কীভাবে গরুর দুধ দিয়ে দই বানানো যায় তার রেসিপি জানুন
এমন অনেক লোক আছে যারা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কিংবা দিনের বিভিন্ন সময়ে দুধ চা খেয়ে থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন নিয়মিত দুধ চা খাওয়ার উপকারিতা কি কিংবা দুধ চা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। আপনি যদি নিয়মিত দুধ চা খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এর উপকারিতা ও অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত জানা উচিত।
আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা দুধ চা খাওয়ার উপকারিতা, দুধ চা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক, দুধ চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, গরুর দুধ দিয়ে দই বানানোর রেসিপি, দুধ খাওয়ার জন্য সঠিক সময় এবং দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
তাই আপনি যদি নিয়মিত দুধ চা খেয়ে থাকেন এবং গরুর দুধ দিয়ে দুই বানানোর রেসিপি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃকীভাবে গরুর দুধ দিয়ে দই বানানো যায় তার রেসিপি জানুন
ভূমিকা
বর্তমান মানুষজনের সবচেয়ে প্রিয় একটি খাবার হচ্ছে গরুর দুধের চা। যাকে সহজ ভাষায় দুধ চা বলা হয়। মন খারাপ হোক কিংবা আনন্দে যে কোন সময় আমরা দুধ চা খেয়ে থাকি। এমন অনেক লুকিয়ে আছে যারা দুধ চায়ের জন্য রীতিমতো পাগল। বিভিন্ন রকম চাওয়া পাওয়া গেলেও দুধ চায়ের স্বাদ না পেলে অনেকের দিনটাই ভালো যায় না।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই অনেকেই দিন শুরু করে দুধ চাই চুমুক দিয়ে আবার অনেকেই শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এবং মনকে প্রফুল্ল রাখতে নিয়মিত দুধের সাথে চা মিশিয়ে খান। কিন্তু আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন আপনি আমি যে দুধ চা খাই তা আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী কিংবা এর কোন ক্ষতিকর দিক রয়েছে কিনা।
কি মনে প্রশ্ন জাগছে। আপনি যদি নিয়মিত দুধ চা খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে দুধ চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে। দুধ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী কিন্তু দুধের তৈরি চা আমাদের ক্ষতির কারণও তো হতে পারে। এ সকল বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হবে আজকের এই আর্টিকেলটিতে। তাই আপনি যদি দুধ চায়ের পাগল প্রেমী হন তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন।
দুধ চা খাওয়ার উপকারিতা
দুধের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ও ভিটামিন ডি যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি১২ যা আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক দুধ চা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
হাড়ের জন্য ভালো: দুধের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা আমাদের হাড়ের সুরক্ষায় কাজ করে এবং হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত চা এর সঙ্গে দুধ মিশিয়ে খেলে দুধের মধ্যে থাকা ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের হাড় গুলোকে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে।
হার্টের জন্য উপকারী: দুধ চা নিয়মিত খেলে দুধের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম আমাদের হার্টের সুরক্ষায় কাজ করি। দুধের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম হার্টের জন্য জরুরি ইলেকট্রোলাইট সরবরাহ করতে সাহায্য করে। যা দুধ চা খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।
মন ভালো রাখে: আনন্দ হোক কিংবা দুঃখ দুধ চা না হলে হয় না। অনেকেই দুধ চা খেতে বেশি পছন্দ করেন আর যদি সেটা প্রিয় খাবার হয় তাহলে মন তো এমনিতেই ভালো হবে। কিন্তু এটা তো হলো মনের কথা বিজ্ঞান বলে দুধের মধ্যে থাকা ভিটামিন ডি অবসাদ ও মন খারাপ কমাতে সাহায্য করে এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
স্নায়ুকে চাঙ্গা রাখে: যারা নিয়মিত দুধের সাথে চা মিশিয়ে খান তাদের দুধ চা এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি১২ স্নায়ুকে সতেজ রাখতে এবং কাজে একাগ্রতা দেখাতে সাহায্য করে। তাই অনেকেই কাজের ফাঁকে ফাঁকে ক্লান্তি দূর করতে দুধ যায় চুমুক দিয়ে পুনরায় কাজ করতে পছন্দ করেন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে: চা পাতার মধ্যে রয়েছে ক্যাটেচিন এবং পলিফেনলস নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। এটি শরীরের ভেতরে জমে থাকা ক্ষতিকারক টক্সিক দূর করতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে: দুধ চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফিন শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগাতে এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও দুধের মধ্যে থাকা কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন শরীরের শক্তি প্রদান করে এবং সারাদিন কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে।
হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে: যারা নিয়মিত দুধ চা পান করেন তাদের হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং দুধের মধ্যে থাকা ফাইবার পাকস্থলীর কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। যারা নিয়মিত হালকা দুধ চা পান করে থাকেন তাদের পেটে গ্যাস ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: দুধের মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ক্যান্সারের মতো কোষগুলোকে শরীরে বৃদ্ধি পাওয়াতে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে এবং মরণব্যাধি ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে।
বার্ধক্য প্রতিরোধ করে: চা পাতার মধ্যে রয়েছে পলিফেনাল ও ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা শরীরের কোষগুলোকে ফ্রি রেডিক্যাল এর হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
এই ফ্রী রেডিক্যাল হলো এমন এক ধরনের ক্ষতিকারক উপাদান যা আমাদের বার্ধক্যের সমস্যা বৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে দুর্বল করে তোলে। দুধ চা এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বার্ধক্যের লক্ষণগুলো কমাতে এবং ত্বককে সুস্থ হতে রাখতে সাহায্য করে।
দুধ চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: দুধের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ উপাদান যেগুলো আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাটেচিন ও ফ্ল্যাভোনয়েড উপাদান শরীরের অভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়াতে এবং সংক্রমণের হার কমাতে সাহায্য করে।
দুধ চা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা দুধ চা খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানলাম। কিন্তু অতিরিক্ত দুধ চা খাওয়ার ফলে এর বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর দিকগুলো প্রকাশ পায়। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা দুধ চা খাওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানবো।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা: যারা নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণ দুধ চা খেয়ে থাকেন তাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবে যদি আপনি পরিমাণে কম কিংবা চায়ের সঙ্গে অন্য কিছু একসাথে খান তাহলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে।
উদ্বেগ বাড়াই: যারা অতিরিক্ত পরিমাণ দুধ চা খেয়ে থাকেন তাদের মস্তিষ্কের কোনগুলো অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলোতে হরমোনের ভারসাম্যতা নষ্ট হয় যার কারণে অতিরিক্ত উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
অনিদ্রার সমস্যা: দুধ চাহে প্রচুর পরিমাণ ক্যাফেইন থাকে যা আমাদের ঘুমের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। যদি আপনার প্রথম থেকেই ঘুমের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে দুধ যায় এড়িয়ে চলতে হবে। না হলে এটি অনিদ্রা সমস্যা কে আরো বাড়িয়ে তুলবে।
ব্রণ সৃষ্টি করে: দুধ চা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ত্বকের ওপর এর কুপ্রভাব। যারা নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণ দুধ চা পান করে থাকেন তাদের ত্বকে ব্রণ,জিট,পিম্পল কিংবা ফুসকুড়ির মত সমস্যা গুলো দেখা যায়।
প্রতিদিন অতিরিক্ত পরিমাণ দুধ চা খাওয়ার ফলে শরীরে অতিরিক্ত তাপ সৃষ্টি হয়ে যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে। যার কারণে ত্বকে ব্রণের পাদুর ভাব দেখা যায়।
ক্যালসিয়াম শোষণে বাঁধা: চায়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ট্যানিন যা ক্যালসিয়াম শোষণে বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলে দুধ চা খাওয়ার ফলে দুধ থেকে যে ক্যালসিয়াম শরীরে পাই তা অনেক সময় ঠিকমতো শোষণ হয় না।
উচ্চ ক্যালরি সরবরাহ: অতিরিক্ত পরিমাণ দুধ ও চিনি মেশানো চা খাওয়ার ফলে শরীরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালরি জমা হয়। যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে চিনি মেশানো চা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
ক্ষুধা বাড়তে পারে: অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় অতিরিক্ত পরিমাণ দুধ চা খাওয়ার ফলে সাময়িকভাবে ক্ষুধা কমে যায় কিন্তু পরবর্তীতে তা তা অতিরিক্ত খাবার প্রবণতাকে বাড়িয়ে তোলে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও উপকারী নয়।
ডায়াবেটিসের সমস্যা: অতিরিক্ত চিনি আমাদের শরীরের গ্লুকোজ এর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারে যার কারণে রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে দুধ চা এবং চিনি একসাথে খেলে এ সমস্যা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশ পায় তাই অতিরিক্ত পরিমাণ দুধ চা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
ডিহাইড্রেশনের সমস্যা: চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফিন শরীরে অতিরিক্ত জমা হলে তা মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়। যার কারণে পানি শূন্যতার সমস্যা দেখা দেয় এবং অনেকেই ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাই অতিরিক্ত দুধ চা খাওয়ার ব্যাপারে আজ থেকে সতর্ক হয়ে যান।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফিন অতিরিক্ত পরিমাণে শরীরে জমা হলে এটি শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে যার কারণে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দুধ চা খাওয়ার ফলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বেশি দেখা দেয়।
দুধ চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক এর আগের অংশে আমরা দু চা খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানলাম। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা দুধ চা খাওয়ার আরো কিছু অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক এবং উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবো।
দুধ চা খাওয়ার উপকারিতা
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে: দুধ চা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। দুধের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন এবং চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফিন মেটাবলিজম বাড়ায় যা অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে দুধ চায়ের সঙ্গে চিনি না মেশিয়ে খেতে হবে।
পুষ্টির ভালো উৎস: দুধের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোকে সচল রাখতে সাহায্য করে এবং চায়ের মধ্যে তা খনিজ ও এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের কোষগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে: যারা নিয়মিত দুধ চা পান করেন তাদের মস্তিষ্কের স্নায়গুলো প্রসারিত হয় এবং রক্ত চলাচল বাড়িয়ে তোলে যার কারণে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং স্মৃতিশক্তি তুলতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: দুধের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার ও ক্যালসিয়াম যা আমাদের পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে এবং পাকস্থলীর গাত্র থেকে হজমে সহায়ক এনজাইম গুলোকে উদ্দীপ্ত করতে সাহায্য করে। যার কারণে দ্রুত হজম প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় এবং খাদ্য থেকে পুষ্টি রক্তের মাধ্যমে শরীরের প্রতিটি কোষের সরবরাহ হয়।
মাইগ্রেনের সমস্যা কমায়: যারা দীর্ঘদিন ধরে মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন তারা যদি নিয়মিত দুধ চা খেতে পারেন তাহলে চায়ের মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান ও দুধের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম মাইগ্রেনের সমস্যা কমিয়ে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
দুধ চা খাওয়ার অপকারিতা
প্রিয় পাঠক এর আগের অংশে আমরা দুধ চা খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা দুধ চা খাওয়ার আরো কিছু অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
কোষ্ঠকাঠিন্য হয়: যারা প্রতিদিন অতিরিক্ত পরিমাণ দুধ চা খেয়ে থাকেন তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফিন হজমের প্রক্রিয়াতে ব্যাঘাত ঘটাই যার কারণে হজম প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পূর্ণ হয় না এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়।
পেট ফাঁপা: দুধ চাই থাকে প্রচুর পরিমান ক্যাফিন যা অতিরিক্ত পরিমাণ পেটে জমা হলে পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় গরুর দুধের পরিবর্তে পাউডার দুধ কিংবা দুধের বিকল্প ব্যবহার করা হয় যার কারণে পেটে ক্যাফেইনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দেয়।
হার্টের সমস্যা: অতিরিক্ত পরিমাণ দুধ চা খাওয়ার ফলে চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফিন উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলে যা আমাদের হাটের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।
আলসারের ঝুঁকি বাড়ে: অতিরিক্ত পরিমাণ দুধ চা খাওয়ার ফলে চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফিন পেটে গ্যাস কিনবা পেট ফাঁপা সমস্যা সৃষ্টি করে। যা পরবর্তীতে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এমনকি আলসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। যা ধীরে ধীরে ক্যান্সারে রূপান্তরিত হতে পারে।
দাঁত ও হাড়ের সমস্যা: অতিরিক্ত পরিমাণ দুধ চা খাওয়ার ফলে দুধ চা এর মধ্যে থাকার ট্যানিন ক্যালসিয়াম শোষণ এর মাত্রা কে কমিয়ে দিই যার কারণে হাড় ও দাঁত সঠিক পরিমাণ ক্যালসিয়াম পায় না এবং ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে এবং অস্টিওপোরোসিস এর মত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
গরুর দুধ দিয়ে দই বানানোর রেসিপি
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা দুধ চা খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা ও অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করলাম। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা গরুর দুধ দিয়ে দই বানানোর রেসিপি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানবো। অনেকেই গরুর দুধ খেতে পছন্দ করেন আবার অনেকেই গরুর দুধ দিয়ে বানানো দই খেতে ভালোবাসেন।
কিন্তু তার জন্য তো আপনাকে গরুর দুধ দিয়ে দই বানানোর রেসিপি সম্পর্কে জানতে হবে। আর্টিকেলটির ইয়ং চামড়া গরুর দুধ দিয়ে কিভাবে বাড়িতে বসে দই বানানো যায় তার রেসিপি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
প্রয়োজনীয় উপকরণ: বাড়িতে গরুর দুধ দিয়ে দই বানানোর জন্য আপনার যে সকল উপকরণ গুলো প্রয়োজন হবে তা হলো।
- ১ লিটার পরিমাণ গরুর দুধ।
- এক টেবিল চামচ পরিমাণ দই খামার (দই দিতে হলে প্রয়োজন হবে)।
- ১/২ কাপ পরিমাণ চিনি (স্বাদ অনুযায়ী কমবেশি হতে পারে)।
- ১ টেবিল চামচ পরিমাণ মিষ্টি আটা।
গরুর দুধ দিয়ে দই বানানোর রেসিপি
ধাপ ১: প্রথমেই গরুর দুধ একটি পরিষ্কার পাত্রে নিয়ে নিতে হবে।
ধাপ ২: এরপর পাত্রে রাখা গরু দুধের সাথে দই খামার যোগ্য করতে হবে।
ধাপ ৩: এরপর গরুর দুধ ও দই খামার ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত রেখে দিন এবং ভালোভাবে মিশতে সময় দিন।
ধাপ ৪: এরপর দুধ ও দই খামারের মিশ্রণের সাথে সাতমতো মিষ্টি আটা ও চিনি যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
ধাপ ৫: এরপর সম্পূর্ণ মিশ্রণটি নিম্ন আঁচে গরম করুন অতিরিক্ত গরম করবেন না।
ধাপ ৬: গরম করার সময় মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে দিন।
ধাপ ৭: এরপর যখন মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে আসবে তখন ফ্রিজে সংরক্ষণের জন্য রেখে দিন।
ধাপ ৮: পরিবেশন করার আগে অবশ্যই মিশ্রণটি ভালো হবে ঠান্ডা করে নিতে হবে।
এভাবেই খুব সহজে গরুর দুধ দিয়ে বাড়িতে বসে স্বাস্থ্যকর, স্বদেশী ও পুষ্টিকর দই বানিয়ে নিতে পারেন। গরুর দুধের তৈরি এই দুই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী এবং খুবই সুস্বাদু যা আপনার শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করবে,অস্থিও দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করবে। আশা করি এই রেসিপি অনুসরণ করে বাড়িতে গরুর দুধের তৈরি দই আপনার খুবই পছন্দ হবে।
দুধ কখন খাওয়া ভালো
দুধ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি উপাদান। কিন্তু তার জন্য আপনাকে অবশ্যই দুধ খাওয়ার কিছু বিশেষ নিয়ম এবং সঠিক সময় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে হবে। আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা দুধ খাওয়ার সঠিক সময় এবং খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরুতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
১/অনেকেই রাতে দুধ খেতে পছন্দ করেন কিন্তু দুধ অনেক ভারী খাবার হয় রাতে দুধ খেলে খুব সহজে হজম হয় না যার কারণে সার্বিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকদের মতে দুধ খাওয়ার জন্য উপযুক্ত সময় হচ্ছে বিকেল বেলা। দুপুরের খাবারের ২ ঘন্টা পর দুধ পান করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
২/অনেকেই খাবার খাওয়ার পরপরই দুধ পান করে থাকেন। কিন্তু এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও উপকারী নয়। বরং দুধ ভারী খাবার হওয়ার কারণে যখন আপনি খাবার খাওয়ার পর দুধ পান করবেন তখন এটি হজম প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে দিবে যার কারণে পেটে এসিডিটি সমস্যা সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩/আবার এমন অনেকেই আছে যারা খালি পেটে দুধ পান করে থাকেন যার কারণে বদ হজম বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। তাই অবশ্যই খালি পেটে দুধ পান করা এড়িয়ে চলতে হবে।
৪/এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের দুধ কিংবা চা দিয়ে ওষুধ খাওয়ার বদভ্যাস রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে যারা দুধ দিয়ে এলোপ্যাথি ওষুধ খেয়ে থাকেন তাদের এমনটি করা একেবারেই উচিত নয়। এতে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে আপনি দুধ দিয়ে আয়ুর্বেদিক ওষুধ খেতে পারেন এতে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না।
৫/বাসি দুধ খাওয়া যাবেনা, কেননা বাসি দুধের তুলনায় টাটকা দুধের গুণগত মান অনেকটাই বেশি। এছাড়াও বাসি দুধ খাওয়ার ফলে শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সর্বদা চেষ্টা করবেন বাসি দুধের তুলনায় টাটকা দুধ ফুটিয়ে পান করার। এতে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়।
৬/দুধ পান করার আগে ও পরে অবশ্যই আপনাকে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। কখনোই দুধ পান করার আগে কিংবা পরে টক জাতীয় কিংবা আচার জাতীয় কিছু খাওয়া যাবে না। এমনকি নোনতা জাতীয় খাবার কিংবা ফাস্টফুড জাতীয় খাবারও খাওয়া যাবে না।
যদি আপনার খেতে ইচ্ছা করে তাহলে অবশ্যই দুধ খাওয়ার অন্তত এক ঘন্টা পর খেতে পারেন। কেননা এসব খাবার দুধের সাথে কেমিক্যাল রিঅ্যাকশন করতে পারে যার কারণে পেটের এবং শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।
দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা
অনেকেই দুধ চা খাওয়ার পরিবর্তে দুধের সাথে কফি মিশিয়ে খান। এটিও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী তবে যে কোন খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য হানি হতে পারে। তেমনি অতিরিক্ত পরিমাণ দুধ কপি খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা ও প্রকাশ পায়।
আর্টিকেলটির ইয়ংসে আমরা দুধ কপি খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। চিকিৎসকদের মতে যখন আমাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাস আক্রমণ করে তখন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি করে যা আমাদের শরীরকে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ এবং ইনফেকশনের মত সমস্যা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও ভাইরাস কিংবা ব্যক্তিদের কারণে যদি শরীরে কোন প্রকারের সৃষ্টি হয় কিংবা পেশির নানা ধরনের সমস্যা আর্থ্রাইটিস্ট কিংবা অন্যান্য যেকোনো ধরনের সমস্যা দূর করতে দুধের সাথে কফি মিশিয়ে খাওয়া যায়। দুধের সাথে কফি মিশিয়ে খাওয়ার ফলে এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ দূর করতে এবং ক্লান্তি দূর করে ছড়িকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ জাত খাবার যেমন ফল ও সবজি থেকে আমাদের শরীরে যে সকল ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে এগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমরা দুধ কফি খাওয়ার মাধ্যমে পেয়ে থাকি। তাই শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ কফি খাওয়া যায় এর সাথে দুধ মেশালে এর গুনাগুন আরো বৃদ্ধি পায়।
কিন্তু কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণ দুধ কপি খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত নয়। এতে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য হানি দেখা দিতে পারে বিশেষ করে কিডনি,পাকস্থলী ও হার্টের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ কপি খেতে পারেন এতে দারুন উপকারিতা পাওয়া যায়।
লেখকের মন্তব্যঃকীভাবে গরুর দুধ দিয়ে দই বানানো যায় তার রেসিপি জানুন
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে যদি আপনার কোন উপকার হয়ে থাকে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন। আর্টিকেলটি সম্পর্কে যদি আপনার কোন মন্তব্য বা মতামত থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট করতে পারেন। সকলে ভালো থাকবেন।আসসালামু আলাইকুম।
ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url