রাতে আদা খেলে কি হয়-আদার ক্ষতিকর দিক
আধার নাম শুনেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কেননা আমরা তরকারী রান্না করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনে আবার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আপনি কি রাতে আদা খাওয়ার উপকারিতা কিংবা এর অপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানেন? হয়তো কয়েকজন জানেন। কিন্তু আদার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত জানা জরুরী।
এতে আপনি অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ফলে এর ক্ষতিকর দিক এবং পরিমাণ মতো আদা খাওয়ার ফলে এর উপকারী দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আজকের এ আর্টিকেলটি যদি আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন তাহলে রাতে আদা খেলে কি হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। এছাড়াও আরো জানতে পারবেন পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা, আদা খাওয়ার বিস্তারিত নিয়ম এবং আদার ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে।
পোস্ট সূচীপত্রঃরাতে আদা খেলে কি হয়-আদার ক্ষতিকর দিক
ভূমিকা
আদা মূলত এক ধরনের মসলা জাতীয় পণ্য। কোথায় আছে আদা সকল রোগ নিরাময়ের দাদা। যার অর্থ হচ্ছে আদার মধ্যে এমন সকল পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আদা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।আদাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম,আয়রন,ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম,ফসফরাস,জিংক,ম্যাঙ্গানিজ,ভিটামিন এ, ভিটামিন বি,ভিটামিন ই,ভিটামিন বি৬ এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট ও আন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান।
যেগুলো সকল বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে শারীরিক উপকারিতা প্রদান করে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে যদি সর্দি কাশি হয়ে থাকে তাহলে আদা,মধু ও জল একসঙ্গে খাইয়ে দিলে খুব সহজেই নিরাময় হয়। কিন্তু আদা যে শুধু উপকার করে এমনটি কিন্তু নয় অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে এর অনেক ক্ষতিকর দিক ও প্রকাশ পায়।
তাই আপনাকে অবশ্যই আদা খাওয়ার উপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিকসহ সঠিক নিয়মে আদা খেতে হবে। তাহলে আপনি পূর্ণাঙ্গভাবে আদার উপকারিতা গুলো পাবেন।
রাতে আদা খেলে কি হয়
আদা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। কিন্তু আপনাকে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ খেতে হবে।যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণ আদা খান তাহলে এতে ক্ষতিকর দিকগুলো প্রকাশ পেতে পারে। আদা গরম হলেও এটি শরীরের যাবতীয় পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে এবং রাতের বেলা আদা খাওয়ার ফলে অনেক শারীরিক উপকারিতা পাওয়া যায়।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক রাতে আদা খেলে কি হয়।
পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়: রাতে অতিরিক্ত খাবার ফলে যাদের পেটে অস্বস্তির সমস্যা দেখা দেয় তারা চাইলে আদা চা খেতে পারেন। এটি দ্রুত আপনার পেটের অস্বস্তি কমিয়ে হজম করতে সাহায্য করবে।
ইমিউন সিস্টেম কে শক্তিশালী করে: আদাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল যা আপনাকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর মধ্যে থাকা এন্টিব্যাকটেরিয়াল ও আন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য সকালবেলা চায়ের সঙ্গে খেলে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে ডিহাইড্রেট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
শরীরকে ডিটক্সিফাই করে: নিয়মিত আদা চা খাওয়ার ফলে শরীরে ক্ষতিকারক টক্সিক পদার্থগুলো বের করতে আদা, দারুন কার্যকারী। এছাড়াও রাতে আদা খেলে এটি লিভার ও কিডনি সহ শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগগুলো থেকে রক্ষা করতে এটি খুবই কার্যকারী।
হৃদরোগ প্রতিরোধ করে: প্রতিদিন রাতে আদা খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতেও এটি সাহায্য করে। এমনকি খারাপ কলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিতে আদা চা ধারন কার্যকারী।
ত্বকের জন্য উপকারী: আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আমাদের শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থগুলোকে ঘামের মাধ্যমে বাইরে বার করে দেয়। যার কারনে আমাদের ত্বক পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর থাকে এবং পেট হালকা করতেও এটি বেশ কার্যকারী।
জয়েন্টের ব্যথা কমাতে: যারা বাতে ব্যথা কিংবা জয়েন্টে ব্যথার মত সমস্যায় ভুগছেন। তারা রাতের বেলা আদা খেতে পারেন এটি জয়েন্টের ব্যাথা কিংবা হাঁটুর ব্যাথা দূর করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি আপনার শরীরকে সারা দিন এনার্জেটিক রাখতেও সাহায্য করবে।
ঘুমের সমস্যা দূর করে: যাদের রাতে ঘুমের সমস্যা কিংবা অনিদ্রায় ভুগছেন তারা চাইলে রাতে ঘুমানোর আগে দুধের সাথে অল্প পরিমাণ আদা গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিতে পারেন এবং এই মিশ্রণ খাওয়ার ফলে আপনার ভালো ঘুম হতে সাহায্য করবে এবং অনিদ্রার সমস্যা গুলো দূর করবে।
বাচ্চাদের সর্দি কাশি হলে: যদি আপনার বাচ্চার সর্দি কাশি কিংবা ঠান্ডা লাগার সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আদা গুঁড়ো করে এর সঙ্গে হলুদ,ঘি ও গুড় একসঙ্গে মিশে যদি আপনার বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে সর্দি কাশি কিংবা ঠান্ডা লাগার সমস্যা গুলো দূর হবে।
বদহজমের সমস্যা নিরাময় করে: অনেকেই ভাজাপোড়া খেতে পছন্দ করেন যার কারণে পেটে হজমের সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং এন্টাসিড ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু যদি আপনি রাতে ঘুমানোর কিছুক্ষণ আগে কয়েক টুকরা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন তাহলে দ্রুত আপনার হজমের সমস্যা দূর হবে এবং পেট হালকা করতে সাহায্য করবে।
রূপচর্চায়: গবেষণায় প্রমাণিত যে আধা প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের এবং চুলের জেলা বাড়াতে সাহায্য করে পাশাপাশি যাদের খুশকির সমস্যা রয়েছে তারা চুলের যত্নেও আদা ব্যবহার করতে পারেন। এটি চুলকে প্রাকৃতিকভাবে পুষ্টি জোগাতে এবং চুল পড়া বন্ধ করতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
এসিডিটি দূর করে:অনেকেই মনে করেন আদা খাওয়ার ফলে পেটে গ্যাস কিংবা এসিডিটির সমস্যা সৃষ্টি হয়। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। আদা খাওয়ার ফলে আমাদের গ্যাসের সমস্যা দূর হয়। তাই যদি অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়ার ফলে কিংবা খাবারের গোলমাল এর কারণে আপনার বুকে কিংবা গলায় জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়।
এবং এসিডিটি সমস্যা প্রকাশ পায় তাহলে ঘুমানোর আগে রাতে কয়েক টুকরা আদা চিবিয়ে খেয়ে নিন। এছাড়াও আপনি চাইলে আদা চা অথবা আদার রস মধুর সঙ্গে মিশেও খেতে পারেন। এতে দ্রুত আপনার এসিডিটি সমস্যা দূর হবে এবং অস্বস্তিভাব কমাবে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: যারা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত আদা খেতে পারেন। আদার মধ্যে থাকা জিঞ্জেরল ও শোগাওল নামক উপাদানগুলো শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
তাই প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে অথবা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আধা মেশানো পানি খেতে পারেন এতে দ্রুত আপনার ওজন কমে আসবে। তবে শুধুমাত্র আদা জল খেলেই হবে না সেই সঙ্গে আপনাকে পুষ্টিকর খাবার এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যায়াম করতে হবে।
মর্নিং সিকনেস দূর করে: অনেকেই আছেন যাদের সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর ম্যাচ ম্যাচ করে কাজে মন বসে না তারা চাইলে প্রতিদিন রাতে অথবা সকালে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক টুকরা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন এতে আপনার মর্নিং সিকনেস দূর হবে।
বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তবে গর্ব অবস্থায় আদা খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। কেননা গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পরিমাণ আগা খাওয়ার ফলে মিশক্যারেজের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ক্যান্সার প্রতিহত করে: জীবন ধ্বংসকারী একটি মারাত্মক রোগ হচ্ছে ক্যান্সার। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে আদার মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো ক্যান্সার কোচকে মূল থেকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও ক্যান্সারের মধ্যে থাকা ৬-শোগাওল উপাদান স্তন ক্যান্সারের কোষ কে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। তাই ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগগুলো থেকে বাঁচতে অবশ্যই প্রতিদিন রাতে কয়েক টুকরা করে আদা চিবিয়ে খান।
ইনফেকশনের ভয় কমায়: আদার মধ্যে থাকা জিঞ্জেরল নামক উপাদানটি ইনফেকশনের আশঙ্কা দূর করে এবং ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আদার মধ্যে এমন কিছু গুণাগুণ রয়েছে যার কারণে কিছু ইনফেকশন থেকে মুক্তি পাওয়া যায় যেমন জিনজিভাইটিস ও শ্বাস যন্ত্রের সংক্রমণ তার মধ্যে অন্যতম।
আপনি যদি নিয়মিত রাতের বেলা অথবা সকালে দুই থেকে তিন কাপ গরম আদা পানি খেতে পারেন তাহলে ইনফেকশনের সমস্যা দূর হবে। বেশি উপকারিতা পাওয়ার জন্য আপনি চাইলে এর সঙ্গে মধু কিংবা লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন।
মাসিকের ব্যথা কমায়: যারা নিয়মিত আদা জল খেয়ে থাকেন কিংবা রাতে ঘুমানোর আগে আদা খেয়ে থাকেন তাদের মাসিকের তীব্র ব্যথা ও সময়কাল কমাতে এটি বেশ সাহায্য করে।
রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখে: আদার মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিস এর সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়াও আদা প্রাকৃতিকভাবে ইনসুলিন উৎপাদন করতে এবং গ্লুকোজ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে।
রক্তে সরকার আর স্পাইক ও ক্র্যাশ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও আদা বেস কার্যকারী। তাই ডায়াবেটিসের মতো সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত আদা জল সেবন করুন।
রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়: আদার মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের রক্তনালীগুলোকে শিথিল করে এবং প্রসারিত করে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যার কারণে রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন ও পুষ্টি উপাদান গুলো শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে সঠিকভাবে চলাচল করতে পারে এবং সার্বিক সুস্থতায় সাহায্য করে।
বমি বমি ভাব কমায়: যাদের অতিরিক্ত বমি হয় কিংবা বমি বমি ভাব দেখালে তারা চাইলে আদা জল খেতে পারেন। নিয়মিত আদা জল খাওয়ার ফলে পেটের আস্তরণ গুলো ঠান্ডা থাকে এবং বমি বমি ভাব দূর হয়। এছাড়া নিয়মিত আদা জল খাওয়ার ফলে পেটের ফলাফল অস্বস্তি ভাব দূর হয়।
পরিপাক ক্ষমতা বাড়ায়: আদার মধ্যে থাকা থার্মোজেনিক বৈশিষ্ট্য পরিপাকতন্ত্রের কাজ বাড়িয়ে তুলে। পাশাপাশি নিয়মিত কাঁচা আদা খাওয়ার ফলে শরীরের ক্যালরি বার্ন করার ক্ষমতায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করতেও আদা বেস কার্যকরী। যারা নিয়মিত রাতে আদা খায় তাদের খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে এবং শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমা হওয়া আটকাতে আদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পেটের জ্বালাপোড়া কমায়: পেটের অতিরিক্ত জ্বালাপোড়া কমাতে আদা জল হতে পারে আপনার অন্যতম একটি উপাদান। নিয়মিত আদা জল খাওয়ার ফলে পাকস্থলী থেকে অতিরিক্ত এসিড ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং নিম্ন খাদ্যনালির স্পিংটারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন রাতে খাবার পরে আদাজল খেতে পারেন।
ক্ষত নিরাময়ে: আদার মধ্যে রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান যা আমাদের ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। বিভিন্ন দুর্ঘটনার কারণে আমাদের শরীরে যে সকল ক্ষত সৃষ্টি হয় সেই ক্ষতগুলো দ্রুত সারিয়ে তুলতে নিয়মিত আদা খেতে পারেন এতে দ্রুত ক্ষত শুকিয়ে যায়।
মলমূত্র জনিত সমস্যার সমাধান: আদাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি৬ যা মল মূত্র জনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। মলমূত্র জনিত সমস্যা দীর্ঘদিন থাকার ফলে ব্লাডার ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই মলমূত্র জনিত সমস্যা দূরে থাকতে এবং আমাশয় থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত রাতে আদা জল খেতে পারেন অথবা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন।
মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে: বর্তমানে মাইগ্রেনের সমস্যা প্রায় সকল বয়সীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। প্রত্যেক জীবনের নানা দুশ্চিন্তার কারণে আমরা অনেকেই মানসিক সমস্যায় কিংবা স্ট্রেসের মুখোমুখি হয়।যার কারণে আমাদের মাইগ্রেনের সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
তাই আপনি যদি নিয়মিত রাতের বেলা ঘুমাতে যাওয়ার আগে অথবা মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিলে আদা চা খেতে পারেন তাহলে মাইগ্রেনের সমস্যা অনেকটা কমে আসবে।
হাঁপানি ও ফুসফুসের সমস্যা দূর করতে: অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে অনেক সময় হাঁপানি টান হতে দেখা দেয় অথবা যাদের ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় তারা চাইলে প্রতিদিন সকালে এবং রাতে এক চামচ করে আদার রস লেবুর রস এবং এক চামচ পরিমাণ মধু গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে ঠান্ডার সময় হাঁপানি টান ওঠা কিংবা ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যা গুলো দূর করতে সাহায্য করবে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: আপনি যদি প্রতিদিন দুই বেলা সকালে ও রাতে এক চামচ আদার রস এবং এক চামচ লেবুর রসের সঙ্গে প্রয়োজনমতো মধু মিশিয়ে গরম পানি করে খেতে পারেন তাহলে আপনার রক্তচাপের সমস্যা দূর হবে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তবে যদি আপনার ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকে তাহলে মধু বাদ দিয়ে খাবেন এতে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে: যদি আপনার শরীরে কোথাও ব্যথা থাকে তাহলে এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে আধা চামচ পরিমাণ কাঁচা হলুদ এবং আধা চামচ পরিমাণ আদার গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। রাতে এই মিশ্রণটি খাওয়ার ফলে দ্রুত আপনার ব্যথা বা প্রদাহ কমে আসবে। পাশাপাশি আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইউনিয়ন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে এই মিশ্রণটি কাজ করে।
পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা রাতে আধা খেলে কি হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। আর্টিকেলটির এবং আমরা জানবো একজন পুরুষের জন্য আদার উপকারিতা কতটুকু। এছাড়াও আদা খেলে পুরুষদের কি কি উপকার হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে আর্টিকেলটির এই অংশে।
আদা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পুরুষদের জন্য এটির বেশ কার্যকারিতা রয়েছে। নিয়মিত আদা খাওয়ার ফলে পুরুষদের উপরোক্ত সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলোর পাশাপাশি আরো বিভিন্ন উপকারে এসে থাকে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে আদা পুরুষের যৌন উত্তেজনা বাড়াতে সাহায্য করে পাশাপাশি নিয়মিত আদা সেবন করলে পুরুষদের উর্বরতা বাড়াই।
এছাড়াও শুক্রানুর গুণগতমান বৃদ্ধি করতে এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে নিয়মিত আদা খাওয়া যায়। আদার মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো লুটিনাইজিং হরমোনের মাত্রা কে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যার কারনে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়তে থাকে।
এছাড়াও অনেক গবেষণায় দেখা গেছে পুরুষদের নিয়মিত আদা খাওয়ার ফলে ফার্টিলিটির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। যা পুরুষদের শরীরে শুক্রাণুর উৎপাদন বাড়িয়ে তুলে এবং আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিয়মিত আদা খাওয়ার ফলে পুরুষদের শারীরিক অক্ষমতা দূর হয় এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমিয়ে হাটকে সুরক্ষিত রাখতেও আদা সাহায্য করে। যে সকল পুরুষদের হাড় ক্ষয়ের সমস্যা কিংবা দাঁতের ক্ষয় হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিই তারা নিয়মিত আদা খেতে পারেন এতে হাড়ের ক্ষয় হয়ে যাওয়া কিংবা দাঁতের ক্ষয় হয়ে যাওয়া দূর হয়।
বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে মেনোপজ হওয়ার পর এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তাই মহিলাদের ক্ষেত্রেও পুরুষদের মতই একই উপকার পাওয়া যায়। তাই হাড়ের মজবুতির জন্য নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
আদার খাওয়ার নিয়ম
আদা খাওয়ার নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। আপনি যেকোনো ভাবে আদা খেতে পারেন। আপনি চাইলে আদা চিবিয়েও খেতে পারেন, প্রয়োজনে আদা চা খেতে পারেন এছাড়াও আধা জল খেলেও সকল উপকারিতা গুলো আপনি পাবেন। কিন্তু তারপরেও আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা আদার খাওয়ার কিছু নিয়ম আপনাদের সামনে তুলে ধরব যেগুলো দ্রুত আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করবে।
১/সকালে আদা জল খাওয়ার জন্য আপনাকে এক গ্লাস পানির সাথে কয়েক টুকরা আদা খেত করে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর সে আধা ফুটানো পানি পাঁচ থেকে সাত মিনিট ঢেকে রাখার পর যখন হালকা কুসুম গরম অবস্থায় থাকবে তখন সেই আদা জল খেয়ে ফেলুন এবং আদা জল খাওয়ার অন্তত আধা ঘন্টা পর সকালের নাস্তা সেরে নিন এতে আপনার দারুণ উপকারিতা পাওয়া যায়।
২/আপনি যদি চান তাহলে আদা চায়ের সঙ্গেও খেতে পারেন। আদা চা বানানোর জন্য আপনাকে প্রথমে কয়েক টুকরা আদা ভালোভাবে পিছে অথবা বেটে ফুটন্ত পানিতে ছেড়ে দিতে হবে এরপর আরও কিছুক্ষণ পানি ফুটিয়ে তারপর সেই পানি দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন এইটা আপনার মর্নিং সিকনেস দূর করতে এবং এনার্জি ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আদা চা খাওয়ার ফলে আরো অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।
৩/এছাড়াও সর্দি-কাশি কিংবা ঠান্ডা লাগে সমস্যা গুলো দূর করতে প্রতিদিন রাতে এক কাপ গরম দুধের সঙ্গে এক চামচ পরিমাণ আদার রস এবং পরিমাণ মতো হলুদ গুঁড়ো মিশিয়েও খাওয়া যায়।
এছাড়াও আরো বিভিন্নভাবে আদা খাওয়া যায়। আপনি চাইলে চিবিয়ে খেতে পারেন এছাড়াও তরকারিতে আদা বেটেও খাওয়া যায় এতে খাবারের স্বাদ অনেকটা বৃদ্ধি পায় এবং সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়, আদা চা এবং আদা জল খাওয়ার ফলে।
তাই আদার সকল উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে নিয়ম মেনে পরিমান মত আদা খেতে হবে। তাহলে আপনি আদার সকল উপকারিতা গুলো পাবেন এবং শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে এটি সাহায্য করবে।
আদার ক্ষতিকর দিক
আদা খাওয়ার ফলে যেমন আমাদের উপকারিতা রয়েছে তেমনি অতিরিক্ত আদা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর দিক বয়ে আনে। তাই অবশ্যই আদা খাওয়ার পূর্বে আমাদের আদার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানার পাশাপাশি এর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কেও জানা প্রয়োজন।
ডায়রিয়া: অতিরিক্ত পরিমাণ আগা খাওয়ার ফলে ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ আদা খাওয়ার ফলে আমাদের গ্রহন কিন্তু খাদ্যগুলো দ্রুত বর্জ্যে পরিণত হয় কিন্তু যদি অতিরিক্ত আধা গ্রহণ করা হয় তাহলে তা ডায়রিয়ায় রূপান্তরিত হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় অনিরাপদ: চিকিৎসকদের মতে একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভবস্থায় দৈনিক ১৫০০ মিলিগ্রাম এর বেশি আদা খাওয়ার ফলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তাই গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত আদা খাওয়া উচিত নয়।
রক্তপাত ঘটতে পারে: আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি প্লাটিলের উপাদান আমাদের শরীরে অতিরিক্ত জমা হলে তা রক্তক্ষরণের কারণ হতে পারে। এছাড়াও গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে যে আঁধার সঙ্গে যদি লবঙ্গ ও রসুন একসঙ্গে মিশে খাওয়া যায় তাহলে অতিরিক্ত রক্তপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
হৃদযন্ত্রের ঝুঁকি: চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন যারা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন ট্যাবলেট গ্রহণ করে থাকেন তারা অবশ্যই অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকবেন। কেননা এতে হুট করে আপনার হৃদস্পন্দন কমে বা বেড়ে যেতে পারে।
গ্যাস ও ফোলা ভাব: অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ফলে আমাদের পেটে ফাইবারের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং পাকস্থলীর গাত্র থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ এসিড ক্ষরণ হয় যার কারণে পেটে গ্যাসের কিংবা ফোলা ভাব সৃষ্টি হতে পারে।
পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকর: আদার মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী উপাদান যা খালি পেটে খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বৃদ্ধি হয় এবং হজমে সমস্যার পাশাপাশি পেতে অস্বস্তি ভাব দেখা দিতে পারে।
মুখে অস্বস্তি: অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ফলে মুখে এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে যাকে ওরাল এলার্জি সিনড্রোম বলে। যার কারণে মুখে জ্বলুনি অথবা জিহ্বা ও মুখ খোলার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
ত্বকের সমস্যা: অতিরিক্ত আদা আমাদের চোখ ও ত্বকের সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ফলে ঠোঁট ফুলে ওঠা কিংবা গলায় অস্বস্তির সমস্যা দেখা দেয়। যদি অতিরিক্ত আধাখার ফলে আপনার এই সমস্যাগুলো বা সংক্রমণগুলো দেখা দেয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
অনিদ্রার সমস্যা: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ আদা খাওয়ার ফলে যেমন আমাদের অনিদ্রা সমস্যা দূর হয় তেমনি অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ফলে আমাদের ঘুম কম আসতে পারে সেই সঙ্গে বাড়তে পারে শরীরে অস্বস্তি ও ক্লান্তি। তাই অবশ্যই অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন হোন এতে অনেক ক্ষতিকর দিক প্রকাশ পায়।
অতিরিক্ত ওজন হ্রাস করে: যারা ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত আদা খেয়ে থাকেন তারা অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই অতিরিক্ত পরিমাণ আদা খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। এতে দ্রুত আপনার ওজন কমে আসবে এবং শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন আপনাকে হতে হতে পারে। তাই অবশ্যই অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন হন।
ডায়াবেটিসের সমস্যা: আদা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে কিন্তু যদি আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন ওষুধ সেবন করে থাকেন তাহলে তৎক্ষণাৎ আপনার খাদ্য তালিকা থেকে আদা বাদ দিয়ে দিন। কেননা এতে আপনার ওষুধের সাথে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
বুকে ব্যাথা: অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ফলে বুকে ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
হিমোফিলিয়া: আমরা হয়তো জানি আদা খাওয়ার ফলে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা দূর হয় কিন্তু যাদের হিমোফিলিয়া রয়েছে তাদের জন্য আদা বিষের মতো কাজ করে। তাই হিমোফিলিয়া রোগীদের আদা খাওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
হাইপারটেনশন: আদা শারীরিক সুস্থতার জন্য খুবই কার্যকারী। কিন্তু অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ফলে আমাদের হাইপারটেনশন কিংবা মানসিক দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রক্ত অতিরিক্ত পাতলা হয়ে যাওয়া: আদা রক্তকে পাতলা করে রক্তচাপকে কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণ আদা খেয়ে ফেলেন তাহলে তা আপনার রক্তকে অতিরিক্ত পাতলা করে ফেলবে এবং অল্প আঘাতেই অতিরিক্ত পরিমাণ রক্তক্ষরণ হতে পারে। তাই অবশ্যই অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন হন এখন থেকেই।
ক্ষত দেরিতে শুকানো: আদার মধ্যে রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান যা আমাদের ক্ষত দ্রুত ছাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে কিন্তু যদি আদা খেয়ে ফেলেন তাহলে এর মধ্যে থাকা পুষ্টিকর উপাদান গুলো আপনার জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
যার কারণে রক্তের অনুচক্রিকা গুলো সঠিকভাবে নিজের কাজ পালন করতে ব্যর্থ হয় এবং ক্ষতস্থান শুকাতে অনেক সময় লাগে। পাশাপাশি রক্ত জমাট বাঁধাতে বাধা সৃষ্টি করে।
তাই অবশ্যই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ আদা খাওয়া উচিত। চিকিৎসকদের মতে একজন সুস্থ মানুষের দৈনন্দিন 1500 মিলিগ্রাম এর বেশি আদা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি কারণ হতে পারে। তাই অবশ্যই নিয়ম মেনে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ আদা খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে সকল শারীরিক ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে দূরে থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
লেখকের মন্তব্যঃরাতে আদা খেলে কি হয়-আদার ক্ষতিকর দিক
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে যদি আপনার কোন উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন। আর্টিকেলটি সম্পর্কে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করতে পারেন। সকলে ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url