OrdinaryITPostAd

কাঠবাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার সকল উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আপনি কি নিয়মিত কাঠবাদাম খাচ্ছেন কিংবা নিয়মিত খাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইলো। আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা কাঠবাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার সকল উপকারিতা এবং কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। 

ছবি

এছাড়াও আমরা জানতে পারবো কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা, প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত, কাজুবাদাম ও কাঠ বাদামের উপকারিতা এবং আরো জানবো কাজুবাদাম ও কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। তাই আপনি যদি মনে মনে চিন্তা করে থাকেন নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস করবেন তাহলে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃকাঠবাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার সকল উপকারিতা

ভূমিকা

কাজুবাদাম ও কাঠ বাদাম এর নাম শুনলে এমন লক্ষ্য বই কম আছে। কম বেশি সবাই কাঠ বাদাম খেতে খুবই ভালোবাসে। কিন্তু অনেকেই হয়তো কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে জানে না। 

আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা কাঠবাদাম খাওয়ার সকল উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিকগুলো সহ একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন কয়টি কাঠবাদাম খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। হাজারো পুষ্টি কোন ভরপুর কাঠবাদাম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।কাঠবাদামের রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম,সেলিনিয়াম,কপার,ম্যাগনেসিয়াম ও রিবোফ্লোবিনের মত পুষ্টি উপাদান। 

এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে আয়রন,পটাশিয়াম,জিংক,থায়ামিন ও ফলেটের মতো হাজারো পুষ্টি গুনাগুন। কাঠ বাদামের মধ্যে ৮০ শতাংশ ফ্যাট বা চর্বি থাকে। যা আমাদের শরীরে জমা করে। এই ফ্যাট যদি শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাহলে বদহজম,পেট ফাঁপা,ডায়রিয়া কিংবা ওজন বৃদ্ধির মত সমস্যাগুলো সৃষ্টি হতে পারে। 

আজকেরে আর্টিকেলটিতে আমরা কাঠবাদাম খাওয়ার সকল নিয়ম এবং প্রতিদিন কি পরিমান কাঠবাদাম খেলে আপনার স্বাস্থ্য হানি ঘটবে না সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরুতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

কাঠবাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

কাঠবাদামে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং এগুলো আমাদের সকল ধরনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঠবাদাম ভিজিয়ে খাওয়া সকল উপকারিতা গুলো সম্পর্কে।

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে: প্রতিদিন কাঠ বাদাম ভিজে খেলে তা আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাঠ বাদামের মধ্যে রয়েছে রিবোফ্লোবিন ও এল ক্যারানিটিন নামক উপাদন। 


এ দুটি উপাদান আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতি ভ্রম রোগ দূর করতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রতিদিন ৪ থেকে ৬টি কাঠবাদাম ভিজিয়ে খেতে পারেন এটা আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং শিশুদের নিয়মিত খাওয়ালে একটি শিশুর বুদ্ধিবৃত্তি বিকাশে সাহায্য করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: কাঠবাদামের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল ও এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। যা মরণব্যাধি কোলন ক্যান্সার কে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে প্রতিদিন কাঠ বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন।

হার্টের সুরক্ষা প্রদান করে:কাঠবাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন,পটাশিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম যেগুলো আমাদের হার্টের সুরক্ষায় কাজ করে থাকে। প্রতিদিন ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং কাঠ বাদামের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং ম্যাগনেসিয়াম হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা রোধ করে। 

চিকিৎসকদের মতে যারা প্রতিদিন কাঠগোদাম ভিজিয়ে খেয়ে থাকে তাদের আর্টারিকে ক্ষতিকর প্রদানের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। যদি একজন ব্যক্তি প্রতিদিন ৪ থেকে ৬টা খাদ্য দাম নিয়মিত খাই তাহলে ৫০ শতাংশ হৃৎপিণ্ডের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: কাঠবাদাম রক্তের সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রাকৃতিক ভাবে ইনসুলিন উৎপাদনে সাহায্য করে। চিকিৎসকের মতে যদি একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী প্রতিদিন ৫ থেকে ৬টা কাঠ বাদাম খেতে পারে তাহলে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: আমরা হয়তো অনেকেই জানি ফসফরাস আমাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এবং সোডিয়াম রক্তচাপের মাত্রা ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করে। ফসফরাস ও সোডিয়ামের একটি ভালো উৎস হচ্ছে কাঠবাদাম। যাদের উচ্চ রক্তচাপে সমস্যা রয়েছে কিংবা নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে তারা প্রতিদিন খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ সহায়তা করে: কাঠ বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং প্রতিদিন কাঠবাদাম খেলে অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমে আসে। যারা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় চিন্তিত তারা আপনার ডায়েট চার্টে কাঠ বাদাম যুক্ত করতে পারেন এতে আপনার অতিরিক্ত ক্যালোরি কমে আনতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি ওজন কে নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়: প্রতিদিন কাঠ বাদাম খাওয়ার পেলে আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল এর মাত্রা কমে ভালো কোলেস্টেরল এইচ ডি এল এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যা আমাদের হার্টের জন্য এবং শরীরের সুস্থতার জন্য খুবই প্রয়োজন। 


এছাড়াও কাঠবাদাম এর মধ্যে থাকা মনোসেচুরেটেড ফ্যাট ও ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে এবং কাঠ বাদামের মধ্যে কোন ট্রান্সফ্যাট না থাকায় এটি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের আশঙ্কা কমিয়ে আনে।

হাড় ও দাঁত ভালো রাখে: কাঠ বাদামের মধ্যে থাকা ফসফরাস,মিনারেল ও আমাদের হাড়ের ও দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। কাঠবাদামের মধ্যে রয়েছে পরিমাণ ক্যালসিয়াম যা আমাদের হাড়কে মজবুত করতে এবং কাঠ বাদামের মধ্যে থাকা ফসফরাস আমাদের দাঁত কে শক্ত করতে সাহায্য করে। 

অস্টিওপোরোসিস এর মত হাড় ক্ষয়ের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই যারা হাড়ের ও দাঁতের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে: কাঠ বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার,প্রোটিন ও ফ্যাট। যেগুলো আমাদের শারীরিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই,ম্যাঙ্গানিজ,ভিটামিন বি,ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের শরীরের সুস্থতার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়: বাদামের মধ্যে থাকা ফাইবার আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও আর্জিনিন এবং হেলদি ফ্যাটের সঙ্গে ফাইবারের উপস্থিতির কারণে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের মতো রোগ গুলো থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।

কোষের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই যা আমাদের শরীরের কোষগুলোর কার্যক্ষমতার বৃদ্ধি করে এবং ক্ষতি করার থেকে রক্ষা করে। চিকিৎসকদের মতে যারা নিয়মিত কাঠ বাদাম খেয়ে থাকেন তাদের ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ সহজে পড়ে না।

শক্তি বাড়ায়: আপনি যদি প্রতিদিন এক মুঠো কাঠবাদাম ভিজিয়ে খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার সারাদিন এর ক্লান্তি ভাব দূর করতে সাহায্য করবে। কাঠ বাদামের মধ্যে থাকা ম্যাঙ্গানিজ,কপার ও রিমোফ্লোবিন শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগিয়ে ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে এছাড়াও নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে: কাঠবাদাম একটি অ্যালকালাইন সমৃদ্ধ খাবার যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও কাঠ বাদামের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। তাই বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক রোগ থেকে বাঁচতে প্রতিদিন কাঠবাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।


আশা করছি আপনাদের কাঠবাদাম খাওয়ার সকল উপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিতে পেরেছি।

কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে যেমন বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় তেমনি কাঠবাদাম খাওয়ার কিছু নিয়ম আপনাকে অনুসরণ করতে হবে। কাঠবাদাম বিভিন্ন নিয়ম অনুসরণ করে খাওয়া যায়।

ভেজানো কাঠবাদাম: প্রতিদিন রাতের বেলা ঘুমাতে যাওয়ার আগে ৪ থেকে ৫টি কাঠবাদাম ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে পারলে এর মধ্যে থাকা সকল পুষ্টি উপাদান গুলো আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে খেয়াল রাখবে।

মাখানো কাঠ বাদাম: সকালের ও বিকেলের হালকা নাস্তা বা স্ম্যাকস হিসেবে আপনি মাখানো কাঠ দিলাম খেতে পারেন। কাঠ বাদামের সাথে আপনি চাইলে কাজু,কিসমিস, খেজুরযুক্ত করতে পারেন। এতে এর কার্যকারিতা আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।

পায়েসের সাথে: অনেকেই কাজু ও কাঠবাদাম দিয়ে পায়েস রান্না করে খেতে পছন্দ করে। আপনি চাইলে কাজু ও কাঠ বাদাম মিশিয়ে সুস্বাদু পায়েস বানিয়ে খেতে পারেন এতে দারুন উপকার পাওয়া যায়।

পর্যাপ্ত পরিমাণ খাওয়া: আপনি যদি প্রতিদিন খেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পরিমাণ মতো খেতে হবে। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জন্য প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ টির বেশি কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত না। তাই কাঠ বাদাম খাওয়ার সময় এ বিষয়টা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।

নিয়মিত খাওয়া: আপনি যদি কাঠ বাদামের সকল উপকারিতা গুলো পেতে চান তাহলে অবশ্যই কাঠবাদাম আপনাকে নিয়মিত খেতে হবে। আপনি হুট করি একদিন অনেক বেশি পরিমাণ কাঠ বাদাম খেয়ে যদি স্বাস্থ্য উপকার পেতে চান তাহলে এটা আপনার ভুল ধারণা। 

এতে আপনার ক্ষতি ছাড়া উপকার হবে না। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ও নিয়ম মেনে কাঠবাদাম খেয়ে যান। কিছুদিন খাওয়ার পর আপনি নিজেই তফাৎ বুঝতে পারবেন।

অন্যান্য নিয়ম: এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের নিয়ম অনুসরণ করে কাঠবাদাম খাওয়া যায়। অনেকেই লসসি, আইসক্রিম,কেক,পোলাও,ফ্রাইড রাইস হালুয়ার উপরে কাঠ দিলাম ছিটিয়ে খেতে পছন্দ করে। আপনি চাইলে সেগুলো অনুসরণ করতে পারেন তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত মাত্রায় যেন না হয়।

কাঠবাদাম খাওয়ার আরো কিছু উপকারিতা

হজমে সাহায্য করে: কাঠ বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা আমাদের হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে এবং হজমের সহায়ক উৎসেচক গুলোকে উদ্দীপ্ত করে হজমের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

ফাইটিক এসিডের পরিমাণ কমায়: কাঠবাদাম যদি আপনি চিবিয়ে খান তাহলে এর মধ্যে থাকা ফাইটিক এসিড আপনার শরীরে বৃদ্ধি পাবে যার কারণে জিংক ও আয়রনের মত খনিজ গুলো হজমে বাধার সৃষ্টি হয়। তাই বাদামের মধ্যে থাকা ফাইটিক অ্যাসিড দূর করতে রাতের বেলা নিয়মিত ভিজিয়ে বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন।

ত্বক ভালো রাখে: কাঠ বাদামের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা আমাদের বার্ধকের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রতিদিন অন্তত চারটি করে কাঠ বাদাম নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে শরীরে কোলাজেন এর মাত্রা বৃদ্ধি পাবে যা আপনার ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে নরম ও স্থিতিস্থাপক করে তুলতে সাহায্য করবে।

দৃষ্টিশক্তি প্রখার করে: কাঠ বাদামের মধ্যে রয়েছে ফসফরাস নামক খনিজ উপাদান। যা আমাদের দৃষ্টি শক্তি উন্নত করতে এবং চোখের সার্বিক সুরক্ষায় কাজ করে।

গর্ভাবস্থার জন্য ভালো: একজন গর্ভবতী মা যদি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ কাঠ বাদাম খায় তাহলে এতে গর্বের সন্তানের সার্বিক সুস্থতা ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণ করতে কাঠবাদাম ভালো কাজ করে। গর্ভাবস্থায় যদি গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধি স্বাভাবিক না হয় তাহলে নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে এ সমস্যার সমাধান হয়।

প্রতিদিন কয়টা কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত

কাঠবাদাম খাওয়ার সকল উপকারিতা গুলো জানার পর অবশ্যই আপনার মনে আগ্রহ জাগতে পারে যে একজন সুস্থ ব্যক্তির প্রতিদিন কয়টায় কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত। আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা এ বিষয়ে সম্পর্কেও আলোচনা করব। চিকিৎসকদের মতে শরীরের সার্বিক উন্নতি এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আপনি বিভিন্ন নিয়মে কাঠবাদাম খেতে পারেন। 

এতে আপনি সকল ধরনের উপকারিতা গুলো পাবেন। কিন্তু তার জন্য অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ এবং নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাদের ধারণা একজন সুস্থ ব্যক্তির প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ টি বেশি কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত না। 

তবে যদি কিছুটা কম বেশি হয় তাহলে সমস্যা হয় না তবে আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় খেতে থাকেন তাহলে এর বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর দিক প্রকাশ পেতে পারে। তাই কাঠবাদামের সকল উপকারিতা গুলো পেতে অবশ্যই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ এবং নিয়ম মেনে খাওয়ার চেষ্টা করুন।

কাঠবাদাম খাওয়ার আরো কিছু উপকারিতা

১/কাঠ বাদামের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের ফোলা ভাব এবং অকালপক্কতা কমাতে সাহায্য করে।

২/নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে এর মধ্যে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড উপাদান টিউমার হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায় নিয়মিত ভিজিয়ে কাঠবাদাম খেলে।

কাজুবাদাম ও কাঠবাদাম এর উপকারিতা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা কাঠবাদাম খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা কাজুবাদাম ও কাঠবাদাম একসাথে খাওয়ার সকল উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানবো।

স্বাস্থ্যকর কোষ গঠনে সাহায্য করে: কাজুবাদাম ও কাঠ বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে চর্বি ও প্রোটিন যা আমাদের শরীরের কোষ গুলোকে সুরক্ষা প্রদান করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কাজুবাদাম ও কাঠগোদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা আমাদের কোচের অকাল বার্ধক্য রোধ করতে সাহায্য করে এবং বয়সে ছাপ কমায়।

হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে: কাজুবাদাম ও কাঠ বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই যা আমাদের হার্টের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুসারে কাজু ও কাঠ বাদামের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তাই হার্টের সুরক্ষার জন্য প্রতিদিনের নাস্তায় একমুঠো করে কাজুবাদাম ও কাঠবাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে: প্রাকৃতিকভাবে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং হার্টের সুরক্ষার ক্ষেত্রে কাজ করে কাজুবাদাম ও কাঠ বাদাম। বাদামে কোলেস্টেরলের মাত্রা নেই বললেই চলে এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা অ্যান্টি ডাইজেশন প্রক্রিয়াকে বন্ধ করে কোলেস্টেরল কে ধমনীতে আসতে বাধা প্রদান করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে: কাজুবাদাম ও কাঠবাদাম এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন,চর্বি ও শর্করা যা আমাদের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ইনসুলিন উৎপাদন ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। যা আমাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য খুবই জরুরী।

ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: যারা নিয়মিত কাঠবাদাম ও কাজুবাদাম একসাথে মিশিয়ে খান তারা অবশ্যই লক্ষ্য করবেন আপনাদের ত্বক অন্যদের তুলনায় বেশি কোমল ও মসৃণ। কেননা কাঠ বাদামের মধ্যে রয়েছে ত্বক ভালো রাখার জন্য প্রয়োজনও ভিটামিন এ ও ভিটামিন ই যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং বাদামের তেল আমাদের ত্বকের দাগ ঝক দূর করতে সাহায্য করে।

চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে: কাজুবাদাম ও কাঠবাদাম এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটি এসিড যা আমাদের চুলকে ভেতর থেকে শক্তিশালী ও মজবুত করে চুলের রং ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এছাড়াও নিয়মিত বাদামের তেল চুলে ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুলের ফলিকল মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখ: কাঠবাদাম ও কাজু বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম যা আমাদের হাড়ের ও দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়কে ভেতর থেকে মজবুত করে এবং কাজুবাদাম ও কাঠগোদাম এর মধ্যে থাকা ফসফরাস আমাদের দাঁতের গোড়া শক্ত করে।

মস্তিষ্ক ভালো রাখে: কাজুবাদাম ও কাঠবাদাম এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং আমাদের মস্তিষ্কের টিস্যুগুলোকে অ্যামাইলয়েড প্লেক দ্বারা আবৃত রেখে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং মস্তিষ্ককে অ্যালঝাইমার মতো রোগের শিকার হতে দেয় না। পাশাপাশি নিয়মিত কাঠবাদাম ও কার্য বাদাম খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

কাজুবাদাম ও কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম

কাজুবাদাম ও কাজু বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন,ফ্যাট ও ভিটামিন ই যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী তবে এগুলো খাওয়ার কিছু নিয়ম আপনাকে অনুসরণ করতে হবে। আপনি যদি অনিয়ম করে কাজুবাদাম ও কাঠবাদাম খেতে থাকেন তাহলে আপনার উপকারিতার বদলে ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 

চিকিৎসকদের মতে একজন সুস্থ ব্যক্তির প্রতিদিন ৫ থেকে ৭টির বেশি কাজুবাদাম খাওয়া উচিত না। এতে স্বাস্থ্য হানি যেমন এলার্জির সমস্যা কিংবা পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবং কাঠবাদাম ৮ থেকে ১০ টার বেশি খেলেও একই সমস্যা হতে পারে। কাঠবাদাম ও কাজুবাদাম আপনি একসাথে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। 

এছাড়াও আপনি চাইলে সকালের ও বিকালের হালকা নাস্তা বা স্ন্যাক হিসাবে ও কাজুবাদাম ও কাঠবাদাম একসাথে খেতে পারবেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন অতিরিক্ত না হয় এতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক

প্রত্যেকটি খাবারের যেমন কিছু উপকারিতা রয়েছে তেমন অতিরিক্ত পরিমাণ খাবার ফলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর দিক প্রকাশ পেতে পারে। কাঠ বাদামের ক্ষেত্রেও ঠিক একই রকম। আপনি যদি প্রতিদিন প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাঠগোদাম খান তাহলে এর বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর দিকগুলো প্রকাশ পেতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঠবাদামের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে।

ওজন বৃদ্ধি পায়: আমরা অনেকেই জানি কাঠবাদাম নিয়মিত খেলে এটি শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট বা চর্বি কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু আপনি যদি প্রতিদিন অধিক পরিমাণে কাঠ বাদাম খেতে থাকেন তাহলে এটি আপনার শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বৃদ্ধি করে পেটে অতিরিক্ত চর্বি জমিয়ে আপনার ওজন বাড়িয়ে দিবে।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা: নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে এটি আমাদের পাকস্থলীর কার্যকারিতা অন্যদিকে সাহায্য করে কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় কাঠবাদাম খান তাহলে এটি এসিডিটি কিংবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা: যে বা যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তারা কখনো অতিরিক্ত পরিমাণ কাঠ বাদাম খাবেন না। প্রতিদিন নিয়মিত খেলে যেমন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আছে তেমনি অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি পাবে যা আপনার হার্টের এবং স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়।

এলার্জির প্রতিক্রিয়া: অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় কাঠবাদাম কিংবা কাজুবাদাম খেলে এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তাই আপনার যদি এলার্জির সমস্যা থেকে থাকে কিংবা আপনি যদি প্রথমবার কাঠ বাদাম কিংবা কার যোগ্যতাম খেতে চান তাহলে অবশ্যই অল্প পরিমাণে খাবেন আর যদি এলার্জি সমস্যা থাকে তাহলে না খাওয়াই ভালো।

ডায়রিয়া: কাঠ বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা আমাদের হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণ কাঠবাদাম খান তাহলে পাকস্থলীতে অত্যাধিক পরিমাণ ফাইবার জমা হওয়ার কারণে আপনার হজমের সমস্যা এমনকি ডায়রিয়াও হতে পারে। এর সাথে সাথে মাথা ব্যথার লক্ষণ ও প্রকাশ পেতে পারে।

কিডনির সমস্যা: কাঠ বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফসফরাস ও পটাশিয়াম আমাদের কিডনি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় কাঠ বাদাম খেতে থাকেন তাহলে এগুলো আপনার কিডনিতে স্টোন সৃষ্টি করবে যা পরবর্তীতে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: যারা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল গ্রহণ করেন তারা অবশ্যই ভিটামিন ই ক্যাপসুল গ্রহণ করা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাঠবাদাম খাবেন না। এতে করে এলার্জি সহ শারীরিক বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিসাধন হতে পারে।

ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: আপনি যদি অন্য কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং তার জন্য চিকিৎসাধীন ওষুধ খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কাঠবাদাম খাবেন না। অত্যাধিক পরিমাণ কাঠ বাদাম খাওয়ার ফলে আপনার ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য: যাদের খাবার হজমে সমস্যা হয় তারা যদি নিয়মিত পরিমাণ মতো কাঠবাদাম খায় তাহলে কাঠ বাদামের মধ্যে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে। কিন্তু এই ফাইবার যদি আপনার কাগজ তুলতে অতিরিক্ত মাত্রায় বৃদ্ধি পায় তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যাগুলো সৃষ্টি হতে পারে।

টক্সিন জমা হয়: কাঠ বাদামের হয়েছে প্রচুর পরিমাণ হাইড্রোকার্বন অ্যাসিড। যা অতিরিক্ত কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে আমাদের দেহে টক্সিন জমা হতে সাহায্য করে। এছাড়াও অতিরিক্ত কাঠগোদাম খাওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা, নার্ভের সমস্যা এমনকি ব্যক্তির প্রাণহানি সমস্যা ও দেখা দিতে পারে। 

একজন ব্যক্তির প্রতিদিন ৪০ গ্রামের বেশি কাঠ বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ এবং পরিমাণ মতো নিয়ম মেনে কাঠবাদাম খেতে পারেন।

প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে: কাঠ বাদামি রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড কিন্তু ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে না। তাই আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় কাঠগোদাম খেয়ে ফেলেন তাহলে এটি ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এর ভারসাম্য নষ্ট করে শরীরের প্রদাহের সৃষ্টি করতে পারে। 

মিনারেল শোষণে বাধা: কাঠ বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইটিক এসিড। যা আমাদের দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান আয়রন , জিংক,ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শোষণে বাধা সৃষ্টি করে। তাই শরীরের কার্যক্রম সঠিকভাবে চলাচলের জন্য এবং কাঠ বাদামের সকল পুষ্ট উপাদান গুলো পেতে সকল নিয়ম গুলো অনুসরণ করে কাঠবাদাম খেতে পারেন।

লেখকের মন্তব্যঃকাঠবাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার সকল উপকারিতা

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি সম্পর্কে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করতে পারেন। আর্টিকালি পড়ার মাধ্যমে যদি আপনার কোন উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন। সকলে ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল ব্লগ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪