কাঁচা আমলকি খাওয়ার সকল উপকারিতা সমূহ
প্রিয় পাঠক আপনি কি প্রতিদিন কাঁচা আমলকি খেয়ে থাকেন। কিংবা কাঁচা আমলকি খাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন। আপনি কি জানতে আগ্রহী কাঁচ আমলকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। তাহলে আজকের এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। এই পোস্টটিতে আমরা আমলকি খাওয়ার সকল উপকারিতা নিয়ম অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে তুলে ধরব।
এছাড়াও এই আর্টিকেলটি তে থাকছে প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো এবং রাতে আমলকি খেলে এর কি কি প্রভাব বা উপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকতে আজকের এই পোস্টটিতে।
তাই আপনি যদি আমলকি খাওয়ার উপকারিতা খাওয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার জন্য ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন তাহলে এ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনার আমলকি খাওয়ার সকল নিয়ম-কানুন উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে একটি বিস্তারিত ধারণা হয়ে যাবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃকাঁচা আমলকি খাওয়ার সকল উপকারিতা সমূহ
ভূমিকা
আমলকিতে রয়েছে হাজারও পুষ্টিগুণ। যা আমাদের ত্বকের সুরক্ষার পাশাপাশি শারীরিক বিভিন্ন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে থাকে। বিজ্ঞানীদের মতে একটি কমলার চেয়েও অনেক বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি রেজের ছোট আকারের একটি আমলকিতে। এমনকি ডালিমের চেয়ে ১৭ গুণ বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে আমলকির মধ্যে।
হাজারো পুষ্টিগুণে ভরপুর আমলকি আমাদের ত্বকের সুরক্ষার পাশাপাশি হজম শক্তি বাড়ানো থেকে শুরু করে গ্যাস্ট্রিকের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা মতে ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও আমলকির কার্যকারিতা রয়েছে।
আজকে এ আর্টিকেলটিতে আমলকির সকল বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। যেগুলো আপনার জানার মাধ্যমে বিভিন্ন উপকারে আসবে। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।
কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়ার পাশাপাশি আমাদের সবুজ শাকসবজি এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ ফলমূল খেতে হবে। সে সব ফলের মধ্যে অন্যতম একটি ফল হলো আমলকি।
এর মধ্যে রয়েছে হাজারো গুনাগুন যেগুলো আমাদের ত্বকের সুরক্ষার পাশাপাশি আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য শক্তি প্রদান করে। আর্টিকেলটির এ অংশে আমরা কাঁচা আমলকি খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানব।
ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে
কাঁচা আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যার শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আমাদের শরীরের উৎপন্ন হওয়া ফ্রি রেডিক্যাল গুলোর সাথে লড়াই করে ফ্রী রেডিক্যাল থেকে সৃষ্টি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। এছাড়াও কাঁচা আমলকি খাওয়ার ফলে আমাদের ত্বকের সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং সকাল বার্ধক্য প্রতিরোধে কাঁচা আমলকির ভূমিকা অতুলনীয়।
কোলাজেন উৎপাদন করে
কাঁচা আমলকির মধ্যে থাকা ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন উপাদান কোলাজেন এর মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। কোলাজেন আমাদের ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ও দৃঢ়তা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। প্রতিদিন কাঁচা আমলকি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে কোলাজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে এবং আমাদের ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল হয়।
পিগমেন্টেশন ও দাগ কমায়
কাঁচা আমলকি খাওয়ার আরও একটি উপকারিতা হল পিগমেন্টেশন ও দাগ কমায়। আমলকির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান গুলো আমাদের ত্বকের পিগমেন্টেশন,কালো দাগ এবং অন্য যেকোনো ধরনের দাগ কমাতে সাহায্য করে এবং আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা আরো বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
সূর্য থেকে রক্ষা করে
কাঁচা আমলকির মধ্যে থাকা ভিটামিন সি সুর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি বা আল্ট্রাভায়োলেট রে থেকে আমাদের ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে একাধিক স্তর তৈরি করে। যদিও এটি সানস্ক্রিমের কোন বিকল্প নয় তবুও এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আমাদের ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে হওয়া ক্ষত থেকে বাঁচাতে ভালো কাজ করে।
আদ্রতা বজায় রাখে
আমাদের শরীরকে হাইড্রেট রাখতে প্রতিদিন প্রয়োজন পরিমাণ ভিটামিন এবং পানি খাওয়া প্রয়োজন। কাঁচা আমলকিতে অবস্থিত পানিতে দ্রবণ ও ভিটামিন ও খনিজ গুলো আমাদের ত্বককে ভেতর থেকে হাইড্রেট এবং আদ্র রাখতে সাহায্য করে। যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী।
প্রদাহ কমায়
আমলকির মধ্যে রয়েছে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য। যা আমাদের ত্বকের সৃষ্টি জ্বালাপোড়া কমাতে এবং স্ফীত ত্বককে প্রচলিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত কাঁচা আমলকি খেলে এর ভালো উপকারিতা পাওয়া যাবে।
এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য
কাঁচা আমলকির মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান গুলো আমাদের ত্বকে ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া গুলো ধ্বংস করতে এবং এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং আমাদের ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার ও দাগ মুক্ত রাখতে এর ভালো উপকারিতা রয়েছে।
ডিসক্সিফিকেশন
আমলকির মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী উপাদানগুলো ডিসক্সিফিকেশনে সাহায্য করে থাকে। এর মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে ক্ষতি কর টক্সিন পদার্থগুলো বের করে আমাদের ত্বককে স্বচ্ছ এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে এর উপকারিতা অতুলনীয়।
ক্ষত নিরাময়ে
আমলকির মধ্যে থাকা ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের সৃষ্টি হওয়া ক্ষত সারিয়ে তুলতে এবং টিস্যু মেরামতের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত আমলকি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় থাকবে এবং নিরাময় প্রক্রিয়া উন্নত করতে ভালো উপকারিতা পাওয়া যাবে।
উজ্জ্বল ত্বক
আমলকির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ভিটামিন ও খনিজের মিশ্রণ আমাদের ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
যেকোনো খাবার বা ফল খাওয়ার আগেই আমাদের সেই ফল খাওয়ার নিয়ম বা উপকারিতা গুলো সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত। এতে আমাদের সেই ফলের প্রতি চাহিদা কিছুটা বাড়ে এবং তার উপকারিতা গুলো আপনার শরীরে বেশি কার্যকর হয়।তেমনি আমলকি খাওয়ারও কিছু নিয়ম বা এর উপকারিতাও রয়েছে।
এই অংশে আমরা আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।আমলকি শুধু ভিটামিন সি এর ভালো উৎস তাই নয় এর সাথে রয়েছে হাজারো গুনাগুন। আমলকি কে আপনার উপকারী বন্ধু হিসেবে ধরা যেতে পারে। আমলকি আপনি কাঁচা চিবিয়ে খান কিংবা রস করে খান উভয় ভাবেই এর সকল উপকারিতা পাবেন।
আমলকি খাওয়ার নিয়ম গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে কাঁচা আমলকি ভালোভাবে পরিষ্কার করে ছোট ছোট টুকরো করার পর তা গরম পানিতে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন অথবা হালকা আছে গরম করুন এবং এই আমলকি মিশ্রিত পানি সকালে খালি পেটে পান করুন সাথে আমলকি টুকরো গুলো চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। আমলকির মধ্যে থাকা ভিটামিন সি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে দ্বিগুণ বাড়িয়ে তুলবে।
আমলকি সিদ্ধ করে খাওয়ার ফলে এর ভিটামিন সি এর পরিমাণ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে আপনারা চাইলে প্রতিদিন একটি করে আমলকি চিবিয়ে খেতে পারেন এতে এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান গুলো এবং ভিটামিন সি আপনার ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে এবং শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিক পদার্থ বের করতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও আমলকি খাওয়ার বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। যেমন আপনারা আমলকির রস সকালে খালি পেটে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। তবে খেয়াল রাখবেন এই রসের পরিমাণ যেন ১০ মিলিগ্রামের বেশি না হয়। এর পরিমাণ বেশি হলে শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তবে এর টক ও তেতো সাধের জন্য যদি আপনার আমলকির রস খেতে সমস্যা হয় কিংবা খেতে না পারেন।
সে ক্ষেত্রে আপনারা চাইলে আমলকি শরবত বানিয়েও খেতে পারেন। আশা করি এই নিয়মটি আপনারা সবাই অনুসরণ করবেন।এছাড়াও আপনারা চাইলে আমলকির আচার করেও খেতে পারেন। আমলকিকে ছোট ছোট টুকরো করে সেগুলো রোদে শুকে এর সাথে লবন এবং গোলমরিচ গুঁড়ো নিচে কাচের বয়ামে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় এবং এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে আমলকির আচার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে আসছে।
উপকারিতা
আমলকি খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। এতক্ষণ আমরা আমলকি খাওয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে আলোচনা করলাম। এখন আমরা এর বিভিন্ন উপকারিতা গুলো নিয়ে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।
সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করে
আমলকির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং আন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান যা আমাদের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজ জনিত রোগ সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সর্দি কিংবা কাশি থেকে বাঁচার জন্য প্রতিদিন 2 চামচ আমলকির গুঁড়ো সামান্য মধুর সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ৩ থেকে ৪ বার পান করলে দ্রুত স্বস্তি পাওয়া যায়। সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে আপনারা এই নিয়মটি অনুসরণ করতে পারেন।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াই
গবেষকরা প্রমাণ করেছেন যে আমলকির মধ্যে থাকা ক্যারোটিন আমাদের দৃষ্টি শক্তি উন্নত করতে এবং চোখে ছানি পড়ার সমস্যা হওয়া চোখের ফোলা ভাব দূর করতে আমলকির জুড়ি মেলা ভার। এছাড়াও চোখে লালচে ভাব চুলকানি ও চোখ দিয়ে পানি পরার মত সমস্যা দূর করতেও আমলকি ভালো কাজ করে।
ওজন কমাতে
আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা আমাদের শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমা হতে বাধা সৃষ্টি করে। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আমলকির গুঁড়ো কিংবা আমলকির রস এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে খেলে পেট ভরে যায় এবং ক্ষুধা কম লাগে যার কারণে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন বা মেদ জমা হতে পারে না।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
আমলকির মধ্যে থাকা ফাইবার এবং ট্যানিক এসিড আমাদের পাকস্থলীর কার্যক্রম বৃদ্ধি করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে যার কারণে আমাদের ওজন দ্রুত কমে আসে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আমলকির হাজার উপকারিতা গুলোর মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি একটি। আমলকির মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যাস্ট্রিনোজেন্ট বৈশিষ্ট্য আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকারক রোগ থেকে প্রতিরোধের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যেগুলো অক্সিডেটিভ ক্ষতির কারণে হয়ে থাকে।
টক্সিক পদার্থ দূর করে
আমলকির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। আমাদের শরীর যখন অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত ব্যবহার করে এবং এ রক্ত যখন শরীরে সম্পূর্ণ কোর্সগুলোতে চলাচল করে তখন এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিক্যাল গুলোকে শরীর থেকে বের করে দেয় এবং আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
চুল সুন্দর করে
আমলকির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি উপাদানগুলো চুলের গুড়া মজবুত করতে এবং চুলের ফলিকলগুলোকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। আমলকির মধ্যে থাকা পুষ্প উপাদান গুলো আমাদের মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং খুশকি দূর করে চুলকে ঝলমলে ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। আপনারা চাইলে আমলকির তেল কিনবা হেনাতে আমলা গুঁড়ো মিশিয়ে চুলের জন্য প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করলে চুল হবে উজ্জ্বল, ঝলমলে, কোমল ও শক্তিশালী।
ত্বকের যত্নে
আমলকির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি এজিং বৈশিষ্ট্য যা প্রতিদিন সকালে মধুর সাথে আমলকির রস মিশিয়ে খাওয়ার ফলে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল,দাগ হীন ও স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।
কোলেস্টেরল দূর করে
আমলকির মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তে ইনসুলিন পরিমাণ বৃদ্ধিতে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এর ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আমলকির রস পান করতে পারলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসবে।
ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়
আমলকির মধ্যে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লামেটিটি বৈশিষ্ট্য গুলো জয়েন্টে ব্যথা কিংবা আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যা দূর করতে এবং যেকোনো ধরনের প্রদাহ দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
বন্ধুরা ইতোমধ্যে আমরা আমলকি খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা গুলো সম্পর্কে অনেকটা আলোচনা করে ফেলেছি। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা আমলকি খাওয়ার আরো কিছু উপকারিতা গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব এবং সেই সাথে সাথে এর কি কি অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক রয়েছে সে সম্পর্কেও আলোচনা থাকছে আর্টিকেলটির এই অংশে।
উপকারিতা
১/হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে এবং হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা বাড়াতে আমলকি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আমলকির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা আমাদের হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে এবং অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত হৃৎপিণ্ডে সঠিকভাবে পৌঁছেতে সাহায্য করে। নিয়মিত আমলকি কিংবা আমলকির রস খেলে স্ট্রোকেন বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসে।
২/ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে এবং রক্তে প্রাকৃতিকভাবে ইনসুলিন এর মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
৩/ফুসফুস সংক্রান্ত রোগ যেমন অ্যাজমা কিংবা হাঁপানি রোগ সারিয়ে তুলতে আমলকির কার্যকারিতা অতুলনীয়।
৪/শরীরকে ঠান্ডা রাখতে বমি বমি ভাব দূর করতে আমলকির রস প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার পান করলে ভালো ও দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়।
৫/দাঁতে ব্যথা কিংবা ক্যাভিটির সমস্যা হলে আমলকির রসের সাথে সামান্য পরিমাণ কর্পূর মিশিয়ে দাঁতে ব্যথা কিংবা মারিতে ব্যথা থেকে দ্রুত উপশম পাওয়া যায়।
৬/আমলকির মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের লিভারকে সুস্থ রাখতে এবং লিভার থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। তাই লিভার কে সুরক্ষিত রাখতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আমলকি জুস পান করা যেতে পারে।
৭/যাদের খাবারে অরুচি কিংবা পেটে খিদে থাকার সত্বেও খাবার খেতে ইচ্ছে করেনা তারা চাইলে প্রতিদিন আমলকির জুস খালি পেটে খেতে পারে এতে অরুচি ভাব দূর হয়ে যাবে।
৮/শরীরকে সতেজ রাখতে এবং সারা দিনের ক্লান্তি ভাব দূর করতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আমলকির জুস খেলে ভালো উপকারিতা পাওয়া যায়।
৯/আমলকির মধ্যে থাকা পলিফেনল আমাদের শরীরে ক্যান্সারের কোষ গুলোকে বাসা বাঁধবে এবং ক্যান্সার প্রতিহত করতে সাহায্য করে।
১০/আমলকির মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের মুখের আলসার এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অপকারিতা
এতক্ষণ আমরা আমলকি খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি আপনারা আমলকি খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি এই অংশে আমরা আমলকি খাওয়ার বিভিন্ন অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।
অ্যাসিডিটি
আমলকি আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করলেও অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার ফলে আমাদের পেটে এসিডিটি কিংবা গ্যাসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া
অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার ফলে আমাদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
ফাইবার যেমন আমাদের হজম শক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে তেমনি পাকস্থলীতে অতিরিক্ত পরিমাণ ফাইবার জমা হলে তা কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। যা আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
উচ্চ রক্তচাপ
আমলকি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অপকারিতা ক্ষতিকর দিক প্রকাশ পায়। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় যারা রয়েছেন তাদের আমলকি না খাওয়াই ভালো।
কিডনির সমস্যা
আমাদের শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনির কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় বা কিডনি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। যারা অতিরিক্ত পরিমাণ আমলকি খেয়ে থাকেন কিংবা যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে আমলকি খাওয়া উচিত নয়। কেননা আমলকি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যার কারণে আমাদের বিভিন্ন অপকারিতা কিংবা ক্ষতিকর দিক প্রকাশ পায়।
গর্ভাবস্থায়
অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার ফলে আমাদের পেটে এসিডিটি কিংবা পেট ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়। তাই যে সকল মায়েরা গর্ভধারণ করেছেন তাদের গর্ভকালীন বিভিন্ন সমস্যা এড়িয়ে চলার জন্য আমলকি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
ওজন বেড়ে যায়
আমলকি আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ভালো ভূমিকা রাখে। তবে এর অতিরিক্ত ব্যবহার আপনার ওজন হুট করে অত্যাধিক পরিমাণে বাড়িয়ে তুলতে পারে যা আপনার স্বাস্থ্য হানির কারণ হতে পারে।
সার্জারি হলে
যে সকল রোগীদের সার্জারি কিংবা অস্ত্র পাচার হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা আমলকি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
চুলের ত্বকের ক্ষতি হয়
আমাদের চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আমলকির তেল কিনবাংলোকের পাতা যেমন উপকারী তেমনি অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে আমাদের মাথায় চুলকানি, জ্বালাপোড়া কিংবা খুশকির মত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
এলার্জি
কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে দেখা গেছে অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার ফলে এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এছাড়া অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার ফলে মাথা ব্যথা মাথা ঘোরা কিংবা ডায়রিয়ার মত সমস্যাগুলো প্রকাশ পেতে পারে। তাই অবশ্যই আমাদের সচেতনতার সাথে নিয়ম মেনে খেতে হবে।
আমলকির ক্ষতিকর দিক
এর আগের অংশে আমরা আমলকি খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা ও কিছু অপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা আমলকি খাওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে পারব।
১/যাদের ডিহাইড্রেশনের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে আমলকি খাওয়া নিষিদ্ধ। অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার ফলে আপনার শরীর শুকিয়ে যাওয়া কিংবা ডিহাইড্রোজেনের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। আমলকি তে ঢাকা পোস্টে উপাদানগুলো আমাদের শরীরকে হাইড্রেট রাখতে যেমন সাহায্য করে তেমনি এর কিছু ক্ষতিকারক উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তাই এ সময় বেশি বেশি জল পান করা উচিত।
২/আমলকির কিছু ক্ষতিকারক উপাদান আমাদের হার্টের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই আমলকি খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
৩/আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমলকির যেমন ভূমিকা রয়েছে তেমনি অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা কমে আসে যার কারনে আমাদের সর্দি-কাশি কিংবা জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
৪/যাদের ব্লাড ডিসঅর্ডার কিংবা রক্ত জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য আমলকি মারাত্মক ক্ষতির কারণ। আমলকির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকার কারণে এটি আমাদের রক্ত জমাট বাজাতে সাহায্য করে এবং হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতেও ভালো কার্যকারিতা রয়েছে। কিন্তু যাদের আগে থেকেই কোন রক্ত জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
৫/এটি রক্তে ইনসুলিন এর মাত্রা কে কমাতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় আমলকি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার লুজ সুগার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৬/উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আমলকি খাওয়া বেশ উপকারী। তবে যারা অতিরিক্ত পরিমাণ আমলকি খেয়ে থাকেন তাদের রক্তচাপের মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে যার কারণে স্ট্রোক কিংবা হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা আমলকি খাওয়া থেকে দূরে থাকুন।
৭/আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যাসিড যা আমাদের দাঁতের এনামেলকে ক্ষয় করতে এবং দাঁতের গঠন নষ্ট করতে পারে। যার কারণে ক্যাভিটি কিংবা টুথ সেনসিটিভিটির মত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই অবশ্যই কাঁচা আমলকি অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া থেকে দূরে রাখুন এবং নিয়মিত অল্প পরিমাণে করে খাওয়ার পর অবশ্যই মুখ ধুয়ে ফেলে দিবেন। এতে এর অম্ল ভাব দূর হয়ে যাবে।
৮/আমলকির মধ্যে রয়েছে এন্টি প্লেটলেট বৈশিষ্ট্য যা আমাদের রক্তকে পাতলা করতে এবং রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা দূর করতে সাহায্য করে। কিন্তু যাদের রক্ত পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে আমলকি খাওয়ার ফলে রক্ত অতিরিক্ত পরিমাণ পাতলা হয়ে যেতে পারে যার কারণে অল্প ক্ষততেই অধিক পরিমাণ রক্তক্ষরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত
আমলকি খাওয়ার ক্ষেত্রে কিংবা বিভিন্ন ফল বা শাকসবজি খাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন জাগ্রত হয়। যেমন প্রতিদিন কয়টা খাওয়া যাবে বা কি পরিমাণ খেতে পারব। খাবার ফলে কোন ক্ষতি হবে কিনা। তেমনি আমলকির খাওয়ার ক্ষেত্রেও এরকম প্রশ্ন এসে থাকে। আপনার মনে যদি প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত এ প্রশ্ন এসে থাকে তাহলে আপনি সঠিক আর্টিকেলটিতে রয়েছেন।
আমলকির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুনাগুন। যেগুলো আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের সাথে মোকাবেলা করার জন্য আমাদের ইউনিয়ন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে থাকে। এর উপকারিতা রয়েছে তাই বলে কি আপনার ইচ্ছামত আপনি এটি খেতে পারবেন। কখনোই না। দৈনন্দিন পর্যাপ্ত পরিমাণ আমলকি খেলে আপনি এর সকল উপকারিতা গুলো পাবেন। তা না হলে আপনাকে হতে হবে বিভিন্ন রোগের শিকার।
বিশেষজ্ঞদের মতে একজন সুস্থ ব্যক্তির প্রতি দিন ২ থেকে ৩ টি আমলকি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। তবে অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়ার ফলে আপনার স্বাস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন প্রতিদিন অন্তত ২ টি করে আমলকি খেলে ভালো উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে তারা সতর্কবার্তাও দিয়েছেন এক দিনে ৩ টির বেশি আমলকি খাওয়া যাবেনা। এ বিষয়ে খেয়াল রেখে সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো মাথায় রেখে এবং ক্ষতিকর দিকগুলো স্মরণে রেখে আমলকি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
রাতে আমলকি খেলে কি হয়
এতক্ষণ আমরা বিভিন্ন সময় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা গুলো এবং এর ক্ষতিকর বা অপকারিতা দিকগুলো সম্পর্কে জানলাম। আর্টিকেলটির এই অংশ আমরা জানব প্রতিদিন রাতে আমলকি খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায় কিংবা প্রতিদিন রাতে আমলকি খেলে কি হয়। প্রতিদিন রাতের বেলা দুই থেকে তিনটি শুকনো আমলকি একত্রে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা খালি পেটে ছেকে সেই আমলকি দিয়ে শরবত বানিয়ে এবং আমলকি ভেজানো পানি পান করলে লিভার ও জন্ডিস এর মত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
রাতের বেলা আমলকি খেলে কি হয়
- স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
- রাতের বেলা আমলকি খেলে বমি বমি ভাব দূর হয়
- দীর্ঘমেয়াদি কাশি ও সর্দি থেকে বাঁচতে রাতের বেলা আমলকি খাওয়া উচিত
- হৃদ যন্ত্র ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে রাতে আমলকি খাওয়া যেতে পারে।
- দাঁত,চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রাতে আমলকি খাওয়া যাবে
- মুখের রুচি ফিরিয়ে আনতে রাতের বেলা আমলকি খেলে ভালো উপকারিতা পাওয়া যায়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, রক্তশূন্যতা দূর করতে রাতে আমলকি খেতে পারেন।
- বহুমূত্র রোগের সমস্যা থাকলে রাতে আমলকি খেলে সেরে যায়।
- চোখ উঠলে রাতের বেলা আমলকি খেলে দ্রুত সেরে যায়।
- অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করতে রাতে আমলকি খাওয়া যাবে
- চুলের খুশকি দূর করতে আমলকি ভাল কাজ দেয়
- উচ্চ রক্তচাপ ও পেপটিক আলসারের মতো সমস্যা প্রতিরোধে রাতে আমলকি খেতে পারেন।
এ সকল উপকারিতা গুলো আপনি রাতে আমলকি খাওয়ার ফলে পেয়ে থাকবেন। তবে অবশ্যই রাতে আমলকি খাওয়ার ক্ষেত্রে আমলকি খাওয়ার নিয়ম এবং পরিমাণ বুঝে খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে আপনার উপকারিতা ছাড়া ক্ষতি হবে না। এবং অতিরিক্ত খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
লেখক এর মন্তব্যঃকাঁচা আমলকি খাওয়ার সকল উপকারিতা সমূহ
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি সম্পর্কে যদি আপনার কোন মতামত বা মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করতে পারেন। আর্টিকেলটি পড়ার পর যদি আপনার কোন উপকার এসে থাকে তাহলে অবশ্যই অন্যদের মাঝে শেয়ার করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করবেন। সকলে ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url