OrdinaryITPostAd

কফি দিয়ে হাত পা ফর্সা করার অভিনব উপায় সম্পর্কে জানান

আপনি কি ত্বকের যত্ন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। মুখে ও ত্বকে কালচে দাগ দেখা দিচ্ছে। দিনদিন সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা খুব সহজ একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে কিভাবে হাত পা ফর্সা করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত নিয়ম গুলো আলোচনা করব। 

ছবি

আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন তাহলে কফি দিয়ে কিভাবে হাত বা ফর্সা করার যায় সে উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

এছাড়াও আরো জানতে পারবেন কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে, কপি পাউডার দিয়ে রূপচর্চার বিষয় সম্পর্কে, কফি মুখে দিলে কি হয় এবং তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে কিভাবে কফি ব্যবহার করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তার যে আজকের এই আর্টিকেলটিতে। তাই যদি আপনি ত্বকের যত্নে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃকফি দিয়ে হাত পা ফর্সা করার অভিনব উপায় সম্পর্কে জানান 

ভূমিকা

যদিও কফি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে কিন্তু আপনি কি জানেন রূপচর্চায় কিংবা সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কফির ব্যবহার হয়ে আসছে প্রাচীন কাল থেকেই। কফির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ও অম্লীয় উপাদান যা ত্বকের ও চুলের যত্নে খুবই ভালো কাজ করে। 

অনেকেই দৈনন্দিন কাজের চাপে পার্লারে গিয়ে রূপচর্চার সময় পান না। যার কারণে মুখে ও ত্বকে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস এর আক্রমণ ঘটে এবং ত্বকের সৌন্দর্য ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। তাই আপনাদের দৈনন্দিন কাজের কথা বিবেচনায় রেখে আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা খুব সহজেই কিভাবে কফির মাধ্যমে ঘরে বসে আপনি আপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং হাত পা ফর্সা করতে পারবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা নিয়ে এসেছি। 

আপনি যদি প্রতিদিন কফির ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের কারণে ত্বকের যে সৌন্দর্য নষ্ট হয় তা পুনরায় ফিরে আসবে। এছাড়াও রোদে পোড়া কালচে দাগ দূর করতে কফি ব্যবহার করা যায়। 

চিকিৎসকদের মতে কফির মধ্যে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের ত্বকের মধ্যে জমে থাকা ধুলাবালি পরিষ্কার করতে এবং কফির অম্লীয় উপাদান গুলো ত্বকের বদ্ধ হয়ে যাওয়া দূর করতে সাহায্য করে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কফি ব্যবহার করে কিভাবে আপনি ঘরে বসে ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন।

কফি দিয়ে হাত পা ফর্সা করার উপায়

আমাদের মধ্যে অনেকেই কফি খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন এই কফি আমাদের রক্তের সঞ্চালন বৃদ্ধিতে কাজ করে। এছাড়া অনিয়মিত কফি হাত ও পায়ে লাগানোর ফলে ত্বকের মসৃণতা ও স্নিগ্ধতা বৃদ্ধি পায়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে কফি দিয়ে হাত পা ফর্সা করা যায় তার উপায় গুলো সম্পর্কে।

কপি এবং চিনির তৈরির স্ক্রাব: ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং ত্বকের কোমলতা ধরে রাখতে কফি খুবই ভালো কাজ করে। এর জন্য কফি ও চিনির এই স্ক্রাবটি আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার ত্বক ফর্সা হবে এবং কোমলতা বৃদ্ধি পাবে। 

প্রথমেই এক কাপ কফি পাউডারের সাথে দুই টেবিল চামচ পরিমাণ চিনি ভালোভাবে মিক্স করে নিতে হবে। আপনি চাইলে দ্রুত ফলাফলের জন্য এর সাথে কোকোনাট অয়েল কিংবা এসেন্সিয়াল অয়েল যুক্ত করতে পারে। 


এরপর ভালোভাবে স্ক্রাবটি আপনার হাত ও পায়ে লাগিয়ে ফেলুন এবং ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর্যন্ত ম্যাসাজ করে নিন। নির্দিষ্ট সময় পার হলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন দেখবেন ১ মাস নিয়মিত ব্যবহারের ফলে আপনার হাত ও পা আগের তুলনায় অনেকটা ফর্সা ও কোমল অনুভব হবে।

কফি ও মধুর ফেস প্যাক: আমরা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক ব্যবহার করে থাকি। আজকে আমরা কফি ও মধুর এমন একটি ফেসপ্যাক সম্পর্কে আপনাদের বলব যা আপনার হাত ও পায়ের ফর্সা ভাব বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে। এর জন্য প্রথমে আপনাকে একটি বাটিতে ১ চামচ পরিমাণ কফি পাউডার ও ১ চামচ পরিমাণ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। 

এরপর মুখে হাত ও পায়ে ৫ মিনিট লাগে মালিশ করতে হবে।৫ মিনিট হয়ে গেলে হালকা পানি ব্যবহার করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি কফি ও মধুর এই ফেসপ্যাকটি নিয়মিত রাতের বেলা লাগাতে পারেন তাহলে হাত ও পায়ের ফর্সা ভাব বৃদ্ধি পাবে এবং সারা দিন ত্বক থাকবে সতেজ ও কোমল।

কফি ও দুধের সরের ফেস ক্লিনজার: প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা করতে এবং হাত ও পায়ের কাছে দাগ দূর করতে এই উপায়টি ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার পক্ষে তরতাজা ও সতেজ রাখতে সাহায্য করবে এবং হাত ও পায়ের কালচে দাগ দূর করে ফর্সা দেখাবে। এই ক্লিনজারটি তৈরীর জন্য আপনাকে এক টেবিল চামচ পরিমাণ কফি ও এক চামচ পরিমাণ দুধের সর একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। 

তবে অবশ্যই এই ক্লিনজার টি ব্যবহারের পূর্বে হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন। এরপর হাত-পা,মুখ,ঘাড়,গলায় লাগিয়ে ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত মাসাজ করুন। এরপর নরমাল পানি ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি প্রতি সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন এই ক্লিনজার টি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার ত্বক প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।

চিনি,অ্যালোভেরা জেল ও কফির পেস্ট: ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং ত্বককে মাখন এর মত কোমল করতে কফির এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করা যায়। এতে দ্রুত আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ও ফর্সা ভাব ফিরে আসবে এবং ত্বক হয়ে উঠবে কোমল। ঘরে বসেই এক টেবিল চামচ পরিমাণ কফি এক চামচ পরিমাণ অ্যালোভেরা জেল ও সমপরিমাণ চিনি ব্যবহার করে বানিয়ে ফেলুন এই ফেসপ্যাকটি। 

এই ফেসটা কি ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই আপনার মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেবেন এরপর কপির এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করে ২ থেকে ২.৫ মিনিট আপনার ত্বকে এবং মুখে মাসাজ করুন। এরপর হালকা নরমাল পানি ব্যবহার করে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিন। 

এই ফেসপ্যাকটি যদি আপনি প্রতি সপ্তাহে একবার করে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে দ্রুত আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং হাত ও পায়ের ফর্সা ভাব ফিরে আসবে।

কফি,বেসন ও গোলাপজলের ফেসপ্যাক: মুখের ও ত্বকের কালচে ভাব দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও মুসলিম ভাব ফিরিয়ে আনতে এই ফেস ব্যক্তির খুবই ভালো কাজ করে। এই ফেসপ্যাকটি মুখে লাগালে আমাদের ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে এবং মুখ ও গাল হয়ে উঠবে গোলাপী। 

এই ফেসপ্যাক্টি বানানোর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ১ চামচ পরিমাণ কফি পাউডার,সমপরিমাণ বেসন ও সমপরিমাণ গোলাপ জল ভালোভাবে একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং হাত-পা, মুখ,ঘাড় ও গলায় 8 থেকে 10 মিনিট লাগিয়ে রেখে দিন এরপর হালকা শুকিয়ে এলে এবং টানটান ভাব অনুভব হলে নরমাল পানি ব্যবহার করে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিন। 


এই ফেসপ্যাকটি যদি আপনি সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত আপনার হাত ও ফর্সা হয়ে উঠবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা কফি দিয়ে হাত পা ফর্সা করার বিভিন্ন উপায় গুলো সম্পর্কে জানলাম। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা কপি দিয়ে ফর্সা হওয়ার আরো কয়েকটি অভিনব উপায় সম্পর্কে জানব। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

কফি পাউডার ও নারিকেল তেলের স্ক্রাব: ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হওয়ার জন্য কপি পাউডার ও নারিকেল তেলের স্ক্রাবটি ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমেই এক টেবিল চামচ পরিমাণ কফি পাউডার এর সাথে এক চামচ পরিমাণ নারিকেল তেল ভালোভাবে মিশিয় মুখে ও ত্বকে লাগে নিন। 

এরপর ৮ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পর যখন স্ক্রাবটি শক্ত হয়ে আসবে এবং টানটান ভাব অনুভব হবে তখন নরমাল পানি ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হতে সাহায্য করবে এবং নারিকেল তেল আপনার ত্বকের আদ্রতা ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে। এই ফেসপ্যাকটি প্রতি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। তাহলে খুব দ্রুত আপনার ত্বক এর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হয়ে উঠবে।

কপি পাউডার,এলোভেরা জেল ও নারিকেল তেলের স্ক্রাব: চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এই ফেসপ্যাক টি নিয়মিত ব্যবহার করুন। এ ফেসপ্যাক্টি বানানোর জন্য ১ চামচ পরিমাণ কপি পাউডারের সাথে সমপরিমাণ অ্যালোভেরা জেল ও নারিকেল তেল ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। 

এরপর মিশ্রণটি বিশ মিনিট পর্যন্ত আপনার মুখে লাগিয়ে রাখার পর যখন হালকা টানটান ভাব অনুভব হবে তখন নরমাল পানি ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি খুব দ্রুত ফলাফল পেতে চান এবং ফর্সা হতে চান তাহলে এই ফেসপ্যাক টি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করুন।

ঠোঁটের যত্নে মধু ও কফি পাউডার: অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করার কারণে ঠোঁটের কালচে দাগ এবং ঠোঁটের কোষগুলোকে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। পুনরায় ঠোঁটের কোষ গুলোকে জীবিত করতে এবং ঠোঁটের গোলাপী রং ফিরে আনতে মধু ও কফির এ স্ক্রাবটি ব্যবহার করতে পারেন। এই স্ক্রাপটি বানানোর জন্য ১ চামচ পরিমাণ মধুর সাথে সমপরিমাণ কপি পাউডার ভালোভাবে মিশিয়ে আঙ্গুলের ডগা দিয়ে ঠোঁটে ৩ মিনিট পর্যন্ত মালিশ করুন। 


এতে আপনার ঠোঁটের কালচে দাগ দূর হবে এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের কারণে ঠোঁটের যে সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে তা পুনরায় ফিরে আসবে। কাল যে ঠোঁট দ্রুত উজ্জ্বল গোলাপি করতে প্রতিদিন রাতের বেলা একবার মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন।

কফি পাউডার,এলোভেরা জেল ও দুধ: বার্ধকের  ছাপ কমাতে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে কফি পাউডার, এলোভেরা জেল ও দুধের এই ফেসপ্যাকটি। প্রথমে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার পানি ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন এরপর এলোভেরা জেল কফি পাউডার ও দুধের এ মিশ্রণটি আস্তে আস্তে করে ত্বক ও মুখে সহ ঘাড় গলাতে লাগিয়ে নিন এবং 10 মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন। 

১০ মিনিট পর যখন তোকে হালকা টানটান ভাব অনুভব করবেন তখন হালকা পানি ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জল মসৃণ ও ফর্সা। এই মিশ্রণটি আপনাকে সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করতে হবে। তাহলে খুব দ্রুত ফলাফল পাবেন।

লেবুর রস,কপি পাউডার ও টক দই এর ব্যবহার: রোদে পোড়া কালচে দাগ দূর করতে এবং গরমের উষ্ণতা থেকে ত্বককে বাঁচাতে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা করে তুলতে সাহায্য করবে। 

এই ফেস প্যাকটি বানানোর জন্য এক টেবিল চামচ পরিমাণ লেবুর রসের সাথে পরিমাণ মতো কপি পাউডার ও টক দই ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর ৮ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত মিশ্রণটি আপনার মুখে এবং ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। 

যখন মিশ্রণটি শুকিয়ে আসবে তখন নরমাল পানি ব্যবহার করে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এতে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং রোদে পোড়া কালচে দাগ দূর করতে এবং প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হয়ে উঠতে সাহায্য করবে। দ্রুত ফলাফলের জন্য সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করুন।

কপি পাউডার,বেসন,মধু ও অ্যালোভেরা জেল: যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে তারা যদি খুব দ্রুত ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান এবং ব্রণ মুক্ত ত্বক পেতে চান তাহলে কফি পাউডারের এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে দ্রুত আপনার মুখের ব্রণ দূর হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা করতেও সাহায্য করবে। 

এই ফেসপ্যাক টি বানানোর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে দুই চামচ পরিমাণ কফি পাউডার ও সমপরিমাণ অ্যালোভেরা জেল এর সাথে এক চামচ পরিমাণ বেসন ও এক চামচ পরিমাণ মধু ভালোভাবে মিশে পেস্ট তৈরি করে 10 থেকে 12 মিনিট আপনার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। 

এরপর মিশ্রণটি হালকা শুকিয়ে আসলে নরমাল পানি ব্যবহার করে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করলে দ্রুত আপনার ব্রণের সমস্যা দূর হবে এবং আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

শসার রস,কফি পাউডার, লেবুর রস ও হলুদ গুঁড়ো: কফি পাউডার ব্যবহার করে হাত পা ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বা ফিরিয়ে আনতে এবং প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা করতে এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি দীর্ঘদিন আপনার সৌন্দর্য ধরে রাখতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি হাত ও পা ফর্সা করতেও সাহায্য করবে। 

ফেসপ্যাকটি বানানোর জন্য এক চামচ পরিমাণ কফি পাউডার,শসার রস,হলুদ গুঁড়ো ও লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে ১০ থেকে ১২ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এতে আপনার হাত-পা দ্রুত ফর্সা হবে এবং ত্বকের কোমলতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। 

দ্রুত ফলাফলের জন্য এই ফেসপ্যাকটি কমপক্ষে ১ মাসের ৩ বার ব্যবহার করুন। তাহলে আশা করি আপনি খুব দ্রুত প্রাকৃতিক উপায় আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং আপনার ত্বক হয়ে উঠবে মসৃণ ও কোমল।

কফি পাউডার দিয়ে রূপচর্চা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা কফি পাউডার ব্যবহার করে হাত-পা ও ত্বক ফর্সা করার বিভিন্ন উপায় গুলো সম্পর্কে জানলাম। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা কফি পাউডার ব্যবহার করে কিভাবে রূপচর্চা করা যায় সেই বিষয় সম্পর্কে জানব।

রূপচর্চায় কফি পাউডার: ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং কোমলতা ধরে রাখতে রূপচর্চার সামগ্রী হিসেবে দারুচিনি,দুধ, মধু ও কফির এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বককে ফর্সা করতে সাহায্য করবে।

ক্যাস্টর অয়েল ও কফির মিশ্রণ: চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে এবং রূপচর্চার কাজে ক্যাস্টর অয়েল ও কফির এ মিশ্রণ ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে রাখার পর ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করুন এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে ভালোভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন এতে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতেও সাহায্য করবে।

চুলের সৌন্দর্য রক্ষায়: এক চামচ পরিমাণ কফি সমপরিমাণ দারুচিনি গুঁড়োর সাথে দুই টেবিল চামচ পরিমাণ গরম পানি, ২ টেবিল চামচ পরিমাণ তেল,2 টেবিল চামচ পরিমাণ চিনি এবং একটি ডিমের কুসুম ভালোভাবে মিশিয়ে যদি নিয়মিত মাথা তালুতে লাগাতে পারেন তাহলে আপনার চুল হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ঝলমলে এবং চুলের গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করবে। 

এই মিশ্রণটি ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন এতে আপনার চুলের ফলিকলগুলো শক্তিশালী হবে এবং চুলের গোড়া মজবুত হবে।

কালো ঘন চুল পেতে: উজ্জ্বল ঝলমলে ও কুচকুচে কালো চুল পেতে মেহেদী পেস্ট এর সাথে কফি গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে ঘন্টাখানেক রেখে দেওয়ার পর ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলে চুলের রং ঝলমলে হয়ে উঠবে।

সংবেদনশীল ত্বকের যত্নে: যাদের ত্বক খুবই সেনসিটিভ তারা চাইলে ত্বকের যত্নে কফি ও ওটমিলের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এক চামচ পরিমাণ ওটমিলের সঙ্গে এক চামচ পরিমাণ কফি ভালোভাবে মিশিয়ে আপনি চাইলে এর সাথে মধু যুক্ত করতে পারেন দুই মিনিট আপনার ত্বকে লাগিয়ে মেসেজ করুন। এরপর ঠান্ডা পানি ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন এতে দ্রুত আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হতেও সাহায্য করবে।

চুলের যত্নে: অনেকের চুলের অযত্নের কারণে দিনে দিন চুলের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঘরোয়াভাবে পুনরায় চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে এবং উজ্জ্বল ঝলমলে করে তুলতে শ্যাম্পু করার পর কফি পাউডার ও পরিমান মত পানি ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে লাগে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং চুল হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ঝলমলে। 

এছাড়াও আপনি চাইলে শ্যাম্পু করার পর চুলের কন্ডিশনারের সাথে ১ থেকে ২ চামচ পরিমাণ কফি গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতেও ভালো উপকার পাওয়া যায়।

কফি মুখে দিলে কি হয়

মুখে ও ত্বকের যত্নে কফি ব্যবহারের ফলে নানা ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। আর্টিকেলটি অংশে আমরা মুখে কফি ব্যবহার করার ফলে কি হয় বা কফি মুখে দিলে কি হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

১/কফি পাউডার মুখে দিলে এটি প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বকের মরা কোষ গুলোকে পুনরায় জীবিত ও তরতাজা করে তুলে ত্বকের সৌন্দর্য কমলতা ধরে রাখে।

২/মুখে কফি পাউডারের সাথে আমন্ড অয়েল ব্যবহার করলে দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা ও ফর্সা ভাব ফিরে আসে।

৩/মুখের দীর্ঘদিনের ট্যান দূর করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা করে তুলতে মুখে কফি পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।

৪/চোখের নিচের কালো দাগ বা ডার্ক-সার্কেল দূর করতে কফি পাউডার সাহায্য করে।

৫/দীর্ঘদিনের রোদে পোড়া কালচে দাগ দূর করতে এবং ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা করতে মুখে কফি ব্যবহার করতে পারেন।

৬/বয়সের ছাপ কমাতে এবং তারুণ্য দীর্ঘদিন ধরে ধরে রাখতে নিয়মিত কফি পাউডার মুখে ব্যবহার করুন।

৭/যাদের ত্বকে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের আক্রমণের কারণে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয় তারা যদি কফি পাউডার ব্যবহার করেন তাহলে খুব দ্রুত ব্রণের সমস্যা দূর হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা পুনরায় ফিরে আসবে।

৮/ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে এবং মৃত কোষগুলোকে পুনরায় জীবিত করে কোলাজেন টিস্যু সংখ্যা বাড়াতে কপি ও নারিকেল তেলের পেস্ট তৈরি করে মুখে ব্যবহার করুন।

৯/মুখের চামড়া ঝুলে যাওয়া কিংবা ঢিলা হয়ে যাওয়ার সমস্যা দূর করতে কফি পাউডারের সাথে নারিকেল তেল ব্যবহার করুন।

১০/মুখের ট্যান দূর করতে এবং ব্রণের দাগ দূর করে পুনরায় জেল্লা ফিরিয়ে আনতে নিয়মিত কফি পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে কফি

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা ত্বকের যত্নে এবং রূপচর্চায় কফির ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে কিভাবে কফি ব্যবহার করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরুতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

কফির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আমাদের ত্বকের ছিদ্র গুলিতে থাকা ফ্রি রেডিকেলগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে এবং স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর করে পুনরায় কোষ গঠন করতে ত্বক থেকে ময়লা ও ধুলোবালি দূর করতে নিয়মিত কফি ব্যবহার করুন। 

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য নিয়মিত কফি ব্যবহার করা যায়। এটি তৈলাক্ত ত্বকের কারণে মুখে যে ব্রনের সমস্যা দূর হয় সে সমস্যা দূর করতে এবং ছিদ্র থেকে ময়লা,তেল ও সিবাম দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং কোমলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কিভাবে কফি ব্যবহার করা যায়।

১/তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এক চামচ পরিমাণ কফির সাথে এক চামচ পরিমাণ দই ও এক চামচ পরিমাণ কাঁচা হলুদ বাটা ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ফেলুন। এটি তৈলাক্ত ত্বকের মৃত কোষ গুলো পুনরায় জীবিত করতে এবং ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ দূর করতে সাহায্য করবে। এই ফেস প্যাকটি ২০ মিনিট আপনার ত্বকে লাগিয়ে দেখুন এবং কিছুদিন ব্যবহারে আপনি নিজেই এর ফলাফল বুঝতে পারবেন।

২/তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে ২ চামচ পরিমাণ কফি পাউডারের সাথে এক চামচ পরিমাণ বেসন,এক চামচ পরিমাণ মধু,টক দই ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ভালোভাবে পেস্ট করে মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর এই মিশ্রণটি আপনার মুখে ও ত্বকে দশকে ১৫ মিনিট রাখার পর ভালোভাবে গরম পানি ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। এটি তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের সমস্যা দূর করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করবে।

লেখকের মন্তব্যঃকফি দিয়ে হাত পা ফর্সা করার অভিনব উপায় সম্পর্কে জানান

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করছি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে এবং রূপচর্চায় কিভাবে আপনি কফি পাউডার ব্যবহার করতে পারবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। এছাড়াও দুই লাখ তো ত্বকের যত্নে কিভাবে কপি ব্যবহার করা যায় সে সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন। 

আর্টিকেল রিপোর্ট এর মাধ্যমে যদি আপনার কোন উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন। আর্টিকেলটি সম্পর্কে যদি আপনাদের কোন মতামত বা মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। সকলে ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪