম্পর্কে এবং অতিরিক্ত টেনশন বা দুশ্চিন্তা কিভাবে দূর করা যায় সেগুলো
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে এ অংশে। সুতরাং পোস্ট শেষ পর্যন্ত পড়ুন ।
মেডিটেশন
মনকে শান্ত ও দুশ্চিন্তামুক্ত করতে এবং সকল ধরনের হতাশা থেকে পরিত্রাণের অন্যতম
একটি উপায় হচ্ছে মেডিটেশন। এটি আপনার মনকে শান্ত করতে অত্যন্ত কার্যকরী। অনেক
গবেষণায় দেখা গেছে যদি কোন একজন হতাশাগ্রস্থ ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ব্যক্তি একটানা
3 দিন 25 মিনিট করে মেডিটেশন করে তাহলে তার সকল হতাশা দুশ্চিন্তা অনেকাংশে কমে
যায় ।
মেডিটেশনের ফলে মানুষের দেহে উৎপন্ন হতাশা ও দুশ্চিন্তা সৃষ্টিকারী হরমোনের
প্রভাব কমে যায় এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় । আরো একটি গবেষণায়
দেখা গেছে যারা নিয়মিত মেডিটেশন করে তাদের শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় ভোগার
সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি কম থাকে ।
নিজেকে ব্যস্ত রাখা
আপনি যদি হতাশাগ্রস্থ এবং আপনার যদি মাথা ভর্তি টেনশন থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি
নিজেকে বিভিন্ন সৃজনশীল কাজকর্মে ব্যস্ত রাখতে পারেন। কথায় আছে "অলস মস্তিষ্ক
শয়তানের কারখানা" । আপনি যদি কোন কাজকর্ম না করে সারাদিন শুয়ে বসে কাটান
সেক্ষেত্রে আপনার মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের কথাবাত্রা ঘুরপাক খাবে যেটা আপনার
হতাশা ও টেনশন কে আরো বাড়িয়ে দেবে।
এজন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারেন যেখানে আপনার মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে
পুরো শরীর কর্মক্ষম থাকবে এর জন্য আপনি খেলাধুলা করতে পারেন কিংবা আপনার পছন্দ মত
যে কোন কাজ করতে পারেন ।
রাগ বা ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলা
আপনার মনে যদি কারো জন্য কোন রাগ বা ক্ষোভ থেকে থাকে সেক্ষেত্রে তা আপনার
মস্তিষ্কে ঘুরপাক খেতে থাকবে । যার ফলে সেই কথাটি নিয়ে আপনি বারবার চিন্তা করতেই
থাকবেন যেটা আপনার হৃদরোগের জন্য মোটেও ভালো না।
নিউরোসাইন্সের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা ক্ষমা করার পরিবর্তে মনের
মধ্যে রাগ বসে বসে থাকে তাদের মানসিক চাপ অত্যাধিক পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং
হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। বিখ্যাত ডঃ
সিমন্স বলেন "কোন ব্যক্তি যদি দীর্ঘ সময় ধরে তার মনে কোন বিষয় নিয়ে রাগ
জমা করে রাখে সেটি অত্যন্ত দ্রুত তার সাথে এবং দীর্ঘ সময় ধরে তার ক্ষতি সাধন
করে" ।
বাস্তবতাবাদী হওয়া
আমাদের মধ্যে অনেকেই ভবিষ্যতের চিন্তায় মগ্ন থাকে। এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে
হবে জীবন এ চলার পথে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে যেগুলো আমাদের পরিকল্পনার
বাইরে। এসব বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করা কিংবা সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা
করা আমাদের হাতে থাকে না। ভবিষ্যতে কি হবে না হবে সেটা সময়ের সাথে সাথে দেখা
যাবে এরকম ভাবে বাস্তবতা মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর ও মানসিক শান্তি পাওয়া
যায় । সুতরাং সব সময় ছোট ছোট বিষয় নিয়ে খুব বেশি আবেগী হয়ে চিন্তা ভাবনা করা
যাবে না ।
নিজেকে নির্ভুল ভাবা
আমাদের মধ্যে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা সব সময় শুদ্ধ চরিত্রের অধিকারী হতে চান
এবং সবার সাথে নিজের অজান্তে শত্রুতা করে বসেন। মূলত এরকম মানুষই সবচেয়ে বেশি
হৃদরোগে ভোগে থাকেন। একটি গবেষণার এর জন্য অধ্যাপক বলেন যারা ক্ষমা করার পরিবর্তে
অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে মনোভাব নিয়ে শেষ পর্যন্ত ব্যক্তি চরিত্রকে শত্রুতায় পরিণত
করে তাদের মনোভাবের পেছনে মূলত প্রতিদ্বন্দিতা ও শত্রু ভাবাপন্নতা থাকে । মূলত এ
ধরনের কুতকুতি মনোভাব মানুষের প্রতি মানুষের প্রবল বিদ্বেষ বা ক্ষোভ তৈরি করে
।
ক্যাফেইন নেওয়া কমে দেওয়া
ক্যাফেইন আপনার ইন্দ্রিয়কে খুব দ্রুত সজাগ করতে পারে এটা ঠিক কিন্তু অতিরিক্ত
ক্যাফেইন আপনার মানসিক চাপ বৃদ্ধির হরমোন এর পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। এই
পরিমাণ ক্যাফেইন তখনই আপনার জন্য ভালো যখন আপনি কোন হিংস্র জন্তু বা প্রাণীর
সামনে পড়বেন । তাই আমাদের অতিরিক্ত পরিমাণ চা কিংবা কফি খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে
হবে।
কেননা এ সকল চা বা কফিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যাফেইন থাকে যা আপনার মানসিক বৃদ্ধিতে
বাধা সৃষ্টি করবে । এছাড়াও যারা কোমল পানীয় খেতে পছন্দ করেন তারাও জিরো ক্যালরি
কিংবা চীনহীন বলে বাজারজাত করা কোন কোমল পানীয় খাবেন না কেননা এ সকল কোমল পানীয়
প্রচুর পরিমাণ ক্যাফেইন থাকে ।
তালিকা তৈরি করা
আপনি যদি ভেবে থাকেন যে আপনি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা কিংবা হতাশায় ভুগতেন
সেক্ষেত্রে আপনি আপনার হতা চাওয়া দুশ্চিন্তার কারণগুলো তালিকা বদ্ধ করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনি যখন তালিকা বদ্ধ করতে যাবেন তখন খেয়াল করবেন আপনি কয়েকটি কারণ
তালিকা করার পর আর কোনো কারণে খুঁজে পাবেন না ।
এর কারণ হচ্ছে আপনার দুশ্চিন্তা করার ঠিক তেমন কোন কারণ নেই আর আপনি যে সকল
কারণগুলো লিখেছেন সেগুলো কমবেশি সকলেরই রয়েছে । এটা আপনার দুশ্চিন্তা কমাতে এবং
আপনাকে মানসিকভাবে শান্তি দিতে অনেকটা কার্যকরী হবে।
বন্ধু বান্ধবদের সাথে সময় কাটানো
হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ঘরে একা না
বসে থেকে বাইরে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সময় কাটানো । আপনি যদি সারাদিন রুমে একা
একা বসে থাকেন সেটা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি আপনার শারীরিক ক্ষতি করতে
পারে। তাই মানসিকভাবে সুস্থ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবে বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা
দিতে পারেন।
প্রাণ খুলে হাসুন
একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা সব সময় গম্ভীর থাকে তাদের তুলনায় যারা প্রাণ খুলে
হাসে তাদের শতকরা বিশ ভাগ বেশি ক্যালরি পোড়ানো যায়। প্রাপ্তবয়স্ক বিভিন্ন
মানুষকে নিয়মিত হাস্যকর ও গভীর চলচ্চিত্র দেখানোর পর তারা সিদ্ধান্তে আসছেন যে
যারা নিয়মিত হাসি ঠাট্টা তামাশা করে তাদের হৃদস্পন্দনের হার তুলনামূলকভাবে বেশি
।
এছাড়া আমেরিকার একটি জার্নালের তথ্য অনুসারে জানা গেছে যে হাসি ঠাট্টার ফলে
আমাদের দেহের সংগঠনতন্ত্র বিভিন্ন নালীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সুতরাং মুখে
সবসময় একটি চিলচিলে হাসি রাখুন এটা আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী।
ডাইরি লেখার অভ্যেস তৈরি করা
অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে মুক্তির উপায় বা দূর করার জন্য আরো একটি কার্যকরী
উপায় হচ্ছে অতিরিক্ত পরিমাণ লেখা । আপনি যে সকল চিন্তা গুলো করছেন কিংবা যেগুলো
আপনার মানসিক চাপ বৃদ্ধি করছে সেগুলো আপনি ডায়েরি কিংবা খাতায় লিখে রাখতে পারেন
এরপর আপনি কি করে সেগুলো থেকে মুক্তি পেতে পারেন সে বিষয়গুলো আপনি লিখুন এতে
আপনার মানসিক চাপ অনেকটা কমাবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম
বর্তমানে মানুষদের মধ্যে অতিরিক্ত চিন্তা-ভাবনা বা টেনশন করার আরেকটি কারণ হচ্ছে
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়া । শরীরকে সুস্থ ও মনকে শান্ত রাখতে ঘুম একটি কার্য
করে ওষুধ বললেই চলে। আপনি যদি একটি পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম নেন সেটা আপনার
মানসিকতাকে বিকাশ করাতে সাহায্য করবে। শরীরকে সুস্থ ও মানসিক চাপ থেকে নিজেকে
দূরে রাখার জন্য আমাদের প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত ।
মাথা থেকে চিন্তা দূর করার উপায়
এই অংশে আমরা অতিরিক্ত চিন্তা দূর করার আরো কিছু অভিনব উপায় সম্পর্কে জানব ।
সুতরাং আপনার কাছে আবারো অনুরোধ রইল পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন তা
নাহলে আপনি বুঝতে পারবেন না আপনার জন্য কোন উপায়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ
এবং কার্যকারী হবে।
নিজের সমস্যা সমাধান খুঁজুন
আপনি যখন বারবার কোন বিষয় নিয়ে কই চিন্তা ভাবনা করবেন তখন শুধু আপনার মাথায়
টেনশন আর আপনি শুধু হাইপার হবেন । এর থেকে ভালো হয় আপনি যদি সে সমস্যার সমাধান
খুঁজতে শুরু করেন । চিন্তা ভাবনা করে কোন লাভ হয় না শুধু ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধি
পায় সুতরাং আপনার যদি কোন বিষয় চিন্তা থেকে থাকে তাহলে আপনি সেই চিন্তার কারণ
খুঁজুন এবং সেই সমস্যার সমাধান করুন।
নিজের জন্য সময় বরাদ্দ রাখুন
কোন কারন ছাড়া বা অহেতুক দুশ্চিন্তা আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মকে ব্যাহত করবে।
অতিরিক্ত চিন্তার ফলে আপনি নিজের কাছ থেকেই আস্তে আস্তে দূরে সরে যাবেন।
সেক্ষেত্রে আপনি যেটা করতে পারেন যে বিষয়গুলো আপনার পছন্দ কিংবা যেগুলো আপনার
করতে ভালো লাগে তা পুরনো বিষয় হোক কিংবা নতুন কোন বিষয় সেগুলো প্রথম থেকে শুরু
করুন এবং মনোযোগ দিয়ে করুন এতে দেখবেন আপনার আত্মবিশ্বাস ধীরে ধীরে ফিরে আসবে
।
আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার ফলে আমাদের মেজাজ খিটখিটে থাকে মন ভালো থাকে না যা আপনার
পরবর্তীতে দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে । আপনার এই দুশ্চিন্তার কারণে যে রাগ তৈরি
হয় তা কোন নিরীহ লোকের ওপর দেখান যেটা আপনার পরবর্তীতে আরো বড় দুশ্চিন্তার
কারণ হতে পারে। সুতরাং অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার সময় নিজের আবেগ কে নিয়ন্ত্রণে
রাখুন।
কথা বলুন
আপনি হয়তো খেয়াল করে থাকতে পারেন আমরা যখন কোন বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করি তখন
আমরা নিজের সাথে নিজেই মনে মনে কথা বলি। কিন্তু সেই চিন্তার কোন সমাধান বা কারণ
খুঁজে পায় না । যার ফলে তা আমাদের মাথায় ঘুরতেই থাকে এবং মানসিক চাপ ও টেনশন
বৃদ্ধি করে। সুতরাং আপনি যদি অহেতুক কোন চিন্তা ভাবনা করে থাকেন তাহলে সে চিন্তা
ভাবনা বাদ দিয়ে কোন প্রিয় বন্ধু কিংবা কাছের মানুষজনদের সাথে কথা বলেন দেখবেন
সে বিষয়ে আপনার চিন্তা-ভাবনা অনেকটা কমে যাবে ।
প্রাণায়াম
মাথা ভর্তি টেনশন ও চিন্তা দূর করার একটি গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকারী উপায় হচ্ছে
প্রাণায়াম । প্রাণায়ামের প্রধান কাজ হচ্ছে গভীরভাবে শ্বাস নেওয়া ও সাহস ত্যাগ
করা। আপনি যদি প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে 10 থেকে 15 মিনিট এই ব্যায়ামটি
করেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন ।
সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়া
আপনি যদি নিয়মিত একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠেন এটা আপনার
অতিরিক্ত চিন্তাভাবনাকে দূর করতে সাহায্য করবে। তবে এই পথটি অবলম্বন করার
ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো আপনাকে মনে রাখতে হবে তা হচ্ছে অবশ্যই বিছানে ঘুমাতে
যাওয়ার আগে ফোন নিয়ে যাবেন না , সন্ধ্যার পর কোনরকম ক্যাফেইন নেবেন না ,
ঘুমাতে যাওয়ার অন্ততপক্ষে তিন ঘন্টা আগে থেকে কোন ভারী খাবার খাবেন না । অবশ্যই
যেন বেডরুম ঠান্ডা এবং অন্ধকারের জন্য হয় ।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা আমাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
আমাদের শরীরে ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোক্ষ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
আপনাকে দুশ্চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে পাশাপাশি আপনাকে শারীরিক
ও মানসিকভাবে আরো শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। সুতরাং আপনার হাইপারনেস ও টেনশন
কে দূর করতে নিয়মিত শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করুন ।
সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা
আপনি যদি অতিরিক্ত টেনশন এবং হতাশায় থেকে থাকেন তাহলে আপনার জন্য আরও একটি উপায়
হচ্ছে সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা । কথাটি একটু অন্যরকম মনে হলেও ভালোভাবে বোঝার
চেষ্টা করুন। আপনি যখন অতিরিক্ত টেনশন করবেন সেগুলো আপনার মাথায় চেপে বসবে তাই
এগুলো থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আপনি সেই চিন্তা ভাবনা করার জন্য একটি নির্দিষ্ট
পরিমাণ সময় রাখুন সেটা সকাল কিংবা সন্ধ্যায়।
এতে করে কি হবে আপনি যখন একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় চিন্তা ভাবনার জন্য রাখবেন
তখন আপনার অন্য সময় গুলোতে সেরকম কোন দুশ্চিন্তা আসবে না যেটা আপনার জন্য খুবই
উপকারী হবে ।
হাইপার টেনশন থেকে মুক্তির উপায়
মানসিক ও অতিরিক্ত টেনশন দূর করার আরো কিছু অভিনব উপায় সম্পর্কে আমরা এই অংশে
বিস্তারিতভাবে জানবো।
ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করা
আপনি যদি অতিরিক্ত চিন্তা বা টেনশন করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি সকালবেলা কিংবা
সন্ধ্যাবেলা পবিত্র আল-কুরআন পড়তে পারেন। পবিত্র আল-কোরআন আল্লাহ তায়ালার এমন
একটি কিতাব যে কিতাব পড়লে তৎখানাত আপনার মনে শান্তি ফিরে আসবে।
পোষা প্রাণীদের সাথে সময় কাটানো
গবেষণায় দেখা গেছে প্রাণীদের সাথে সময় কাটানোর ফলে মানুষের শরীরে মানসিক চাপ আর
হ্রাসকারী হরমোন করটিসল নিঃসৃত হয়। পোষা প্রাণীদের মধ্যে কুকুর কিংবা বিড়ালের
সাথে সময় কাটালে মানুষের একাকীত্ব অবসাদ কমে বলে ধারণা করা যায় । এক্ষেত্রে
আপনার যদি নিজস্ব কোন প্রসাব প্রাণী থেকে থাকে তাহলে তো ভালই হয় আর যদি না থাকে
সেক্ষেত্রে আপনি আশপাশের প্রাণীদের সাথে সময় কাটাতে পারেন ।
ডিজিটাল ডিভাইস থেকে বিরত থাকুন
বর্তমানে জেনারেশন এর ডিপ্রেশনের অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত পরিমাণ সোশ্যাল
মিডিয়া সাইট ব্যবহার করা এবং ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা। আপনি যত পরিমাণ এই
ডিজিটাল ডিভাইস থেকে দূরে থাকতে পারবেন আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ভয়াবহ
ঘটনা যেগুলা আপনার ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারতো সেগুলো থেকে আপনি দূরে থাকতে
পারবেন। So Avoid Digital Device.
ভ্রমণে বের হয়ে যাওয়া
মানসিক চাপ কমানোর আরো একটি কার্যকরী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায় হচ্ছে
ভ্রমন করা। প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে থাকলে আমাদের মন সতেজ ও প্রফুল্ল থাকে। নতুন
নতুন মানুষ ও নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে পরিচিত হতে হতে আমাদের দুশ্চিন্তা ও টেনশন
দূর হয়ে যায়।
নিয়মিত যোগব্যায়াম করা
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে যোগ ব্যায়াম। এটির
খুব প্রাচীন ও সর্ব স্বীকৃত উপায় হলো ইয়োগা। আপনি যদি নিয়মিত ইয়োগা করতে
পারেন তাহলে আপনার মানসিক চাপ অনেকাংশে কমবে এবং আপনি শারীরিকভাবেও অনেক সুস্থ
থাকতে পারবেন।
চুইংগাম চাবানো
আপনি যদি অতিরিক্ত টেনশন কিংবা অন্যমনস্ক হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার নিয়মিত
চুইংগাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা । কেননা আমরা যখন চুইংগাম খাই তখন আমাদের
মস্তিষ্কে সঠিক পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ হতে থাকে । যা আমাদের মস্তিষ্ককে সতেজ ও
কাজে মনোযোগী হতে অতিরিক্ত সাহায্য করে। এই বিষয়টি বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য
খুবই উপকারী এর কারণ যে কোন বিষয়ে আমাদের শর্ট-টারম মেমোরিতে খুব সহজেই সংরক্ষিত
থাকে।
গান শোনা
গান শোনার ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন দুশ্চিন্তা কিংবা টেনশন করার সময় কখনই
দুঃখের গান কিংবা সুর শুনতে যাবেন না এটা আপনার মানসিক পরিস্থিতি আরো খারাপ করতে
পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি ভালো সুরের গান কিংবা গজল শুনতে পারেন । এছাড়াও বর্তমানে
অনলাইনে অনেক কোরআন তেলাওয়াত শোনা যায় এগুলো শুনলে আপনার মানসিকতা ভালো থাকবে
এবং আপনি দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকবেন ।
বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা
আপনি যদি নিয়মিতভাবে বই পড়েন এবং চর্চা করেন সে ক্ষেত্রে এই নিয়মিত বই পড়া
আপনাকে অতিরিক্ত টেনশন থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে।
সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালানো
অ্যারোমাথেরাপি ধকল কমাতে সাহায্য করে। কাজের ফাঁকে কিংবা বিশ্রামের সময় সুগন্ধি
মোমবাতি জ্বালিয়ে কাজ করতে পারেন কিংবা ঘুমাতে পারেন । এছাড়াও যাদের অতিরিক
দুশ্চিন্তার সময় খাবার অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে তারা বাম পাশের
নাকে চাপ দিয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে পারেন। এটা আপনার মানসিক চাপ দূর
করতে সাহায্য করবে।
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়
ইতিমধ্যে আমরা দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির অনেকগুলো উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি আশা
করছি ওপরের বিষয়গুলোর মধ্যে সবগুলো বিষয় আপনার জন্য কার্যকরী হবে। এছাড়া আপনি
যে কোন একটি বিষয়ের উপর ভালোভাবে ফোকাস করতে পারেন। মানসিকভাবে চাপ দূর করার
জন্য আরো কিছু উপায় রয়েছে তবে সেগুলো আপনার মধ্য থেকে আসতে হবে।
নিজেকে নিজে শক্তিশালী করে তুলতে হবে তাহলে আপনি খুব সহজেই ওপরে যে কোন একটি
বিষয় বা উপরের বিষয়গুলো আপনার জীবনে এপ্লাই করে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে
পারেন ।
লেখকের মন্তব্য
সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই পোস্টটি
সম্পর্কে যদি আপনার কোন মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে মন্তব্য করুন বক্সে গিয়ে কমেন্ট
করে জানাতে পারেন। এছাড়া আপনি যদি আরো কিছু উপায় বা পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে থাকেন
তাহলে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না।
এই পোস্টটি যদি আপনার কোন উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার অন্য কোন
দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বন্ধুর কাছে শেয়ার করবেন যাতে তারও উপকারে আসে। আজকের মত
এখানেই শেষ করছি। নিয়মিত নতুন নতুন বিভিন্ন শিক্ষামূলক পোস্ট পড়তে অবশ্যই
আমাদের পেজটি ভিজিট করতে থাকুন।সবাইকে ধন্যবাদ।
ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url