শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে করণীয়
আপনার কি অতিরিক্ত চুল পড়া, ক্লান্তি ভাব, ওজন বৃদ্ধি কিংবা হাড়ের ক্ষয় বা দাঁতের ব্যথা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এগুলো আবার আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতির কারণে হচ্ছে না তো। আপনি কি ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে আজকের এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। এই পোস্টটিতে আমরা ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত বিভিন্ন লক্ষণ এবং ভিটামিন বি এর অভাব হলে কি কি করণীয় সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত লক্ষণগুলো ছাড়াও ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা, ভিটামিন ডি বেশি খেলে কি হয় কিংবা ভিটামিন ডি এর অভাব কেন হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। এছাড়াও আরো জানতে পারবেন ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের কি কি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।
পোস্ট সূচীপত্রঃ শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে করণীয়
ভূমিকা
আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং সকল ধরনের রোগ থেকে দূরে রাখতে শরীরে সকল ধরনের ভিটামিন এর চাহিদা রয়েছে। তারমধ্যে ভিটামিন ডি একটি। ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে স্নেহ পদার্থকে দ্রবীভূত করে থাকে। আমাদের হাড়ের গঠন মজবুত করতে ও দাঁতের সুরক্ষার ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি খুবই ভালো কাজ করে।
ভিটামিন ডি মূলত সূর্যালোকের প্রভাবে শরীরের প্রতিটি কোষে তৈরি হতে পারে। ভিটামিন ডি এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ডি১,ভিটামিন ডি২, ভিটামিন ডি৩ যেগুলো আমাদের হার ও দাঁতের সুরক্ষা দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। কিন্তু যদি এগুলোর ঘাটতি চইলে দেখা যায় কিংবা এগুলোর মাত্রা যদি শরীরে কমে যায় তাহলে আমরা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক সমস্যায় ভুগে থাকি।
বিভিন্ন উপায় খুঁজে থাকি কিন্তু সঠিকভাবে কোন বিষয় বুঝতে পারিনা। আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনি শুরুতে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন তাহলে আপনি ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত বিভিন্ন লক্ষণ এবং ভিটামিন ডি এর অভাব হলে কি কি করণীয় এবং কি কি খাবার আপনাকে খেতে হবে এ সকল বিষয়ে ছাড়াও সকল নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানানো হবে। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।
ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত লক্ষণ
আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা ভিটামিন বি এর অভাবজনিত লক্ষণ বা কি কি পরিবর্তন দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হয়েছে কিনা তা সম্পর্কে আলোচনা করব। তাই ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
হাড়ের ক্ষয়
আমাদের হাড় ও দাঁতের গঠন শক্তিশালী করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম প্রয়োজন যার যোগান দিয়ে থাকে ভিটামিন ডি। আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকে তাহলে ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত কারণে আপনার দাঁতের ও হাড়ের ক্ষয় হয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে যার কারণে বয়স্কদের দাঁতে ব্যথার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
অত্যাধিক ক্লান্তি
ভিটামিন ডি সাধারণত আমাদের শরীরে ক্লান্তি ভাবকে দূর করতে কাজ করে। কিন্তু কোন কারণে যদি আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয় তাহলে আপনার শরীরে সব সময় একটা ক্লান্তি ভাব অনুভব হবে এবং অল্প পরিশ্রমে আপনি হাঁপিয়ে যাবেন কিংবা ক্লান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা দিবে। যা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়।
ওজন বৃদ্ধি
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি রয়েছে তাদের ওজন হঠাৎ করেই অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যায়। ভিটামিন ডি সাধারণত আমাদের পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রয়োজনে পরিমাণ পুষ্টি আমাদের শরীরে সরবরাহ হতে সাহায্য করে। কিন্তু শরীরের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকলে পরিপাক প্রক্রিয়া ধীর হয় যার কারণে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ মেদ জমা হয় যা ওজন বৃদ্ধির জন্যে দায়ী।
চুল পড়া
ভিটামিন ডি আমাদের চুলের গোড়া মজবুত করতে এবং চুলের ফলিকল গুলোকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। কিন্তু ভিটামিন ডি এর অভাব হলে আমাদের অতিরিক্ত পরিমাণ চুল পড়া সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা মোটেও ভালো লক্ষণ না।
ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া
আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে রক্তের অনুচক্রিকার কাজে বাধা সৃষ্টি হয় যার কারণে কত শুকাতে দেরি হয়। আপনার যদি দীর্ঘদিন ধরে কোন ক্ষত না শুকায় বা ক্ষত শুকাতে যদি প্রচুর সময় নেই তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে।
মানসিক অবসাদ
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের পাশাপাশি আমাদের মন কেউ নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষ করে শীতকালে যখন সূর্যের আলো খুব কম থাকে তখন আমাদের মানসিক অবসাদ অনেকটা বেড়ে যায়। এর কারণ হলো সূর্যের আলো থেকে আমরা যে ভিটামিন ডি সরাসরি পেয়ে থাকি শীতকালে তাপমাত্রা কমে যায় যার কারণে আমাদের অবসাদ গ্রস্থ তার লক্ষণ দেখা দেয়।
পিঠে ব্যথা
যারা দীর্ঘক্ষণ ধরে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকে কিংবা বসে বসে কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে পিঠে ব্যথার লক্ষণ দেখা দেয়। যেটা মূলত ভিটামিন ডি এর অভাবের কারণে হয়ে থাকে যা ছোট বড় সবার ক্ষেত্রেই দেখা যায়।
নিদ্রাহীনতা
আমাদের শরীরে যদি ভিটামিন এর অভাব হয় সেক্ষেত্রে তা আমাদের স্ট্রেস হরমোন বা করটিসলের মাত্রা কে বৃদ্ধি করে এছাড়াও ক্যালসিফেরলের মাত্রা কমে গেল তা আমাদের নিদ্রাহীনতার সমস্যার কারণ হতে পারে। যার কারনে আমরা খুব অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ি। তেমনি ভিটামিন বি এর অভাব হলে আমাদের রাত জাগা কিংবা ঘুম কম হওয়া সহ গো সংক্রান্ত নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
হাড়ে ব্যথা
হাড়ের ব্যথার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেওয়া। যার কারনে আমাদেরকে শীতে দুর্বলতা ও হাড়ের ক্ষয়ের মত লক্ষণও দেখা দিতে পারে। যা আমাদের হাঁটাচলায় বাধা সৃষ্টি করে এবং অল্পতে ক্লান্ত অনুভব হয়।
প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়া
আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেমকে উন্নত করতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমাদের শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয় তাহলে ঘন ঘন অসুস্থ হওয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে তারা বিভিন্ন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া গঠিত রোগ যেমন সর্দি,হাঁপানি ও ফ্লু দ্বারা খুব সহজেই সংক্রামিত হয়। এছাড়াও ভিটামিন ডি এর ঘাটতির কারণে শিশুদের ক্ষেত্রে রিকেট রোগ, প্রাপ্তবয়স্কদের অস্টিও মিলেশিয়া এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে হাড়ের ক্ষয় কিংবা বাত ব্যথার রোগ দেখা দিতে পারে।
দাঁত ভাঙ্গা
শিশু বা বৃদ্ধ যে কোন বয়সের ক্ষেত্রে যদি ভিটামিন বি এর ঘাটতি জনিত লক্ষণ প্রকাশ পায় তার মধ্যে অন্যতম একটি লক্ষণ হচ্ছে দাঁতের ক্ষয় হওয়া কিংবা দাঁত ভেঙে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেওয়া।
মাংসপেশির দুর্বলতা
যাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে তাদের মাংসপেশি বেড়ে যাওয়া কিংবা মাংসপেশি কাঁপার মত সমস্যা দেখাবে। বিশেষ করে হয়তো খেয়াল করবেন অনেকের হাত কিংবা মাথা কাঁপার রোগ রয়েছে এই লক্ষণ মূলত ভিটামিন ডি এর অভাবের কারণেই হয়ে থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ
হঠাৎ করে উচ্চ রক্তচাপ এর সমস্যা দেখা দিলে তা ভিটামিন ডি এর লক্ষণ হতে পারে।
দুশ্চিন্তা
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে তাদের দুশ্চিন্তাগ্রস্থ কিংবা উদ্বেগ জনিত রোগের সম্ভাবনা অনেক বেশি। ক্যালসিডিওল আমাদের উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রক হরমোন যা সাধারণত ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত কারণে বেড়ে যাওয়া কিংবা কমে যাওয়ার লক্ষণ প্রকাশ করে যার কারণে আমাদের অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা কিংবা উদ্বেগ জনিত রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
ক্ষুধামন্দা
অনেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য ডায়েট করেন কিংবা খাবার কম খেয়ে থাকেন। কিন্তু যাদের খিদে থাকার সত্বেও খাবারে অরজির ভাব দেখা দেয় তা মোটেও ভালো লক্ষণ নয় এটা ভিটামিন ডি এর ঘাটতির অভাবে হতে পারে। সুতরাং এ বিষয়গুলো মোটেও অবহেলা করবেন না।
ত্বকের ক্ষতি হওয়া
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে তাদের ত্বকে ফুসকুড়ি বা ব্রণের মতো লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে এবং খুব অল্প বয়সেই বার্ধক্যের ছাপ পড়তে পারে।
ভিটামিন ডি এর অভাব হলে করণীয়
এতক্ষণ আমরা ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত বিভিন্ন লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানলাম। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা জানবো আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব থেকে থাকে তাহলে আপনার করণীয় বিষয় কি কি। এবং আপনার দৈনন্দিন জীবনে কি কি পরিবর্তন করতে হবে এবং কোন নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে আর্টিকেলটির এই অংশে।
১/আপনার শরীরের যদি ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত লক্ষণ প্রকাশ পায় তাহলে আপনার খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। যেমন আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ভিটামিন বিযুক্ত বা ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারের মাত্রা বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনারা ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাশরুম,ডিমের কুসুম, মাছ এই সকল খাবার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
২/যদি অল্প সময়ের মধ্যে আপনার শরীরে অত্যাধিক পরিমাণ ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয় এবং বিভিন্ন ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। এবং চিকিৎস ক এর পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে যে সকল নিয়ম-কানুন ও ঔষধ প্রেসক্রাইব করবেন সেগুলো অনুসরণ করা উচিত। এগুলো মোটেও অবহেলা করবেন না এতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।
৩/প্রক্রিয়াজাতভাবে কিছু খাবারে প্রসেসিং এর মাধ্যমে ভিটামিন ডি যুক্ত করা হয়। যাকে ফরটিফিকেশন বলা হয়। দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় আপনারা এ সকল খাবার রাখতে পারেন। যা আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণে সাহায্য করবে।
৪/আপনার শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিলে কিংবা এর লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক আপনি বিভিন্ন ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণে সাহায্য করবে।
৫/সূর্য রশ্মি আমাদের শরীরে কোষগুলোতে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে। এর জন্য প্রতিদিন সকালে অথবা বিকেলে আপনারা ২০ থেকে ৩০ মিনিট সূর্যালোকের তাপ শরীরে নিতে পারেন এতে আপনার ভিটামিন ডি এর ঘাটতি জনিত অভাব পূরণ হবে এবং আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
তবে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে সূর্যালোকে রয়েছে অতিবেগুনি রশ্মি বা আল্ট্রা ভায়োলেট রে যা আপনার ত্বকের ক্ষতি সাধন করতে পারে তাই অতিরিক্ত সূর্যরশির সংস্পর্শে না যাওয়ার চেষ্টা করবেন বিশেষ করে দুপুরের সময়। আপনার যদি তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস থাকে তাহলে আপনি সকাল সকাল সূর্যরশির সংস্পর্শে আসতে পারেন।
ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা
বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত বিভিন্ন লক্ষণ সম্পর্কে জানলাম এবং এর পাশাপাশি ভিটামিন ডি এর অভাব হলে কি কি করণীয় রয়েছে সেগুলো সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করলাম। আর্টিকেলটির এ অংশে আমরা জানবো ভিটামিন ডি এর অভাব হলে আপনার কোন খাবার গুলো প্রতিদিন খাওয়া উচিত বা আপনার খাদ্য তালিকায় কোন খাবারগুলো যোগ করতে হবে সে সম্পর্কে।
সামুদ্রিক মাছ
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণের জন্য আপনার খাদ্য তালিকায় আপনি সামুদ্রিক বিভিন্ন মাছ যেমন স্যামন ও টুনা মাছ রাখতে পারেন। যা আপনার ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের চাহিদা পূরণ করবে। এবং আপনার হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ওটস
যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্যশস্যই মোটামুটি ভাবে ভিটামিন ডি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ওটস রাখতে পারেন। প্রতিদিন রাতে দুধের সাথে ওটস খেলে তা আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করবে। এর সাথে আপনারা কাঠবাদাম,খেজুর কিংবা আখরোট যুক্ত করতে পারেন।
দুগ্ধ জাত খাবার
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আপনি যদি দুগ্ধ খাবার রাখতে পারেন তা আপনার শরীরের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি আপনার হাড়ের স্বাস্থ্যকে মজবুত করতে এবং শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করবে। এর জন্য আপনারা দুধ, ছানা,দই,চিজ এগুলো খেতে পারেন।
ডিম
ভিটামিন ডি এর একটি অন্যতম উৎস হচ্ছে ডিম। বিশেষ করে আপনি যদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় হাঁসের ডিম খেতে পারেন তাহলে তা আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর পাশাপাশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন এ এর অভাবে পূরণ করবে। তাই শরীরকে সুস্থ ও সকল ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আপনারা হাঁসের ডিম রাখতে পারেন। বিশেষ করে হাঁসের ডিমের কুসুম ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণের জন্য খুবই ভালো কাজ করে।
মাশরুম
মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন ডি যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি আমাদের হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করতে ভালো কাজ করে। আপনি চাইলে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ মাশরুম যুক্ত করতে পারেন।
কমলা
ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি এর আরো একটি ভালো উৎস হচ্ছে কমলা। যা আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি আমাদের দাঁতের সুরক্ষা এবং হাড়ের সুরক্ষায় ভালো কাজ দেয়। এছাড়াও আপনারা নিজেদের খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের ফল সবুজ শাকসবজি যুক্ত করতে পারেন যা আপনাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণে ভালো কাজ করবে।
কড লিভার অয়েল বা মাছের তেল
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণের ক্ষেত্রে মাছের তেল খুবই উপকারী। তাই আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় মাছের তেল রাখতে পারেন।
গরু ও খাসির কলিজা
গরু ও খাসির কলিজাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি এবং আরো বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপনি চাইলে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় গরু ও খাসির কলিজায় যুক্ত করতে পারেন।
সয়াবিন
সয়াজাত খাবারগুলো আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে ভালো কাজ করে। সে ক্ষেত্রে আপনারা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সয়া জাতীয় খাবার যেমন দুধ স্বাভাবী বা ইয়োগার্টের মত বেশ কিছু খাবার যুক্ত করতে পারেন যা আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণে সহায়তা করবে।
সূর্যমুখী ফুলের বীজ
ভিটামিন ডি এর একটি ভালো উৎস ধরা হয় সূর্যমুখী ফুলের বীজকে। হালকা মুখরোচক খাবার হিসেবে ভাজাপোড়া না খেয়ে পুষ্টিকর সূর্যমুখী বীজ খাওয়া যেতে পারে। যা আমাদের শরীরের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি ইমিউনিটি সিস্টেমকে উন্নত করতে সাহায্য করবে।
কেল
ভিনদেশী একটি সবজি হচ্ছে কেল যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি ও ডি। কেল মূলত ক্রুসিফেরাস গোত্রের একটি সবজি। এটি বিভিন্ন সুপারশপে খুব সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়। যা আমাদের হাড়ের গঠন মজবুত করার পাশাপাশি আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
বাদাম
আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সহ সকল প্রকার ভিটামিনের ঘাটতি পূরণের জন্য একটি ভালো উৎস হচ্ছে বাদাম। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আমাদের স্মৃতিশক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে ও শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে। তাই আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখতে পারেন।
পালং শাক
ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর ভরপুর একটি সবজি হচ্ছে পালং শাক। যা আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখলে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি আপনাকে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেবে।
পনির
দুগ্ধ জাত খাবারের মধ্যে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণের জন্য পনির খুবই ভালো কাজ করে তবে প্রচুর পরিমাণ লবণ দেওয়া পনির এগিয়ে চলতে হবে এতে স্বাস্থ্য হানি হতে পারে। এছাড়াও আপনাদের খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও ফল যেমন শুকনা ডুমুর, কিসমিস, আলু বোখারা, খেজুর, ক্র্যানবেরিজ,চিংড়ি মাছ যুক্ত করতে পারেন এগুলো আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় থাকলে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি সকল ধরনের ক্যালসিয়াম এর অভাব পূরণ করবে।
ভিটামিন ডি বেশি খেলে কি হয়
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী এর বিভিন্ন উপকারী দিক রয়েছে। যেমন:
- হাড়কে শক্ত ও মজবুত করে
- শিশুদের ক্ষেত্রে হাড়ের গঠন ও রিকেট রোগ থেকে মুক্তি দেয়
- দাঁত শক্ত করে
- পেশির কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে
- ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে
ঠিক তেমনি আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি খেয়ে ফেলেন বা ভিটামিন ডি বেশি উৎপন্ন হয় তাহলে আপনার বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অবনতি হতে পারে। আর্টিকেলটির এই অংশ আমরা ভিটামিন ডি বেশি খেলে কি হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানবো।
খাওয়াতে অরুচি
শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে কিংবা ভিটামিন ডি এর মাত্রা বেড়ে গেলে উভয় কারণে খাওয়াতে অরুচি বা ক্ষুধা মন্দা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে বিভিন্ন ধরনের সাপ্লিমেন্ট বা পিল খেতে পারেন।
বমি বমি ভাব
আপনার শরীরে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি এর ঘাটতির কারণে আপনি যদি ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ সাপ্লিমেন্ট বা পিল খেয়ে থাকেন এবং তার ফলে যদি ভিটামিন ডি এর মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে তৎক্ষণাৎ ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ পিল ও সাপ্লিমেন্ট খাওয়া বন্ধ করুন। ভিটামিন ডি শরীরে বেশি হলে আপনার বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে।
ক্যালসিয়ামের আধিক্য
শরীরে ভিটামিন ডি বেশি হলে কিংবা ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ সাপ্লিমেন্ট বা পিল খেলে আপনার শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালসিয়াম বেড়ে যেতে পারে যাকে ডাক্তারি ভাষায় হাইপার ক্যালসেমিয়া বলা হয়। যার কারণে আপনার বমি বমি ভাব শারীরিক দুর্বলতা কিংবা প্রস্রাবের দেখ বেড়ে যেতে পারে।
কিডনির জটিলতা
অতিরিক্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ ক্যাপসুল খাওয়ার ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম জমা হলে তার কারণে নেফ্রো ক্যালসিনোসিস হতে পারে। যা স্থায়ী ভাবে আপনার কিডনির ক্ষতির কারণ হতে পারে এবং মূত্রাশয়ে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করে।
হাড়ের সমস্যা
হাড়ের সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি যেমন শরীরে আবশ্যক তেমনি ভিটামিন ডি বেশি খেলে আমাদের শরীরে ভিটামিন কে২ এর জোগানি এবং এর কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে।
ডিহাইড্রেশন
অতিরিক্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি খেলে আমাদের শরীরে পানির পরিমাণ কমে যায় যার কারণে আমরা ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় ভুগে থাকি।
কোষ্ঠকাঠিন্য
শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি বেড়ে গেলে কিংবা ভিটামিন ডি বেশি খেলে তার কারণে আমাদের পাকস্থলী কিংবা নারীর কার্যক্রমে সমস্যার সৃষ্টি হয় যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভিটামিন ডি এর অভাব কেন হয়
এতক্ষণ আমরা ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত বিভিন্ন লক্ষণ ও এ লক্ষণ থেকে বাঁচার জন্য করনীয় বিষয়সহ ভিটামিন ডি যুক্ত বিভিন্ন খাবার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানলাম। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা ভিটামিন ডি এর অভাব কেন হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানবো। শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতির বিভিন্ন কারণ রয়েছে। নিচে কারণগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
১/ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে যে সকল মহিলারা স্তন্যপান করান তাদের ক্ষেত্রে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিতে পারে। এছাড়াও মহিলাদের মেনোপজ হওয়ার পর শরীরের বিভিন্ন ধরনের হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিতে পারে।
২/অনেক দেশেই মহিলারা খুব একটা ঘরের বাইরে থাকে না বা যারা থাকে তারাও অফিসে ঘরের মধ্যে বসে কাজ করে। যার কারণে তারা সঠিকভাবে সূর্যের আলোয় সংস্পর্শে আসে না যা ভিটামিন ডি এর ঘাটতির অন্যতম একটি কারণ।
৩/যে সকল মহিলারা বা পুরুষরা ত্বক ঢাকা পোশাক বেশি ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে সূর্যের আলো শরীরের কোর্সগুলোতে ভিটামিন বি উৎপন্ন করতে না পারার কারণে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা যায়।
৪/এছাড়াও যারা আমিষ জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন না তাদের ক্ষেত্রেও ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিতে বা অভাব দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও আরো যে সকল কারণ রয়েছে সেগুলো নিচে বর্ণনা করা হলো।
- শরীরের রং অতিরিক্ত কালো হলে
- নির্দিষ্ট একটা বয়স পার হওয়ার পর
- শরীরে অতিরিক্ত ওজন থাকলে
- পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছ ও দুগ্ধজাত খাবার না খাওয়া
- অতিরিক্ত পরিমাণ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা
- বাইরে চলাফেরার পরিমাণ কম হওয়া
ভিটামিন ডি এর অভাব হলে শিশুদের কি রোগ হয়
ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুরা বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। নিচে ভিটামিন বি এর অভাবে শিশুদের যে সকল রোগ হয়ে থাকে তা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
মাংসপেশি ক্রাম্প
শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও মাংসপেশি গঠন এর জন্য ভিটামিন ডি এর গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু ভিটামিন ডি এর অভাব হলে শিশুদের মাংসপেশী গঠন সঠিকভাবে হতে পায় না যার কারণে মাংসপেশি ক্রাম্প রোগে আক্রান্ত হয়।
রিকেট
ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত কারণে সাধারণত শিশুদের এবং বয়স্কদের রিকেট রোগ দেখা দিতে পারে। ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়ের গঠন সঠিকভাবে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কিন্তু কোন কারনে শিশুদের ক্ষেত্রে যদি শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয় তাহলে হাড়ের দুর্বলতা কিংবা হাড় নরম হয়ে যাওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায় এমনকি হাড়ের বেঁকে যাওয়ার মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে যেটা শিশুদের ক্ষেত্রে রিকেট এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে অস্টিওমেলাসিয়া নামে পরিচিত।
বৃদ্ধি কম হওয়া
অনেক সময় দেখা যায় একই বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে উচ্চতায় পার্থক্য রয়ে যায় এটা অনেক ক্ষেত্রে জিনগত কারণে হয়ে থাকে তবে যদি আপনার শিশুর সরিয়ে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থেকে থাকে তাহলেও বৃদ্ধি কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিরক্ত করা
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে হাড়ের গঠন বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যদি শিশুদের অতিরিক্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা যায় তাহলে মানসিক বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
ঘন ঘন সংক্রমণ
অন্যান্য সকল ভিটামিন এর পাশাপাশি ভিটামিন ডি ও আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে যদি আপনার শিশুর শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা যায় তাহলে বিভিন্ন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের শিকারের সম্ভাবনা রয়েছে।
দাঁতের সমস্যা
দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন সি এর পাশাপাশি ভিটামিন ডি ও জরুরী। যদি শিশুদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা যায় তাহলে দাঁতের ক্ষয় বা ক্যাভিটি দেখা দিতে পারে এমনকি আপনার শিশুর দাঁত অকালে ঝরে পড়ার সমস্যাও হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট
যদি আপনার শিশুর শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি এর অভাব থাকে তাহলে ফুসফুস জনিত রোগ শ্বাসকষ্ট ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
লেখকের মন্তব্যঃ শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে করণীয়
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে কিভাবে বুঝবেন এবং এ সকল ঘাটতি পূরণে আপনার কি কি করণীয় তা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি সম্পর্কে যদি আপনার কোন মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করতে পারেন।
এবং যদি আপনার কোন উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। এরকম আরো শিক্ষণীয় ও মজার মজার পোস্ট করতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url