মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা
মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আপনি কি নিয়মিত কুমড়ার বিচি খাওয়ার পরিকল্পনা করছেন কিংবা আগে থেকে কোনটার বিজি প্রতিদিন খেয়ে আসছেন। কিন্তু কুমড়ার বিচি খাওয়ার উপকারিতা এর ক্ষতিকর দিক বা খাওয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে আপনার কোন ধারণা নেই। তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য।
এই পোস্টটিতে আমরা কুমরার বিচির বিভিন্ন উপকারিতা এবং কুমড়ার বীজ খাওয়ার বিভিন্ন নিয়ম-কানুন ও ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। সুতরাং আপনি যদি মিষ্টি কুমড়ার বিচি খাওয়ার বিভিন্ন নিয়ম উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা
ভূমিকা
আমরা মিষ্টি কুমড়ার নাম তো অবশ্যই শুনে থাকবো। কেননা এই সবজিটি আমরা প্রায় দিনই বাসাতে খেয়ে থাকি। কিন্তু আপনারা হয়তো জানেন না কিংবা কেউ কেউ জেনে থাকতেও পারেন যে কুমড়ার বিচিও আমরা খেতে পারি। এই কুমড়ার বীজ খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা বা ক্ষতিকর কিছু দিক রয়েছে।
আপনাদের মধ্যে যারা জানেন যে কুমড়ার বীজের কি কি উপকারিতা বা কুমড়ার বিচি খাওয়ার কি কি ক্ষতিকর দিক রয়েছে তারা আরো বিস্তারিত জানার জন্য অবশ্যই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আর যারা জানেন না কুমড়ার বীজ খেলে কি কি উপকারিতা হয় বা যারা ভাবছেন নিয়মিত কুমড়ার বীজ খাবেন তাদের জন্য একটা অনুরোধ অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন ।
তাহলে আপনি কুমড়ার বীজের বিভিন্ন উপকারিতা ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কুমড়ার বিচি খাওয়ার উপকারিতা ও এর ক্ষতিকর কোন দিক রয়েছে কিনা সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।
কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম
কুমড়ার বিচি খাওয়ার ক্ষতিকর দিক বা উপকারিতা গুলো জানার আগে অবশ্য আমাদের জানতে হবে কুমড়ার বিচি খাওয়ার কিছু নিয়ম সম্পর্কে। পোস্টের এই অংশ আমরা কুমড়ার বিচি খাওয়ার বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে জানব। আমাদের দেশে প্রায় বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করা হয়ে থাকে এর মধ্যে মিষ্টি কুমড়া একটি।
মিষ্টি কুমড়া অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং খুব সুস্বাদু খেতে। মিষ্টি কুমড়ার কোন অংশ বাদ দিতে নেই এর সবজি খাওয়া থেকে শুরু করে এর বীজ ও আমরা বিভিন্নভাবে খেয়ে থাকতে পারি। কাঁচা মিষ্টি কুমড়ার বীজ আমরা সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে সেগুলো ভর্তা করে খেতে পারি।
এছাড়াও কাঁচা কুমড়ার বীজ রান্না করে খাওয়া যায়। কিংবা মিষ্টি কুমড়ার বীজ আমরা সংরক্ষণ করে সেগুলো শুকিয়ে পরবর্তীতে সেগুলো গুঁড়ো করে আটার সাথে মিশিয়ে রুটি বানিয়ে খেতে পারি। এছাড়াও আমরা মিষ্টি কুমড়ার বীজ দিয়ে কেক সুপ বা সালাদ বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
মিষ্টি কুমড়ার বিচির পুষ্টিগুণ
কুমড়ো সবজি হিসেবে যেমন খুবই সুস্বাদু পুষ্টিকর তেমনি কুমড়ার বীজ ও আমাদের জন্য খুবই উপকারী এবং কোমরের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ। কুমড়ার বিচিতে রয়েছে ভিটামিন, জিংক , পটাশিয়াম , ম্যাঙ্গানিজ এবং ভিটামিন কে সহ আরো অনেক ভিটামিনের একটি দুর্দান্ত উৎস হচ্ছে কুমড়ার বিচি। যেগুলো আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির এন্টিজেন উৎপাদন করে। এছাড়া কুমড়ার ভিজে রয়েছে ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম আয়রন এবং তামার মত অনেকগুলো খনিজ উপাদান যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
- ক্যালোরি: প্রতিকাপ বীজ পরিবেশন এ কুমড়ার বিচিতে ১৮০ কিলো ক্যালরি থাকে
- প্রোটিন: প্রোটিন থাকে ১২ গ্রাম
- ফ্যাট: কুমড়ার বিচি থেকে ১৫ গ্রাম চর্বি পাওয়া যায়
- শর্করা: প্রতিকাপ কুমড়ার বিচি থেকে ৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা পাওয়া যায়
- ফাইবার: প্রতি পরিবেশনে কুমরার বীজে ২ গ্রাম থেকে ৪ গ্রাম পর্যন্ত ফাইবার পাওয়া যায়
প্রতিদিন কি পরিমান খাওয়া যেতে পারে
কুমড়ার বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন কিন্তু সেগুলো পরিমাণ মতো খেতে হবে তাহলেই উপকার পাওয়া যাবে। একজন সুস্থ ব্যক্তি প্রতিদিন এক মুঠো বা 15 থেকে বৃষ্টির মত মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কুমড়ার বিচি গুলো রোদে সুখে সংগ্রহ করতে হবে। কিংবা সালাদ অথবা তরকারির সাথে মিশিয়ে খেলেও এর পুষ্টিগুণ অনেক বৃদ্ধি পায় ।এছাড়া আমরা সকাল কিংবা বিকালের নাস্তায় ড্রাই ফুড হিসেবে কুমড়ার বিচি খেতে পারি ।
কুমড়ার বীজ খাওয়ার উপকারিতা
এতক্ষণ আমরা কুমড়ার বিচি খাওয়ার নিয়ম কুমড়ার বিচির বিভিন্ন পুষ্টিগুণ এবং কুমড়ার বীজে থাকা বিভিন্ন ধরনের উপাদান সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানলাম। এখন আমরা জানবো কুমড়ার বীজ খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি এবং নিয়মিত কুমড়ার বীজ খেলে কি কি ধরনের উপকার পাওয়া যায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক ।
হৃদযন্ত্র ভালো রাখে
কুমড়ার বিচিতে রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনে বিভিন্ন পুষ্টি অবদান যেমন চর্বি, ভাইবার এবং বিভিন্ন ধরনের এন্ড অক্সিডেন্ট । যেগুলো হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার জন্য খুবই উপকারী । এছাড়া কুমড়ার বীজে রয়েছে ফ্যাটি এসিড যা আমাদের রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। কুমড়ার বীজে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ ভূমিকা পালন করে ।
ঘুমের জন্য ভালো
কুমড়ার বিজিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণ সেরোটোনিন। যাকে প্রকৃতির ঘুমের বড়ি বলা হয়। আমাদের শরীরের ট্রাইপটোফ্যান নামের অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরের মধ্যে গিয়ে সেরেটোনিনে রূপান্তরিত হয় যা আমাদের ঘুম নিশ্চিত করতে সাহায্য করে । ঘুমানোর আগে যদি এক মুঠ ভর্তি কুমড়োর বিচি খাওয়া যায় তাহলে খুব ভালো একটা ঘুম আসে।
জ্বালাপোড়ার অনুভূতি কমায়
কুমড়ার বীজের মধ্যে থাকা বিভিন্ন পোস্ট উপাদান আমাদের শরীরের বিভিন্ন পেশির জ্বালাপোড়ার অনুভূতি কমায়। এছাড়াও এটি বাতে ব্যাথার জন্য বেশ উপকারী। কুমড়ার বিচির তেল অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে ভালো কাজ দেয় ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
কুমড়ার বীজের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটো কেমিক্যাল আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
কুমড়ার বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ঝিঙ্গে যা পুরুষের উর্বরতা বাড়া এবং প্রোটেস্টের বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করে। এর মধ্যে থাকা ডি এইচ ইএ প্রোটেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমিয়ে দেই।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
কুমড়ার বিচিতে থাকা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ ঠিক রাখে এবং ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ এর চাপ কমায়। এছাড়াও এটি বদ হজমের সমস্যা থেকে দূরে রাখে এবং রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
কুমড়ার বিচি একটি আঁশ জাতীয় খাবার হওয়ার কারণে অল্প পরিমাণ খেলেই তা হজমতে অনেক সময় লাগে ফলে ক্ষুধা পায় না এবং শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ ফ্যাট জাতীয় খাবার আমরা গ্রহণ ও করিনা যেহেতু এটি হজম হতেও সময় লাগে সেক্ষেত্রে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করে
কুমড়ার বিচিতে রয়েছে কিউকুরবিটিম নামের এমন একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা আমাদের চুল পড়া রোধ করে চুলের বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও কুমড়ার বিচিত্র রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল মজবুত ও শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হাড় মজবুত করে
কুমড়ার বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের বোন ডেন্সিটি বৃদ্ধি করে হারকে মজবুত ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
কুমড়ার বীজ রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জিংক যা গর্ভাবস্থার জন্য খুবই উপকারী। দশটা আলো প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শিশুর সুস্থ বৃদ্ধিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যা মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী।
দুশ্চিন্তা ও বিষণ্ণতা কমায়
কুমড়ার ভিজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের মানসিক চাপ কমিয়ে উদ্বেগ প্রতিরোধ করে এবং কমাতে সাহায্য করে। এটি বিষন্ন মনকে শান্ত করে বিষন্নতা লক্ষণ গুলো প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ত্বক ভালো রাখে
কুমড়ার বিচিতে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ক্যারোটিনয়েড এর মত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং কোলাজেনকে উদ্দীপ্ত করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খুবই উপকারী।
চোখ ভালো রাখে
কুমড়ার বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ যা আমাদের শরীর ভালো রাখার পাশাপাশি আমাদের চোখকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। কুমড়ার বিচিতে থাকা ভিটামিন এ আমাদের রাতকানা রোগ হওয়া থেকে দূরে রাখে।
বার্ধক্য দূর করে
কুমড়ার বিচিতে থাকা বিভিন্ন ণের পুষ্ট উপাদান আমাদের বয়সের ছাপ কমিয়ে সুন্দর উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় ত্বক উপহার দেয়। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রতিদিন নিয়ম মেনে আমাদের কুমড়ার বীজ খাওয়া উচিত।
হাঁপানি দূর করে
আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছে যারা হাঁপানি রোগে আক্রান্ত কিংবা আমাদের পরিবারের কেউ হাঁপানি রোগের সমস্যায় ভুগছেন। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি প্রতিদিন নিয়ম মেনে কুমরার বিচি খান তাহলে এই হাঁপানি রোগী থেকে আপনি চিরজীবনের জন্য মুক্তি পেতে পারেন ।এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনাকে হাঁপানি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও কুমড়ার ব্রীজ খাওয়ার পরে যে সকল উপকারিতা পাওয়া যায় তার মধ্যে থেকে আরো কিছু উপকারিতা হলো
- মানসিক চাপ কমায়
- হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
- চুলে পুষ্টি যোগায় ও চুল মজবুত ও শক্তগত সাহায্য করে
- ত্বককে ভালো রাখে
- পুরুষের দেহে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে
কুমরার বিচির ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা
এতক্ষণ আমরা কুমড়ার বিচি খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতার নিয়ম সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা কুমড়ার বিচি খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানবো।
ডায়াবেটিসের সমস্যা
যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে কিংবা যারা ডায়াবেটিসের রোগে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়ম-কানুন মেনে কুমরার বীজ খাওয়া উচিত। কেননা একজন ডায়াবেটিসের রোগী যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কুমড়ার বীজ খেয়ে নেয় তাহলে তার শরীরে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে যাবে এবং বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ তা আসতে পারে।
গর্ভবতী নারীদের জন্য সমস্যা
মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছো প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ সেক্ষেত্রে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অবশ্যই মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। কেননা ভিটামিন এ যদি আপনার শরীরে অত্যাধিক পরিমাণে বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে আপনার এবং আপনার আগত বাচ্চার ক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি কুমড়া খাওয়া হলে তা পেটের মধ্যে গ্যাস্ট্রিক এর কারণ হতে পারে। যার ফলে পেটে জ্বালাপোড়া থেকে শুরু করে পেটের ব্যথা কিংবা পেট ফেটে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। সুতরাং যারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন তারা অবশ্যই পরিমাণ মতো মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
এলার্জির জনিত সমস্যা
আপনি যদি এলার্জিজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে মিষ্টি কুমড়া এড়িয়ে চলতে হবে। কেননা অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার ফলে এলার্জিজনিত বিভিন্ন সমস্যা যেমন আপনার শরীরের চুলকানি থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন ধরনের গুরুতর সমস্যা ও লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
রক্তচাপ কমে যাওয়া
মিষ্টি কুমড়ার বীজ যেমন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তেমনি অতিরিক্ত পরিমাণ মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার ফলে আপনার রক্তচাপ অনেক পরিমাণে কমে যেতে পারে যেটা আপনার শরীরের জন্য মোটেও ভালো না।
হজমে সমস্যা হতে পারে
মিষ্টি কুমড়ার বীজ খুব সহজে হজম হতে চায় না। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণ খেয়ে ফেলেন তাহলে সেটা আপনার বদহজমের কারণ হতে পারে। সুতরাং অবশ্যই আপনাকে মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম-কানুন মেনে এবং কতটুকু পরিমান খেতে পারবেন সেগুলো খেয়াল রেখে মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেতে হবে।
ওজন বৃদ্ধি করতে পারে
মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি ও মিনারেল যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রতিদিন ১০০ গ্রাম বা তার চেয়ে কম মিষ্টি কুমড়া খেয়ে থাকেন তাহলে সেটা আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। কিন্তু আপনি যদি ১০০ গ্রাম বা তার চেয়ে বেশি পরিমাণে মিষ্টি কুমড়ার বীজ খান সেটা আপনার শরীরের ফ্যাটের পরিমাণ বৃদ্ধি করে আপনার ওজন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ওজন কমে যেতে পারে
যারা হাইপোগ্সেয়মিয়ায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণ কুমড়ার বিচি খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার পরিবর্তে কমেও যেতে পারে সুতরাং আপনাকে অবশ্যই সকল নিয়মকানুন মেনে পরিমান মত কুমড়ার বিচি খেতে হবে।
লেখক এর মন্তব্য
আমাদের মধ্যে অনেকে মিষ্টি কুমড়া খেতে পছন্দ করেন কিংবা মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেতেও পছন্দ করেন। তবে মিষ্টি কুমড়া কিংবা মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার আগে অবশ্যই যে কথাগুলো মনে রাখতে হবে তা উপরে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অবশ্যই অতিরিক্ত পরিমাণে কোন কিছু খাওয়ায় ভালো না সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিটি খাবার নিয়ম মেনে পরিমান মত খাওয়া উচিত এতে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যাবে।
এই পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের শেয়ার করার মাধ্যমে তাদেরও কুমড়ার বিচি খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিকগুলো এবং খাওয়ার নিয়ম সহ উপায় গুলো জানার সুযোগ করে দেবেন। এবং আপনার যদি এই পোস্টটি সম্পর্কে কোন মতবাদ থেকে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করুন বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারেন আপনার কমেন্টগুলো রিভিউ করা হবে। সকলেই ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url