শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়-শীতে ত্বকের যত্নে ক্রিম
আপনি কি শীতে ত্বকের যত্ন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন? শীত আসার সাথে সাথে আপনার ত্বকের যত্ন নিয়ে বিভিন্ন চিন্তাভাবনা মাথায় ঘুরে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন। তাহলে শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।এছাড়াও আরো জানতে পারবেন শীতে ত্বকের যত্নে কোন ক্রিম ব্যবহার করা উচিত।
শীতে ত্বকের যত্নে এলোভেরা কিভাবে ব্যবহার করবেন। শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল কতটা উপকারী।এছাড়াও আরো সকল বিষয়গুলো থাকছে আর্টিকেলটিতে। তাই আপনি যদি শীতকালে ত্বকের যত্ন নিয়ে চিন্তাভাবনা করে থাকেন এবং ঘরোয়া উপায় গুলো জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
পোস্ট সূচীপত্রঃশীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়-শীতে ত্বকের যত্নে ক্রিম
ভূমিকা
শীত আসলে আমরা ত্বকের যত্নে একটু বেশি কেয়ারিং হয়ে পড়ি। যদিও ত্বকের যত্ন সারা বছর নেওয়া উচিত। কিন্তু শীতকালে আমাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক এবং রুক্ষ হতে দেখা যায়। এর কারণ শীতের সময় যে আবহাওয়া থাকে তা আমাদের ত্বকের উপর বেশি প্রভাব দেখায়। এবং শীতের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকার কারণে আমাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পড়ে।
তাই এ সময় যদি আপনি সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন না নেন তাহলে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে এবং সৌন্দর্য নষ্ট হতে পারে। অনেকেই কাজের চাপে বা ব্যস্ততার কারণে পার্লারে গিয়ে পকেট যত্ন নিতে পারেন না। তাই বলে কি আপনার ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ থাকবে শীতকালে।
মোটেও না। তাই আপনাদের এই ব্যস্ততার মাঝেও কিভাবে ঘরোয়া উপায় আপনি শীতে ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন তার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা রয়েছে আজকের এই আর্টিকেলটিতে। তাই আপনিও যদি ত্বকের যত্নে বিভিন্ন ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য।
সুতরাং আপনি যদি শীতের ত্বকের যত্ন ঘরোয়া ভাবে নিতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়
আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা শীতে ত্বকের যত্নে বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারব। প্রথমে আমরা জেনে নেব। শীতে ত্বকের যত্নে বিভিন্ন ফেসপ্যাক গুলো ব্যবহার এর নিয়ম সম্পর্কে।
ফেসপ্যাক
মধু ও পেঁপের ফেসপ্যাক: ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই শীতে ত্বকের যত্নে বানিয়ে নিতে পারেন মধু ও পেঁপের ফেসপ্যাক। যা আপনার ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে এবং আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।
এর জন্য আপনাকে এক কাপ পাকা পেঁপের সাথে এক টেবিল চামচ মধু ভালোভাবে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর এই পেস্টটি আপনার পুরো শরীরে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখার পর ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন এই ফেস প্যাকটি ব্যবহার করবেন আশা করি খুব ভালো উপকারিতা পাবেন।
বেসন ও টক দই এর ফেসপ্যাক: ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় বানিয়ে নিতে পারেন বেসন ও টক দই দিয়ে চমৎকার ফেসপ্যাক। যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আপনার ত্বকের টানটান ভাব ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করবে। এই ফেস প্যাকটি বানানোর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ২ টেবিল চামচ বেসন এবং এক টেবিল চামচ পরিমাণ টক দই একসাথে মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করুন।
তা আপনার মুখে এবং ত্বকে লাগিয়ে নিন কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর যখন শুকিয়ে আসবে তখন ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এরপর আপনি চাইলে মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন এতে উপকারিতা আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়।
দুধ ও কাজুবাদামের ফেসপ্যাক: শীতে ত্বকের যত্নে দুধ ও কাজু বাদামের এই ফেস প্যাকটি আপনার ত্বকের সুরক্ষায় দারুন কাজ করবে। দুধের মধ্যে থাকা আন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আপনার ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে এবং উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
এই ফেসপ্যাকটি ঘরোয়া উপায় বানানোর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ৮ থেকে ১০ টি কাজুবাদাম এবং দুই চামচ পরিমাণ দুধ একসাথে ভালোভাবে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করুন এবং এটি মুখে ও ত্বকে লাগিয়ে দেওয়ার পর হালকা হাতে মাসাজ করুন। এটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে প্রাকৃতিক ময়শ্চেরাইজার হিসেবে কাজ করবে।
এলোভেরা ও শসার ফেসপ্যাক: শীতে ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন এলোভেরা ও শসার ফেসপ্যাক। এই ফেসপ্যাক টি বানানোর জন্য আপনাকে এক চামচ পরিমাণ এলোভেরা জেল এর সঙ্গে কয়েক টুকরা শসা ভালোভাবে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে ত্বকে লাগাতে হবে। ঘরোয়া উপায় ত্বকের কালচে ও রোদে পোড়া দাগ দূর করতে এই ফেসপ্যাকটি বানাতে পারেন।
অলিভ অয়েল ও কলার ফেসপ্যাক: শীতে অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক এবং রুক্ষতা দূর করার জন্য প্রাকৃতিকভাবে কাজ করতে পারে অলিভ অয়েল ও কলার ফেসপ্যাক। এই ফেসটা কি বানানোর জন্য আপনাকে একটি পাকা কলার সাথে পরিমাণ মতো অলিভ অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে এবং ত্বকে 20 থেকে 30 মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
আপনি যদি প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ঘরোয়া উপায় আপনি শীতে আপনার ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন।আপনার পার্লারে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
বেসন ও দুধের পেস্ট: দুধের মধ্যে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল আপনার ত্বককে সতেজ রাখতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে। আর বেসন আপনার ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে পাশাপাশি বসে ছাপ কমাতেও বেশ কার্যকরী। পরিমাণ মতো দুধের সাথে দুই টেবিল চামচ বেসন ভালোভাবে একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং সপ্তাহে অন্তত দুইবার ব্যবহার করুন। শীতে আপনার ত্বক থাকবে প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল।
ওটস, মধু ও দুধের ফেসপ্যাক: ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্নে এই ফেসপ্যাকটি আপনার শীতে ত্বককে ভালো রাখতে, ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে এবং ত্বকের কোমলতা ফিরিয়ে আনতে পাশাপাশি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকারী। এই ফেসপ্যাক টি বানানোর জন্য আপনাকে দুধের সাথে ওটস ভিজিয়ে রাখার পর সামান্য পরিমাণ মধু নিচে ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করতে হবে।
এরপর এই পেজটি আপনার মুখে ও ত্বকে লাগিয়ে রাখা তিন থেকে চার মিনিট পর হালকা শুকিয়ে আসলে আঙ্গুলের ডগা দিয়ে হালকা ভাবে মাসাজ করার পর উষ্ণ গরম পানির ব্যবহার করে পরিষ্কার করে নিন। এতে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করব।
পাকা কলা ও অলিভ অয়েলের ফেসপ্যাক: ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে শীতে ত্বকের যত্নে বানে নিতে পারেন পাকা কলা ও অলিভ অয়েলের এই দারুণ ফেসপ্যাকটি। যা শীতে আপনার ত্বকের শুষ্কতা দূর করবে পাশাপাশি প্রাকৃতিকভাবে আপনার ত্বকে উজ্জ্বল করতেও বেশ কার্যকরী।
এই ফেসপ্যাক টি বানানোর জন্য আপনাকে এক টেবিল চামচ পরিমাণ অলিভ অয়েলের সঙ্গে পরিমাণ মতো পাকা কলা খোসা ছাড়িয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এবং এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রাখার বিশ মিনিট পর ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন দারুন উপকারে আসবে।
মধু,দুধ ও হলুদের পেস্ট: সিটে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়ে বানিয়ে নিতে পারেন মধু,দুধ ও হলুদের পেস্ট। মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদানগুলো আপনার ত্বকের ডেড সেল গুলোকে পরিষ্কার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এবং ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে।
এর জন্য আপনাকে এক চামচ পরিমাণ মধুর সঙ্গে দুই চামচ পরিমাণ দুধ ও এক চিমটি হলুদ ব্যবহার করে ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এবং এই পেজটি 15 মিনিট আপনার ত্বকে লাগিয়ে রাখার পর ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে প্রতিদিন ব্যবহারে দারুন উপকারিতা পাওয়া যায়।
মধু,দই ও চিনির পেস্ট: শীতে ত্বকের যত্নে তিন চামচ পরিমাণ মধু, সমপরিমাণ চিনি ও আধা কাপ দই দিয়ে তৈরি এই পেস্ট আপনি ব্যবহার করতে পারেন। এই পেজটি তৈরি করার পর মুখে ও ত্বকে লাগিয়ে নিয়ে হালকা ভাবে মাসাজ করুন এবং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার: শীতে ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার,গোলাপজল, মধু ও অলিভ অয়েল এর এই পেস্টটি। এই পেজটি বানানোর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে আধা চামচ পরিমাণ মধু,2 চামচ পরিমাণ গোলাপ জল এবং আধা চামচ পরিমাণ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এর সাথে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
এই পেজটি আপনার কালচে দাগ দূর করতে এবং রোদে পোড়া ভাব কমাতে সাহায্য করবে। পেস্টটি ত্বকে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ধুয়ে ফেলুন এতে আশা করি খুব ভালো উপকার পাবেন।
লেবু ও মধুর পেস্ট: শীতে ত্বকের যত্নে লেবু ও মধুর পেস্ট হতে পারে আপনার ত্বকের জন্য উপকারী। পরিমাণ মতো মধুর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে খুব সহজে ঘরোয়া উপায় বানিয়ে নিতে পারেন আপনি এই ফেস প্যাকটি। এই ফেসপ্যাকটি আপনি মুখে ও ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেললে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
নারিকেল তেল: ত্বকের যত্নে নারিকেল তেল হতে পারে আপনার প্রিয় বন্ধু। শীতকাল আমাদের ত্বকের অতিরিক্ত রুক্ষতা ও শুষ্কতা দূর করতে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করবে।
ঘি: শীতে ত্বকের যত্নে ঘি ব্যবহার করলে এটা আপনার প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুখে ও হাতে অল্প পরিমাণ ঘি নিয়ে এর সাথে চাইলে পানি মিস করতে পারেন ত্বকে লাগিয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক থাকবে কোমল এবং নরম।
নিমপাতা,মধু ও হলুদ গুঁড়োর পেস্ট: ত্বকের যত্নে নিম পাতার তুলনা হয় না। তাই শীতে ত্বকের যত্নে আপনি ঘরোয়া উপায় বানিয়ে নিতে পারেন নিমপাতা,মধু ও হলুদের পেস্ট। এই পেজটি বানানোর জন্য আপনাকে কয়েকটি নিমপাতা ভালোভাবে পরিষ্কার করে এর সঙ্গে মধু ও হলুদের গুঁড়ো অথবা কাঁচা হলুদ একসাথে বিলিন্ডারে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করুন।
এই পোস্টটি আপনার মুখে ও ত্বকে লাগিয়ে 10 মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। শীতে এটি আপনার ত্বককে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে এবং আপনার ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলবে।
শসা,মুলতানি মাটি ও চন্দনের গুঁড়ো: শীতে ত্বকের যত্নে এই পোস্টটি আপনার দারুণ কাজে আসবে। এই পেজটি বানানোর জন্য আপনাকে কয়েক টুকরা শসার সঙ্গে পরিমাণ মতো মুলতানি মাটি এবং কয়েক চামচ চন্দনের গুঁড়ো ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই পেজটি আপনি আপনার মুখে ত্বকে এবং হাত ও পায়ের কালচে দাগ দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন।
পেজটি আপনার ত্বকে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর যখন সুখে আসবে তখন ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার মুখের তৈলাক্ত ভাব কমাতে এবং ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে পাশাপাশি তোকে উজ্জ্বল দেখাবে।
কলা,মধু ও টমেটোর ফেসপ্যাক: শীতে ত্বকের যত্নে আপনি চাইলে কলা,মধু ও টমেটো ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এই পেস্টটি বানানোর জন্য আপনাকে একটি পাকা কলা এবং একটি টমেটো ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে এবং এর সাথে দুই চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেজটা আপনার মুখে ও ত্বকে লাগান এবং কিছুক্ষণ রাখার পর যখন পেজটি শুকিয়ে আসবে তখন হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে এবং তত্ত্বের ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে।
দুধ,টক দই ও গোলাপজলের পেস্ট: দুই চামচ পরিমাণ দুধের সঙ্গে এক চামচ পরিমাণ টক দই ও কয়েকফোঁটা গোলাপ জল ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেজটি আপনার মুখে ও ত্বকে লাগিয়ে ফেলুন এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে এবং ত্বকের ডেড সেল গুলোকে দূর করতে সাহায্য করবে।
গাজর ও চন্দনের পেস্ট: শীতকালে ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে এবং কোমলতা ফিরিয়ে আনতে গাজর ও চন্দনের এই পেস্ট খুব কার্যকরী। এই পেজটি বানানোর জন্য আপনাকে কয়েক টুকরা গাজর এর সাথে ২ চামচ পরিমাণ চন্দন গুড়ো ভালোভাবে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকে এবং মুখে লাগিয়ে 10 মিনিট রাখার পর যখন পেজটি শুকিয়ে আসবে তখন হালকা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করে ধুয়ে নিলে ত্বকের কোমলতা ফিরে আসবে এবং শীতে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকবে।
জলপাইয়ের তেল: শীতে ত্বকের যত্নে জলপাইয়ের তেল আপনার দারুন কাজ আসবে। জলপাই তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ,ই ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। যা শীতে ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
উপরোক্ত ফেসপ্যাক গুলো ব্যবহারের পাশাপাশি আপনাকে আরো কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে যেগুলো সি তে আপনার ত্বকের যত্নে বেস কার্যকারী। যেমন:
১/ঠান্ডা পানির পরিবর্তে হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করা।
২/শীতে ত্বকের যত্নে দিনে দুই বার করে মশ্চারাইজার ব্যবহার করা।
৩/রুমের আদ্রতা বজায় রাখতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা।
৪/বাইরে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন লাগানো।
৫/গ্লিসারিন যুক্ত সাবান ব্যবহার করা।
৬/প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা।
৭/ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে লোশন অথবা তেল ব্যবহার করা।
৮/ঠোঁটকে আর্দ্র রাখতে লিপজেল অথবা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে পারেন।
৯/ত্বককে রক্ষার জন্য শ্রুতি কাপড় পরিধান করা।
১০/ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণে সকালে মিষ্টি রোদে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা।
আশা করি এই পদ্ধতি গুলো যদি আপনি অবলম্বন করেন এবং উপরোক্ত ফেসপ্যাক গুলো যদি ব্যবহার করেন তাহলে শীতে আপনার ত্বকের যত্নে কোন চিন্তা করতে হবে না।
শীতে ত্বকের যত্নে ক্রিম
শীতের অতিরিক্ত শুষ্কতা থেকে আমাদের ত্বককে বাঁচাতে এবং ত্বকের ক্ষতি এড়াতে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন:
কোল্ড ক্রিম
এই ক্রিমটি অলিভ অয়েল,বিসওয়াক্স ও পানি দিয়ে তৈরি। এই ক্রিমটি নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে এবং প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে। কোল্ড ক্রিম ত্বকের গভীরে গিয়ে কাজ করে এবং ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করার পাশাপাশি পক্ষে হাইড্রেট রাখতে ক্লিনজার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও যাদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত তাদের কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করা উচিত নয়।
নাইট ক্রিম
সারাদিনের ত্বকের ক্ষতি নিমেষে পূরণ করে নাইট ক্রিম। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নাইট ক্রিম ব্যবহার করে ঘুমিয়ে পড়ুন। নাইট ক্রিমে রয়েছে, দরকারি ভিটামিন কোলাজেন ও অ্যামিনো অ্যাসিড যা আমাদের ত্বককে মশ্চারাইজার ও আদ্র রাখতে সাহায্য করে।
পাশাপাশি নাইট ক্রিম ব্যবহারের ফলে আমাদের কোষ গুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে এছাড়াও ত্বকের বলিরেখা দূর করতে শীতে নাইট ক্রিম খুবই ভালো কাজ করে। নাইট ক্রিম ব্যবহারের ফলে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি আমাদের ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না এবং ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাকে কমিয়ে আনে। এছাড়াও নাইট ক্রিম আমাদের ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে।
সানস্ক্রিম
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা পেতে আপনাকে বাইরে বেরোনোর ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এতে করে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারবে না। এবং ত্বকের উপরে কালচে দাগ ও রোদে পোড়া ভাব দূর হতেও সানস্ক্রিম ব্যবহার করা যায়।
ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম
শুধুমাত্র ভালো মানের ক্রিম ব্যবহার করলে যে আপনি উপকার পাবেন এমনটি কিন্তু নয়। আপনাকে সঠিক পদ্ধতিতে ত্বকে ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। ক্রিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে পরিমাণ মতো ক্রিম হাতের আঙ্গুলে নিয়ে ত্বকে লাগানোর পর হালকা ভাবে মাসাজ করতে হবে এবং মুখের ও গলার ভাজে সুন্দরভাবে ব্যবহার করতে হবে। এবং ক্রিম লাগানো সময় অবশ্যই নিচ থেকে উপরের দিকে ক্রিম লাগাতে হবে এটা আপনার স্কিনটন ভালো থাকবে এবং ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
মুখের যত্নে ক্রিম
শীতকালে আমাদের মুখে খসখসে ভাব,জারকাটা পড়া,মুখে কালো হয়ে যাওয়া, কিংবা ব্ল্যাকহেডস ও পিম্পলের মত সমস্যাগুলো বেশি দেখা দেয়। এগুলো দূর করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ভালো মানের ডে ও নাইট ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। ত্বক ফর্সা করার পরিবর্তে ত্বকের জন্য ভালো মশ্চারাইজার সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করা বেশি জরুরি।
ভালো মানের ক্রিমগুলোর মধ্যে আপনি চাইলে ponds,L'Oreal, The Body shop,Olay, Nivea ও Dove ইত্যাদি ব্রান্ডের থিমগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এছাড়াও শীতকালে যদি আপনার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে চাইলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজার
শীতে ত্বকের যত্নে ভালো মানের মশ্চারাইজার সমৃদ্ধ ক্রিমগুলো ব্যবহার করা উচিত যেগুলো ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এগুলোর দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। ত্বকের যত্নে মশ্চারাইজার হিসেবে আপনি Vaseline,Himalaya, Herbals,Garnier,Dove এই ব্র্যান্ডের লোশন কিংবা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই ময়শ্চারাইজার সমৃদ্ধ ক্রিমগুলো কেনার পূর্বে উৎপাদনের তারিখ মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ এবং উৎপাদনের স্থানগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে খোঁজখবর নিয়ে তারপর কিনবেন।
ঠোঁট ফাটা দূর করতে লিপ ক্রিম
ত্বকের পাশাপাশি শীতকালে অতিরিক্ত শুষ্কতার কারণে আমাদের ঠোঁট ফাটার মত সমস্যাও দেখাবে। এই ঠোঁটটা দূর করতে আমাদের বিভিন্ন লিপ ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। যা আমাদের ঠোঁটফাটা দূর করতে এবং ঠোঁটকে কোমল রাখতে সাহায্য করবে। ঠোঁটফাটা দূর করতে হিসেবে আপনি চাইলে Revlon,Maybelline,Nivea ব্র্যান্ডের লিপ ক্রিম গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
এগুলো সিটে আপনার ত্বকের যত্নে বেশ কার্যকারী হবে এবং আপনার ত্বককে মশ্চারাইজার রাখতে এবং কমলতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। ঘরোয়া উপায় এই মশ্চারাইজার বা ক্রিম গুলো ব্যবহার করলে আশা করি আপনার পার্লারে গিয়ে টাকা খরচ করার প্রয়োজন পড়বে না। খুব সহজে এ ক্রিমগুলো ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসে ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন।
শীতে ত্বকের যত্নে এলোভেরা
শীতে ত্বকের যত্নে এলোভেরা ব্যবহার আমরা অনেকেই করে থাকি। এলোভেরার মধ্যে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের তখন আদ্রতা ধরে রাখার পাশাপাশি ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে ত্বকের কোমলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। আর্টিকেল এই অংশে আমরা জানতে পারবো শীতে ত্বকের যত্নে এলোভেরা কিভাবে ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে।তাই ত্বকের যত্নে এলোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
মধু,হলুদ ও অ্যালোভেরার জেল
ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে এবং ত্বককে ফর্সা করতে এলোভেরার এই ফেসপ্যাকটি আপনার জন্য খুবই কার্যকারী হবে। এলোভেরার এই ফেস প্যাকটিক তৈরির জন্য আপনাকে এক চামচ পরিমাণ কাঁচা হলুদ বাটার সাথে এক চামচ মধু ও এলোভেরার জেল ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে।
এলোভেরার এই পেজটি আপনাকে বিশ মিনিটের জন্য মুখে,গলায় ও হাতে পায়ে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর পেস্টটি শুকিয়ে এলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এলোভেরার এই পেস্টটি সবচেয়ে ১ থেকে ২ বার ব্যবহার করলে আশা করি আপনি খুব ভালো উপকার পাবেন।
এলোভেরা ও লেবুর রসের পেস্ট
এলোভেরা জেল ব্যবহার করে রোদের পোড়া দাগ দূর করতে এবং শীতে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে বেশ কাজ করে। এই পেস্টটি বানানোর জন্য আপনাকে এলোভেরার জেলের সঙ্গে পরিমাণ মতো লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই পেজটি আপনার হাত-পা ও গলায় ব্যবহার করতে পারেন এবং ব্যবহারের পর 15 মিনিট রেখে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই পেস্টটি আপনি সপ্তাহের অন্তত এক থেকে দুইবার ব্যবহার করবেন এতে দ্রুত ফলাফল পাবেন।
মুলতানি মাটি,এলোভেরা,মধু ও লেবুর রস
ত্বকের যত্নে এলোভেরার এই পেস্টটি খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন। এই পেস্টটি বানানোর পর মুখে ও গলায় 15 মিনিট রেখে তারপর পেস্টটি শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরার এই পেস্টটি মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
মুসুর ডাল,এলোভেরা ও কাঁচা টমেটো
ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে এবং ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখতে এলোভেরার এই পেস্টটি দারুন কার্যকারী। এই পেস্টটি বানানোর জন্য আপনাকে পরিমাণ মতো মুসুর ডাল, এলোভেরা জেল ও একটি কাঁচা টমেটো ভালোভাবে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিতে হবে এরপর এই পেস্ট আপনার ২০ মিনিট রাখার পর ঠান্ডা পানি ব্যবহার করে ধুয়ে নিন। খুব সহজে আপনার ত্বকের টক্সিক পদার্থ গুলো বাইরে বেরিয়ে আসবে এবং আপনার ত্বককে ভেতর কে উজ্জ্বল দেখাতেও সাহায্য করবে।
শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল
শীতকালে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে এর মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও এসেন্সিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড গুলো ত্বককে নরম ও কোমল রাখতে সাহায্য করে পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও ত্বকের অবাঞ্ছিত লোমগুলো দূর করতে এবং স্ট্রেচমার্ক দূর করতেও বেশ কার্যকরী।
অলিভ অয়েল ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে কোমল এবং উজ্জ্বল। শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল ব্যবহারে আমাদের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি শীতে ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহার করেন তাহলে আপনার বাড়তি কোন পণ্য ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে না।
প্রাকৃতিক গুনাগুনসমৃদ্ধ অলিভ অয়েল আপনার পক্ষে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। অলিভ অয়েল আপনি যেকোনো সময় ব্যবহার করতে পারেন তবে বেশি ভালো হয় যদি আপনি গোসলের পর কিংবা রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে। গোসলের পর অলিভ অয়েল ব্যবহার করে আপনার ত্বকে ভালোভাবে মাসাজ করুন এতে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
এছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে অলিভ অয়েল আপনার ত্বককে মশ্চারাইজ করে এবং ত্বকে কোমল রাখে। তাই অলিভ অয়েলের উপকার গুলো পেতে সিটে ত্বকের যত্নে সাথে রাখুন অলিভ অয়েল । অলিভ অয়েল আপনার ত্বকের বেশ উপকারে আসবে।
লেখকের মন্তব্যঃশীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়-শীতে ত্বকের যত্নে ক্রিম
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে যদি আপনার কোন উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করে জানানোর চেষ্টা করবেন। আর্টিকেলটি সম্পর্কে যদি আপনার কোন মতামত বা পরামর্শ থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করতে পারেন। সকলে ভালো থাকবেন।আসসালামু আলাইকুম।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এ আর্টিকেলটি সচেতনতার জন্য লেখা। যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহনের পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। ধন্যবাদ।
ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url