দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায়
আপনি কি দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে চান?আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে পেটে গ্যাসের সমস্যায় ভুগে থাকেন এবং এর থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। দীর্ঘদিন ধরে মসলা জাতীয় খাবারের কারণে বা অনেকক্ষণ ধরে না খেয়ে থাকার কারণে আমরা অনেক সময় পেটে গ্যাসের সমস্যায় ভুগে থাকি।
যা আমাদের অস্বস্তির সৃষ্টি করে কাজে মন বসে না এমন নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর বিভিন্ন উপায় গুলো সম্পর্কে আজকেরে আর্টিকেলটিতে বিস্তৃত বর্ণনা করা হবে। এছাড়াও এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা চিরতরে গ্যাস দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। আরো থাকছে অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করনীয়, সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না,
পেটের গ্যাস কমানোর খাবার এবং সাথে থাকছে পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। তাই ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরুতে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনার কাছে অনুরোধ রইল।
পোস্ট সূচিপত্রঃদ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায়
ভূমিকা
অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ও খারাপ অভ্যাসের কারণে দিন দিন পেটে গ্যাসের সমস্যায় কিংবা পেটের সমস্যায় ভোগা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে পেটে বদহজম কিংবা গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বাইরের বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং ভাজাপোড়া খাবার কারণে সাধারণত পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা যায়।
যার কারণে পেট ফুলে যায় এটি সাধারণত পেটে এবং অন্তরে গ্যাস জমা হওয়ার কারণে হয়ে থাকে। এছাড়াও যারা মদ্যপান কিংবা ধূমপানের মত খারাপ অভ্যাস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও পেটে গ্যাস হওয়ার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের ও বদ হজমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের প্রতিদিনের কাজ সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করার জন্য এবং কাজে মনোযোগী হওয়ার জন্য আমাদের শরীর সুস্থ থাকা প্রয়োজন।
কিন্তু যদি আপনার পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনার কাজে মন বসবে না অস্বস্তি ভাব হবে। যার কারণে আপনি দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। আজকেরে আর্টিকেলটিতে আমরা পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর করার এমন কিছু উপায় গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব যেগুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সম্পূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে।
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
কথায় আছে পেট ঠান্ডা তো মন ঠান্ডা। আর মন ঠান্ডা হলে আপনি আপনার কাজে বেশি মনোযোগ দিতে পারবেন এবং খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবেন। কিন্তু পেটে গ্যাসের সমস্যা থাকলে কিংবা গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি হলে আমাদের অস্বস্তি বোধ হয় যার কারণে কাজে মন বসে না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে।
পেটে ম্যাসাজ করা
পেটে গ্যাস হলে পেটে মাসাজ করলে দ্রুত পেটের গ্যাস কমানো যায়। পেটে মেসেজ করার ফলে গ্যাস আপনার অন্ত্রের নিচের অংশের দিকে চলে আসবে এবং পায়ুদ্বারের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে। এর জন্য প্রথমে আপনাকে ডান হাত ব্যবহার করে বুকের ডান দিকে খাঁচার হাড়ের নিচের দিকের অংশে গোল গোল ভাবে মেসেজ করতে হবে এবং খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার পেটের গ্যাস কমে আসবে।
গরম পানিতে গোসল
পেটের গ্যাস দ্রুত কমানোর জন্য আপনি হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করতে পারেন। কুসুম গরম পানিতে গোসল করার ফলে পেটের ব্যথা কমে আসবে এবং দ্রুত গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে গরম পানি দিয়ে গোসল করলে পেটে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয় না এমনকি অন্ত্রের উপর চাপ কম পড়ার কারণে অন্তর ভালো থাকে।
ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া
পেটের গ্যাস দ্রুত কমানোর জন্য আপনি ফাইবার যুক্ত খাবার আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন। ফাইবার আমাদের পাকস্থলীর কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং হজমের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে যার কারণে পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে। একজন নারী ক্ষেত্রে দিনে ২৫ গ্রাম এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৮ গ্রাম ফাইবার খাওয়া উচিত। এর জন্য আপনারা বিভিন্ন সবুজ শাকসবজি ও হোলগ্ৰেইন খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার পাওয়া যায়।
কলা খাওয়া
এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো আমাদের পেটের গ্যাস দ্রুত কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে কলা। আপনার যদি হঠাৎ পেটে সমস্যা কিংবা পেটের গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে আপনি যদি কলা খেতে পারেন তাহলে দ্রুত পেটের গ্যাস কমে আসতে সাহায্য করবে।
পর্যাপ্ত পানি পান করা
পেটের গ্যাসের সমস্যা দ্রুত সমাধান করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খান। আপনি যদি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে পারেন তাহলে আপনার পেটের ভেতরে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হবে না এর পাশাপাশি আপনি চাইলে গ্রিন টি খেতে পারেন এতে দ্রুত পেটের গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
হাঁটা বা ব্যায়াম করা
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় হিসেবে আপনি হালকা ব্যায়াম কিংবা হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন। যারা নিয়মিত হাঁটাহাঁটি কিংবা ব্যায়াম করে তাদের অনায়াসে পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর হয়। এছাড়া অনিয়মিত শরীরচর্চা বা হাঁটাহাঁটি করার ফলে আপনার অন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি হালকা অনুভব করবেন।
যোগব্যায়াম
আপনি চাইলে দ্রুত পেটে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছুক্ষণ যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। এতে আমাদের পেটের পেশী গুলো সচল হবে। সেই সাথে আপনার অন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে এবং আপনাকে দ্রুত পেটের গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।
উষ্ণ জলপান
পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব কিংবা ডায়রিয়ার মত সমস্যাগুলো দূর করার পাশাপাশি পেটের গ্যাস দ্রুত কমানোর ক্ষেত্রে হালকা কুসুম গরম পানি খেতে পারেন। এতে দ্রুত ফেটে গেছে সমস্যা দূর হবে। এবং এই অভ্যাস যদি আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় আপনার গ্যাসের সমস্যা চিরতরে দূর হয়ে যাবে।
চিরতরে গ্যাস দূর করার উপায়
বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে জানলাম। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা জানবো আপনি কিভাবে চিরতরে গ্যাস থেকে মুক্তি পেতে পারেন সে বিষয়গুলো সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
শসা
চিরতরে গ্যাস দূর করার জন্য আপনারা চাইলে প্রতিদিন শসা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। শসার মধ্যে থাকা ফ্লেভা নয়েড ও এন্টি ইনফ্লামেট এর উপাদান আমাদের পেটকে ঠান্ডা রাখতে এবং পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমিয়ে চিরতরে গ্যাস দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরো পড়ুনঃপ্রচন্ড ঠান্ডায় নাক বন্ধ হলে করণীয়
দই
তুই আমাদের পাকস্থলীর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে দ্রুত হজম হতে সাহায্য করে। যার ফলে আমাদের পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে। তাই চিরতরে গ্যাস দূর করার উপায় হিসেবে আপনারা দই খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
পেঁপে
যারা নিয়মিত পেঁপে খেয়ে থাকেন তাদের শরীরে পাপায়া নামক এনজাইমের কার্যকারিতায় হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় যার কারণে আমাদের পেটে গ্যাস জমতে পারে না এবং চিরতরে গ্যাসের সমস্যা থেকে দূর হয়।
কমলা
যারা নিয়মিত কমলা কিংবা কমলার রস পান করে থাকেন তাদের পেটে অতিরিক্ত সোডিয়াম থাকতে পারে না। যার কারণে আমাদের পেটে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয় না। তাই আপনি যদি চিরতরে গ্যাসের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে প্রতিদিন অন্তত দুটি করে কমলা খেতে পারেন।
আদা
আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান আমাদের পেট ফাঁপা ও পেটে গ্যাস জমা বাধা দেই। অনেকেই মনে করেন আদা খাওয়ার ফলে পেটে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয় এটা একটি ভুল ধারণা। আপনার পেটে যদি গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে কয়েক টুকরা আদা কুচি লবণ দিয়ে চিবিয়ে খেলে দ্রুত পেটের গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং সেই সাথে যদি আপনি প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস রাখেন তাহলে চিরতরে গ্যাস দূর করা সম্ভব।
লবঙ্গ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে লবঙ্গ তে যে সকল উপকারী উপাদান রয়েছে সেগুলো শরীরে প্রবেশ করা মাত্রই গ্যাসের সমস্যা কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। তাই যদি অতিরিক্ত ভাজাপোড়া কিংবা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে আপনার পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে দ্রুত মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি দুটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন এতে অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর হবে।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা একটি ভেষজ উপাদান যা আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি হজম ক্ষমতা উন্নতিতে সাহায্য করে। আপনি যদি চিরতরে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে প্রতিদিন সকালে এলোভেরা জুস কিংবা এলোভেরা পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে চিরতরে গেছে সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
পুদিনা পাতার পানি
চিরতরে গ্যাস থেকে মুক্তি পেতে চাইলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কাপ পানিতে ৫ থেকে ৬টি পুদিনা পাতা মিশিয়ে হালকা কুসুম গরম করে খেলে পেট ফাঁপা বা বমি বমি ভাব দূর করার পাশাপাশি পেটের গ্যাস জমা চিরতরে দূর করে।
রসুন
পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর করতে এবং দ্রুত সমাধান পেতে রসুনের বিকল্প হয় না বললেই চলে। একুয়া রসুন খাওয়ার ফলে তা পেটের পাকস্থলীতে এসিড ক্ষরণের মাত্রা কে কমিয়ে আনতে সাহায্য করে এবং গ্যাসের কারণে সৃষ্টি বিভিন্ন উপসর্গ গুলো ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। তাই আপনার যদি হঠাৎ গেছে সমস্যা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে আপনি এক কোয়া রসুন খেতে পারেন এবং চিরতরে গ্যাসের সমস্যা দূরে রাখতে প্রতিদিন এক কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
ডাবের পানি
নিয়মিত ডাবের পানি খেলে তা আমাদের পেটকে ঠান্ডা রাখতে এবং হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। টাইপ চিরতরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে সম্ভব হলে প্রতিদিন ডাবের পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে ভালো উপকারিতা পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করনীয়
আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছে যারা অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন। যার কারণে বিভিন্ন অস্বস্তি ও ক্লান্তি ভাব আসে। আপনি যদি এই অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনার কি কি করনীয় রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটির এই অংশটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। এই অংশটি পড়ার মাধ্যমে আপনি অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করণীয় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
পেপারমিন্ট
আপনার পেটে যদি অতিরিক্ত পরিমাণ গ্যাস জমা হয় তাহলে আপনি পেপারমিন্ট চা পান করতে পারেন অথবা পেপারমিন্ট ক্যান্ডি চুষে খেলেও হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং পেটের ফোলা ভাব ও অতিরিক্ত গ্যাস দূর করতে ভালো কাজ দেই।
ক্যামোমাইল চা
ক্যামোমাইল চায়ে রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। যা পেটের অতিরিক্ত গ্যাস কমাতে এবং পেটে ব্যথা ও স্বস্তি ভাব কমাতে দ্রুত সাহায্য করে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
আপনি যদি প্রতিদিন খাবার আগে এক চামচ পরিমাণ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন এটা আপনার হজম শক্তি উন্নত হবে এবং এসিড রিফ্লাক্স কম করবে। এছাড়া আপনার পেটে যদি অতিরিক্ত গ্যাস জমে থাকে সেটা দূর করতে সাহায্য করবে।
বেকিং সোডা
পেটে অতিরিক্ত পরিমাণ গ্যাস জমা হলে বুকে জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই অতিরিক্ত গ্যাস থেকে মুক্তি পেতে এক টেবিল চামচ পরিমাণ বেকিং সোডা এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেলে এটা পেটে অ্যান্টাসিডের কাজ করবে। যার ফলে দ্রুত পেটের গ্যাস কমে আসবে এবং অম্বল থেকে মুক্তি দিতেও এটি সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃশরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে করণীয়
মৌরি বীজ
পেটের অতিরিক্ত গ্যাস কমাতে ফোলা ভাব এবং বদ হজমের সমস্যা দূর করতে মৌরি বীজ চিবিয়ে কিংবা মৌরি খাওয়া যেতে পারে।
প্রোবায়োটিক
আপনি যদি প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার যেমন লুসসি, কেফির খেতে পারেন তাহলে আপনার পেটের অতিরিক্ত গ্যাস দূর করতে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
উষ্ণ সংকোচন
পেটে গ্যাসের কারণে ব্যথার সৃষ্টি হলে সেই ব্যথা থেকে উপশম পাওয়ার জন্য আপনার পেটে একটি উষ্ণ কম্প্রেস কিনবা হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে পারেন এতে দ্রুত পেটে ব্যথা কমে আসবে এবং পেটের পেশী গুলো শিথিল হওয়ার সুযোগ পাবে।
ছোট ও ঘন ঘন খাবার
একসাথে অনেকটা পরিমাণ খাবার না খেয়ে আপনি যদি ছোট ছোট করে একবারের জায়গায় কয়েকবার খাবার গ্রহণ করেন এতে আপনার পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমা হতে বাধা সৃষ্টি করবে।
সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না
আমরা অনেকেই গ্যাসের সমস্যায় ভুগছি। কিন্তু এই গ্যাসের সমস্যা আমাদের অসুস্থতার জীবনযাপন এবং অনিয়ন্ত্রিত খাবারের কারণে হয়ে থাকে। যার ফলাফল আমরা এখন ধীরে ধীরে পাচ্ছি। এ সকল সমস্যা বিভিন্ন ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে সমাধান করা যায়। আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি শুরুতে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন।
তাহলে খুব দ্রুত গ্যাসের সমস্যা কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে এবং অল্প সময়ের মধ্যে আপনি গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা জানবো সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
১/গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে আপনি চাইলে প্রতিদিন সকালে কিসমিস ভিজিয়ে খেতে পারেন এবং এর সাথে কিসমিস ভিজিয়ে রাখা পানি খেতে পারেন। কিসমিসের মধ্যে পেটের গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য বিভিন্ন উপাদান রয়েছে। কিসমিসের মধ্যে থাকা এন্ড ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য প্রতিদিন সকালে খেলে চিরতরে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
২/আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আদা মিশ্রিত পানি খেতে পারেন তাহলে দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার গ্যাসের সমস্যা দূর হবে। কয়েক টুকরা আদা কুচি কুচি করে কেটে হালকা কুসুম গরম পানির সাথে পরিমাণ মতো বিট লবণ মিশিয়ে সেই পানি পান করতে পারলে এর অ্যান্টঅক্সিডেন্ট এর বৈশিষ্ট্য আপনার পেট ফুলে যাওয়া এবং পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
৩/গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা চিরতরে দূর করতে এবং পাকস্থলীর কার্যকারিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আপনি চাইলে জিরা পানি খেতে পারেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে জিরা গুড়া পরিমাণ মতো পানির সাথে মিশিয়ে হালকা কুসুম গরম করে ছেকে নিয়ে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে আসবে।
৪/আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে এবং হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে হলুদ বেশ কার্যকর। তাই আপনি চাইলে সকালে পরিমাণ মতো কাঁচা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
৫/পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখতে,গ্যাসের সমস্যা দূর করতে পালং শাক এর তুলনা হয় না। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে নাস্তার সময় পালং শাকের সবজি রাখতে পারেন তাহলে তা আপনার গ্যাসকে চিরতরে দূর করতে সাহায্য করবে।
৬/লেবু পানি গ্যাসের সমস্যা দূর করতে এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে লেবু মিশ্রিত পানি পান করতে পারেন তাহলে এটা আপনার প্রাকৃতিক মলবর্ধক হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি আপনার গ্যাসের সমস্যা দূর করবে।
৭/আপনি চাইলে প্রতিদিন সকালের নাস্তায় সবুজ শাকসবজির তরকারি রাখতে পারেন এতে আপনার গ্যাসের সমস্যা দূর হবে।
৮/গ্যাসের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে প্রতিদিন সকালে যাদের ফল খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তারা আপেল ও নাশপাতি বাদে যেকোনো ধরনের ফল খেতে পারেন।
৯/পেট পরিষ্কার রাখতে এবং পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন সকালে জোয়ানের জল খাওয়া যায়। জোয়ানের জল পেটের মেটা পালিশ জন বাড়ায় এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া প্রতিদিন সকালে খালি পেটে জনের জল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং পাকস্থলীকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
পেটের গ্যাস কমানোর খাবার
আমরা পেটের গ্যাসের সমস্যার ক্ষেত্রে সবাই কোন না কোন সময় ভোগেছি। কিন্তু পেটে গ্যাস সাধারণত আমাদের অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে হয়ে থাকে। যার কারণে আমরা পেটের যাবতীয় সমস্যার শিকার হয়ে থাকি। আর্টিকেলটির এবং চামড়া পেটে গ্যাস কমানোর জন্য যে সকল খাবার খাওয়া জরুরী বা প্রয়োজন সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানবো। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক পেটের গ্যাস কমানোর খাবার গুলো সম্পর্কে।
তুলসী পাতা
তুলসী পাতা আমাদের পেটকে ঠান্ডা রাখতে এবং এর বায়ু নাশক উপাদান পেটে গ্যাসের জমা প্রতিহত করে। এছাড়াও তুলসী পাতা পাকস্থলীতে শ্লেষ্মার মত পদার্থ উৎপাদনের ক্ষেত্রে উদ্দীপনা যোগায়। তাই পেটের গ্যাস কমানোর খাবার হিসেবে আপনি প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা ৩ থেকে ৪ টি তুলসী পাতা সেদ্ধ করে সেই পানির সাথে মধু মিশিয়ে পান করলে ভালো উপকারিতা পাওয়া যায়।
দারুচিনি
পেটের গ্যাস কমানোর খাবার হিসেবে দারুচিনির তুলনা হয় না। প্রাচীন কাল থেকেই পেটের সমস্যার ক্ষেত্রে দারুচিনি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড হিসেবে কাজ করে আছে। এর অ্যান্টাসিড বৈশিষ্ট্য হজম শক্তি উন্নতি করতে এবং শোষণ ক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন আধা চামচ পরিমাণ দারুচিনি গুঁড়ো এক কাপ পানিতে মিশিয়ে সিদ্ধ করার পর ছাকুনি দিয়ে ছেঁকে ঠান্ডা করে সেই পানি পান করলে খুব দ্রুত গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এলাচ
এলাচ আমাদের হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করতে এবং পাকস্থলীর খিচুনি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। এর মধ্যে থাকা স্টুডিও উপাদানগুলো পাকস্থলী থেকে অতিরিক্ত এসিড নিঃসরণের প্রভাব কে বাধা নেই এবং পেটে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হতে দেয় না। তাই আপনি যদি প্রতিদিন দুটো এলাচ গুঁড়ো করে পানিতে সেদ্ধ করে পানিটুকু খেয়ে নিতে পারেন তাহলে চিরতরে গ্যাসের সমস্যা দূর হবে।
কালোজিরা
কালোজিরা পেটের গ্যাস কমাতে এবং পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যে কারণে কালোজিরা কে মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের জন্য মহা ঔষধ স্বরূপ ধরা হয়। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানগুলো পেটের গ্যাস দূর করতে এবং পাকস্থলীর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আপনি যদি এক চামচ পরিমাণ কালোজিরা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা এক চামচ কালোজিরা গুঁড়ো এক গ্লাস জলে মিশে খেতে পারেন তাহলে চিরতরে আপনার গ্যাস দূর হয়ে যাবে।
তরমুজ
পেটের গ্যাস কমানোর আরও একটি দুর্দান্ত খাবার হচ্ছে তরমুজের জুস। তরমুজের জুসে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যেগুলো অ্যাসিডিটির সমস্যা কে দূর করে পেটের গ্যাস বের করে দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও তরমুজের জুসে পানির পরিমাণ বেশি থাকার কারণে এটা শরীরে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা মেটাতেও সাহায্য করে। তাই সম্ভব হলে আপনি পেটের গ্যাস দূর করার জন্য তরমুজের জুস খেতে পারেন।
আনারস
আনারস পাচক তন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। গবেষণায় পাওয়া গেছে আনারসের মধ্যে ৮৫ শতাংশ পানি এবং এর মধ্যে ব্রোমেলিন নামক হজমে সাহায্যকারী প্রাকৃতিক এনজাইম রয়েছে যা পাকস্থলীর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে পেটে গ্যাস জমা প্রতিরোধ করে এবং আনারস ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রেও বেশ উপকারী।
ঘোল
দ্রুত পেটের গ্যাস কমিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এবং চিরতরে গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘোল খুবই ভালো কাজ করে। এর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম পাকস্থলীতে এরশাদ জমা হতে বাধা সৃষ্টি করে এবং এর মধ্যে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। ঘোলের সাথে যদি আপনি সামান্য পরিমাণ গোলমরিচের যোগ করে খেতে পারেন তাহলে এই খাবার আপনার পেটের গ্যাস কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকারী ভূমিকা পালন করবে।
ঠান্ডা দুধ
আপনার যদি গ্যাসের সমস্যা থেকে থাকে এবং তাদের অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায় তাহলে দ্রুত ফলাফল পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ খেতে পারেন। এরমধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম পাকস্থলীতে পৌঁছার মাত্রই পাকস্থলীর ত্বক থেকে এসিড ক্ষরণ কমিয়ে দেয় এবং পেটকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
গোলমরিচ
গোলমরিচে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো সর্দি-কাশি ছাড়াও হজম শক্তিকে উন্নত করতে ভালো কাজ করে। আপনার হজম শক্তি যদি শক্তিশালী হয় তাহলে পেটে গ্যাস হওয়া সম্ভব না অনেকাংশে কমে আসবে। তাই পেটের ক্যাশ কমানোর খাবার হিসেবে রান নাই গোলমরিচ ব্যবহার করতে পারেন এতে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
আমড়া
পেটে গ্যাস দূর করতে এবং বদ হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে রোদে শুকানো আমরা কুচি খুবই ভালো উপকার দিই। তাই পেটের গ্যাস কমানোর খাবার হিসেবে শুকনো আমরা কুচি খেতে পারেন।
সরষে
পেটের গ্যাস সারাতে এবং পেট থেকে গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সরষে খুবই কার্যকরী একটি খাবার। আমরা বিভিন্ন খাবারের সাথে সরষে কিংবা সরষের তেল ব্যবহার করে থাকি যা আমাদের পেটে গ্যাস জমা হতে বাধা দেয়।
পেটের গ্যাস কমানোর ক্ষেত্রে যে সকল খাবার গুলো খাওয়া উচিত তা আমরা এই অংশে আলোচনা করলাম এছাড়াও এর আগের অংশগুলোতে আমরা পেটে গ্যাস হওয়ার জন্য বিভিন্ন খাবার সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এই খাবারগুলো আপনার পেটের গ্যাস কমানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর ওষুধ
আমরা অনেকেই পেটে ব্যথার কারণে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা নাশক ওষুধ খেয়ে থাকে। কিন্তু পেটে যদি গ্যাসের কারণে ব্যাথা সৃষ্টি হয় তার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক বিভিন্ন ওষুধ খাওয়া উচিত। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা পেটে ব্যথার ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা যে ওষুধের পরামর্শ দিয়ে থাকেন সেই ওষুধ সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
তাই আপনি যদি পেটের গ্যাসের ব্যথার ওষুধ কমানোর ওষুধ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চিকিৎসকদের মতে অনেকেই গ্যাসের সমস্যার ক্ষেত্রে পেটে ব্যথা হলে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টাসিড ওষুধ খেয়ে থাকেন। যেটা কোন গ্যাসের ওষুধ নয় তবে পরোক্ষভাবে এটি পেটের গ্যাসের ভাব কমায়।
এছাড়াও পাকস্থলীর ত্বক থেকে এসিডের ক্ষরণ রোধ করতে অ্যান্টাসিড ওষুধ ভালো কাজ করে। গ্যাসের ওষুধের জন্য কিংবা পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর জন্য অন্য ওষুধ রয়েছে। চাইলে আপনারা সেই সকল ওষুধও খেতে পারে। তবে যেকোনো ধরনের গ্যাসের ঔষধ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। চিকিৎসকরা পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর ওষুধ হিসেবে ভিন্ন ধরনের ওষুধ প্রেসক্রাইব করে থাকেন।
এর মধ্যে একটি হলো colimex. ডাক্তাররা সাধারণত এটি পেটের বিভিন্ন ধরনের ব্যথার ক্ষেত্রে প্রেসক্রাইব করে থাকেন। এই ওষুধটি পেট ব্যাথা কমাতে, পেটের ফোলা ভাব দূর করতে, পেটে খিচুনির সমস্যা সৃষ্টি হলে, পেটে অত্যাধিক পরিমাণে গ্যাস জমলে কিংবা এসিডিটি সমস্যা দেখা দিলে এছাড়াও মাসিকের সাথে গেস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টের রোগের সাথে সংযুক্ত ব্যাথার চিকিৎসায় চিকিৎসক গণ এই ওষুধটি প্রেসক্রাইব করে থাকেন।
তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে শুধু ওষুধ খেলে পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানো যাবে না কিংবা গ্যাস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া যাবে না এর জন্য জীবনযাত্রা কিছু পরিবর্তন আনা জরুরী। তবেই চিরতরে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
লেখক এর মন্তব্যঃদ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায়
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে যদি আপনার কোন উপকার হয়ে থাকে তবে অবশ্যই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন। আর্টিকালি সম্পর্কে যদি আপনার কোন মতামত বা মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। সকলে ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
আর্টিকেলটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা।যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নেবার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url