OrdinaryITPostAd

মাথায় টিউমার হয়েছে কিনা চেনার সকল উপায়

আমরা মাথার বিভিন্ন সমস্যা কিংবা মাথায় ব্যথা হলে বিভিন্ন ধরনের সন্দেহ করে থাকি কিংবা মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। প্রশ্নগুলো এমন মাথায় টিউমার হওয়ার লক্ষণ কি বা চেনার উপায় কি? প্রচন্ড মাথা ব্যাথা কি টিউমার এর কারণ? তোমার কি ব্যথা করে? এছাড়াও রয়েছে টিউমার কি ক্যান্সারের লক্ষণ কিংবা জরায়ুতে টিউমার বা ব্রেস্ট বা স্তন টিউমার হলে এগুলো চেনার উপায় বা কি বা এগুলোর কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় কিনা।

ছবি

আপনাদের এ সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা। এই আর্টিকেলটি আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়তে পারেন তাহলে আশা করি আপনার এ সকল প্রশ্নের জবাব আপনি পেয়ে যাবেন। তাহলে দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার মনের কোণে জমে থাকা সকল প্রশ্নগুলোর উত্তর।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মাথায় টিউমার হয়েছে কিনা চেনার সকল উপায়

ভূমিকা

আমাদের মস্তিষ্ক বা ব্রেন টেনটোরিয়াম নামক একটি পর্দা দ্বারা দুটি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত থাকে। একটি হচ্ছে উপরের প্রকোষ্ঠ আর একটি যে নিজের প্রকোষ্ঠ। সাধারণত মস্তিষ্কের কোষ গুলোর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি জনিত কারণে আমাদের মস্তিষ্কে কিংবা মাথায় বিভিন্ন ধরনের টিউমার দেখা দেয়। মাথায় টিউমার প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে প্রাইমারি এবং উন্নতি হচ্ছে মেটাস্ট্যাটিক বা সেকেন্ডারি। 

প্রাথমিক মাথার টিউমার সাধারণত মাথার ভেতরে দেখা যায় এবং মেটাস্ট্যাটিক বা সেকেন্ডারি মাতার টিউমার তখন দেখা দেয় যখন সেটি ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয়ে আপনার ফুসফুস এবং স্তনে ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক মাথায় টিউমার সাধারণত মস্তিষ্কের বিভিন্ন ধরনের কোষ কলা থেকে প্রত্যক্ষভাবে তৈরি হয় কিন্তু মেটাস্ট্যাটিক মাথার টিউমার প্রধানত ছড়িয়ে পড়া ক্যান্সার থেকে হয়ে থাকে এবং এর প্রধান উৎস হচ্ছে ফুসফুসের ক্যান্সার, স্তন বা ব্রেস্ট ক্যান্সার, অন্ত্রের ক্যান্সার, রক্ত ক্যান্সার বা লিউকোমিয়া। 

প্রাইমারি মাথার টিউমার সাধারণত মস্তিষ্কের বিভিন্ন কোচ কলা যেমন গা‌ইয়োমা বা এস্ট্রোসাইটোমা,অলিগোডেন্ত্রোগ্লাইয়োমা,মেডুলোব্লাস্টোমা,ইপেনডাইমোমা ও লিম্ফোমা ইত্যাদি কোষ গুলো থেকে। এয়ার্টিকালিতে আমরা মাথার টিউমার কিংবা জরায়ু টিউমার ও ব্রেস্ট বা স্তন টিউমারের সকল লক্ষণ বা চেনার উপায়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

মাথায় টিউমার চেনার উপায়

আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা মাথায় টিউমার হওয়ার বিভিন্ন কারণ ও টিউমারের বিভিন্ন লক্ষণ বা চেনার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি মাথায় টিউমার চেনার উপায়গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

মাথা ব্যাথা

মাথায় টিউমার চেনার একটি প্রাথমিক উপায় হচ্ছে প্রচন্ড মাথা ব্যথা। মাথার টিউমারের ক্ষেত্রে প্রথমত শুরু হয় মাথাব্যথা দিয়ে। তবে যাদের মাথা ব্যাথার সমস্যা রয়েছে তাদের সকলেরই যে মাথায় টিউমার রয়েছে এমনটা কিন্তু নয়। মাথায় টিউমার হওয়ার ফলে আপনার মাথা ব্যাথা সকালের দিকে বাড়বে এবং আপনি যখন শুয়ে থাকবেন তখন মানসিক চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আপনার প্রচন্ড মাথা ব্যাথা বাড়তে পারে।

বমি বমি ভাব হওয়া

মাথায় টিউমার চেনার আরো একটি উপায় হচ্ছে বমি বমি ভাব হওয়া। আপনার যদি প্রায় বমি বমি ভাব হয়ে থাকে কিংবা বমি বমি ভাব হওয়ার লক্ষণ দেখা দে তাহলে আপনি অবশ্যই কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। কেননা মাথায় টিউমার হওয়ার কারণে যখন আবার আপনার মস্তিষ্কে চাপ পড়ে তখন এই টিউমার এর কারণে বমি বমি ভাব আসে বা লক্ষণ দেখা দেয়।

অনিদ্রা বা ঘুম না হওয়া

আপনার মাথায় যদি টিউমার হয়ে থাকে তাহলে আপনার হয় অতিরিক্ত পরিমাণ ঘুম আসবে আর না হলে আপনি অনিদ্রাই ভুগতে পারেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে আপনার স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। ভালো ঘুম স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে কিন্তু আপনি যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমিয়ে থাকেন বা প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় জেগে থাকেন তাহলে আপনার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

দেখতে,শুনতে এবং কথা বলতে সমস্যা হওয়া

মাথায় টিউমার চেনার আরো একটি উপায় হচ্ছে আপনার দেখতে, শুনতে বা কথা বলতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হওয়া। টিউমারের অবস্থানের উপর নির্ভর করে কখনো কখনো এ সকল সমস্যাগুলো সৃষ্টি হতে পারে। আপনার যদি হঠাৎ করে এগুলো হওয়ার লক্ষণ দেখা দেই তাহলে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কেননা এগুলো আপনার মাথায় টিউমারের লক্ষণ প্রকাশ করতে পারে।


ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন

আপনার হঠাৎ ব্যক্তিত্ব পরিবর্তনের কারণও হতে পারে আপনার মাথার টিউমার হওয়া। যদি আপনি খেয়াল করেন বা আপনার মনে হয় আপনার হঠাৎ করেই মেজাজ পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে এবং সেটা গুরুতর বলে মনে হচ্ছে তাহলে অবশ্যই আপনার সতর্ক হওয়া উচিত। মাথার টিউমার আমাদের মস্তিষ্কের সেরিব্রাল কর্টেক্সকে প্রভাবিত করতে পারে যার কারণে আমাদের মেজাজ কিংবা ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় এগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।

ভারসাম্যের সমস্যা

আপনার যদি হঠাৎ করে হাঁটাচলা কিংবা কথা বলায় অসুবিধা সৃষ্টি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার এ বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। আপনার মাথায় যদি টিউমার হয়ে থাকে এবং সেটি যদি ব্রেন স্টিমের কাছাকাছি থাকে তাহলে আপনার ভারসাম মেয়ের কিংবা হাঁটাচলা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে যা মোটেও অবহেলার বিষয় নয়।

খিঁচুনি 

আপনার যদি হুটহাট করে খিচুনির সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। সাধারণত আমাদের মস্তিষ্কে বা মাথায় যদি টিউমার হয়ে থাকে এবং সেটা যদি মস্তিষ্কের পৃষ্ঠে থেকে থাকে তাহলে বিভিন্ন সময় খিঁচুনি হতে পারে। এ সকল লক্ষণগুলো কখনো অবহেলা করবেন না।

মস্তিষ্কের আকার বৃদ্ধ

যদি আপনার মস্তিষ্ক বা মাথার খুলির হাট কোন এক সাইডে বৃদ্ধি পায় বা অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায় তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে ছোট অবস্থায় তাদের মাথার খুলির হাড় নরম থাকে যার কারণে মস্তিষ্কে টিউমার বা মাথায় টিউমারের কারণে তাদের মস্তিষ্ক অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় যেটা মস্তিষ্কের টিউমারের বা মাথায় টিউমারের কারণ বা লক্ষণ হতে পারে। সুতরাং এসব বিষয়গুলো আপনায় খেয়াল রাখতে হবে।

প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়া

আপনার শরীরের কোন অংশ যদি হঠাৎ করে প্যারালাইসিস হয়ে যায় তাহলে বা শরীরের কোন অংশ হঠাৎ করে অবশ হয়ে যায় সেটাও আপনার মাথায় টিউমারের কারণ হতে পারে। সাধারণত মস্তিষ্কের বা মাথার মটর এরিয়ায় টিউমার হলে শরীরের নির্দিষ্ট কোন অংশ প্যারালাইসিস বা অবুঝ হয়ে যাওয়ার লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়।

টিউমার কি ব্যথা হয়

আপনার কোন অংশের ব্যথা সেটা কি টিউমারের লক্ষণ। টিউমার হলে কি ব্যথা অনুভব হয়। এই প্রশ্নগুলোর উত্তরে আজকের আর্টিকেলের এ অংশটি লেখা। সব ক্ষেত্রে টিউমারের ব্যাথা অনুভব না হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এবং টিউমারের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে টিউমারের ব্যথা হতে পারে। যেমন ধরেন ব্রেন টিউমারের ক্ষেত্রে টিউমারের অবস্থানের উপর এবং আপনার চলাফেরা ও ওঠাবসা কিংবা শুয়ে থাকার উপর টিউমারের ব্যথা নির্ভর করে।

আবার হাড়ের টিউমারের অন্যতম একটি উপসর্গ হচ্ছে ব্যথা। হারে টিউমারের ক্ষেত্রে যে আপনার যে অংশ তোমার হয়েছে সে অংশে ব্যথা করবে এমনটা কিন্তু নয়। সে ক্ষেত্রে আপনার বিভিন্ন জয়েন্ট কিংবা আপনার চোখ বা হাঁটুতে ব্যাথা অনুভব হতে পারে। একটি গবেষণায় একজন মানুষের পায়ের টিউমারের ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে তার পায়ের টিউমার হওয়া সত্ত্বেও উরু বা হাটুতে ব্যাথা অনুভব বেশি হয়।

এ সকল ব্যথা যদি আপনার কিছু ওষুধ বা বিশ্রামের পরেও সেরে না যায় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে পরামর্শ নেওয়া উচিত।

টিউমার ক্যান্সারের লক্ষণ

টিউমার দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি হচ্ছে প্রাইমারি টিউমার আর অন্যটি হচ্ছে মেটাস্ট্যাটিক বা সেকেন্ডারি টিউমার। সাধারণত প্রাইমারি টিউমার মস্তিষ্কের বিভিন্ন ধরনের কোষ কলার অস্বাভাবিক বৃদ্ধ জনিত কারণে হয়ে থাকে কিন্তু মেটাল স্ট্যাটিক বা সেকেন্ডারি টিউমার সাধারণত ক্যান্সারের বিভিন্ন জীবাণু পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ার কারণে হয়ে থাকে। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা ক্যান্সার এবং টিউমারের মধ্যে আপনার কোনটি হয়েছে সেটি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

এর আগের অংশে আমরা টিউমার চেনার উপায় সম্পর্কে জেনেছি। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা জানবো আপনার শরীরে টিউমার প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে নাকি সেটা ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয়ে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। নিচের এ লক্ষণ গুলো যদি আপনার মধ্যে দেখতে পান তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ক্যান্সারের লক্ষণগুলো সম্পর্কে।

হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া

হঠাৎ করে বা কোন ধরনের কারণ ছাড়াই আপনার ওজন যদি পাঁচ কেজি বা তার চেয়ে বেশি পরিমাণ কমে যায় তাহলে আপনার ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কিংবা ক্যান্সারের লক্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এটাকে বলা হয় ব্যাখ্যাহীন ভাবে ওজন হারানো। বিশেষ করে অগ্নাশয় পাকস্থলী খাদ্যনালী বা ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে বা প্রথম পর্যায়ের একটি লক্ষণ হচ্ছে হঠাৎ করে বা ব্যাখ্যা হীনভাবে অতিরিক্ত পরিমাণ ওজন কমে যাওয়া।

জ্বর জ্বর ভাব অনুভব

টিউমার যখন ক্যান্সারের রূপ নেয় তখন আরো একটি লক্ষণ প্রকাশ পায় সেটি হচ্ছে জ্বর জ্বর ভাব। সাধারণত টিউমার যখন ক্যান্সারের রূপ নিয়ে বা ক্যান্সারে পরিণত হয়ে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ইমিউনিটি সিস্টেমকে প্রভাবিত করতে পারে তখন আমাদের বেশি জ্বর জ্বর ভাব হয়ে থাকে।

তবে আপনার যে অংশের টি মাটি ক্যান্সারে পরিণত হয়ে সারা দেহে ছড়িয়ে পড়েছে সে অংশে জ্বর হবে এমন কোন নিশ্চয়তা নেই আপনার অন্য যেকোনো জায়গায় গরম অনুভব বা পুরো শরীরে জ্বর জ্বর ভাব আসতে পারে। বিশেষ করে লিউকেমিয়া বা লিম্ফোমা ক্যান্সারের ক্ষেত্রে প্রথম উপসর্গ বা প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে জ্বর জ্বর ভাব হওয়াকে ধরা হয়।

ক্লান্তি অনুভব

আপনার যদি অতিরিক্ত পরিমাণ ক্লান্তি ভাব অনুভব হয় এবং সেটা যদি যথেষ্ট বিশ্রামের পরেও সেরে না যায় তাহলে সেটা ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। এবং ক্যান্সার বাড়ার সাথে সাথে এ লক্ষণগুলো আরো বেশি হয়ে প্রকাশ পায়। বিশেষ করে লিউকোমিয়ার মত ক্যান্সারের ক্ষেত্রে প্রথম দিকে ক্লান্তি ভাব বেশি অনুভব হয়। এছাড়াও করুন বা মলা চাই ও পাকস্থলীর ক্যান্সারের ক্ষেত্রে রক্তপাত হওয়ার পর ক্লান্তি ভাব আছে তবে সবার ক্ষেত্রে একই লক্ষণ প্রকাশ পায় না।

ত্বকের পরিবর্তন

ত্বকের ক্যান্সার ছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে তোকে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন বা আরো বিভিন্ন ক্যান্সারের কারণে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন:
চামড়ার রং বা ত্বকের রং কালো হয়ে যাওয়া যাকে হাইপার পিগমেন্টেশন বলে।
  1. শরীরের চামড়া বা টক হলুদ ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া যেটার জন্ডিসের লক্ষণ ও হতে পারে
  2. ত্বকে বিভিন্ন ধরনের চুলকানি কিংবা ত্বক লাল হয়ে যাওয়া
  3. অতিরিক্ত পরিমাণ চুল পড়ে যাওয়া বা অতিরিক্ত পরিমাণ চুল এর বৃদ্ধ।
অন্ত্রের ক্রিয়া বা মূত্রাশয়ের কার্যক্রমের পরিবর্তন


কোষ্ঠকাঠিন্য ডায়রিয়া কিংবা আপনার মনের আকার পরিবর্তন হয়ে যাওয়া এ সকল লক্ষণ গুলো যদি আপনার দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ পায় তাহলে এগুলো মলাশয়ের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। এছাড়াও প্রস্রাবের সময় ব্যথা করা কিংবা পোস্ট অফিসের সাথে রক্তপাত হওয়া এমনকি মুদ্রা চায়ের কার্যক্রমে পরিবর্তন যেমন আগের তুলনায় বিচি পরিমাণ প্রস্রাব বা কম পরিমাণ প্রস্রাব হওয়া আপনার 
মূত্রাশয় বা প্রোস্টেট ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

যে ক্ষত ভালো হয়না

যদি আপনার শরীরে আঁচিল থেকে থাকে এবং সেটি যদি বড় হয় এবং ব্যথা হয় সাথে তার থেকে রক্তপাত হয় তাহলে সেটি ত্বকের বা চামড়ার ক্যান্সারের কারণ বা লক্ষণ হতে পারে এছাড়াও আপনার শরীরে যদি কোন ক্ষত থেকে তাকে বা ক্ষত সৃষ্টি হওয়ার পরও ৪ সপ্তাহের মধ্যে ভালো না হয় তাহলে সেগুলো আপনার স্কিনের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। এসব লক্ষণগুলো মুখের ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও এবং জরায়ুর ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। এ সকল লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

রক্তপাত

টিউমার হওয়ার পর সিটি যদি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ক্যান্সারের রূপ ধারণ করে তাহলে আপনার অস্বাভাবিক হারে রক্তপাত হতে পারে। যেমন:

১/কাশির সাথে যদি আপনার হঠাৎ করে রক্ত বের হয় কিংবা রক্তপাত হয়ে থাকে তাহলে সেটি আপনার ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

২/মলত্যাগের সময় আপনার মলের সাথে যদি রক্ত বের হয় কিংবা রক্তপাত হয়ে থাকে তবে সেটা আপনার মল আশায় বা মলদ্বারে ক্যান্সারের কারণ বা লক্ষণ প্রকাশ করতে পারে।

৩/এন্ডোমেট্রিয়াম বা জরায়ুর আবরণে সার্ভিকাল ক্যান্সারের কারণে যোনিপথে অস্বাভাবিক হারে রক্তপাত দেখা দিতে পারে যেটা ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পায়।

৪/প্রস্রাব করার সময় প্রস্রাবের সাথে রক্তপাত কিংবা রক্ত বের হলে সেটা মূত্রাশয় বা কিডনির ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশ করতে পারে।

শরীরে যেকোনো স্থান শক্ত হয়ে যাওয়া

এমন অনেক ক্যান্সার রয়েছে যেগুলোর লক্ষণ সাধারণত ত্বকের ওপরে প্রকাশ পায় যেমন স্তন ,অন্ডকোষ, গ্রন্থি বা শরীরের নরম অংশ গুলো তে এ ধরনের ক্যান্সার হয়ে থাকে। এর কারণে শরীরের কোন একটি অংশে মাংস জমে যাওয়া বা শক্ত ভাব অনুভূত হয় যেটা ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।

গিলতে অসুবিধা হওয়া

বদহজমের সমস্যা হওয়া কিংবা খাবার গিলতে গেলে ব্যথা অনুভব করা এটা ইসোফ্যাগাস বা পাকস্থলী ও গলার ক্যান্সারের অন্যতম একটি প্রধান লক্ষণ।

একটানা দীর্ঘদিন কাশি বা কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন

হঠাৎ করে যদি আপনার কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয়ে যায় কিংবা তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে যদি আপনার কাশি থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত কেননা এগুলো ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

এছাড়াও আরো যে সকল লক্ষণগুলো ক্যান্সারের কারণ হতে পারে সেগুলো নিচে দেয়া হল।
  1. হাঁচি বা কাশির সঙ্গে মুখও নাক দিয়ে রক্তপাত
  2. মেনোপজ হওয়ার পরেও হঠাৎ করে ব্লিডিং শুরু হওয়া
  3. ত্বকে অবস্থিত বিভিন্ন ধরনের আঁচিল বা তিলের আকার বা রং বদলে যাওয়া
  4. স্তন বৃদ্ধ থেকে রক্তপাত বা দুগ্ধ নিঃসরণ
  5. মাথা ঝিমঝিম মাথা ঘুরা বা সামগ্রিক শরীরে দুর্বলতা অনুভব করা
  6. একটানা কাশি এবং কোন এন্টিবায়োটিক কাজ না করা
  7. ত্বকের উপর কালচে দাগ পড়া এবং কোন ব্যাথা অনুভব না হয়
এরকম ধরনের যদি কোন অস্বাভাবিক লক্ষণ যদি আপনার শরীরে প্রকাশ পায় তাহলে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।এই আর্টিকেলটিতে যে সকল লক্ষণ গুলো দেওয়া হয়েছে বা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে সেগুলো হলেই যে ক্যান্সার বা টিউমারের লক্ষণ প্রকাশ পায় এমনটি কিন্তু নয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক সকল নিয়মকানুন মেনে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে শিওর হয়ে নিতে হবে। এগুলো শুধু ক্যান্সারের লক্ষণ হওয়ার প্রাথমিক ধাপ।

জরায়ুতে টিউমার

বর্তমানে নারী গঠিত বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির কারণে নারীদের জরায়ুতে টিউমারের আধিক্য দিন দিন বাড়ছে। আগে নারীদের জরায়ুতে দুটি মনের কথা খুব একটা সোনা না গেলে এখন নারীরা জরায়ুতে টিউমারের রোগে ভুগছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে নারীদের ডিম্বাশয়ের সংবেদনশীল হরমোন ইস্ট্রোজেনের কারণে জরায়ুর মসৃণ অংশের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির লক্ষণ প্রকাশ পায় যেটাকে টিউমার বা ফাইব্রয়েড বলা হয়।

নারীদের শরীরেরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সাধারণত জরায়ুর টিউমার বা ফাইব্রয়েডের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় ইস্ট্রোজেনের মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। সে সময়ে জরায়ুর টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। আবার মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে এ সময় জরায়ুর টিউমার এর লক্ষণ গুলো খুব একটা দেখা যায় না।

কিন্তু আপনার যে জরায়ুতে টিউমার হয়েছে বা ফাইব্রয়েড হয়েছে তার কিভাবে বুঝবেন? তার জন্য তো জরায়ুর টিউমারের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক জরায়ুর টিউমারের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে।

১/সাধারণ ক্ষেত্রে একজন নারীর পিরিয়ড ৫ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয় কিন্তু এই পিরিয়ডের সময় যদি ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং যদি রক্তপাতের পরিমাণ বেড়ে যায় এছাড়াও যদি চাকা চাকা হয়ে রক্তপাত হয় সেক্ষেত্রে আপনার জরায়ুতে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

২/পিরিয়ডের সময় যদি আপনার মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় এবং রক্তক্ষরণের সময় যদি প্রচুর পরিমাণ ব্যথা অনুভব হয় তাহলে আপনার জরায়ু টিউমারের সম্ভাবনা থাকতে পারে।

৩/যাদের জড়াইতে টিউমার হয় তাদের ফেলোপিয়ান বন্ধ হয়ে যায় যার কারণে গর্ভধারণে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে এবং গর্ভপাতের কারণও হতে পারে।


৪/যদি আপনার জরায়ুতে টিউমার থেকে থাকে তাহলে আপনার ঘন ঘন প্রস্রাব এর চাপ আসবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা টিউমারের কারণে মূত্রথলিতে অধিক পরিমাণ চাপ সৃষ্টি হয় যার কারণে ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ দেখা দেয়।

৫/যাদের জরায়ুতে টিউমারের আকার অনেকটা বৃদ্ধি পায় তাদের ক্ষেত্রে তলপেট অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যাওয়া কিংবা কোমর ও পিঠে ব্যথার লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

৬/অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে আপনার রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া সৃষ্টি হতে পারে এবং শারীরিক দুর্বলতা গুলোর মধ্যে ঝিমুনি, হাঁটাচলা কিংবা শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

৭/ভ্যাজাইনা বা যোনিপথে কিংবা জরায়ু মুখে টিউমার হওয়ার ফলে মিলনের সময় অস্বস্তিকর বা প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হয়।

ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায়

স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ের প্রথম ধাপ হচ্ছে ব্রেস্ট টিউমার বা স্তন টিউমার। অন্যান্য সকল দেশের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশে স্তন বা ব্রেস্ট টিউমারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে প্রাথমিক অবস্থায় সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ না করা। যার ফলে প্রথম অবস্থায় ব্রেস্ট টিউমার পরবর্তী সময় গিয়ে স্তন ক্যান্সার বা ব্রেস্ট ক্যান্সারের রূপান্তরিত হয়।

ব্রেস্ট টিউমার কি

মানবদেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মতোই স্তনের বৃদ্ধি বা ব্রেস্টের বৃদ্ধি স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এই বৃদ্ধি যখন অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায় কিংবা কোষ গুলো যখন অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বিভাজিত হয় তখন সেটা এক পর্যায়ে মাংসের পিণ্ড বা চাকায় পরিণত হয় যেটা ব্রেস্ট ক্যান্সারের রূপান্তরিত হয়।

প্রাথমিক লক্ষণ

১/ভেস্ট টিউমারের সবচেয়ে প্রথম স্তরের লক্ষণ হচ্ছে বা প্রাথমিক লক্ষণ হচ্ছে শক্ত পিন্ডের মতো অনুভূত হওয়া। সাধারণত এক্ষেত্রে রোগী ব্রেস্টে বা স্থান এক ধরনের অস্বাভাবিক শক্ত অবস্থা অনুভব করে থাকে।

২/ব্রেস্টের বোঁটায় বা স্তনের বোঁটায় অস্বাভাবিকতা দেখা দেই যেমন বোঁটায় কালো হয়ে যাওয়া কিংবা ভেতরে ঢুকে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৩/ব্রেস্টের নির্দিষ্ট স্থানের চামড়ার রং পরিবর্তন হওয়া কিংবা চামড়ায় চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দেওয়া।

৪/মাসিকের সময় ব্রেস্টে বা স্তনে অতিরিক্ত ব্যথা কিংবা কোমলতা অনুভব হতে পারে। তবে সেটা যদি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৫/এছাড়া ব্রেস্ট টিউমারের প্রথম পর্যায়ে স্তনের ত্বকের ওপর বিভিন্ন ধরনের শিরা দৃশ্যমান হয় যেগুলো ব্রেস্ট টিউমার কিংবা ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

ব্রেস্ট টিউমার লক্ষণ

এর আগের ধাপটিতে আমরা ব্রেস্ট টিউমার চেনার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানলাম। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা ব্রেস্ট টিউমারের আরো কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জানবো তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

১/আপনি যদি সন্তানকে স্তন্যপান না করান এবং তারপরও যদি স্তনবৃন্ত থেকে অস্বাভাবিকভাবে স্রাব বা তরল নিঃসরণ হয় সেটাও স্তন বা ব্রেস্ট ক্যান্সার বা টিউমারের লক্ষণ হতে পারে।

২/কোন কারন ছাড়াই আপনার স্তন বা ব্রেস্টের ত্বকে যদি লালচে ভাব দেখা দিয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত কেন না এটা ব্রেস্ট টিউমারের কারণ হতে পারে।

৩/আপনার স্তনের বা ব্রেস্টের ত্বকে যদি কোন ধরনের গর্ত ভাব দেখা দেই তাহলে সেটা আপনার ব্রেস্টের টিউমারের বা ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।

৪/যদি ব্রেস্টের টিউমার ভেতরে বড় হতে থাকে তাহলে আপনার স্তন বৃন্ত বা ব্রেস্টের বোঁটা ভেতরের দিকে ঢুকে যেতে পারে।

৫/আবার অনেকের ক্ষেত্রে ব্রেস্টের টিউমার বা ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে বগলে কিংবা এর আশপাশে ছোট আকারের টিউমার দেখা দেয়। এগুলোকে কেউ ছোট করে নেবেন না এগুলো আপনার ব্রেস্ট ক্যান্সারের বা টিউমারের প্রধান কারণ হতে পারে।

৬/এছাড়াও ব্রেস্ট টিউমার বা ক্যান্সারের ক্ষেত্রে আরো যে সকল লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় তা হচ্ছে স্তন ব্যথা করা, স্তনের বোঁটায় ঘা দেখা দেওয়া এছাড়াও অধিক পরিমাণ চুলকানি হতে পারে।

লেখক এর মন্তব্য

উপরের যেকোনো একটি বা দুটি লক্ষণ দেখা দিলেই যে সেগুলো আপনার টিউমার কিংবা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে এমনটা কিন্তু নয়। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ কিংবা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে নেবেন। এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে যদি আপনার কোন উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করবেন।

এই পোস্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে বা পরামর্শ থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করতে পারেন। এরকম আরো শিক্ষণীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে এবং পড়তে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। সকলেই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪