বিস্তারিতভাবে নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। নিম পাতা খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে কিংবা নিম পাতা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে চান। কিন্তু জানেন না নিম পাতা খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায় বা নিম পাতার কি কি অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিকে রয়েছে। তাহলে আপনি সঠিক পোস্টটিতে ক্লিক করেছেন। এই আর্টিকেলটিতে আমরা নিমপাতা কিংবা নিম পাতার রস খাওয়ার সকল উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম,খালি পেটে খেলে কি হয়, নিম পাতা দিয়ে গোসল করলে কি হয় কিংবা নিমপাতা এলার্জি প্রতিরোধ করতে কত টাকা কার্যকরী বা উপকারী সকল বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
ভূমিকা
সকল প্রকার রোগ থেকে মুক্তির জন্য আমাদের শরীরে ইউনিয়ন সিস্টেমকে উন্নত বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী হতে হয়। আর এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে নিম পাতার রস খেলে। সকল প্রকার ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মুক্তির ক্ষেত্রে নিম পাতা আমাদের খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। গুনাগুন এর কারনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিম পাতা কে ২১ শতকের বৃক্ষ বলে পরিচিতি দিয়েছেন।
নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম
নিম পাতার রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল, আন্টি অক্সিডেন্ট ও এন্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য যা আমাদের শরীরের ইউনিয়ন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের দেহের অভ্যন্তরে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলো কেউ মেরে ফেলতে সাহায্য করে। পেট কে পরিষ্কার রাখে এবং হজমে জন্য খুবই কার্যকারী।
এক কাপ নিম পাতার রস খেলে প্রতিদিন ৩৫ গ্রাম ক্যালোরি পাওয়া যায় যা আমাদের শরীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে যার ডায়বেটিস, একটেরিয়া ও ভাইরাসের মতো রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে। তবে নিমপাতা সকল উপকারিতা গুলো পেতে হলে অবশ্যই এর কিছু খাওয়ার নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। নিচের এ সকল নিয়ম কানুনের বর্ণনা দেয়া হলো।
যেভাবে খেতে পারেন ঃ
১/প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চিনি কিংবা চিনির মিষ্টির সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করে পানি দিয়ে খেতে পারেন।
২/প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি করে নিম পাতার ক্যাপসুলও নেওয়া যেতে পারে।
৩/এছাড়াও নিম পাতার সিলপাটাই বেটে সেগুলো রোদে শুকিয়ে বড়ি আকারেও খাওয়া যেতে পারে।
৪/এছাড়া নিমপাতা আপনি ৫টি গোলমরিচ ও ১০টি নিমপাতা সিলকাটাই বেটে সেগুলো রস করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে পারলে তা আপনার ডায়াবেটিস এবং চর্ম রোগের মত সমস্যা থেকে দূরে রাখবে।
৫/তাজা নিমপাতা কে কড়াইতে শুকিয়ে সেগুলো ভালোভাবে গুড়া করে রসুন ও সরষের তেলের সাথে মিশিয়ে ভাতের সাথে খাওয়া যেতে পারে।
সকাল বেলা খালি পেটে নিম পাতার রস খাওয়ার ফলে কি উপকারিতা পাওয়া যায়
নিম পাতার রসে রয়েছে বহু ওষুধে গুনাগুন যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। নিম পাতা তিক্ত স্বাদ ধারি হলেও আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের মতে প্রতিদিন সকালবেলা খালি পেটে নিম পাতার রস খেতে পারলে তা আমাদের শরীরের অর্ধেক রোগ নিরাময় করে ফেলে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়।
রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে
অস্বাস্থ্যকর খাবার ও ভুল জীবনযাত্রার কারণে বর্তমান সময়ের অধিকাংশ লোক ডায়াবেটিসের মতো রোগা আক্রান্ত। কিন্তু এমন অনেক লোক রয়েছে যারা ওষুধের পরিবর্তে ঘরোয়া উপায়ে বেশি বিশ্বাস করে থাকেন। এই ঘর উপায় গুলোর মধ্যে ডায়াবেটিস প্রতিরোধের একটি উপায় হল সকাল বেলা খালি পেটে নিমপাতা কিংবা এর রস খাওয়া। এতে করে আমাদের শরীরে রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে বা কমে আসবে।
রক্ত পরিষ্কার রাখে
আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সুন্দর ভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রথমে আমাদের রক্তকে পরিষ্কার হতে হবে। নিম পাতার মধ্যে এমন অনেক ওষুধি গুণ রয়েছে যেগুলো প্রতিদিন সকালে পেটে রস করে খেলে তা আমাদের রক্তকে পরিষ্কার করে এবং রক্ত থেকে ক্ষতিকারক বা টক্সিক পদার্থ বের করে আপনার রক্তকে করবে ডিটক্সিফাই।
পেটের সকল সমস্যা দূর করে
নিমপাতা কিংবা নিম পাতার রস আমাদের পাক যন্ত্র কে পরিষ্কার ও সক্রিয় রাখতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস খেতে পারলে তা আমাদের পাকস্থলীর অ্যাসিডিটির পরিমাণ কমিয়ে হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে এবং পেটের ব্যাথা নিরাময় গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
নিম পাতার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ইউনিয়ন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। যার কারনে আপনি সকল প্রকার অসুখ-বিসুখ এবং সর্দি-কাশির মতো রোগবালাই থেকে মুক্তি পাবেন।
শরীর থেকে টক্সিন দূর করে
অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের খাবার থেকে বা অন্য কোন মাধ্যমে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক পদার্থ বা টক্সিন জাতীয় পদার্থ জমা হয় যা শরীর থেকে বের না হলে পরবর্তীতে মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে। নিম পাতার মধ্যে এমন কিছু প্রাকৃতিক গুণাগুণ রয়েছে যেগুলো প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে
আয়ুর্বেদ চিকিৎসা মতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিমপাতার রস খেলে তা আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বা ক্ষতিকারক পদার্থ বের করে আমাদের রক্ত পরিষ্কার রাখে যা আমাদের ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বক সংক্রান্ত সকল ধরনের রোগ বালাই থেকে রক্ষা করে।
লিভার ভালো থাকে
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিমপাতার রস খেলে তা আমাদের লিভারকে সুস্থ ও এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখ
নিম পাতার তিত্ব সাধ হওয়ার কারণে প্রতিদিন সকালবেলা খালি পেটে নিমপাতার রস খেতে পারলে তা আমাদের শরীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
নিম পাতার রসে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকার কারণে তা আমাদের পেটের গভীরে গিয়ে পেটকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হওয়ায় তাদের ক্ষেত্রে পেটকে পরিষ্কার রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খুবই কার্যকরী।
এতক্ষণ আমরা জানলাম নিমপাতা কিংবা নিম পাতার রস সকালবেলা খালি পেটে খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায় সেগুলো সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো নিম পাতার রস বা নিম পাতা দিয়ে গোসল করলে কি উপকার পাওয়া যায় সেগুলো সম্পর্কে।
নিমপাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা
নিম পাতা দিয়ে গোসল করার অনেক উপকারিতা রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক নিমপাতা দিয়ে গোসল করার কি কি উপকারিতা রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।
ঘামের দুর্গন্ধ দূর করে
প্রচন্ড গরমে যারা অতিরিক্ত ঘামেন এবং তাদের ঘাম থেকে দুর্গন্ধ বের হয় তাদের ক্ষেত্রে বাইরে বেরোনোর আগে নিম পাতা দিয়ে গোসল করলে গরমে ভেজা তে ঘাম থেকে যে দুর্গন্ধ হয় তা থেকে দীর্ঘস্থায়ী মুক্তি পাওয়া যায়।
দাগ ছোপ থেকে মুক্তি
গরমের দিনে অতিরিক্ত গরমের কারণে আমাদের তর্ক হয়ে যায় সূর্যের তাপেত্বকে বিভিন্ন ধরনের কালচে দাগ ও মেচতা সহ ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এছাড়াও ব্ল্যাকহেডস এর মত সমস্যা দেখা দিলে প্রতিদিন নিম পাতা দিয়ে গোসল করলে সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং ত্বকের আরো যে সকল সমস্যা হয়ে থাকে সেগুলো দূর হয়।
অ্যালার্জিজনিত সমস্যা
অতিরিক্ত গরমের কারণে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি প্রতিদিন নিমপাতা দিয়ে গোসল করতে পারেন তাহলে নিম পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান সকল ধরনের সংক্রমণ ব্যাধি ও ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। এবং চুলকানির মতো সমস্যা থেকে আরাম পেতে প্রতিদিন নিম পাতা দিয়ে গোসল করা উচিত।
মাথার খুশকি দূর করতে
মাথার অতিরিক্ত খুশকি দূর করতে নিম পাতার উপকারিতা অনেক। আপনি যদি নিম পাতা দিয়ে গোসল করেন কিংবা কাঁচা নিম পাতা রস বেটে মাথায় লাগাতে পারেন তাহলে সেগুলো আপনাকে চুলের যাবতীয় সমস্যা ও খুচকি থেকে চিরতরে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও চুলের ও ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রতিদিন নিম পাতা দিয়ে গোসল করা উচিত এতে আপনার ত্বকের ও চুলের যাবতীয় সমস্যার সমাধান হবে।
গোসলের পানিতে যেভাবে নিমপাতা মেশাবেন
নিমপাতা দিয়ে গোসল করার জন্য অবশ্যই আপনাকে পরিষ্কার ও তাজা নিমপাতা ব্যবহার করতে হবে। এগুলো ভালোভাবে পানিতে ধুয়ে হালকা আছে ৩ থেকে ৪ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে এরপর পানির রং হালকা হলদেটে হলে এবং নিমের গন্ধ বের হতে শুরু করলে তখন পানি ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা করে তা গোসলের পানিতে ঢেলে দিতে হবে এছাড়াও তাজা নিম পাতার রস সামান্য বেটে গোসলের পানিতে মিশিও গোসল করা যেতে পারে।
নিম পাতার উপকারিতা অ্যালার্জি
এলার্জিজনিত সমস্যায় আমরা অনেকেই অনেক সময় ভোগে থাকি। এলার্জির কারণে যখন তখন আমাদের বিভিন্ন রকম অস্বস্তিকর পরিবেশে পড়তে হয়। এলার্জি যে শুধু চুলকানি এমনটাই নয় হাঁচি কাশি কিংবা হাঁপানিও এলার্জির লক্ষণ হতে পারে। এলার্জির সমস্যা শুধু তারাই বুঝতে পারে কতটা ভয়ংকর যারা এলার্জিজনিত সমস্যায় ভুগছে। অনেকে আছে যারা এলার্জির জনিত কারণে খাদ্য তালিকা হতে তাদের প্রিয় খাবার যেমন গরুর দুধ হাঁসের ডিম ইলিশ চিংড়ি পুটি বোয়াল বেগুন কচু গরুর মাংস হাঁসের মাংস আরও অনেক কিছুই বাদ দিয়ে দিয়েছে।
আরো পড়ুনঃ মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা
এই এলার্জিজনিত কারণে অনেকের ত্বক চুলকায় কিংবা চাকা চাকা হয়ে লাল হয়ে যায়। আবার এমন অনেকেই আছে যাদের এলার্জির কারণে চোখ চুলকায় এবং চোখ ফুলে যাওয়া সহযোগ থেকে পানি পড়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। চর্মরোগ হাঁপানি কিংবা নাক দিয়ে পানি পড়া এগুলো এলার্জিজনিত সমস্যার কারণ হতে পারে এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই এলার্জিজনিত ওষুধ খায় কিন্তু সহজে এলার্জি থেকে মুক্তি পায় না।
এই সকল ধরনের এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিম পাতা কিংবা নিম পাতার রস আপনার জন্য খুবই কার্যকরই হবে। এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে যেভাবে নিম পাতার রস ব্যবহার কিংবা নিম পাতার ব্যবহার করবেন তা জেনে নিন।
১/প্রথমে এক কেজি মতো নিম পাতা কে ভালোভাবে পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
২/এরপর নিমপাতা ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে তা পাটায় বেটে গুঁড়ো করে কাচের বইয়েমের সুরক্ষিত ভাবে রাখতে হবে।
৩/এরপর প্রতিদিন এক চা চামচ এর তিন ভাগের এক ভাগ নিমপাতার গুঁড়ো এবং এক চা চামচ ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে আধা ঘন্টা বা ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে।
৪/৩০ মিনিট পর সম্পূর্ণ মিশ্রণটি ভালোভাবে চামচ দিয়ে নাড়তে হবে।
৫/এরপর ইসব গুলের ভূষিত ও নিম পাতার গুড়োর মিশ্রণ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অথবা দুপুরে ভরা পেটে কিংবা রাতে শোবার আগে এক চামচ পরিমাণ করে একটানা 21 দিন খেতে হবে।
৬/এই মিশ্রণটির কার্যকারীরা শুরু হতে এক মাস কিংবা তার কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে কিন্তু ভালো হয়ে যাবে এরপর থেকে আপনি আপনার খাদ্য তালিকা থেকে যে সকল পছন্দের খাবার বাদ দিয়েছিলেন সেগুলো খুব অনায়াসে খেতে পারবেন।
নিম পাতার উপকারিতা
আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা নিম পাতার আরো কিছু উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। সুতরাং নিম পাতা সকল উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানতে অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
খোস -পাচড়া ও চুলকানি
যাদের খোস -পাচড়া ও চুলকানি সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে নিম পাতার রস কিংবা নিম পাতা দিয়ে গোসল করলে এ সকল সমস্যার সমাধান খুব দ্রুত পাওয়া যায়।
কৃমি নাশক
যাদের পেটে অতিরিক্ত কৃমি হয়েছে কিংবা কৃমির কারণে বিভিন্ন রকম পেটব্যথা সহ বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায় তাদের ক্ষেত্রে নিম পাতার রস প্রতিদিন সকালবেলা বেটি খেলে কৃমি থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া যায়।
ত্বক এর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে
নিম পাতার রস হয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরে সকল ধরনের ব্যাকটেরিয়া কিংবা টক্সিক পদার্থ বের করে আমাদের রক্তকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে যা আমাদের ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ রাখে।
দাঁতের রোগ
যাদের বিভিন্ন ধরনের দাঁতের সমস্যা রয়েছে কিংবা যাদের দাঁত ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের কারণে শেষ হতে শুরু করেছে তাদের ক্ষেত্রে তারা যদি নিমের কচি ডাল ব্যবহার করে দাঁত মাজে সেক্ষেত্রে নিম পাতার নির্যাস এ সকল ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস থেকে আমাদেরকে মুক্তি প্রদান করে।
রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে
যাদের শরীরে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এ সকল সমস্যা থেকে সমাধান পেতে হলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিমপাতা রস খাওয়া উচিত যা আমাদের রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখবে এবং ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেবে।
চুলের গোড়া মজবুত করে
নিম পাতার রয়েছে এমন কিছু প্রাকৃতিক পুষ্টি গুণ রয়েছে যেগুলো আপনি চুলে ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুলের গোড়ায় জমে থাকা বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ও টকশিক পদার্থ বের করে সেগুলোকে আরও শক্তিশালী ও দীর্ঘ হতে সাহায্য করে।
চুলের উকুনবিনাসে
যাদের মাথায় অতিরিক্ত উকুন রয়েছে তারা যদি নিম পাতার রস মাথার তালুতে লাগায় সেক্ষেত্রে তিক্ত সাধ হওয়ার কারণে চিরতরে সকল উকুন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
খুশকি বিনাসে
যাদের মাথায় অতিরিক্ত খুশকি থাকার কারণে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়েছে তাদের ক্ষেত্রে নিমের পাতা কতই কার্যকরী। যদি নিমের পাতার রস বেটে মাথায় তালুতে লাগাতে পারেন তাহলে এ সকল খুশকি থেকে খুব দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।
ওজন কমাতে
আপনি যদি প্রতিদিন সকালবেলা খালি পেটে নিম পাতার রস খেতে পারেন তাহলে তা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন বা মেদ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রক্ত পরিষ্কার রাখে
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস কিনবা নিম পাতার চিবিয়ে খেলে তা আমাদের রক্ত থেকে সকল প্রকার টক্সিক পদার্থ বের করে রক্ত পরিষ্কার রাখে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
ঠান্ডাজনিতো বুকের ব্যথা
যাদের ঠান্ডা জনিত বুকের ব্যাথা হয় কিংবা যাদের অতিরিক্ত কফ জমে তাদের ক্ষেত্রে নিমপাতা খুবই কার্যকরী। প্রতিদিন ৩০ ফোটা নিম পাতার রস সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে খেলে এ সমস্যার সমাধান হয়। তবে গর্ভবতী মা ও বোনেদের ক্ষেত্রে এই ওষুধটি নিষিদ্ধ।
পোকামাকড়ের কামড় থেকে
পোকামাকড় কামড় দিলে কিংবা ফুল ফোটালে নিম পাতার রস কিংবা নিমের মূলের ছাল বেটে ক্ষতস্থানে দিয়ে দিলে ব্যথা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে উপশম পাওয়া যায়।
জন্ডিস
যাদের জন্ডিস হয়েছে কিংবা যাদের জন্ডিস রোগের লক্ষণ দেখা দিয়েছে তাদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে 25 থেকে 30 ফোঁটা নিম পাতার রস মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে খুব দ্রুত জন্ডিস থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়।
ভাইরাস থেকে মুক্তি
নিম পাতার রস ভাইরাস জনিত রোগ থেকে মুক্তি দিতে খুবই কার্যকরী। রোগ যেমন চিকেন পক্স,হাম কিনবা চর্ম রোগের মত সকল ধরনের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে নিম পাতার রস কিংবা নিমপাতা দিয়ে গোসল করলে পাওয়া যায়।
ম্যালেরিয়া
নিম পাতার মধ্যে রয়েছে গ্যাডোনিন উপাদান যা ম্যালেরিয়া থেকে দূরে রাখে। নিম পাতার রস হালকা পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে করাবো তুলে রেখে সেগুলো ঘরের চারপাশে ছড়িয়ে দিলে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত মশা দূরে থাকে।
বাতের ব্যথা দূর করতে
নিমের ছাল বা নিমের পাতা ও নিমের বীজ বাতে রোগীদের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকারী। বাতের ব্যথা সারাতে নিমের বীজের তেল এর মাসাজ ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
চোখের এলার্জি
যারা চোখের এলার্জিজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে নিম পাতা হালকা গরম পানিতে ১০ মিনিট ধরে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে সেগুলো দিয়ে চোখ ধুলে চোখ চুলকানি সহ চোখের এলার্জি প্রতিরোধ করা যায় ।
ব্রণ দূর করে
যাদের মুখে অত্যাধিক পরিমাণে ব্রণ বের হয় তাদের নিম পাতার রস বেটে মুখে লাগানো উচিত এতে ব্রণ থেকে ছিল তারে মুক্তি পাওয়া যায়।
ছত্রাক ইনফেকশন দূর করে
ফাংগাল ইনফেকশনের মত ব্যাকটেরিয়া আক্রমণে যদি আপনি ভুগে থাকেন সেক্ষেত্রে নিম পাতার রস বেটে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিলে সেখান থেকে চিরতরে ফাংগাল ইনফেকশন থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া যায়।
অজীর্ণতা
যাদের পেটের বিভিন্ন ধরনের অসুখ রয়েছে কিংবা পাতলা পায়খানা হয় তাদের ক্ষেত্রে ৩০ ফোঁটা নিম পাতার রস এক কাপ জলের সাথে মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
এলার্জি
যারা এলার্জিজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে নিম পাতার রস কিংবা নিমপাতা দিয়ে গোসল করলে চিরতরে এলার্জিজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
একজিমা
একজিমা ফোড়া কিংবা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যায় যারা ভুগে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে নিম পাতার রস বেটে সে সকল ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিলে খুব দ্রুত ক্ষত শুকিয়ে যায় এবং এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মানসিক চাপ ও অশান্তি দূর করতে
যাদের অত্যাধিক পরিমাণ মানসিক চাপ অশান্তি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ নিম পাতার রস খেলে সকল প্রকার মানসিক চাপে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এইডস প্রতিরোধে
নিম পাতার নিরজাস বা নিম পাতার রস এইডসের ভাইরাস দমন করতে সক্ষম। সেক্ষেত্রে কচি নিমপাতা পরিষ্কার করে খেলে এইডস হওয়ার ঝুঁকি থাকে না।
আলসার নিরাময়
নিম পাতার রস কিংবা নিমের বীজ পেপটিক ও ডিওডেনাল আলসার ভালো করতে খুবই কার্যকরী।
বহুমূত্র রোগ নিরাময় করতে
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক টেবিল চামচ নিম পাতার রস একটানা ৩ মাস খাওয়া গেলে বহুমূত্র রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
রাতকানা রোগ নিরাময়
যাদের রাত কানা রোগ রয়েছে কিংবা লক্ষণ দেখা দিয়েছে তাদের ক্ষেত্রে নিম পাতার ফুল ভেজে খেলে রাতকানা রোগ ভালো হয়ে যায়।
লাল মেহেরোগ দূর করতে
নিমের মূলের রস ও কাঁচা দুধ খেলে লাল মেহেরোগ দূর হয়ে যায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধে
নিমের মূলের রস কিংবা নিম পাতার রস ও নিমের বীজ স্কিন ক্যান্সার এবং টিউমারের মত রোগ ভালো করতে সক্ষম।
মাথা ধরা সারাতে
মাথা ধরা আমাদের সকলেরই একটি কমন রোগ। সেক্ষেত্রে আপনি যদি নিয়মিত নিমের বীজের তেল মাথায় ব্যবহার করতে পারেন তাহলে মাথাধরা রোগ দূর হবে।
হৃদরোগ কমাতে
নিয়মিত সকাল বেলা খালি পেটে নিম পাতার রস খেতে পারলে তা আমাদের ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় যা আমাদের হৃদপিণ্ড জনিত সকল রোগ থেকে মুক্তি দেই।
বমি বমি ভাব দূর করতে
যখন আমাদের পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় তখন সাধারণত আমাদের বমি বমি ভাব আছে সে সময় নিম পাতার রস ৫ থেকে ৬ ফোঁটা দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে বমি বমি ভাব দূর হয়।
স্বপ্নদোষ দূর করতে
যাদের খুব ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয় তাদের ক্ষেত্রে এক থেকে দুই চামচ নিম পাতার রস গরুর দুধের সাথে মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে খেলে স্বপ্নদোষ দূর হয়।
এতক্ষণ আমরা নিম পাতার বিভিন্ন উপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করলাম এর পরবর্তী ধাপে আমরা নিম পাতার ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
নিম পাতার ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা
১/অতিরিক্ত পরিমাণ নিম পাতা খাওয়ার ফলে আমাদের কিডনির সমস্যা হতে পারে। নিম পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিবায়োটিক ও এন্টিভাইরাল উপাদান কিডনিতে জমা হলে তা কিডনির বিভিন্নভাবে ক্ষতি করে তাই যারা কিডনিজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকেন কিংবা লিভার জনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিম পাতা খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
২/নিম পাতার এমন কিছু ক্ষতিকর বা অপকারী দিক রয়েছে যেগুলো গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। তাই অবশ্যই গর্ভাবস্থায় নিমপাতা খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
৩/কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে নিম পাতা খাওয়ার ফলে এলার্জিজনিত সমস্যার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রতিদিন খাওয়ার আগে কিছু পরিমাণ খেয়ে চেক করতে হবে।
৪/অতিরিক্ত নিম পাতা খাওয়ার ফলে পেট খারাপ সহ বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়া উচিত।
৫/নিম পাতার মধ্যে যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে তা বিভিন্ন ওষুধের সাথে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া করতে পারে তাই আপনি যদি কোন ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিম পাতা গ্রহণ করতে হবে।
৬/অনেকদিন ধরে খালি পেটে নিম পাতা খেলে তা পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণ হতে পারে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রতিদিন না খেয়ে কিছুদিন পর পর খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
৭/নিম পাতা খাওয়ার পর কারো যদি বমি বমি ভাব কিংবা ডায়রিয়া ও মাথা ব্যাথার মত সমস্যা দেখা সেক্ষেত্রে অবশ্যই তৎক্ষণাৎ নিমপাতা খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।
৮/নিম পাতা অনেক সময় বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে যারা বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই নিম পাতা খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন।
৯/আপনি যদি কোন রোগে আক্রান্ত থাকেন কিংবা আপনার যদি কোন অপারেশন থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই অপারেশনের কমপক্ষে দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে থেকে নিম পাতা খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
১০/গর্ভবতী মা ও বোনেরা নিম পাতা খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন কেননা এটি গর্ভপাতের অন্যতম একটি কারণ হিসেবে ধরা হয়।
১১/যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা নিমপাতা খাওয়া বাদ দিয়ে দিন কেননা এতে আপনার রক্তচাপ আরো ও যেতে পারে।
১২/নিম পাতার মধ্যে কিছু পদার্থ রয়েছে যেগুলো শিশুদের রেসিন্ড্রোমের উপসর্গের হিসেবে দেখা দিতে পারে তাই শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিমপাতা খাওয়ানো চলবে না।
১৩/যাদের অহেতুক ক্লান্তির ভাব আছে তাদের ক্ষেত্রে নিমপাতা এড়িয়ে চলা উচিত কেননা এতে তাদের এই সমস্যা আরও বৃদ্ধি করতে পারে।
১৪/একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জন্য প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি নিম পাতা খাওয়া উচিত এর অতিরিক্ত খেলে হিতে বিপরীত হয়ে ক্ষতিকর বা অপকারিতা গুলো বেশি প্রকাশ পায়।
লেখক এর মন্তব্য
এই পোস্টটি যদি আপনার কোন উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করার মাধ্যমে তাদের নিম পাতার সকল উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করবেন। আর এই পোস্টটি সম্পর্কে যদি আপনার কোন মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই মন্তব্য করুন বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারেন। আরো শিক্ষণীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url