হঠাৎ শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানুন
আপনার কি শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে? নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। হঠাৎ করে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। আপনি কি শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। শ্বাসকষ্ট বর্তমান সময়ের সাধারণ একটি রোগ। যেটি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। আমরা বিভিন্ন সময় শুনে থাকবো শ্বাসকষ্টের কারণে অনেক রোগী মারা যায়। আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। এছাড়াও আমরা জানবো শ্বাসকষ্ট হলে কোন ওষুধ বা কি ওষুধ খেতে হবে।
শ্বাসকষ্ট চিরতরে মুক্তির জন্য কি খেলে ভালো হবে এবং আমরা আরো জানবো হঠাৎ নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার কারণ সম্পর্কে। আপনি কিংবা আপনার পরিচিত কেউ যদি শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার সমস্যায় ভুগে থাকে তাহলে অবশ্যই এ আর্টিকেলটি তাদের মাঝে শেয়ার করে দেবেন এতে তাদের অনেক উপকার হবে। আর আপনার যদি শ্বাসকষ্ট কিংবা এডমার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। এ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার মাধ্যমে আশা করি আপনি আপনার শ্বাসকষ্ট বা এজমা রোগ থেকে খুব দ্রুত সুস্থতা লাভ করবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ হঠাৎ শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানুন
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে শ্বাসকষ্ট কিংবা এজমা একটি সাধারণ রোগ হলেও যাদের শ্বাসকষ্ট কিংবা অ্যাজমা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এটি অস্বস্তিকর এবং বিরক্তি করে একটি অবস্থার সৃষ্টি করে। প্রতিবছর এ রোগটি গুরুতর অসুখে পরিণত হচ্ছে। যাদের এই সমস্যা রয়েছে শুধুমাত্র তারাই বোঝে এটা কতটা অস্বস্তি এবং বিরক্তিকর। শ্বাসকষ্ট বা এজমার লক্ষণগুলো বিভিন্ন সময় প্রকাশ পায়। ফুসফুসের মধ্যে শ্লেষ্মার উপস্থিতির কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও শ্বাসকষ্টের লক্ষণগুলো প্রকাশের আরো বিভিন্ন কারণ রয়েছে। বিশেষ করে শীতের সময় শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা রোগীদের বেশি কষ্ট হয়। প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে এ সময় শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার লক্ষণ গুলো বেশি প্রকাশ পায়। ঔষুধের পাশাপাশি চিকিৎসকগণ শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা রোগীদের কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলার নির্দেশ প্রদান করেছেন। যে নিয়মগুলো অনুসরণ করলে ঘরে বসেই শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা রোগীরা নিজেদের অসুখের চিকিৎসা করতে পারবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কি সেই উপায়গুলো।
শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায়
শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা থেকে বাঁচার জন্য চিকিৎসকরা রোগীদের যে সকল পরামর্শ দিয়ে থাকেন এবং যে সকল নিয়ম-কানুন গুলো ফলো করতে বলেন সে সকল নিয়ম-কানুন গুলো আর্টিকেলটির এই অংশে বর্ণনা করা হবে। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরুতে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
ইনহেলার বন্ধ না করা
অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির প্রধান উপায় হচ্ছে ইনহেলার ব্যবহার করা। অনেকেই ইনহেলার ব্যবহার করতে চায় না বা অনেকে ভয় পায়। ইনহেলার ব্যবহার করার ফলে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট কিংবা অ্যাজমা দেখা দিলে সেক্ষেত্রে আপনি ইনহেলার গ্রহণ করলে তা সরাসরি ফুসফুসে গিয়ে কাজ করতে পারে।
কিন্তু আপনি যদি ইনহেলারের পরিবর্তে খাওয়ার ওষুধ খান সেক্ষেত্রে তা দ্রুত কাজ করতে পারে না। যার কারণে ডাক্তাররা খাবার ওষুধের পরিবর্তে ইনহেলার এর সাজেশন দিয়ে থাকে। আপনাকে যদি কোন ডাক্তার ইনহেলার প্রেসক্রাইব করে থাকেন তাহলে সেটি ব্যবহার করুন। এটা আপনার হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার লক্ষণ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে। আপনাকে সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপনে সহায়তা করবেন।
প্রচন্ড ঠান্ডায় এক্সারসাইজ না করা
যেহেতু শীতের সময় প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে শ্বাসকষ্টের বা অ্যাজমার লক্ষণ গুলো বেশি প্রকাশ পায় তাই চিকিৎসক গুণ শীতের সকালে এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম করার থেকে বিরত থাকতে বলেন। কারণ শীতের সময় আবহাওয়া অতিরিক্ত ধুলাবালি থাকার কারণে এবং প্রচন্ড ঠান্ডা হওয়ায় অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই এ সময় বিশেষ সতর্কতা পালন করতে হয়। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে এতে আপনার প্রাণহানি ঘটতে পারে। তাই চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন শীতের সময় এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকতে।
ধুলোবালি এড়িয়ে চলো
যেহেতু শ্বাসকষ্ট বা এজমা ফুসফুসের রোগ এবং নিশাচের সময় আমাদের নাক দিয়ে যদি অতিরিক্ত পরিমাণ ধুলাবালি ফুসফুসে প্রবেশ করে তাহলে সেটা শ্বাসকষ্টের বা অ্যাজমার অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। ধোয়া ধুলাবালি সৃষ্টি হয় এমন জায়গা থেকে দূরে থাকুন প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করুন অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোনোর দরকার নেই। এছাড়াও বিভিন্ন কোলহল পূর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলুন এতে সেখানে বেশি ধুলোবালি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে যেটা আপনার শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং আপনার প্রাণহানির কারণও হতে পারে।
নিয়মিত টিকা দিন
শ্বাসকষ্ট বা এজমার রোগীদের ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জার মত রোগগুলো বেশি বাসা বেধে থাকে। তাই আপনার ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিন। এতে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত ফুসফুসের রোগগুলো থেকে দূরে থাকবেন এবং সুস্থ ও সুন্দরভাবে চলাচল করতে পারবেন।
ব্যথার ওষুধ নিয়ে সতর্ক হোন
যেকোনো ধরনের ব্যথার ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কেননা এই পেইন কিলার বা ব্যথার ওষুধ এর বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যা এজমা বা হাঁপানি রোগীদের অ্যাটাক হওয়ার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে যাদের শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে তারা যেকোনো ধরনের ব্যথার ট্যাবলেট গ্রহণ করার পূর্বে অবশ্যই নিজ নিজ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়া
হঠাৎ করে যদি আপনার প্রচুর পরিমাণ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং নাক দিয়ে শ্বাস নিতে যদি আপনার প্রচুর কষ্ট হয় সেক্ষেত্রে আপনি মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস গ্রহণ করতে পারেন। এতে করে আপনার নিঃশ্বাস ধীর হবে এবং আপনাকে আরাম দিতে সাহায্য করবে। যেভাবে নিবেন
১/পিঠ সোজা রেখে স্থির হয়ে আরামদায় কোন স্থানে বসুন। এক্ষেত্রে আপনি চেয়ার কিংবা মেঝেতে বুঝতে পারেন।
২/ধীরে ধীরে নাক দিয়ে ৪ থেকে ৫ সেকেন্ড নিঃশ্বাস নিন এবং ফুসফুসের পরিবর্তে আপনার পেট বাতাস দিয়ে পূর্ণ করুন।
৩/আপনার নিঃশ্বাস মুখ দিয়ে ৪ থেকে ৬ সেকেন্ড ধরে ফেলুন।
৪/এই প্রক্রিয়া ১০ থেকে ২০ বার পর্যন্ত করতে থাকুন।
ভাপ নেওয়া
শীতের সময় ঠান্ডার কারণে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। এটা সাধারণত ফুসফুসের শ্লেষ্মার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে হয়। এ সময় শ্লেষ্মা দূর করতে এবং শ্বাসনালীর পরিষ্কার করতে গরম পানির ভাব আপনাকে সাহায্য করবে এবং দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়।
ফ্যানের কাছাকাছি বসুন
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে শীতল বাতাস শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করতে এবং মুক্তি দিতে সহায়তা করে। এজন্য হঠাৎ করে যদি আপনার চান্স নিতে কষ্ট হয় বা অস্বস্তি বোধ হয় তাহলে কোন ফ্যানের স্থানে বসুন এবং ফ্যানের বাতাসের শক্তি অনুভব করুন এতে আপনার শ্বাসকষ্ট দ্রুত দূর হয়ে যাবে।
স্টিম ইনহেলার পরিহার করুন
অনেক সময় দেখা গেছে স্টিম ইনহেলার ব্যবহার করার কারণে শ্বাসনালীতে ঘন শ্লেষ্মা জমতে পারে যেটা শ্বাসকার্যে বাধা সৃষ্টির কারণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি স্টিম ইনহেলেশন বা গরম ভাব নিলে সেটা শ্বাসনালীতে জমে থাকা বা ফুসফুসে জমে থাকা শ্লেষ্মা জাতীয় পদার্থকে তরলে পরিণত করে আপনাকে শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে।
সামনের দিকে ঝুঁকে বসা
হঠাৎ করে যদি আপনার শ্বাসকষ্ট কিংবা এজমার অ্যাটাক আছে সে ক্ষেত্রে আপনি কিছুটা সামনের দিকে ঝুঁকে বুঝতে পারেন। এতে আপনার নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সুবিধা হবে এবং আপনার ফুসফুস ও হার্টের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। অতিরিক্ত কিংবা হঠাৎ শ্বাসকষ্টের সময় আপনার এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন এতে শ্বাসকষ্ট থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।
ব্রিদিং এক্সারসাইজ
উপরোক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করার পাশাপাশি আপনারা ঘরে বসে ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে পারেন। হঠাৎ করে যদি আপনি শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার অ্যাটাক আছে সে ক্ষেত্রে আপনি ব্রিদিং এক্সারসাইজ করলে আপনার শরীর ও মন রিলাক্স হবে এবং আপনার শ্বাসকষ্ট দ্রুত দূর হবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের কাছ থেকে অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টে রোগীদের জন্য ব্রিডিং এক্সারসাইজ এর নিয়ম কানুন জেনে নিবেন।
শ্বাসকষ্ট হলে বোঝার উপায়
যেকোনো রোগের ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থাতে যদি তার লক্ষণগুলো শনাক্ত করে রোগ নির্ণয় করা যায় তাহলে চিকিৎসা সুবিধা এবং দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকে আছে যারা এগুলো খুব একটা গুরুত্বের সহকারে দেখে না যার কারণে পরবর্তীতে বিভিন্ন জটিলতার শিকার হতে হয়। তেমনি হাঁপানি রোগী বা এজমা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যারও বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। এগুলোকে শুধু শ্বাসকষ্ট ভেবে অবহেলা করবেন না। জেনে নিন শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার রোগীদের প্রাথমিক সকল লক্ষণ গুলো।
শ্বাসকষ্ট
অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীর প্রাথমিক লক্ষণ গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে শ্বাসকষ্ট। ফুসফুসের অক্সিজেন রক্ত চলাচল করতে না পারা এবং শ্বাসনালী সংকুচিত হয়ে যাওয়ার কারণে সাধারণত শ্বাসকষ্ট বা নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এগুলোকে সাধারণ শ্বাসকষ্ট বলে এড়িয়ে যাবেন না।
বুকের মধ্যে শন শন শব্দ
অ্যাজমা বা হাঁপানির রোগীদের নিঃশ্বাস গ্রহণের সময় শ্বাসনালী সংকুচিত হয়ে যাওয়ার কারণে অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাস সরু ছিদ্রপথ দিয়ে যাওয়া আসা করে যার কারণে নিঃশ্বাস গ্রহণের সময় এবং ত্যাগের সময় বাঁশির মতো শনশন আওয়াজ বের হয়।
কাশি
আপনার যদি ঘনঘন কাশি হয় এবং কাশির সাথে যদি ঘড়ঘর আওয়াজ বের হয় তাহলে মোটেও এ লক্ষণটিকে অবহেলা করবেন না। সাধারণত অতিরিক্ত ধুলাবালি ও ক্ষতিকর জীবাণু ফুসফুসের প্রবেশ করার কারণে এ ধরনের কাশি বা আওয়াজ হয়ে থাকে। এই মাইক্রো-পার্টিকেল গুলো শ্বাসনালীদের প্রবেশ করার কারণে বিভিন্ন ধরনের প্রধান সৃষ্টি হয়। এছাড়াও আপনার বিভিন্ন স্নায়ু গুলো মস্তিষ্কে উদ্দীপনা প্রেরণ করে কাছের মাধ্যমে ফুসফুস থেকে সকল ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ গুলো বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেই।
বুকে চাপা ভাব
শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি হলে বোঝার উপায় গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে বুকে চাপা ভাব। শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার কারণে প্রশ্বাস নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় যার কারণে শারীরিক বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পায় এর মধ্যে একটি হচ্ছে বুকের মধ্যে টানটান ব্যথা বা বুকে চাপা ভাব বোধ হওয়া।
দীর্ঘমেয়াদি কাশি
যারা শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে গেছে তাদের দীর্ঘদিন ধরে কাশির সমস্যা দেখা দেয় বিশেষ করে শীতের সময় এ সমস্যা আরও বেশি বৃদ্ধি পায়।
এছাড়া আরো যে সকল লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় তার নিচে দেওয়া হল।
- বুকে অস্বস্তি বোধ হওয়া
- হাঁচি বা কাশির সাথে প্রচুর পরিমাণ কফ বের হওয়া
- দ্রুত নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করা
- বুক ধড়ফড় করা
- হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া
- জোর করে শ্বাস নেওয়ার অনুভব হওয়া
- গভীর নিঃশ্বাস নিতে কঠোর পরিশ্রম করা
এ সকল লক্ষণ গুলো যদি আপনার মধ্যে প্রকাশ পায় কিংবা আপনার পরিচিত কারো মধ্যে প্রকাশ পায় তাহলে বুঝতে হবে তার শ্বাসকষ্ট হয়েছে কিংবা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং এই সমস্যার সমাধান করা উচিত।
অ্যাজমা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
অ্যাজমা শ্বাসকষ্ট দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় গুলো আমরা আর্টিকেলটির এই অংশে জানতে পারবো। আপনিও যদি অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টে ভুগে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।
১/এজমা বা শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে পেঁয়াজ খাওয়া। পেঁয়াজে রয়েছে সকল ধরনের প্রদাহজনিত রোগ থেকে মুক্তির বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুনাগুন। এছাড়াও পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে আমাদের নাসা পথ বা শ্বাসনালী পরিষ্কার থাকে এবং শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার মতো রোগ গুলো দূর হয়।
২/লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা আমাদের শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক গ্লাস পানির সাথে একটি কাগজি লেবু এবং সামান্য পরিমাণ চিনি মিসে যদি শরবত করে খেতে পারেন তাহলে হাঁপানের কষ্ট বা অ্যাজমা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।
৩/এজমা শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে আরেকটি হচ্ছে ল্যাভেন্ডার তেল। আপনার যদি অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট কিংবা অ্যাজমার সমস্যা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে গরম পানিতে ৫ থেকে ৬ ফোঁটা লেভেন্ডার তেল ব্যবহার করে ভাব নিতে পারেন এটা ম্যাজিক এর মত আপনার হাঁপানি ও অ্যাজমার সমস্যা দূর করবে।
৪/প্রাচীন কাল থেকেই অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট দূর করার কাজে মধু খুবই উপকারী একটি উপাদান। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যারা রোজ রাতে ঘুমানোর আগে এক চামচ মধুর সঙ্গে দারচিনি গুড়ো মিশিয়ে খায় তাদের শ্বাসকষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম এবং হলেও দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও মধু ও দারুচিনির গুঁড়ো সর্দি কাশি সারাতে ভালো কাজ করে।
৫/ঘরোয়া উপায়ে এজমা বা শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির ক্ষেত্রে গরম পানিতে কয়েক টুকরা আদা মিশিয়ে ৫ থেকে ৬ মিনিট ফুটানোর পর সেই জল পান করলে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।
৬/রসুন ঘরোয়া উপায়ে আজ মা বা শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি দিতে ভালো কাজ করে। একটা বন্ধুদের সাথে ৩ থেকে ৪ কোয়া রসুন ফুটিয়ে পান করলে ফুসফুসের যাবতীয় রোগের সমস্যা সমাধান হয় এবং দ্রুত শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৭/শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে এবং শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমা দূর করতে কফি খুবই কার্যকারী একটি উপাদান। কফির মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের শ্বাসনালী পরিষ্কার করে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৮/ঘরোয়া উপায়ে অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে ইউক্যালিপটাসের তেল। ইউক্যালিপটাস এর মধ্যে থাকা ইউক্যালিপটল উপাদান শ্বাসনালীতে কিংবা ফুসফুসে জমে থাকা কফ ভেঙে শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে পরিষ্কার কোন কাপড় বা তোয়ালেতে কয়েক ফোটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে সেটা মাথার পাশে এমন ভাবে রাখুন যাতে তেলে সুগন্ধ পাওয়া যায় এটা আপনার শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা দূর করতে সাহায্য করবে।
৯/ট্রি ওয়েল এর মধ্যে থাকা এক্সপেকটোর্্যান্ট ও ডিকনজেস্ট্যান্ট উপাদানগুলো শ্বাসকষ্ট কাশি এবং অতিরিক্ত শ্লেষ্মা দূর করতে ভালো কাজ করে। এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ও এন্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা শ্বাসনালির প্রদাহ কমাতে এবং শ্বাস যন্ত্রের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।
১০/হলুদের মধ্যে থাকা প্রধান উপাদান হচ্ছে কারকিউমিন যা একটি ফাইটোকেমিক্যাল উপাদান যা আমাদের হাঁপানি সারাতে কিংবা শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমা দূর করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও এর অ্যান্টি মাইক্রোওভেল উপাদান গুলো শ্বাসনালির প্রদাহ কমাতে এবং শ্বাসনালি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
১১/তুলসীতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এন্টি ইনফ্লামেটরি, এন্টিভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যেগুলো আমাদের বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং আমাদের সচনতন্ত্রের কার্যক্রম উন্নত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন চায়ের সাথে কিংবা মধুর সাথে যদি তুলসী পাতার রস খাওয়া যায় তাহলে হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস্ট, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কাশি, সর্দি সকল প্রকার সংক্রামনজনিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
১২/কালমেঘ শ্বাসকষ্ট কমাতে এবং শ্বসনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়ুর্বেদিক উপাদান। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি প্রদাহ অ্যান্টিভাইরাস এন্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং ইমিউন উত্তেজক উপাদানগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সকল ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়জনিত রোগ থেকে দূরে রাখে।
১৩/হাঁপানি কিংবা শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমার মত রোগ থেকে মুক্তির আরও একটি আয়ুর্বেদিক উপাদান হচ্ছে ভাসাকা। এই ভাষাটা ষড়যন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং ষড়যন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এক্টিভেটর হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও প্রতিদিন ভাসাকা খাওয়ার ফলে ব্রংকাইটিস ও ফুসফুসের সকল ধরনের সংক্রমণ জনিত রোগ থেকে উপশম পাওয়া যায়।
হঠাৎ নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় কেন
এতক্ষণ আমরা এজমা বা শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় বা অন্যান্য উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানলাম। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা হঠাৎ নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় বিভিন্ন কারণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানবো। বিভিন্ন কারণে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় কিংবা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। কিন্তু সব শ্বাসকষ্ট যে এজমা বা হাঁপানি লক্ষণ এমনটা কিন্তু নয়। যে সকল কারণগুলো শ্বাসকষ্ট বা নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার কারণ হতে পারে সে কারণগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
ফুসফুস জনিত সমস্যা
- যদি আপনার হাঁপানি থেকে থাকে
- আপনার বিষম লাগলে
- কোন খাবারে এলার্জির কারণে
- অনেক সময় রক্তপিন্ডের কারণেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে
- COPD(Chronic Obstructive Pulmonary Disease) এর সমস্যা থাকলে
- নিউমোনিয়া দ্বারা আক্রান্ত থাকলে
- যক্ষার কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে
- ফুসফুসে শ্লেষ্মা বা তরল পদার্থ জমে থাকার কারণে
- ষড়যন্ত্রের অসুস্থতা বা ব্রঙ্কাইটিস রোগের কারণে
- পালমোনারি হাইপারটেনশনের কারণেও হতে পারে
- ফুসফুসের পতনের কারণে
- ফুসফুসে ক্যান্সার কোষ বাসা বাঁধলে
হৃদপিন্ডের বিভিন্ন সমস্যা
হৃদপিন্ডের বিভিন্ন সমস্যার কারণে হঠাৎ নিঃশ্বাস নিতে বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। হৃদপিন্ডের যে সকল সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্ট বা নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায় তার নিচে দেওয়া হল।
- অ্যারিথমিয়া রোগের কারণে
- কার্ডিওমায়োপ্যাথি রোগের কারণে
- হার্টের ব্লক হয়ে যাওয়ার কারণে
- হার্টের বিভিন্ন ধরনের প্রদাহের কারণে
অন্যান্য সম্ভাব্য কারণসমূহ
উপরোক্ত কারণগুলো ছাড়াও যে সকল কারণে শ্বাসকষ্ট বা নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে তা নিচে সম্পূর্ণ দেয়া হলো।
- অতিরিক্ত উদ্বেগ সৃষ্টি হলে
- পাঁজরের হাড় ভেঙে যাওয়ার কারণে
- কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন স্টাটিন বা বেটা ব্লকার হতে পারে
- অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে
- শরীরে BMI(Body Mass Index) এর মান ৩০ এর উপরে থাকলে
- স্লিপ অ্যাপেনিয়া রোগে আক্রান্ত হলে কিংবা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে
হঠাৎ নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া কিংবা শ্বাসকষ্ট হওয়ার সম্ভাব্য সকল কারণগুলো উপরে আলোচনা করা হয়েছে। অ্যাজমা কিংবা হাঁপানি ছাড়া এ সকল কারণেও আপনার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে কিংবা শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনার যদি এ লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। এবং ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আপনার রোগ নির্ণয় করা প্রয়োজন।
শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষুধ খেতে হবে
যারা শ্বাসকষ্ট কিংবা অ্যাজমার সমস্যায় ভুগে থাকেন তারা ডাক্তারের পরামর্শের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকেন। এরমধ্যে কিছু ওষুধ মুখে খাওয়ার জন্য এবং কিছু ওষুধ সরাসরি ফুসফুসের মাধ্যমে দেওয়া হয় যেমন ইনহেলার বা নেবুলাইজার। অনেকেই ইনহেলার নিতে অস্বস্তি বোধ করেন যার কারণে ডাক্তার মুখে খাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ দিয়ে থাকে। কিন্তু মনে রাখবেন মুখে খাওয়ার ওষুধের চেয়ে ইনহেলার শ্বাসকষ্টের রোগীদের ক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী।
হঠাৎ করে যদি আপনার শ্বাস কষ্ট হয় এবং আপনি যদি মুখে খাওয়ার ওষুধ খেয়ে থাকেন তাহলে সেটা আপনার শ্বাসকষ্ট দূর করতে অনেকটা সময় নিবে এতে আপনার প্রাণহানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ইনহেলার ব্যবহার করেন তাহলে এই ইনহেলার এর মধ্যে থাকা স্টেরয়েড বা ষড়যন্ত্র সম্প্রসারণ ঔষধটি সরাসরি আপনার ফুসফুসে প্রবেশ করে আপনার শ্বাসকষ্ট দূর করতে সাহায্য করবে।
১/শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পেতে ডাক্তাররা যে সকল ইনহেলার বা স্টেরয়েড ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন তা হচ্ছে সালবুটামল, সালমেটেরোল,ফারমোটেরোল,থিওফাইল।
২/এছাড়াও হাঁপানি অশোক যাতে আক্রমণ বা অ্যাটাক না করে তার জন্য বিভিন্ন স্টেরয়েড ইনহেলার পাওয়া যায়। যেমন ফলুটিকাস্ন এবং বুডিসোনাইড স্টেরয়েড ইনহেলাট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এলোপ্যাথি চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞরা মুখে খাওয়ার ওষুধের পরিবর্তে ইনহেলার নেওয়ার পরামর্শ বেশি দিয়ে থাকেন।
৩/এছাড়াও আরও একটি ইনহেলার ডাক্তাররা প্রেসক্রাইব করে থাকেন সেটি হচ্ছে মন্টিলুকাষ্ট। এই ইনহেলার টি হাঁপানি রোগীদের কিংবা শ্বাসকষ্টের রোগীদের শ্বাসকষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে আনে।
৪/এছাড়াও যারা ইনহেলার নিতে অস্বস্তি বোধ করে তাদের জন্য মুখে খাওয়ার স্টেরয়েড ট্যাবলেট বা সিরাপ আকারে পাওয়া যায়। যখন শ্বাসকষ্ট অতিরিক্ত মাত্রায় হয় তখন এই ওষুধ গুলো নিয়মিত ব্যবহার করতে হয়।
লেখক এর মন্তব্যঃ হঠাৎ শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানুন
সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।আশা করি আজকের পর আপনার যদি শ্বাসকষ্ট কিন্তু হাঁপানি বা অ্যাজমার মত সমস্যা থেকে তাকে তাহলে এগুলোর বিরুদ্ধে কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা করবেন এবং কিভাবে বুঝতে পারবেন যে আপনার শ্বাসকষ্ট কিংবা হাঁ পানি সমস্যা হচ্ছে কিনা সেগুলো জানার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
এই পোস্টটি যদি পড়ার মাধ্যমে আপনার কোন উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। এই পোস্টটি সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। এরকম আরো শিক্ষনীয় ও মজার মজার বিষয় জানতে ও পড়তে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। সকলে ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url