OrdinaryITPostAd

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াস গুলো ভালো

আপনার ত্বক কি তৈলাক্ত। মুখ দিয়ে প্রচুর তেল বের হয়। যার কারণে মুখে ব্রণ সহ র্্যাশ এবং কালচে দাগের সমস্যায় ভুগছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের এ আর্টিকেলটিতে আমরা তৈলাক্ত ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা এবং তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তির বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করতে যাচ্ছি।

ছবি

আজকের এ আর্টিকেলটি আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন তাহলে আপনি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো, তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায়, তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তির উপায়, মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায়, তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ দূর করার ক্রিম এবং ছেলেদের মুখের তৈলাক্ততা দূর করার বিভিন্ন ফেসওয়াস গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি মুখের তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে চিন্তিত থাকেন এবং তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন তাহলে আজকের এ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।

পোস্ট সূচীপত্রঃতৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াস গুলো ভালো

ভূমিকা

যারা ত্বক নিয়ে বেশি সচেতন থাকেন তারা অবশ্যই তৈলাক্ত ভাব অনুভব করে থাকবেন। মুখের তৈলাক্ততা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। যদিও এটি যে কোন বয়সের মেয়ে ও ছেলেদের ক্ষেত্রেই দেখা যায় তবুও বয়সন্ধিকালে মুখের তৈলাক্ততা ব্রণ এর সমস্যাগুলো বেশি অনুভব হয়। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে আমাদের বিভিন্ন হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

আপনি যদি সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন এবং আপনার ত্বকের জন্য উপযোগী ফেসওয়াস ব্যবহার করতে পারেন তাহলে খুব সহজে আপনি মুখে তৈলাক্ততা ভাব দূর করতে পারবেন। কিন্তু তার জন্য আপনাকে সঠিক ফেসওয়াস এবং তৈলাক্ত ভাব দূর করার বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানা প্রয়োজন।

আপনি কিংবা আপনার পরিচিত কেউ যদি মুখের তৈলাক্ততা ভাব নিয়ে দুশ্চিন্তায় থেকে থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনাদের জন্য। আজকের এ আর্টিকেলটিতে আমরা তৈলাক্ততা ভাব দূর করার বিভিন্ন ফেসওয়াস এবং বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ফেসওয়াস available কিন্তু আপনার ত্বকের ওপর নির্ভর করে আপনাকে সঠিক ফেসওয়াস টি বাছাই করতে হবে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জেল বেস্ড ফেসওয়াস গুলো বেশ কার্যকারী। যদিও বাজারে অয়েল-ফ্রী বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াস পাওয়া যায় কিন্তু আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে চাইলে আপনাকে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ও বেঞ্জয়েল পারঅক্সাইড মিশ্রিত ফেসওয়াস গুলো ব্যবহার করতে হবে।

আজকের আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা এমন কয়েকটি ফেসওয়াস সম্পর্কে আপনাদের জানাবো যেগুলো ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য পারফেক্ট। যেমন:

নিউট্রোজিনা ওয়েল ফ্রি একনে ওয়াশ(ফেস‌ওয়াস)

এই ফেসওয়াস টি তৈলাক্ত ত্বকের ব্যক্তিত্বের জন্যই বানানো। এই ফেসওয়াস টি ব্যবহারের ফলে আপনার মুখের তৈলাক্ততা ভাব দূর হবে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়।

১/আপনি যদি রেগুলার ফেসওয়াস টি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে এটি আপনার অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ হওয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।

২/এই ফেসওয়াস টির মধ্যে রয়েছে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ২%, সোডিয়াম সি ১৪-১৬ ওলেফিন সালফোনেট এর মত উপাদান যা আমাদের ব্রণের সমস্যা দূর করতে বেশ কার্যকরী।

৩/এই ফেফ‌ওয়াসটি খুব একটা পরিমাণে নেওয়ার প্রয়োজন হয় না অল্প নিলেই পুরো ফেইস পরিষ্কার করা যায় এবং ফেসওয়াস টি ব্যবহারের পর আপনার ত্বক একদম অয়েল ফ্রি মনে হবে।

৪/আপনার ত্বকের তৈলাক্ততা ভাব দূর করে ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে থাকে।


৫/এই ফেসওয়াসটি একদম এলকোহল ফ্রি তাই ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি হয় না।

৬/এটি ব্রেক আউট প্রতিরোধ করতেও বেশ কার্যকরী।

সতর্কতা: যদিও এই ফেসওয়াস টি তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং অনেক স্কিন স্পেশালিস্ট এই ফেসওয়াসটি সাজেস্ট করে থাকেন। তবে এর অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই প্রত্যেকবার ফেসওয়াস টি ব্যবহার করে মুখ পরিষ্কারের পর ভালো মশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।

নিউট্রোজিনা ক্লিয়ার এন্ড সুদ মূজ ক্লিনজার( ফেস‌ওয়াস)

ত্বকের যত্নে আমরা ঘরোয়া উপায়ে হলুদ ব্যবহার করে থাকি। এই হলুদ আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এই ফেসওয়াসটির মধ্যে রয়েছে হলুদের গুনাগুন। যা আমাদের ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে।

১/ত্বকের মলিনতা দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।

২/যাদের অল্প বয়সেই মুখের ত্বকে বলিরেখা ছাপ বা বয়সে ছাপ পড়েছে তারা যদি এই ফেসওয়াস টি ব্যবহার করতে পারে তাহলে মুখের বলিরেখা ছাপ দূর হবে।

৩/এই ফেসওয়াসটির মধ্যে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। যা আমাদের মুখের ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

৪/এর মধ্যে থাকা উপাদানগুলো আমাদের লোমকূপ পরিষ্কার রাখতে ব্রণের দাগ দূর করতে এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ততা ভাব দূর করে‌।

৫/যদি কারো ত্বকে কালচে দাগ কিংবা পিগমেন্টেশন থাকে সেগুলো কমাতে ফেসওয়াসটি দারুন কাজ করে থাকে।

কজারেক্স স্যালিসাইলিক এসিড ডেইলি জএনট্যআল ক্লিনজার

যাদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত এবং ড্রাই তাদের এ সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও এই ফেসওয়াস টি যে যে উপকার করে থাকে তা হলো।

১/এর মধ্যে থাকা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড তোকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

২/ত্বকের ব্রেক আউট এর মত সমস্যাগুলোর সমাধান করে থাকে।

৩/ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ততা দূর করার পাশাপাশি যাদের ত্বক খুবই সেনসিটিভ তাদের ক্ষেত্রেও ফেস‌ওয়াসটি ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪/যাদের ত্বকে ব্লেমিশেস বা ব্রণের সমস্যা রয়েছে তারা চাইলে ফেস‌ওয়াসটি ব্যবহার করতে পারেন এতে দারুন উপকার পাওয়া যায়।

৫/ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি এটি ত্বকের কোমল হাত ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে এবং ত্বককে ড্রাই হতে বাধা দেয়।

দ্য বডি শপটি ট্রি স্কিন ক্লিয়ারিং ফেসিয়াল ওয়াস

বর্তমানে অ‌ইলি ত্বকের জন্য সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত একটি ফেসওয়াশ হচ্ছে এই ফেসওয়াস টি। এই প্রচারটি যদি আপনি রেগুলার এক মাস ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনি নিজে এর বিভিন্ন উপকারিতা উপলব্ধি করতে পারবেন।

১/যাদের স্কিনটন সেনসিটিভ বা কম্বিনেশন চাইলে তারাও এই ফেসওয়াস টি ব্যবহার করে উপকার পেতে পারে।

২/প্লাস্টিকের বোতলের মাধ্যমে এই ফেসওয়াস টি বাজারজাত করা হয় এবং দাম অনুযায়ী এর উপকারিতা ভালো পাওয়া যায়।

৩/ব্রণের সমস্যাই ভালো উপকারিতা দেই।

৪/ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

৫/অল্প পরিমাণ ব্যবহার করলে ভালো বেনিফিট পাওয়া যায়।

৬/যেকোনো জায়গায় বহনো উপযোগী।

৭/মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে বেশ কার্যকারী।


৮/ফেসওয়াস টি ব্যবহারের ফলে মেন্থলের দারুন সুগন্ধ পাওয়া যায়।

উপরোক্ত ফেসওয়াসগুলো আপনারা শীতকালে কিংবা গরমকালে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও আরো কয়েকটি ফেসওয়াস রয়েছে যেগুলো মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে বেশ কার্যকরী সেগুলো নিচে দেওয়া হলো। যেমন:

  1. সিম্পল ডেইলি স্কিন ডিটক্স পিউরিফাইং ফেসিয়াল ফেসওয়াস
  2. পিয়ার্স আলট্রা মাইল্ড ফেসওয়াস ইন অয়েল ক্লিয়ার গ্লো
  3. ডারমা লজিকা ব্রেক আউট ক্লিয়ারিং ফোমিং ফেসওয়াস
  4. ল্যাকমে ব্লাশ এন্ড  গ্লো কিউয়ি ক্র্যাশ জেল ফেসওয়াস
  5. পন্ডস পিম্পল ক্লিয়ার ফেসওয়াস
মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে কার্যকারী। এবং যে কোন স্ক্রিন টোনের ব্যক্তি এই ফেসওয়াসগুলো ব্যবহার করতে পারে। এছাড়াও যাদের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব থাকে কিংবা অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ হয় তারা অয়েল স্কিনের জন্য বেস্ট একটি ফেসওয়াস হচ্ছে lemon oil control. আশা করি এই ফেসওয়াশগুলো ব্যবহারের পর আপনার মুখে তোলাক্ত ভাব দূর হবে এবং আপনার ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করবে।

তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায়


বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াস গুলো ভালো সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার জন্য বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।

মধু ও পেঁপের ফেসপ্যাক

মুখের তৈলাক্ততা দূর করে ত্বককে ফর্সা করতে মধু ও পেঁপে এই ফেসপ্যাকটি দারুন কাজ করে। এর জন্য আপনাকে একটি পেঁপে ব্লেন্ডারে ভালোভাবে পেস্ট করতে হবে এবং এর সাথে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিলে তৈলাক্ত ভাব দূর হবে পাশাপাশি আপনার পক্ষে ফর্সা করতে সাহায্য করবে।

টমেটোর ফেসপ্যাক

ত্বকের যত্নে মধুর এবং টমেটো ফেসপ্যাক এর তুলনা হয় না। টমেটোর মধ্যে থাকা লাইকোপিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের ট্যান দূর করে ত্বকে ফর্সা রাখতে দারুন কাজ করে। টমেটোর পেস্ট এর সাথে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে মুখে লাগালে দারুন উপকার পাওয়া যায়।

বেসন ও হলুদের পেস্ট

প্রাচীন যুগ থেকে রূপচর্চার কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে হলুদ। হলুদ ও বেসনের এই পেস্ট ব্যবহারের ফলে ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার হয় ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হওয়ার পাশাপাশি পক্ষে ভেতর থেকে ফর্সা রাখতে সাহায্য করে। এর জন্য বেসনের সঙ্গে হলুদ এবং সামান্য পরিমাণ টক দই মিশিয়ে এই ফেসপ্যাকটি মুখে লাগাতে হবে।

মুলতানি মাটি

মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে এবং ত্বক ফর্সা করতে মুলতানি মাটি দারুণ কাজ করে। এই বিশেষ ধরনের মাটি শুষ্ক প্রকৃতির হওয়ায় এটি মুখের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ রোধ করে এবং ত্বকে ফর্সা রাখতে সাহায্য করে। দুই চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে 10 মিনিট মুখে লাগিয়ে তারপর ধুয়ে ফেললে ভালো উপকারিতা পাওয়া যায়।

শসা

ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে এবং ত্বকের কালচে ভাব থেকে মুক্তি দিতে শসা বেশ কার্যকরী। শসা ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বক শীতল থাকে পাশাপাশি সোজা বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে।

এলোভেরা

ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার জুরি মেলা ভার। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে এবং ত্বকের মধ্যে জমে থাকা অতিরিক্ত ক্ষতিকারক বর্জ্য পদার্থ বের করে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বক ফর্সা করে।

বেসন ও দুধের ফেসপ্যাক

ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে এবং প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা করতে বেসন ও দুধের এই ফেসপ্যাকটি বেশ কার্যকরী। ২ চামচ পরিমাণ বেসন এবং ৪ চামচ পরিমাণ দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করে ১৫ মিনিট ধরে মুখে লাগিয়ে রাখুন এরপর শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি সপ্তাহে দুই দিন এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার ত্বক ভিতর থেকে ফর্সা এবং তেলমুক্ত হবে।

ডিম,শশা ও পুদিনার ফেসপ্যাক

ডিমের সাদা অংশ ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে এবং ত্বকে টানটান রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে শসার রস এবং পুদিনা পাতা একসঙ্গে পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে নিতে পারেন তাহলে পুদিনা পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান গুলো আপনার ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করে ব্রণ মুক্ত রাখতে এবং প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা করতে সাহায্য করবে।

কমলার ফেসপ্যাক

অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করতে কমলালেবুর খোসার তুলনা হয় না। এর জন্য আপনাকে কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে এরপর সেই কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো ২ চামচ, ৪ চামচ দুধ এবং এক চামচ কাঁচা হলুদের বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে যদি ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন তাহলে আপনার ত্বকের তেল দিলে ভাব দূর হবে ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল রাখবে এবং প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা করতে সাহায্য করব।


এই ফেসপ্যাক টি সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে কাঁচা হলুদ বাটার সঙ্গে চালের গুঁড়ো, কমলার খোসার গুঁড়া এবং সামান্য পরিমাণ মুসুর ডাল বাটা একসঙ্গে মিশে পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে 15 মিনিট পর যদি হালকা ম্যাসাজ করে মুখ দিয়ে ফেলেন তাহলে মুখের বলিরেখা দাগ দূর হবে এবং ত্বক ফর্সা রাখতে সাহায্য করবে।

পাকা কলার ফেসপ্যাক

ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে, ত্বকের বলিরেখা দাগ কমাতে এবং ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা করতে কলা, লেবু ও মধুর এস এস একটি দারুন কাজ করে। এর জন্য আপনাকে ১টি পাকা কলা, এক চামচ পরিমাণ মধু এবং দুই চামচ পরিমাণ পাতিলেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করে সেই পেস্ট মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে এবং 15 মিনিট পর যখন ফেসপ্যাকটিস শুকিয়ে যাবে তখন কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করে মুখ মুছে ফেলুন। আপনি যদি এই ফেস ব্যক্তি সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত ফলাফল পাবেন।

তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তির উপায়

বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানলাম। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তির বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবো। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরুতে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

লেবুর রস ও মধুর প্যাক

লেবুর রসের হয়েছে প্রচুর পরিমাণ সাইট্রিক এসিড যা আমাদের ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও লেবু আমাদের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করতেও সাহায্য করে। এবং মধু আমাদের ত্বকের জন্য মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।

এর জন্য আপনাকে এক টেবিল চামচ পরিমাণ পাতি লেবুর রসের সঙ্গে সমপরিমাণ মধু একসাথে মিশিয়ে গারো লিকুইড তৈরি করতে হবে এবং এই মিশ্রণটি ত্বকে 15 মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে এরপর শুকিয়ে গেলে ভালোভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেললে এই ফেসপ্যাকটি মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করবে এবং ত্বকের ব্রণ থাকলে সে ব্রণের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেবে।

দুধ ও লেবুর রসের প্যাক

মুখের তৈলাক্ত ভাব থেকে মুক্তি পেতে এবং ভেতর থেকে ত্বককে ফর্সা ও উজ্জ্বল রাখতে মধু ও লেবুর রসের এই প্যাকটি বেশ কার্যকারী। এই ফেসপ্যাকটি বানানোর জন্য আপনাকে ঠান্ডা করে রাখা কাঁচা দুধ এর সঙ্গে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করতে হবে এবং এই পেস্ট ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখার পর ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার এই ফেস প্যাকটি ব্যবহার করার ফলে আপনার মুখের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব বা তৈলাক্ত ভাব দূর হবে এবং ব্রণের সমস্যা কমে আসবে।

চন্দনের গুঁড়ো ,লেবুর রস ও গোলাপজলের প্যাক

চন্দন কাঠের গুঁড়ো আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করতে বেশ কার্যকারী। চন্দন কাঠের গুড়োর সাথে পরিমাণ মতো লেবুর রস ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে তা ত্বকে লাগিয়ে নেওয়ার পর কিছুক্ষণ রেখে দিলে তা শুকিয়ে আসবে এবং একটি শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

এতে আমাদের ত্বকে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে এবং মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হওয়ার পাশাপাশি ব্রণের সমস্যা কিংবা ব্রণের দাগ ধরে থাকলে সেগুলো থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে।

পাতি লেবুর রস ও বেকিং সোডার ফেসপ্যাক

পাতিলেবুর রস ও বেকিং সোডার ফেসপ্যাক আপনার দু লাখ তো ত্বক চিরতরে দূর করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এই ফেসপ্যাকটি অতিরিক্ত তেল নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে পাশাপাশি ত্বকের উপরের মৃত কোচ কে পরিষ্কার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা করতে সাহায্য করে।

হলুদ ও দুধের ফেসপ্যাক

এক চামচ বা দুই চামচ পরিমাণ কাঁচা হলুদ বাটা এবং পরিমাণ মতো দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন আপনি যদি এই ফেসপ্যাকটি মুখে এবং গলায় সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার মুখের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর হবে পাশাপাশি আপনার ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।

বিভিন্ন ফেসপ্যাক ব্যবহারের পাশাপাশি আপনাকে আরও কিছু বিষয়ে যত্নশীল হতে হবে যেগুলো আপনার ত্বক থেকে মুক্তি দিতে আপনাকে সাহায্য করবে। যেমন:

  1. আপনার ত্বকের জন্য সঠিক ক্লেনজার বাছাই করা
  2. অতিরিক্ত ক্লিনজার ব্যবহারে সতর্ক হওয়া
  3. ত্বকের যত্নে সিম্পল রুটিন অনুসরণ করা
  4. ত্বকের যত্নে অবশ্যই কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করুন
  5. ত্বকের যত্নে সঠিক মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
  6. ত্বকের ধরন বুঝে সানস্ক্রিন বাছাই করতে হবে
  7. ত্বকের যত্নে সুদিং জেল ব্যবহার করতে পারেন
  8. প্রয়োজনে শিট মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন
  9. কমেডোজেনিক মেকআপের প্রোডাক্টগুলো এড়িয়ে চলুন
  10. পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার অভ্যাস করুন
  11. ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার বর্জন করুন
ত্বকের যত্নে এবং তৈলাক্ত ভাব থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন ফেসপ্যাক ব্যবহারের পাশাপাশি আপনাকে এই নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে। এছাড়াও আপনারা চাইলে সিটিএম রুটিন অনুসরণ করতে পারেন। সিটিএম এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ক্লিনিং, টনিং এবং মশ্চারাইজিং।

আপনি যদি আপনার প্রতিদিনের তালিকায় সিটিএম রুটিন যোগ করতে পারেন তাহলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সাহায্য করবে পাশাপাশি প্রাকৃতিকভাবে আপনাকে ফর্সা দেখাতেও দারুন কাজে দেয়।

মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় 

মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য আমরা যেসব ফেসওয়াস বা ক্রিম ব্যবহার করি এগুলো বিভিন্ন কেমিক্যাল এর সমন্বয় তৈরি করা হয় যা আমাদের ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। এর থেকে বাঁচার জন্য আমরা চাইলে ঘরোয়া উপায়ে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য বিভিন্ন ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারি। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা আপনাদের ঘরোয়া উপায়ে বিভিন্ন ফেসপ্যাক সম্পর্কে জানাবো যেগুলো মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে বেশ কার্যকর।

১/ভিনেগারের নাম আমরা অনেকেই শুনে থাকবো। ঠান্ডা ভিনেগার আমাদের তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে বেশ কার্যকারী। এর জন্য আপনাকে পরিমাণ মতো ভিনেগার ও পানি একসাথে মিশিয়ে ঠান্ডা করে তুলার সাহায্যে ত্বকে লাগাতে হবে এছাড়া আপনি চাইলে পানি ও ভিনেগারের বরফের কিউব বানিয়েও তোকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে খুব সহজেই। এফেক্ট একটি খুব সহজেই আপনি ঘরোয়া ভাবে বানাতে পারেন।

২/ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং তৈলাক্ত ত্বক এর সুরক্ষায় পাকা পেঁপে বেশ কার্যকর। পাকা পেঁপে ভালোভাবে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে সেই মিশ্রণ যদি আপনি ত্বকে লাগাতে পারেন তাহলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে।

৩/ঘরোয়া উপায় ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমাতে কাঁচা দুধ বেশ কার্যকর। তৈলাক্ত ভাব দূর করার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং কোমল রাখতে কাঁচা দুধ ভালো কাজে দেয়। আপনি কিছু পরিমাণ কাঁচা দুধ তুলার সাহায্যে ত্বকে চেপে চেপে লাগিয়ে নিন এবং ৩০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধরে ফেলুন এতে দ্রুত আপনার তৈলাক্ততা কমে যাবে এবং ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ দেখাবে।

৪/আপনি চাইলে ঘরোয়া ভাবে এক টেবিল চামচ বইয়ের সঙ্গে এক চামচ পরিমাণ ওটমিল এর গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন এতে দ্রুত ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে।

৫/এলোভেরা এবং শসার রস ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে বেশ কার্যকর। এই ব্যক্তি ঘরোয়া ভাবে বানানোর জন্য আপনাকে দুই টেবিল চামচ এলোভেরা জেল এবং সমপরিমাণ শসার রস একসাথে মিশিয়ে ত্বকে মাসাজ করুন এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন এতে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয় এবং ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

৬/ঘরোয়াভাবে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে মধু ও দই এর মিশ্রণ বেশ ভালো কাজ করে। ভরা ভাবে এই প্যাক্টি বানানোর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে এক টেবিল চামচ পরিমাণ দ‌ই এবং সমপরিমাণ মধু একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং পেজটি ত্বকে লাগিয়ে 10 মিনিট রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে পাশাপাশি ত্বকের উপরের স্তরের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করবে।

৭/রসুনের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান রয়েছে যা প্রাকৃতিক ভাবে আমাদের ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে বেশ কার্যকর। ঘরোয়াভাবে রসুনকে ভালোভাবে বিলিন্ডারে ব্লেন্ড করে ত্বকে লাগান এবং কিছুক্ষণ রাখার পর ধুয়ে ফেলুন এতে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে।

৮/আপেলের রস ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয় পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং লেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষগুলোকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এই প্যাকটি আপনাকে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি তকের তোলা তো ভাব দূর করতে বেশ কার্যকর।

৯/গোলাপজল ঘরোয়া উপায়ে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে বেশ কার্যকরী। প্রতিবার মুখ ধোয়ার পরে আপনি গোলাপজল ত্বকে লাগিয়ে নিতে পারেন এতে খুব দ্রুত মুখে তৈলাক্ত ভাব দূর হয়।

১০/গ্রিন টি মুখের তৈলাক্ত ভাব ঘরোয়া ভাবে দূর করতে বেশ কার্যকারী। এছাড়াও আপনারা মুখে তৈলাক্ত ভাব ঘরোয়া ভাবে দূর করার জন্য লবন স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে কিছু পরিমাণ লবণ পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে রেখে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করার পর মুখের ওপর স্প্রে করতে হবে। এবং কিছুক্ষণ রাখার পর ঠান্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলে আপনি নিজেই তফাৎ বুঝতে পারবেন।

এতক্ষণ আমরা জানলাম মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে। কিন্তু শুধুমাত্র ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করে মুখের তৈলাক্ত ভাব সম্পন্ন দূর করা সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি আপনাকে কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করতে হবে। যেমন:

১/প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

২/ত্বকের ধরন বুঝে আপনাকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।

৩/অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার, লবণাক্ত খাবার এবং ফলমূলের কনসেনট্রেটেড জুস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

৪/অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে।

৫/প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় সূর্যের নিচে থাকা উচিত না। বেশি প্রয়োজন হলে ছাতা,টুপি অথবা সানগ্লাস ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।

৬/প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগেই আই কেয়ার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে এতে করে চোখের নিচে কালি পড়বে না।

৭/ক্ষতিকারক কেমিক্যাল মিশ্রিত কসমেটিকস ব্যবহার করা যাবে না। আপনি চাইলে ভেষজ পদ্ধতিতে তৈরি বিভিন্ন কসমেটিক্স ব্যবহার করতে পারেন।

৮/দুই থেকে তিন ঘন্টা পর পর মুখমণ্ডল ভালোভাবে পরিষ্কার করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
৯/মানসিক চাপ পরিহার করতে হবে।

১০/দৈনন্দিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে (৭-৮ ঘন্টা)

উপরোক্ত প্যাকগুলো ব্যবহারের পাশাপাশি আপনাকে নিচের এ নিয়ম গুলো অনুসরণ করে চলতে হবে তাহলে চিরতরে আপনার মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে।

ছেলেদের মুখের তৈলাক্ততা দূর করার ফেসওয়াস

বন্ধুরা ইতোমধ্যে আমরা ছেলেদের তৈলাক্ততা দূর করার বিভিন্ন ফেসওয়াস সম্পর্কে আলোচনা করেছি। উপরোক্ত ফেসওয়াস এবং প্যাকগুলো ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্যই ভালো কাজ করে। এই ফেসওয়াসগুলো ছেলেদের মুখের তৈলাক্ততা দূর করতেও বেশ কার্যকরী। তবে মেয়েদের এ সকল ফেসওয়াস ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আশা করি ছেলেদের মুখের তৈলাক্ততা দূর করার বিভিন্ন ফেসওয়াস সম্পর্কে আপনারা সঠিক ধারণা পেয়েছেন। ছেলেদের এবং মেয়েদের যেকোনো ধরনের ফেসওয়াশ ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই নিজের ত্বকের ধরন নির্ধারণ করার চেষ্টা করবেন এতে করে আপনাদের ফেসওয়াস কিংবা ক্রিম ব্যবহারে বেশি সুবিধা হবে।

কেননা একেকজনের ত্বক একেক ধরনের হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি সঠিকভাবে আপনার ত্বকের ধরন নির্ণয় করতে পারেন তাহলে আপনি সঠিক ভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন এবং এতে আপনার ত্বকের ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।

লেখকের মন্তব্যঃতৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াস গুলো ভালো 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে যদি আপনার কোন মতামত বা মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করতে পারেন। আরো অন্য কোন বিষয় সম্পর্কে যদি আপনার জানার আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই যোগাযোগ করবেন। এই আর্টিকালি পড়ার মাধ্যমে যদি আপনার কোন উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন। সকলে ভালো থাকবেন।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪